হজ্জযাত্রী হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমরা আরজে’ উপনীত হলে
রাসৃলুল্লাহ্ (না) সেখানে অবতরণ করলেন ৷ আইশা (রা) গিয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)এর পাশে
বদল; আমি আমার আব্বার কাছে বমলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু বকর (পরিবারের)
আসবড়াবপত্রবাহী উট ছিল একটিই; যা আবু বকরের গোলড়ামের দায়িত্বে ছিল ৷ আবু বকর (রা)
বসে বসে গোলায়ের এসে পৌছার অপেক্ষা করতে লাপলেন ৷ এক সময় সে এসে পৌছল,
কিন্তু তার সাথে কোন উট ছিল না ৷ আবু বকর বললেন, তে তামার উট ৫কাথায়? গোলামটি
বলল, গত রাতে আমি তা হারিয়ে ফেলেছি ৷ আবু বকর (রড়া ) বললেন, একটি মাত্র উট, তাও
হারিয়ে ফেলেছ, একথা বলে তিনি গোলামকে পেটাতে লাপলেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু
হড়াসছিলেন আর বলছিলেন হজ্যের ইহরড়ামধাবী এ
ল্যেকটি এবং তার কাণ্ড সেখ ৷ আবু দাউদ (র) ইবন মজ্যে (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
কিন্তু আবু বকর আলবড়াঘৃযার (র) তার মুসনাদে যে হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন এভাবে-
ইসমাঈল ইবন হাফ্স (র)আবু সাঈদ (বা) হতে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা ) ও তার
সাহাবীগণ মদীনা হতে মক্কা পর্যন্ত পায়ে হেটে হজ্যের সফর করেছিলেন; তারা নিজেদের
কােমর বেধে নিয়েছিলেন এবং তাদের চলার গতি ছিল হড়ারওয়ালা’ হালকা দৌড়ের মত ৷ এটি
একটি দুর্বল সনদের মুনকড়ার হাদীস ৷ কারণ, এ সনদের ম ধ্যবর্তী রাবী হড়ামযড়া ইব ন হড়াবীর
ত্মাঘৃ-যায়ব্রড়াত দৃর্বল’ অনির্তরযোগ্য এবং তার শায়খ (হুমরান) ও পরিত্যক্ত রাবী ৷ বাবৃয়ড়ার
(র) নিজেও মন্তব্য করেছেন যে এ সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্রে এ বর্ণনা পাওয়া যায় না;
যদিও আমার মতে সনদটি উত্তম ৷ ( তার মতে) হড়াদীসটি যদি সাবম্ভে হয়, তবে তার অর্থ এমন
হতে পারে যে, তারা পদব্রজে কোন উমরা আদায় করেছিলেন ৷ ৫কননা, নবী কবীম (সা)
মদীনান্ <ন্ষ্ ভএকবার মন্ত্র হজ্জ করেছিলেন এবং তিনি তখন আরােহী ছিলেন ও সাহাবীদের
মাঝে কেউ কেউ পদ্ব্ৰজেও গিয়েছিলেন ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : নবী করীম (সা) পদব্রজে কোন উমরা পালন করেন নি ৷ হুদায়রিয়ড়াতে
নয়, উমরড়াতুল কড়াযাতেও নয় ৷ জিইররানার উমরাতে নয় এবং বিদায় হজ্যেও নয় ৷ নবী কবীম
(সা) এর অবস্থা ও কার্যক্রম সুপরিচিত ও সর্বজনরিদিত ছিল ৷ জনতার কাছে তা গোপন
থাকার অবকাশ কোথায়? বরং হাদীনটি নির্ত্যৰুযোগ্য বর্ণনার বিরোধী এবং সুরকার পর্যায়ের যা
কিছুতেই স্বীকৃত হতে পারে না ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত
যুল-হলায়ফায় অবস্থান ও আনুসাংগিক প্রসংপ
পুর্বেই বিবৃত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) মদীনায় চার রাকআত জুহর সালতে আদায়
করেছিলেন,৩ তারপর সেখান থেকে যুল হুলায়ফায় গিয়েছিলেন এটি হল আর্কীক উপত্যকা ৷
সেখানে আরবের নামায দু’ রড়াকড়াত আদায় করেছিলেন ৷ এতে বুঝা যায় যে, তিনি দিনের
বেলায় আসরের সময় যুল-হুলড়ায়ফার পৌছে ছিলেন এবং সেখানে “কসর’ করে আসন্বরব
সালড়াত আদায় করেছিলেন ৷ স্থানটি মদীনা থেকে তিন মাইলের দুরত্বে অবস্থিত ৷ তারপর-
সেখানে মাগরিব ও ইশা আদায় করে সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন এবং সহ্রহশ্বদুষ্ন্র
দিয়ে ফজর সালাত আদায় করে তাদের এ মর্মে খবর দেন যে রহ্বত্তত তার কাছে ইহব্রক্ষুমৰ-
প্রয়োজনীয় হুদ্র্দেশ সম্বলিত ওহী এসেছে ৷ যেমন ইমাম হরুহজ্জ্ব (র) বলেন ইস্কো ইৰ্ ৰ
আদম আরদুল্লাহ্ ইব ন উমার (রা) সুত্রে নবী করীম (সা) সম্পর্কে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
তিনি যুল-ছুলায়ফার রাত্রি যাপনের স্থানে উপনীত হলে তাকে ওহী যােগে বলা হল ঞা
আপনি একটি বরকতময় কংকর প্রাতরে রয়েছেন ৷
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে এ হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে মুসা উবন উকরা (র) সুত্রে উল্লেখিত
সনদে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন আল হুমায়দী (র) ইবন আব্বাস (রা) ইবন উমার (রা)
কে বলতে শুনেছেন আমি ওয়াদিল আর্কীকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি যে,
আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে জনৈক আগমনকারী আমার কাছে এসে
, এ ররক৩ম য় উপত্যকায় সালাতশ্ আদায় কর এবং বল হব্লুজ্জর সাথে উমরা ৷ বুখায়ী
(র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম (র) তা বর্ণনা করেন নি ৷ সুতরাং বাহ্যত বলা
যায় যে, ওয়াদিল আর্কীকে নবী করীম (না)-কে সালাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান যুহরের
সালড়াত আদায় করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার নির্দোশর স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে ৷ কেননা,
এ নির্দেশ তার কাছে এসেছিল রাতে আর সাহাৰীগণকে তিনি অবগত করেছিলেন ফজর
সালাতের পরে ৷ অতএব, (নির্দেশ পালনের জন্য) পরবর্তী যুহর সালাতই একমাত্র সুত্ররুপে
অবশিষ্ট রইল ৷ সুতরাং তিনি সেখানে যুহর আদায় করার পরে ইহরাম সম্পাদনে আদিষ্ট
হয়েছিলেন ৷ এ জন্যই তিনি ইরশাদ করেছিলেন যে, আজ রাতে আমার প্রতিপালকের পক্ষ
হতে একজন অগন্তুক এসে আমাকে বললেন, এ ররকতময় উপত্যকায় সালাত আদায় করুন
এবং বলুন হরুজ্জর সাথে উমরার ইহরাম বাধছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হজ্জ কিরান হওয়ার
দড়াবীদারগণ এ হাদীস তাদের প্রমাণরুপে উল্লেখ করেছেন এবং বাস্তবেও এটি তাদের সরল
প্রমাণ যথাস্থানে বিশদ আলোচনা করা হবে ৷
এ আলোচনা আমাদের উদ্দেশ্যে এ কথা প্রমাণ করা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (পরের দিন)
যুহর পর্যন্ত ওয়াদিল আকীকে অবস্থানে আদিষ্ট হয়েছিলেন ৷ নবী করীম (সা) এ আদেশ
যথাযথ পালন করেছিলেন এবং সেখানে অবস্থান করে ঐ দিনের সকালে তার সহধর্মিনীদের
সান্নিধ্যে যান ৷ তারা ৎখ্যায় ছিলেন নয় জন এবং এ সফরে র্তাদের সকলেই তার সহযাত্রী
হয়েছিলেন ৷ তিনি যুহরের সড়ালাত আদায় করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলেন ৷ যেমন ইব ন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত, আবু হাসসান আল আরাজ (র)-এর হাদীলে ৰিবৃত হবে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলাফায় যুহর সালড়াত আদায় করলেন ৷ তারপর তার উটটিকে কুররানীর
উট বলে চিহ্নিত করলেন ৷ তার উটে আরোহণ করে তালৰিরা বা লাব্বায়েক ধ্বনি উচ্চারণ
করলেন ৷ এটি মুসলিমের বংনাি ৷ ইমাম আহমদ (র)ও বলেছেন, রাওহ (র) আনাস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহর সালাত আদায় করলেন ৷
তারপর তার রাহনে আরোহণ করলেন এবং প্রাম্ভরের চড়াইয়ে উঠলে লাব্বায়ক ধ্বনি দিলেন ৷
আবু দাউদ (র) আহমদ ইবন হাম্বল (র) হতে এবং নাসাঈ (র) ইসহড়াক ইবন রাহওয়ায়হ (র)
হতে, নাযর ইবন শুমায়ল (র) সুত্রে অনুরুপ অর্থ সম্পন্ন এবং আহমদ ৰনৃল আযহার (র) সুত্রে
আরো পুণসি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ বর্ণনা ইবন হাযম (র) এর দিনের প্রথমাংশে ইহরাম
হওয়ার ধারণা নাকচ করে দেয় ৷ তবে তিনি বৃখারী (র) বর্ণিত আনার (রা) সুত্রের রিওঝঝোত
ওেতাে
স্বপহ্মে টানতে পারেন, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলায়ফায় রাত কটিড়ান্সেন;
তাববুশঘে সকাল হলে তিনি ফজর সালাত আদায় করলেন, তারপর তার বড়াহনে আরোহণ
করলেন ৷ বাহন প্রাম্ভরে গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি হজ্জ ও উমরত্ত্বর ইহরাম বীধলেন ৷ তবে এ
হাদীসের সনদে তাজ্ঞাতনামা জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন; সম্ভবত তিনি আবু কিলাবা (র) ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷
ইমাম মুসলিম (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন হাবীব আল হারিহী (র) আইশা (রা) সুত্রে, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলাম, তারপর তিনি তার সহবর্মিণীদের
সান্নিধ্যে গমন করেন ৷ তারপর ইহরাম বীধলেন, তখনও তীর সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল ৷ বুখারী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন শুবা (র) সুত্রে ৷ আবার বুখত্ত্বরী মুসলিম (র) উভয় তা উদ্ধৃত
করেছেন আবু আওয়নাে (র) সুত্রে (এ সনদে মুসলিম (র)-এর অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে) ৷
অনুরুপ মিসআর ও সুফয়ান ইবন সাঈদ ছাওয়ী (র) এ চারজন পুর্বোল্লিখিত সনদে ৷ এ ছাড়া
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবনৃল মুনতাশির (ব) ( এর পিতা মুহাম্মদ (র) হতে নেয়া মুসলিম (র)-
এর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে মুহাম্মদ (র) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রড়া)এর কাছে
সুগন্ধি মাখিয়ে ইহরাম সম্পাদনকারী ব্যক্তির মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, সুপন্ধি
ছড়াতে ছড়াতে মুহরিম হব তা আমি পসন্দ করি ৷ তেমন করার চেয়ে আমি আলকাতরড়া
মাখড়াব তা বরং আমার কাছে অধিক পসন্দনীয় ৷ (এ জবাব শুনতে পেয়ে) আইশা (রা)
বললেন, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) (ক তার ইহরামের সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছিলাম ৷ তারপর
তিনি তার দ্রীদেব কাছে ঘুরে এসেছেন; তাবপরে মুহরিম হয়েছেন ৷
মুসলিম (র) বর্ণিত এ ভাম্যের দাবী হল স্তীদের সাথে মিলনের আগে নবী করিম ( সৰু )
সুগন্ধি মাখতেন, যাতে তা তার নিজের কাছে সৃখকর ও দ্রীদের কাছে পছন্দনীয় হয় ৷ তারপর
জানাবভে এর জন্য গোসল এবং সে সাথে ইহরামের গোসলের সময় ইহরামেব উদ্দেশ্যে
নীিয় বার সুপন্ধি ব্যবহার করতেন ৷ যেমন তিবমিযী ও নড়াসড়াঈ (ব) আবদুর রহমান ইবন
আবয যিনড়াদ (র)যড়ায়দ ইবন ছাৰিত (রা ) সুত্রের হাদীস রিওয়য়োত করেছেন যে , তিনি
(যারদ রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরামের জন্য থেলােমেলা ভাবে গোসল করতে দেখেছেন ৷ এ
হাদীস সম্পর্কে তিরমিযী (র)-র মন্তব্য হল একক সুত্রীয় উত্তম (হাসান পরীব) ইমাম আহমদ
(র) বলেন, যাকারিয়া ইবন আদী (র)আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইহরাম বীধার ইচ্ছা করতেন তখন র্তার মাথা (সুগন্ধিযুক্ত) খিতমী ও
উসমান (মাস) দিয়ে ধুইতেন এবং তার কিছু তেল মাথায় দিতেন ৷ এটা আহমদ (র)-এর
একক বর্ণনা ৷ আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন
উরব্বয়ন৷ (র ) , আইশা (রা ) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তার ইহরাম র্বীধড়ার সময় এবং
ইহরাম খোলার সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ আমি (উরওয়া) র্তাকে বললাম, (কান
সুগন্ধি দিয়ে? তিনি বললেন, সব চাইতে উত্তম সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম ও বুখাবী (র) ভিন্ন ভিন্ন
সুত্রে এ হাদীসটি বংনাি করেছেন ৷
বৃখায়ী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (রা ) থেকে তিনি বলেন,
আর্মি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-ফে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম তার ইহরামেব জন্য, যখন তিনি ইহরাম