এ প্রসংগে কাআব ইবন মালিকের আরও কবিতা
অর্থ : হে লুআই-এব পুত্রদ্বয় ৷ তোমাদের পিতার শপথ, তোমাদের অহংকার ও পর্বের
উপর ৷
বদর যুদ্ধে তোমাদের অশ্বারোহীরা ৫৩ ৷মাদেরকে মোটেই রক্ষা করতে পারেনি ৷ আর
মুকাবিলার সময়ও ত ৷রা দৃঢ়ভা বে টিকে থাকতে পারেনি ৷
আমরা আল্লাহ্র নুর নিয়ে সেখানে উপনীত হই, যা আমাদের :থকে অন্ধকার ও আবরণ
দুর করে আলোক-উদ্ভাসিত করে দেয় ৷
তিনি হলেন আল্লাহ্র রাসুল, যিনি আল্লাহ্র একটি নির্দেশের দিকে আমাদের অগ্রসর
করাচ্ছিলেন ৷ আল্লাহ্র চুড়ান্ত ফায়সালায় তা দৃঢ়ভা লাভ করে ৷
এ কারণে বদরে তোমাদের অশ্বারোহী বাহিনী জয়ীও হতে পারেনি এবং তোমাদের নিকট
সহীহ্-সালামতে প্রত্যাবর্তনও করতে পারেনি ৷
অতএব, হে আবু সুফিয়ানা তাড়াহুড়া করো না; বরং কুদ৷ উপত্যকা ৷হতে উত্তম ঘোড়া
বেরিয়ে আসা র অপেক্ষা কর ৷
সে দলের সাথে থাকবে আল্লাহর সাহায্য, থাকবে রুহুল কুদ্স জিবরাঈল ও মীককাি
ফেরেশতা ৷ কতই না উত্তম হবে যে দল !
হাসৃসান ইবন ছাবিতের কবিতা
নিম্নে উল্লিখিত কবিতাটি করি হাসৃসান ইবন ছাবিতের ৷ কিন্তু ইবন হিশাম বলেছেন, কেউ
কেউ একে আবদুল্লাহ ইবন হারিছের কবিতা বলে দাবী করেন ৷
অর্থ : তাদের সম্মুখে ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিতু, র্ষার বাহ্যিক আলামত ছিল পরিধাঙ্গে
কড়া লাগান শক্ত লৌহ-বর্ম ৷ তিনি ছিলেন কােমলহৃদয়, দৃঢ়চেতা ও নির্তীক ৷
অর্থাৎ- তিনি সৃষ্টি জগতের স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত রাসুল মাঝে তিনি তাকওয়া ৩
বদান্যতা দ্বারা সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠতৃ দান করেছেন ৷
তোমরা ভেবেছিলে যে, তোমাদের কৌলীন্য-আভিজাত্যকে তোমরা রক্ষা করতে পারবে
এবং বদরের কুয়াের উপর অন্য কেউ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না ৷ ১
আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে ছেড়ে দেয়া মযবুত রশ্যিক দৃঢ়ভাবে আকড়ে রড়াখলাম,
কিছুতেই ছাড়লাম না ৷
আমাদের মাঝে আছেন রাসুল ৷ আমাদের মাঝে আছে সত্য যা আমরা মৃত্যু পর্যন্ত
অনুসরণ করে যার এবং আমাদের পক্ষে রয়েছে আল্লাহর সীমাহীন সাহায্য ৷
তিনি ওয়াদা পুরণকারী, দায়িত্ব পালনকারী, উজ্জ্বল নক্ষত্র যার থেকে আলো গ্রহণ করা
যায়, পুর্ণিমার চীদ সকল মর্যাদাবানকে তিনি আলোকিত করে দিয়েছেন
হাস্সান ইবন ছাবিত আরো বলেন :
১৷ ৷
অর্থ : হায় ! যদি আমি জানতে পারতাম সেই সংকট মুহুর্তে আমাদের হাতে কাফিরদের যে
ৎসক্রিয়া সংঘটিত হয়, সে সংবাদটি মক্কাবাসীদের নিকট পৌছল কি না
প্রবল আক্রমণে আমরা তাদের নেতৃস্থানীয় বীর পুরুষদেরকে হত্যা করি ৷ ফলে মেরুদণ্ড
ভাংগা অবস্থায় পরাজয়ের গ্নানি নিয়ে তারা প্রত্যাবর্তন করে ৷
আমরা আবু জাহলকে হত্যা করেছি ৷ তার আগে উতবা ও শায়বাকে হত্যা করেছি ৷ এরা
সবাই হাত ও গ্রীবার উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকে ৷
সে দিন আমরা সুওয়াইদকে হত্যা করি ৷ তারপরে উতবাকে এবং ধুলি উড়ার সময়
তু’মা-কেও হত্যা করি ৷
এ ভাবে কত যে সম্মানিত সর্দার-লোকদের হত্যা করেছি যারা ছিল আপন সম্প্রদায়ের
মধ্যে প্রথিতযশা মহান ব্যক্তি ৷
আমরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিলাম ক্ষিপ্ত চিতা বাঘের সামনে যারা বারবার তাদের
সম্মুখে এসেছিল ৷ এরপরে তারা প্রবেশ করবে গভীর তপ্ত অগ্নিকুণ্ডে ৷
তোমার জীবনের কসম! বদরের যুদ্ধের দিনে যখন আমরা মুখোমুখি হই, তখন তোমার
সাহায্যে না মালিকের অশ্বারােহী বাহিনী এগিয়ে আসলাে, আর না তাদের অন্যান্য মিত্ররড়া ৷
উৰায়দা ইবন হারিছের কবিতা
বদর যুদ্ধের শুরুতে উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব, হাময়ড়া ও আলী যথাক্রমে
উতবা, শায়বা ও ওয়ালীদ ইবন উতবার বিরুদ্ধে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৷ এ মল্পযুদ্ধে উবায়দা
১ ইবন হিশামের সীরাত গ্রন্থে এই পংজ্যি পরে নিম্নের পংক্তিটি আছে :
অর্থ : কিন্তু আমরা যে পানির কাছে পৌছাড়াম ৷ তোমাদের কোন কথা শুনলাম না এবং তৃপ্তি সহকারে পানি
পান করলাম নির্বিবাদে ৷
ইবন হারিছের একটি পা কেটে যায় ৷ সেসময় তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন ৷ কিন্তু ইবন
হিশাম এ কবিতাটি উবায়দার বলে স্বীকার করেননি ৷
অর্থ : অচিরেই মক্কাবাসীদের নিকট আমাদের সম্পর্কে একটি ঘটনার সংবাদ গিয়ে
পৌছবে ৷ সে সংবাদ শুনে এখ ড্রুন থেকে যারা দুরে অবস্থান করছে তারা ঘাবড়ে যাবে ৷
উতবা সম্পর্কে, যখন মুে পালাচ্ছিল এবং তারপরে শায়বা, আর যে অবস্থায় থাকতে
উতবার প্রথম ছেলেঢিও ( ওয়া ল্লীদ) সম্মত ছিল ৷
তারা যদি আমার পা হ্মেটেন্দিয়ে থাকে, তবে এতে আমি বিচলিত নই, কেননা, আমি
মুসলমান ৷ এর বিনিময়ে আমিৰুরুআল্লাহ্র পক্ষ থেকে অচিরেই এক সুখমর জীবন আশা করি ৷
সে জীবন হবে হ্রদের সাথে যারা মুর্ডিং মত স্বচ্ছ ৷ উচ্চতর জন্নাতে যারা উচ্চ মর্যাদা
পারে তাদের জন্যে নির্ধারিত থাকবে এ সব হ্রর ৷
তা পাওয়ার জন্যে আমি এমন এক জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছি যার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে
আমি অবহিত ৷ আমি তা দ্রুত্বচুকড়ামনা করেছি ৷ এমনকি কাছের জিনিসকেও পরিত্যাগ করছি ৷
পরম দয়ালু সত্তা আপন ন্অনুগ্রহে আমাকে ইসলামের পোশাক দিয়ে সম্মানিত করেছেন-
যা আমার যাবতীয় অপরাধকে ঢেকে ফেল্যেছ ৷
যে দিন সকাল বেলা জ’ামার সমকক্ষ লোকের পক্ষ থেকে মুকাবিলা করার আহ্বান
আসলো সে দিন তাদের সাথে যুদ্ধ করা আমার কাছে খারাপ ঠেকেনি ৷
যখন তারা নবী করীম (না)-এর নিকট (মল্লযুদ্ধের ) দাবী জালাল তখন তিনি আমাদের
তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকেননি ৷ সুতরাং আমরা আহ্বানকারীদের সামনে গিয়ে
উপস্থিত হলাম ৷
আমরা বর্শা হাতে নিয়ে সিংহের মত গর্জে উঠে তাদের সামনে হাযির হলাম এবং রহমান
আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্যে পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকলাম ৷
এরপর আমরা তিনজনই আপন জায়গায় অবিচল থাকলাম ৷ আর তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়ালা ৷
ইবন ইসহাক লিখেছেনৰুধ্৪ বদর যুদ্ধে হারিছ ইবন হিশাম যুদ্ধ না করে দলবল ফেলে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷ এ সম্পর্কে হাস্সান ইবন ছাবিতের নিন্দাসুচক কবিতাও
রয়েছে
হাস্সান ইৰ্ন ছাবিত আরও বলেন :
অর্থ : হে হারিছ ! যুদ্ধ ও দুর্যোগকালে এমন সব লোকের উপর তুমি নির্ভর করলে যারা
মোটেই নির্ভরযোগ্য ছিল না ৷