Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » অনুচ্ছেদ : মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঢুক্তিপত্র ইয়াহূদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত

অনুচ্ছেদ : মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঢুক্তিপত্র ইয়াহূদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র
    ইয়াহ্রদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    কুরায়শী এবং ইয়াছরিবী মুসলমান এবং তাদের অনুসারীদের মধ্যে উস্বী নবী মুহাম্মদ (সা)

    এ সনদ জারী করেন ৷

    এক জাতি হিসাবে তারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করবে অন্যদের মুকাবিলায় ৷
    কুরায়শী মুহাজিররা তাদের কর্তৃত্বে বহাল থাকবে ৷ তারা রীতি অনুযায়ী নিজেদের
    রক্তপণ পরিশোধ করবে এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ইনসাফের ভিত্তিতে বন্দীদের
    মুক্তিপণ পরিশোধ করবে ৷

    বনু আওফ তাদের কতৃত্বে বহাল থাকবে ৷ তারা রীতি ও বিধি মতো দিয়াত পরিশোধ
    করবে এবং প্রতেক দল রীতি অনুযায়ী ইনসাফের ভিত্তিতে মু’মিনদেরকে ফিদিয়া
    পরিশোধ করে তাদের বন্দীদেরকে মুক্ত করবে ৷
    এরপর তিনি আনসারদের প্রতেকে বংশ-গোত্র-এর উল্লেখ করেন ৷ এরা হলো, বনু
    সাইদা, বনু জুশাম, বনুনাজ্জার, বনুঅড়ামর ইবন আওফ, বনু নাবীত ৷ এমনকি চুক্তিতে
    তিনি একথাও উল্লেখ করেন যে, কোন মুসলমান ঋণভারে জর্জরিত বিপণ
    জনগােষ্ঠীকে আশ্রয়হীন রাখবে না এবং ফিদিয়া আর দিয়াতের ক্ষেত্রে নিয়ম-রীতি
    অনুযায়ী পরস্পরের সাহায্য-সহায়তা করবে ৷

    কোন মুসলমান অপর মুসলমানের আযাদ করা গোলামের সঙ্গে কোন চুক্তি করবে না
    র্তাকে বাদ দিয়ে (মুহাম্মদ (না)-কে ছাড়া) ৷ (অর্থাৎ অন্যের মুক্ত দাসের সঙ্গে কোন
    মুসলমান মৈত্রী চুক্তি স্থাপন করতে পারবে না ৷

    মু’মিন মুত্তাকীরা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা গঠন করবে বিদ্রোহী, যালিম, অত্যাচারী, পাপাচারীর
    বিরুদ্ধে, মু’মিনদের মধ্যে ফাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টির বিরুদ্ধে ৷ এমন কি আপন
    সন্তানদের বিরুদ্ধে গেলেও এ মাের্চা গঠন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সকলে নবী
    মুহাম্মদ (না)-কে সহায়তা করবে ৷

    কোন কাফিরের বদলায় কোন মু’মিন কোন মুমিনকে হত্যা করবে না ৷

    মু’মিনের বিরুদ্ধে কোন কাফিরের সাহায্য করা যাবে না ৷

    আল্লাহ্র যিম্মড়া-অঙ্গীকার এক ও অভিন্ন ৷ তাদের পক্ষ থেকে একজন সামান্য-নগণ্য
    ব্যক্তিও কাউকে আশ্রয় দিতে পারবে ৷

    অন্যদের মুকাবিলায় মুসলমানগণ পরস্পরে ভাই ৷

    আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া
    আমাদের অনুগত ইয়াহুদীরা সাহায্য-সহায়তা পাওয়ার যোগ্য ৷ তাদের প্রতি জুলুম করা
    যাবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে সাহাযল্দোহযােগিতা করা যাবে না ৷

    সকল মুসলমানের নিরাপত্তা আর স্বার্থ এক ৷ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে কোন মৃ’মিন
    অপর মৃ’মিন ভাইকে বাদ দিয়ে সন্ধি চুক্তি করবে না ৷ তা সমভাবে সকলের জন্য
    ইনসাফ ভিত্তিক হতে হবে ৷

    যে সব যোদ্ধা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হবে, তারা একে অন্যের সহায়তা করবে ৷
    মৃ’মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় নিহতদেরকে পরস্পরে সহায়তা করবে ৷
    মু’মিন-মুত্তাকীরা সত্য-সরল ও সঠিক হিদায়াতের উপর আছে ৷ কোন মুশরিক কোন
    কুরায়শীকে জান-মালের নিরাপত্তা দেবে না ৷ কোন মৃ’মিনের মুকড়াবিলায় সে প্রতি বন্ধক
    হবে না (এবং তার বিরুদ্ধে সাহায্য-সহায়তা করবে না) ৷
    অহেতুক কোন মৃ’মিনকে হত্যা করলে হত্যাকারীকে দায় বহন করতে হবে এবং নিহত
    ব্যক্তির ওলী-ওয়ারিসকে সন্তুষ্ট করতে হবে ৷ হত্যাকারীর বিরুদ্ধে র্দাড়ানাে সমস্ত
    মু’মিনের কর্তব্য হবে ৷ তার বিরুদ্ধে র্দাড়ানাে ছাড়া অন্য কিছু করা তাদের জন্য হালাল
    হবে না ৷

    পুকােন মৃ’মিন ব্যক্তি, যে এ সনদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ে ঈমান রাখে এবং তা স্বীকার করে,

    আল্লাহ এবং শেষ দিনে যার ঈমান ও বিশ্বাস আছে, কোন নতুন কিছু উদ্ভাবনকারীর
    সাহায্য সহায়তা করা তার জন্য হালাল নয়, হালাল নয় এমন নব উদ্ভাবনকাৰীকে আশ্রয়
    দান করা ৷ যে ব্যক্তি এমন লোককে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা তাকে আশ্রয় দান
    করবে কিয়ড়ামতের দিন তার প্রতি আল্লাহর লানত, আল্লাহ্র গযব আপতিত হবে ৷ তার
    নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না (তার তাওবওে কবুল করা হবে না) ৷
    চুক্তির ক্ষেত্রে কোন বিরোধ, মত পার্থক্য দেখা দিলে (তার ব্যাখড়াড়া-বিশ্লেষণের জন্য)
    আল্লাহ্ ও তার রাসুলের দিকে প্রত্যাবর্ভা করতে হবে ৷

    ইয়াহ্রদীরা যত দিন মৃ’মিনদের সহযােদ্ধা রুপে থাকবে, ততদিন তারা মু’মিনদের সাথে
    ব্যয় নিবাহের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকবে ৷

    বনু আওফের ইয়াহ্রদীরা ঘু’মিনদের সঙ্গে একই উষ্ম৷ রুপে থাকবে ৷

    ইয়াহ্রদীরা তাদের ধর্ম মেনে চলবে আর মু’মিনরা মেনে চলবে তাদের নিজেদের দীন ৷
    তাদের দাস এবং তারা নিজেরা নিরাপদ থাকবে ৷ অবশ্য কেউ জুলুম, পাপাচার আর
    অপরাধ করলে যে কেবল নিজেকেই ধ্বংস করে ৷ নিজের এবং নিজের পরিজনের ক্ষতি
    সাধন করে ৷ (অন্যায়কারীকে অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করতে হবে) ৷

    বনু নাজ্জার , বনু হারিছ, বনু সাইদা, বনু জুশাম, বনু আওস, বনু ছা’লাবা বনু জাফনা,
    বনু শাতনা এসব শাখা গোত্রের ইয়াহুদীরা বনু আওফের ইয়াহুদীদের মতো অধিকার
    ভোগ করবে, সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে এবং ইয়াহুদীদের গোপন বিষয় নিজেদের
    গোপন বিষয়ের মতো বিবেচিত হবে ৷

    মুহাম্মদ এর বিনা অনুমতিতে তাদের কেউ বের হতে পারবে না ৷

    আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
    ২৬ কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে তা করবে নিজেরই সঙ্গে, তার জুলুমের বিপরীতে জুলুমের
    শা তাকে পেতে হবে ৷

    আর আল্লাহ্ তো রয়েছেনই তার পশ্চড়াতে ৷

    ইয়াহুদীরা নিজেদের ব্যয় তার বহন করবে, আর মুসলমানরা বহন করবে নিজেদের
    ব্যয়ভার ৷

    এ চুক্তিপত্রের অনুসারীর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করবে, তার বিরুদ্ধে সাহায্য করা সকলের
    কর্তব্য হবে ৷

    চুক্তিবদ্ধ পক্ষসমুহের মধ্যে সম্পর্ক হবে শুভাকাদ্ভক্ষী, সুম্পেদেশও পুণ্যভিত্তিক
    পাপাচারমুলক হবে না ৷

    কোন ব্যক্তি তার মিত্রপক্ষের সঙ্গে পাপাচারের কর্ম করবে না ৷ মিত্রপক্ষের অপরাধের
    কারণে সে অপরাধী হবে না ৷

    মজলুমের সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে ৷

    এ চুক্তির পক্ষের লোকের জন্য ইয়াছরিব এবং তার উপকন্ঠ হবে সম্মানার্দু ৷
    প্ৰতিবেশী-আশ্রয়প্রাথী হবে নিজের মতো যদি সে ক্ষতিকর এবং অপরাধী না হয় ৷
    অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন নারীকে আশ্রয় দেয়া যাবে না ৷

    এ চুক্তির পক্ষের মধ্যে কোন ঘটনা-উত্তেজনায় বিপর্যয়ের আশংকা সৃষ্টি হলে (বা কোন
    বিরোধ দেখা দিলে) ব্যাখ্যার জন্য আল্লাহ এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন
    করতে হবে ৷

    যে এ চুক্তি মেনে চলবে আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেন ৷

    কুরায়শ এবং তাদের সাহায্যকারীকে আশ্রয় দেয়া যাবে না ৷
    কেউ ইয়াছরিবের উপর চড়াও হলে সকল পক্ষ মিলে ঠেকাবে ৷

    মুসলমানদেরকে কোন সন্ধি-চুক্তির জন্য আহ্বান করা হলে তারা (ইয়াহ্রদীরা) ও তা
    মেনে চলবে ৷ ইয়াহ্রদীরা কারো সঙ্গে চুক্তি করলে মুসলমানরাও তাতে যোগ দিবে ৷ তবে
    কেউ দীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে তাতে মুসলমানরা যোগ দেবে না ৷

    প্রতিটি নাপরিকের কর্তব্য তার অংশের সংরক্ষণ করা ৷

    জালিম আর অপরাধী ছাড়া কেউ এ চুক্তিপত্রের অন্যথা করবে না ৷

    কেউ মদীনার বাইরে গেলে বা মদীনায় বসবাস করলে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে যদি
    সে জালিম এবং অপরাধী না হয়ে থাকে ৷

    যে ব্যক্তি পুণ্যবান এবং মুত্তাকী, আল্লাহ হবেন তার হিফাযতকারী ৷

    ইবন ইসহাক চুক্তিপত্রের অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ৷ অবশ্য আবু উবায়দ কাসিম ইবন সালাম

    তার কিতাবুল গরীব ইত্যাকার গ্রন্থে এ সম্পর্কে অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে নবী (সা) এর ভ্রাতৃত্ব স্থাপন
    আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

    (আর তাদের জন্যেও) মুহাজিরদের আগমনের পুর্বে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে এবং
    ঈমান এসেছে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে সে জন্যে তারা অন্তরে আকাম্ভক্ষা পোষণ

    করে না আর তারা ওদেরকে নিজেদের উপর অগাধিকার দেয়—-’নিক্তেরা অভাবগ্রস্ত হলেও ৷
    অন্তরের কার্পণ্য থেকে যাদেরকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম (৫৯ : ৯) ৷

    আল্লাহ তাআলা আরো বলেন :
    ৷ ব্লু
    এবং যাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ, তোমরা তাদেরকে তাদের অংশ দান
    করবে ৷ নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে দ্রষ্টা (৪ : ৩৩) ৷

    ইমাম বুখারী (র) সাল্ৎ ইবন মুহাম্মদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
    (এবং প্রত্যেকের জন্য আমি মাওয়ালী করেছি) এ আয়াতে মাওয়ালী অর্থ
    ওয়ারিছ বা উত্তরাধিকারী ৷ এবং যাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ
    হয়েছ)-এ আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন : মুহাজিরপণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তারা
    আত্মীয়তার সম্পর্ক ছাড়াই আনসারদের ওয়ারিছ বলে গণ্য হতেন, নবী (না) তাদের মধ্যে যে
    ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেছেন তার সুবাদে ৷ ;এ আয়াত নাযিল হলে
    আনসারদেরকে উত্তরাধিকার দানের বিধান রর্হিত হয় ৷ তিনি বলেনঃ, পরে আয়াত নাযিল হয় :
    এ আয়াতে তাদের অংশ বলে তাদেরকে
    সাহায্য করা, রিফাদা অর্থাৎ আপ্যায়ন এবং কল্যাণ কামনা বুঝানো হয়েছে ৷ আর মীরাছেও
    ওসীয়াতের বিধান রহিত হয়ে গেছে ৷ ইমাম আহমদ সুফিয়ান ও আসিম সুত্রে আনাস (বা)
    থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (না) আমাদের গৃহে মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃতু স্থাপন করেন ৷

    মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মুহাজির এবং আনসার সাহাবীগণের
    মধ্যে ভ্রাতৃতৃ বন্ধন স্থাপন করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লড়াহ্ (না) যা বলেননি,
    এমন কথা তীর প্রতি আরোপ করা থেকে আল্লাহর পানাহ্ চাই ৷ আমরা জানতে পেয়েছি, তাতে

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঢুক্তিপত্র ইয়াহূদীরাও এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.