Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » রাসূলুল্লাহ (সা) -এর চাচা আবূ তালিবের ইনতিকাল

রাসূলুল্লাহ (সা) -এর চাচা আবূ তালিবের ইনতিকাল

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • সব কিসৃসা কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই ৷ এগুলো সরাসরি মিথ্যা ও বানােয়াট কথা ৷ এগুলো
    মোটেই শুদ্ধ নয় ৷ বন্তুত র্চাদ যখন বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিল, তখনও আকাশেই ছিল ৷ তবে
    রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন সেটির দিকে ইঙ্গিত করলেন, তখন তার ইঙ্গিতে সেটি দৃই খণ্ডে বিভক্ত
    হয়ে যায় এবং একখণ্ড চলতে চলতে হেব৷ পাহাড়ের উল্টে৷ দিক বরাবর চলে আসে ৷ তখন
    দর্শকর৷ এই খণ্ড আর ওই খণ্ড উভয় খণ্ডের মাঝ দিয়ে হেব৷ পর্বত দেখতে পান ৷ যেমনটি
    বলেছেন ইবন মাসউদ (বা) যে, তিনি নিজে তা প্রত্যক্ষ করেছেন ৷ পক্ষান্তরে ঘুসনাদে আহমদ
    গ্রন্থে হযরত আনাস (র) সুত্রে যা বর্ণিত হয়েছে যে, মক্কায় চাদ বিদীর্ণ হয়েছে দু’বার বাহ্যত
    তা দ্বারা একথা বুঝানো হয়েছে যে, দুবার নয়, বরং বিদীর্ণ হয়ে র্চাদ দু’খণ্ডে বিভক্ত হয়ে
    পড়েছিল ৷ আল্লাহ্ই৩ ভাল জানেন ৷

    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচা আবু তালিবের ইনতিকাল

    চাচা আবু তালিবের ইনতিকালের পর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী হযরত খাদীজা বিনত
    থুওয়াইলিদ (রা) ইনতিকাল করেন ৷ কারো কারো মতে চচ৷ আবু তালিবের পুর্বে হযরত
    থাদীজার (রা) ইননিক ল হয় ৷ প্রথম অভিম৩ ই প্রসিদ্ধ ৷ এ দুটো ঘটনা ই বেঃদনাদায়ক ৷ আবু
    তালিবের বিয়ােগ অনুভুত হয় বহিরাঙ্গনে খাদীজ র (রা) অনুপন্থিতির প্রতিক্রিয়া হয় মর্মমুলে ;
    আবু তালিব ছিলেন কাফির ৷ আর খাদীজা (রা ) ছিলেন ঈমানদার ও সিদ্দীক৷ ৷ আল্লাহ তার
    প্রতি প্রসন্ন হোন এবং তাকে সন্তুষ্ট করুন ৷
    ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজা (বা ) এবং আবু তালিব দু’জনে একই বছরে
    ইনতিকাল করেন ৷ এদের দু’জনের অবর্তমানে বিরামহীনভাবে বিপদাপদ আসতে থাকে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর ৷ সকল বিপদাপদে হযরত খাদীজা (রা) ছিলেন নতার সত্যিকার ও
    যোগ্য পরামর্শদাত্রী ৷৩ তার নিকট এসেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) শান্তি পাে৩ ন ৷ চাচা আবু তালিব
    ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শক্তি ও সাহায্যকারী, বিপদাপদে রক্ষাকর্তা এবং আপন সম্প্রদায়ের
    হাত থেকে নিরাপত্তা প্রদানকারী ৷৩ তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মদীনায় হিজরতের তিন বছর
    পর্বে ৷ চাচা আবু তালিবের ইনতিকালের পর কুরায়শী কাফিরের৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর উপর
    এমন অত্যাচার-নির্যা তন শুরু করল যা আবু তালিবের জীবদ্দশায় তারা চিন্তা ও করতে পারত
    না ৷ তাদের এক মুর্থ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর চড়া ও হয় এবং তার মাথায় বুলি নিক্ষেপ
    করে ৷ হিশাম ইবন উরওয়া তার পি৩ ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তারপর ধুলি-ধুসরিত মাথায়
    বাড়ী ফিরেন ৷ তখন তার এক কন্যা কেদে কেদে পিতার মাথা ধৃয়ে দিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )
    বল লন, প্রিয় কন্যা ৷ কেদে৷ না মহান আল্লাহ তোমার পি৩ ৷কে অবশ্যই রক্ষা করবেন ৷ তিনি
    তখন এও বলেছিলেন যে, আবু৩৷ তালিবের ইনতিকালের পুর্ব পর্যন্ত কুরায়শর৷ আমার সাথে এমন
    কোন আচরণ করতে পারেনি, যা আমাকে কষ্ট দেয় ৷ ইবন ইসহাক আরো উল্লেখ করেছেন যে
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রান্নাবান্নার সময় তাদের এক দুর্বৃত্ত এ যে ওই ইাড়িতে আবর্জনা নিক্ষেপ
    করতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে ল৷ ৷ঠি দিয়ে তা উঠিয়ে নিজের দরজার সম্মুখে ফেলে দিতেন এবং
    বলতেন হে আবৃদ মানাফের বং শধরগণ! প্রতিবেশীর সাথে তোমাদের এফী আচরণ তারপর
    তিনি ওই ময়লা রাস্তায় ফেলে দিতেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন আবু৩ তালিব অন্তিম শয্যায় শায়িত এ স০ বাদ পেয়ে কুরায়শ ( বা)
    একে অন্যকে বলাবলি করতে লাগলো হাময৷ ও উমর (র ) ইতে ৷মধ্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে
    আর মুহাম্মদ (সা ) এর আনীত বিষয়টি কুরায়শের সকল গোত্রের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এখন
    চল, আমরা আবু তালিবের নিকট য ই এবং তার ভাতিজার স্বার্থ যে আমাদের থেকে কিছু
    অঙ্গীকার নিক আর আমাদের স্বার্থে তার থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি ৷নয়ে দিক ৷ আল্লাহর কসম,
    আরবগণ যে আমাদের উপর তাকে প্রাধান্য দিবে না সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, আব্বাস ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন
    যে, তিনি বলেছেন, তার৷ আবু তালিবের নিকট গেল এবং তার সাথে আলাপ আলোচনা করল ৷
    এ প্রতিনিধি দলে ছিল কুরায়শ বংশের অভিজাত নেতৃবর্গ ৷ তাদের মধ্যে উতব৷ ইবন রাবীআ,
    শায়ব৷ ইবন রাবীআ আবু জাহ্ল ইবন হিশাম, উমাইয়া ইবন খাল্ফ , আবু সুফিয়ান ইবন হারব
    প্রমুখ ছিল ৷ তারা বলল , হে আবু তালিব ৷ আমাদের মধ্যে আপনার স্থান যে কত উধের্ব তাতাে
    আপনি জানেন ৷ এখন আপনার অন্তিম অরস্থা,৩ তাও আপনি দেখছেন ৷ আপনার মৃত্যু ঘটবে এ
    আশ০ করে আমরা শ০ কিত ৷ আমাদের মাঝে এবং আপনার তাতিজার মাঝে যে ম৩ বিরোধ
    রয়েছে তাতে৷ আপনি জ নেনই ৷ আপনি তাকে একটু ডেকে পাঠান ৷ তারপর তার স্বার্থে
    আমাদের কিছু অঙ্গীকার নিন আর আমাদের স্বার্থে তার কিছু অঙ্গীকার নিয়ে দিন যাতে পরে
    আমরা তার থেকে বিরত থাকি, সেও আমাদের পেছনে লাগা থেকে বিরত থাকে ৷ যাতে যে
    আমাদের এবং আমাদের ধর্মের ব্যাপারে বিরুপ ৷সমালোচন৷ না করে আর আমরাও তাকে এবং
    তার ধর্মকে গালমন্দ না করি ৷ আবু৩ তালিব রাসুলুল্লাহ (সা) ক ডেকে পাঠ লেন ৷ তিনি এলে
    আবু তালিব বললেন, ভাতিজা ৷ এই যে তোমার সম্প্রদায়ের সম্রান্ত ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা তোমার
    নিকট এসেছেন যাতে তুমি ওদের থেকে কিছু অঙ্গীকার নিয়ে নাও এবং ওদেরকে তুমি কিছু
    অঙ্গীকার দিয়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, চাচা ৷ আপনারা আমাকে শুধু একটি কথা দিন
    যার মাধ্যমে আপনারা সম্পুর্ণ আরব জাহানের অধিপতি হতে পারবেন এবং সমগ্র অনারব অঞ্চল
    আপনাদের করতলগত থাকবে ৷ তখন আবু জাহ্ল বলল, ইা৷ এরুপ হলে আমরা তোমার
    পিতার কসম, একটি কেন দশটি কথাও মানতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) বললেন, তবে আপনারা
    সবাই বলুন “লা-ইলাহা ইল্লা ল্লাহ্”া

    আর আল্লাহ ব্যতীত যেগুলোর উপাসনা করছেন সেগুলো আপনার ৷পরিত্যাগ করুন ৷ তার
    একথা শুনে তারা হাত তালি দিয়ে উঠলো এব০ বলল “হে মুহম্মদ ৷ তুমি কি বহু উপাস্যের
    পরিবর্তে ৩একজন মাত্র ইলাহ্ সাব্যস্ত করতে চাও ? এতে৷ তোমার এক আশ্চর্যজনক প্রস্তাব ৷
    এরপর তারা পরস্পরে বলাবলি করলো, আল্লাহর কসম , এই লোকের নিকট তোমরা যা গেছে
    তার কিছুই সে তােমাদেরকে দেবে না ৷ সুতরাং চলে যাও এবং নিজেদের পিতৃধর্মে অবিচল থাক
    যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের ও তার মধ্যে ফায়সালা করে দেন ৷ একথা বলে তারা নিজ নিজ
    পথে চলে গেল ৷

    এবার আবু তালিব বললেন, ভাতিজা ৷ আমি তো দেখলাম যে তুমি ওদের নিকট অন্যায়
    কিছু চা ওনি ৷ আবু৩ তালিবের একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আশাবাদী হলেন যে, আবু৩ তালিব

    বুঝি ঈমান আনয়ন করবেন ৷ তাই তিনি বলতে লাগলেন, চাচা তবে আপনি ওই কালেমাটি
    বলুন, তাহলে কিয়ামতের দিনে আপনার জন্যে সুপারিশ করা আমার জন্যে বৈধ হবে ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আগ্রহ দেখে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! যদি আমার মৃত্যুর পর
    তোমাকে ও তোমার নিজ গোষ্ঠীর প্রতি পাল-মন্দের আশংকা না থাকত এবং আমি মৃত্যু ভয়ে

    কালেমা পাঠ করতাম ৷ শুধুতে তোমাকে খুশী করার জন্যে আ ৷মি ওই কথাটি বলেছি ৷

    অবশেষে আবু তালিবের মৃত্যুর মুহুর্তটি যখন খুবই নিকটবর্তী ৷ক্ষ্ল৷ , তখন আব্বাস তার
    দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে তার (ঠ ট দুটো নড়ছে ৷ আব্বাস ৩ ৷ব ৫ঠাটে নিজের কান লাগালেন
    এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ডেকে বললেন ভাতিজা ৷? আল্লাহর কসম আমার ভাইকে তুমি যা
    বলতে অনুরোধ করেছিলে তিনি এখন তাই বলছেন৷ ৷রাসুলুল্লাহ্ (সা)াললেন আমি তো তা
    শুনিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আগত কুরায়শ প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আল্লাহ্ত তা জানা নাযিল
    করলেন :

    “ সােয়াদ, শপথ উপদেশপুর্ণ কুরআনের, তুমি অবশ্যই সত্যবাদী ৷ কিন্তু কাফিরর৷ ঔদ্ধত তা
    ও বিরোধিতায় ডুবে আছে (৩৮ : ১ ২) ৷

    তড়াফসীর গ্রন্থে আমি এ আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছি ৷ উপরোক্ত হাদীছে উল্লিখিত হযরত
    , আব্বাস (রা) এর বক্তব্য “ নিজ ! আমার ভাইকে ৩মি যা বলতে অনুরোধ করেছিলে অর্থাৎ
    “লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” আমার তা ৷ই তো এখন তাই বললেন” দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করে শিয়া
    সম্প্রদায়ের কতক গৌড়া ব্যক্তি এই অভিমত পোষণ করে যে, আবৃত তালিব মুসলিম রুপে
    ইনতিকাল করেছেন ৷৩ তাদের এই অভিমতে তর বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি পেশ করা যায় ৷ প্রথমত

    এই হাদীছের সনদে অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে যার পরিচয় অস্পষ্ট ৷ যেমন বলা হয়েছে আবদুল্লাহ
    ইবন মা বাদ তার পরিবারের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এতে সং শ্রিষ্ট ব্যক্তির নাম
    এবং অবস্থা দুটে ই অজ্ঞাত ৩রয়েছে ৷ এ প্রকারের অস্পষ্টতাসম্পন্ন একক বর্ণনা অপ্রহণযোগ্য
    বটে ৷ এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ, নাসাঈ ও ইবন জারীর প্রমুখ আবু উসামা সাঈদ ইবন
    জুবায়র থেকে বর্ণনা করেছেন কিন্তু ওই বর্ণনায় হযরত আব্বাস (রা)-এর বক্তব্য নেই ৷
    সুফিয়ান ছাওরী সাঈদ ইবন জুবায়র (রা ) সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে এই হাদীছথানা
    বর্ণনা করেছেন কিন্তু তাতে হযরত আব্বাসের (বা) বক্তব্য নেই ৷ তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন
    জারীর (র) এই বর্ণনা উল্লেখ করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী এটি হাসান পর্যায়ের হাদীছ বলে
    মন্তব্য করেছেন ৷ আল্লাম৷ বায়হাকী (র) ছাওরী ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন
    যে তিনি বলেছেন, আবু৩ তালিব যখন মৃ৩ ভ্যু শয্যায, তখন কুরায়শের লোকজন তার নিকট
    উপস্থিত ৩হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ছিলেন আবৃত তালিবের মাথার নিকট ৷ অন্য এক লোক এসে
    সেখানে বসে পড়ে ৷ তাকে বাধা দেয়ার জন্যে আবু জাহ্ল উদ্যত হয় ৷ তারা সকলে আবু
    তালিবের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করল ৷ এরপর তাকে উদ্দেশ্য
    করে আবু তালিব বললেন, ভাতিজা! তে ৷মার সম্প্রদায়ের নিকট তুমি কি ঢাও ন্ উত্তরে

    রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন আমি তাদের নিকট শুধু একটি কালেমার ঘোষণা চাই যার ফলে
    সমগ্র আরব জাতি তাদের অনুগত হবে, সমগ্র অনারব লোক তাদেরকে কর দেবে ৷ শুধু একটি
    কালেমার ঘোষণা চাই ৷ আবু তালিব জিজ্ঞেস করলেন, ওই কালেমাটি কী ? বাসুলুল্পাহ (সা)
    বললেন সেটি হল “লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” ৷ তখন উপস্থিত কুরায়শগণ বলল যে কি সকল
    উপাস্যের পরিবর্তে একজন মাত্র উপাস্য নির্ধারণ করতে চায় ? এটি তো আশ্চর্য ব্যাপার ৷ এ
    প্রসং গে আল্লাহ তা অ ৷লা নাযিল করলেন :
    “সোয়াদ শপথ উপদেশপুর্ণ কুরআনের তুমি অবশ্যই সত্যবাদী কিভু কাফিররা ঔদ্ধত্য ও

    বিরোধিতায় ডুবে আছে ৷ তাদের পুর্বে আমি কত জনগোষ্ঠী ধ্বহ:ন্স করেছি ৷ তখন ওরা আর্ত
    চীৎকার করেছিল কিন্তু তখন পবিত্রাণের কোন উপায় ছিল না ৷ তারা বিম্ময় বোধ করছে যে,

    তাদের নিকট তাদেরই মধ্য থেকে একজন স৩ র্ককারী এল এবং কাফিরর৷ বলে এতে৷ এক
    জাদুকর মিথ্যাবাদী ৷ সে কি বহু ইলাহের পরিবর্তে এক ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছে ? এতো এক
    অত্যাচর্য ব্যাপার ৷ তাদের প্রধান প্রধান ব্যক্তিরা সরে পড়ে এই বলে, তোমরা চলে যাও এবং
    তোমাদের দেবতাদের পুজায় তোমরা অবিচল থাক ৷ নিশ্চয়ই এ ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমুলক ৷ আমরা
    তো অন্য ধর্মাদর্শে এরুপ কথা শুনিনি ৷ এটি একটি মনগড়া উক্তি মাত্র ৷”

    এ ছাড়াও ইবন ইসহাকের উদ্ধৃত একটি অধিকতর বিশুদ্ধ বর্ণনা উপরোক্ত বর্ণনার বিপরীত
    মম প্রকাশ করছে ৷ তা হল, ইমাম বুথারী ইবন মুসায়্যাব তার পিতা থেকে বর্ণনা
    করেছেন যে আবু তালিবের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে এলো, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে উপস্থিত
    হন ৷ আবু জাহ্ল তখন সেখানে ছিল ৷ আবু৩ তালিবের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, চাচা
    আপনি একটিমাত্র কালেমড়া-লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্” বলুন, সেটির ওসীলায় আমি আল্লাহ্র নিকট
    আপনার জন্যে সুপা ৷বিশ ৷করব ৷ ’ একথা শুনে আবু জাহ্ল ও আবদুল্লাহ্ ইবন উমাইয়৷ বলল,
    “অড়াবু৩ তালিব! আপনি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম পরিত্যাগ করছেন?” তারা অনবরত একথা
    বলে যাচ্ছিল ৷ সর্বশেষে আবু৩ তালিব বললেন, আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মে অবিচল আছি ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমাকে নিষেধ না করা পর্যন্ত আমি আপন র জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা

    করেই যাব ৷ তখনই নাযিল হল :

    “আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশবিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং ঘু’মিনদের জন্যে
    সংগত নয় ৷ যখন এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা জাহান্নড়ামী (৯ : ১ ১৩ ১ ১৪ ) এবং নাযিল
    হল
    “তুমি যাকে তা ৷লবাসাে ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে জানতে পারবে না (২৮ : ৫৬) ৷

    ইমাম মুসলিম (র) এটি ইসহাক ইবন ইবরাহীম ও আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রাঘৃযাকের
    বরাতে উদ্ধৃত করেছেন ৷৩ তারা দৃজনে যুহরী সুত্রে সাঈদ ইবন মৃসাইয়ারের মাধ্যমে তার পিতা
    থেকে অনুরুপ বণ্নাি করেছেনা ওই বর্ণনায় আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) আবৃত তালিবের নিকট
    বারবার তার প্রস্তাব পেশ করছিলেন আর আবু জাহ্ল ও আবদুল্লাহ ইবন উমা ইয়া তাদের কথা
    পুনরুল্পেখ করে যাচ্ছিলা শেষ পর্যন্ত আবু৩ তালিব বললেন “আমি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মমতে
    অবিচল বইলাম এবং৩ তিনি “ল ইলাহা ইল্পাল্লাহ্ বলতে ৩আীকৃতি জানালেনা তখন রাসুলুল্পাহ্
    (সা) বললেন “আপনার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে নিষেধ ন করা পর্যন্ত আমি আপনার
    জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেই যাব ৷” তখন আল্লাহ্ তা আলা নাযিল করব্:লন :

    এবং আবু তালিব সম্পর্কে নাযিল হল :

    তুমি যাকে ভালবাসো ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না তবে আল্লাহ্ই
    যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সৎপথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভাল জানেন সৎপথ
    অনুসারীদেরকে ৷ ইমাম আহমদ, মুসলিম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) হযরত আবু হুরায়রা (যা)
    থেকে অনুরুপ বর্ণনা করৈছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবু তালিবের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে এলো, তখন
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) )র্তার নিকট এলেন এবং বললেন “চাচা আপনি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” বলুন
    তাহলে আমি কিয়ামাত র দিনে আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দিব ৷” আবৃত তালিব বললেন, “মৃত্যুভয়
    আবু তালিবকে একতুবাদের সাক্ষ্য প্রদা নে প্ৰরোাচিত করেছে” কুরায়শদের এরুপ অপবাদ দানের
    আশংকা না থাকলে আমি অবশ্যই ওই সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে তোমার মন শান্ত করতাম এবং
    কেবলমাত্র তোমাকে খুশী করার জন্যে আমি ওই কালেমা উচ্চারণ করতাম ৷ এ প্রেক্ষিতে

    আল্লাহ্ তা জানা নাযিল করলেন ও

    অ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা), ইবন উমর (রা), মুজাহিদ (র) ক তাদা(র) শাবী প্রমুখ
    তাফসীরকারগণও একথা বলেছেন যে, আয়াত টি নাযিল হয়েছে আবু তালিব সম্পর্কো
    রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আবুালিবকেত “লা ইলাহাইল্লাল্লাহ্” বলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ তিনি সে প্রস্তাব
    প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন যে, তিনি পুর্বপুরুষদের ধর্মমতে অবিচল থাকবেন ৷ তার শেষ কথা
    ছিল তিনি আবদুল মুত্তালিবের ধর্মমবুত ই আছেনা

    ইমাম বুখারী (র) এর একটি বর্ণনা এসকল বর্ণনাকে শক্তিশালী করো তা হল ইমাম
    বুখারী বর্ণিত আর তা হচ্ছে এই৪ আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব হযরত রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
    বলেছিলেন, আপনার চাচা আবৃত তালিব (তা আপনাকে রক্ষা করতেন এবং আপনার জন্যে

    অন্যান্য কুরায়শদের বিরাগতাজন হয়েছেন ৷ আপনি তার কতটুকু উপকার করতে পেরেছেন ?
    উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ;

    “তিনি এখন জাহান্নামের উপরের স্তরে রয়েছেন ৷” আমি ন থাকলে তিনি জাহান্নামেব
    গভীর৩ ম নিম্নন্তরে থাকতেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) উক্ত হাদীছ আবদুল মালিক ইবন
    উমায়র থেকে তার সহীহ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আব নাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছেন, তার নিকট তার চাচার কথা আলোচিত হচ্ছিল ৷ তখন
    তিনি বলছিলেন :

    “আশা করি কিয়ামব্লু তর দিনে আমার সুপাবিশ তার উপবনরে আসবে ৷” ফলে তাকে
    আগুনের উপরের স্তরে রাখা হবে ৷ যাতে তার পায়ের পিট পর্যন্ত আগুন থাকবে ৷ তাতে তার
    মাথার নগয টগবগ করে ফুটতে থাকবে ৷ এটি সহীহ্ বুখারী র ভাষা ৷ এক বর্ণনায় আছে,
    “তাতে তার মগযের মুল অংশ ফুটতে থাকবে ৷ ”

    ইমাম মুসলিম ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :

    “জাহান্নামে সবচেয়ে হালকা ও সহজ আমার ভোগ করবেন আবু তালিব ৷ তাকে আগুনের
    দুটো পাদুকা পরানাে হবে ৷ তাতে তার মাথা ৷র মপয টগবগ করে ফুটতে থাকবে ৷” ইউনুস ইবন

    বুকায়রের মাগাযী গ্রন্থে আছে, “পাদৃক৷ দৃটোর তাপে তার মাথার মপয় ফুটবে এবং গলে গলে
    তার পদদ্বয় পর্যন্ত পড়াবে ৷ ” সুহায়লী এটি উল্লেখ করেছেন ৷

    হাফিয আবু বকর বায়যার তার মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে আমর ইবন ইসমাঈল
    ইবন মুজালিদ জাবির (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে জিজ্ঞেস করা
    হয়েছিল যে, আপনি কি আবু তালিবের কোন উপকার করতে পেরেছেন ? তিনি বললেন, আমি
    তাকে জাহান্নামের গভীর থেকে উপরের স্তরে তুলে এসেছি ৷ বায়যার একাই এটি উদ্ধৃত
    করেছেন ৷ সুহায়লী বলেন হযরত আব্বাস (রা) তার ৩ ই আবৃত তালিব সম্পর্কে যে সাক্ষ্য
    দিয়েছেন যে, আবুতালিব কালেম৷ উচ্চারণ করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) “আমি( তা শুনিনি” বলে
    ওই সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করলেন এজন্যে যে, সে সময়ে আব্বাস (রা) কাফির ছিলেন ৷ কা ৷ফিরের

    , সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷
    আমি বলি, সনদের দুর্বলতার কারণে ওই বর্ণনা বিশুদ্ধ নয় ৷ তার প্রমাণ হল পরবর্তীতে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আবু তালিব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ৷ তখন তিনি ওই উত্তর
    দিয়েছিলেন যা ইতে তাপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর যদি বর্ণনাটি বিশুদ্ধ বলে ধরা হয়, তবে
    প্ৰত্যাখ্যানের কারণ এই যে, প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার পর মৃত্যুর ফেরেশতাদেরকে দেখে আর

    তালিব কালেমা উচ্চারণ করেছিলেন ৷ এ অবস্থায় ঈমান আনয়নে কোন লাভ হয় না ৷ আল্লাহই
    ভাল জানেন ৷

    আবু দাউদ ৩ায়ালিসী বলেন আলী (রা) বলছিলেন, আমার পিতার ইনতিকালের পর
    আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলি “আপনার চাচার ওফাত হয়েছে ৷ উত্তরে
    তিনি বললেন, যাও তাকে দাফন করে ফেল ৷ আমি বললাম, তো মুশরিক অবস্থায়
    মৃত্যুবরণ করেছেন ৷ তিনি বললেন, সাও, তাকে দাফন কর ৷’ এরপর আমার নিকট না আসা
    পর্যন্ত কোন মন্তব্য করে৷ না ৷ হযরত আলী (রা) বলেন, এরপর আমি তাই করলাম এবং তার
    নিকট ফিরে এলাম ৷ এবার তিনি আমাকে গোসল করার নিঘৃর্দা৷ ঢািলেন ৷ এ হাদীছটি ইমাম
    নাসাঈ , উদ্ধৃত করেছেন ৷

    আবু দাউদ ও নাসা ৷ঈ দৃ’জনে এটি বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান আলী (রা) সুত্রে ৷ হযরত
    আলী (রা) বলেছেন আবু৩ ৩ালিবের মৃতু তুার পর আমি বললাম, “ইয় বাসুলাল্লন্ আপনার
    পথ ভ্রষ্ট অভিভাবক মারা গেছেন ৷ এখন তাকে দাফন করবে কে ?” তিনি বললেন, “তুমি যাও
    তোমার পিতাকে দাফন করে ফেল এবং আমার নিকট না আসা পর্যন্ত কোন মন্তব্য করো না ৷”
    দাফন করে আমি তার নিকট ফিরে আসি ৷ তিনি আমাকে নির্দেশ দেয়ায় আমি গোসল করি ৷
    তারপর তিনি এমন কতক দৃআ করলেন সেগুলোর পরিবর্তে দুনিয়ার অন্য যে কোন কিছু গ্রহণে
    আমি খুশী নই ৷

    হাফিয বায়হাকী বলেন ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আবু
    তালিবের দাফন-কাফন শেষে ফিরে এলেন এবং বললেন, “আমি আপনার আত্মীয়তা রক্ষা
    করেছি এবং হে চাচা, আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করেছি ৷ ” আবুল ইয়ামান হা ৷ওযানী
    মুরসালভা বে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আবু৩ তালিবের দাফন কাফনে
    শরীক হননি ৷ এ বর্ণনায় ইব্রাহীম নামক রাবীর বিশ্বন্তত৷ সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে ৷

    আমি বলি, একাধিক বর্ণনাকারী এই ইব্রাহীম থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ তাদের মধ্যে
    রয়েছে ফযল ইবন মুসা সায়নানী এবং মুহাম্মদ ইবন সালাম বায়কান্দী ৷ এতদস্যত্ত্বও ইবন আদী
    বলেছেন যে, তিনি প্রসিদ্ধ ও পরিচিত ব্যক্তি নন এবং হার নিকট থেকেই তিনি হাদীছ বর্ণনা
    করুন না কেন, সেগুলো বিশুদ্ধ নয় ৷

    আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি যে, চাচা আবু৷ ত ৷লিব প্ৰচওভা বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এবং তার
    সাহাবীদেরকে রক্ষা করতে ন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রভুত সুনাম ও প্ৰশ্াৎসা করতেন ৷
    আমরা তার যে সব কবি৩ ৷ও উল্লেখ করেছি, যেগুলোতে তিনি রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ও তার
    সাহাবীদের প্রতি তার মায়া মমতা ও ভালবাসার কথা প্রকাশ করেছেন এবং তার
    বিরুদ্ধাচরণকারীদেরকে দােষারােপ করেছেন ৷ এ সকল কবিতা তিনি এতন্:ৰিশুদ্ধষ্ওউচ্চাঙ্গের
    ভাষায় রচনা করেছেন যে, তার কোন তুলনা হ্তে পারে না ৷ :ফ্লোন আররীভফ্লেভােয়ী:ব্রাক্তি
    তার সম মানের কবিতা রচনায় সক্ষুম নয় ৷ , এসর্ রক্তৃব্যবিবৃতি প্রর্দুদানের সময় তিনি জ়ন্মোক্তা ,
    ,বৃরৎ তিনি তার বৃনন্ত ব্রের জ্ঞান ও ম্বীকারোব্ধির মধ্যেপংর্থক্রা সৃষ্টি

    করেছেন ৷ সহীহ বুখারী গ্রন্থের “আল ঈমান” অধ্যায়ের ব্যাখ্যায় আমরা জ্ঞান ও বিশ্বাসের
    মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷ এ প্রসং গে ইঙ্গিত পাওয়া যায় আল্লাহ তা আলার
    বাণীতে ৷ আল্লন্ ৰু তাআলা বলেন :

    আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেরুণ জানে যেরুণ তারা নিজেদের

    সম্ভানদেরকে, চেনে এবং তাদের একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে ৷ (২ ৷ৰু ১৪৬)
    ফিরআওনের সম্প্রদায় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “তারা অন্যায় ও উদ্ধ৩ ৩াবে নিদর্শনগুলাে প্র৩ ব্রুাথ্যান করল ৷ যদিও তাদের অন্তর এ
    গুলোকে সত্য বলে গ্রহণ করেছিল ৷” হযরত মুসা (আ) ফিরআওনকে বলেছিলেন :

    “তুমি তো ৷অবশ্যই অবগত আছ যে, এ সমস্ত স্পষ্ট নিদর্শন আকাশমণ্ডলীও ণ্ পৃথিবীর

    প্রতিপা লকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্বরুপ ৷ হে ফিরআওন আমিওে ৷দেখছি তোমার
    ৎস আসন্ন ৷” (১ ৭ : ১০২) ৷

    কেউ কেউ বলেছেন : শ্তারা অন্যকে তা শ্রবণে
    বিরত রাখে এবং নিজেরাও তা থেকে দুরে থাকে (৬হৰু ২৬) ৷ আয়াত টি নাযিল হয়েছে আবু
    তালিব সম্পর্কে ৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে তিনি লোকজনকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর
    আক্রমণ নির্যা৩ ন করা থেকে বিরত রাখতেন আ র এদিকে রাসুলুল্লাহ্ (না) যে হিদায়াত ও সত্য
    দীন নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ থেকে তিনি নিজে বিরত থাকতেন ৷ কথিত আছে যে ইবন
    আব্বাস (রা) , কা ৷সিম ইবন মুখায়মারাহ, হাবীব ইবন ছা বি৩ , আতা ইবন দীনড়ার, মুহাম্মদ ইবন
    কাব ও অন্যান্যর৷ এরুপ অভিমত পোষণ করেন ৷ মুলত তাদের এ বক্তব্য সন্দেহমৃক্ত নয় ৷
    আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

    হযরত ইবন আব্বাসের অন্য বর্ণনাটি অধিকতর প্রসিদ্ধ ৷ তা হল, আঘাতের ব্যাখ্যায় তিনি
    বলেছেন, “তারা লোকজনকে মুহাম্মদ (সা) প্রতি ঈমান আনয়ৰে বাধা দেয় ৷ তাফসীরকার
    মুজাহিদ কা তাদা ও জাহ্হাক প্রমুখ এ ব্যাখ্যা প্রদান করেন ৷ ইবন জ বীবও এ মত পোষণ
    করতেন ৷ বস্তুত যুশরিকদের চুড়ান্ত দুর্নড়াম বর্ণনার জন্যে এ আয়াত নাযিল করা হয়েছে যে, তারা
    অন্যান্য লোকজনকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুসরণ থেকে বাধা দিত আর নিজেরাও তার থেকে
    উপকৃত হত না ৷ এ জন্যে আল্লাহ তাআলা বলেছেন :

    তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পেতে রাখে কিন্তু আমি তাদের অম্ভরের উপর
    আবরণ দিয়ে রেখেছি যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে ৷ তাদেরকে বধিৱ করেছি এবং
    সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও তারা তাতে ঈমান আনবে ন ৷ এমনকি তারা যখন আপনার
    নিকট উপস্থিত হয়েত তর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিররা বলে এটি তে ৷ অতীভ্রুত র উপাখ্যান
    ব্যতীত আর কিছুই নয় ৷ তারা অন্যকে তা থেকে বিরত রাখে এবং নািউজরাও তা থেকে বিরত
    থাকে ৷ আর তারা শুধু নিজেদেরকে ধ্বংস করে অথচ তারা উপলব্ধি কার না ৷ ” (৬ : ২৫ ২৬)
    আয়াতে উল্লিখিত ণ্ছু১দ্ভু (তারা) শব্দ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে এটি দ্বার৷ একক ব্যক্তি নয় বরং
    ব্যক্তি সমষ্টিকে বুঝানো হয়েছে আর তারা হল বাক্যের প্রথমে উল্লিাই৷ ও ব্যক্তিরা:

    (তারা নিজেরা শুধু নিজেদেরকে ধ্ব স করে অথচ তারা তা উপলব্ধি করে না) আয়াতাৎশ
    তাদের পুর্ণাঙ্গ ধ্বংস ও দৃর্নাম নির্দেশ করে ৷ আবৃত তালিব এই প্রকৃতির লোক ছিলেন না ৷ তিনি
    বরং তাদের কথায় ও কাজে সর্বশক্তি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ ( সত্বেও তার সাথীদেরকে শত্রুদের হাত
    থেকে রক্ষা করতেন ! কিন্তু তা সংত্ত্ব ও আল্লাহ্তাআলার মহান হিকমত ও প্রজ্ঞ৷ এবং অনন্য
    যৌক্তিকতার প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা আবু তালিবের ভাগ্যে ঈমান আনয়ন বরাদ্দ করেননি ৷
    আল্লাহ তাআলার ওই প্ৰজ্ঞা ও যৌক্তিকতার প্রতি বিশ্বাস রাখা আমাদের কর্তব্য এবং তার
    সিদ্ধ ৷ন্ত মেনে নিতে আমরা বাধ্য ৷ মুশরিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা
    যদি আমাদেরকে নিষেধ না করতেন ত তাহলে আমরা অবশ্যই আবৃত তালিবের জন্যে ক্ষমা প্রার্থ্যা৷
    করতাম এবং তার জন্যে আল্লাহর রহমত কামনা করতাম ৷

    পরিচ্ছেদ
    হযরত খাদীজা (রা) বিন্ত খুওয়াইলিদ-এর ওফাত

    তার ফযীলত ও মর্যাদার কতক ইরুত ৷পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷ আল্লাহ তা ভালো তার প্রতি
    সন্তুষ্ট হোন এবংত তাকেও সন্তুষ্ট করুন! তার শেষ বাসস্থান হিসাবে জান্নাত মনয়ুর করুন!
    নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ত তা আল৷ হযরত খাদীজা (রা) এর শেষ বাসস্থান জ ন৷ ত নির্ধারণ করেছেন ৷
    সতাবাদী ও সতাবাদীরু পে স্বীকৃত প্রিয়নবী (সা) এর বাণী দ্বারাও প্ৰমাণিত৷ তিনি হযরত
    খাদীজ৷ ৷(রা) কে জান্নাতে মণি ঘুক্তার৩ ভৈত রী একটি বাসস্থানের সুস× বাদ দিয়েছেন, যেখানে
    থাকবে না কোন শোরগােল আর থাকবেন, কোন দুঃখ-কষ্ট ৷

    ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান উরওয়া ইরন যুবায়র (রা ) সুত্রে বলেছেন, নামায ফরয
    হওয়ার পুর্বেই হযরত থাদীজা (রা)-এর ওফাত হয় ৷ অন্য সনদে যুহরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
    বলেছেন রাসুলুল্লাহ (না)-এর মদীনায় হিজরতের পুর্বে এবং নামায ফরম হওয়ার পুর্বে মক্কায়
    হযরত থাদীজ৷ (রা)এর ওফাত হয় ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, হযরত খাদীজ৷ (বা) এবং

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ রাসূলুল্লাহ (সা) -এর চাচা আবূ তালিবের ইনতিকাল Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.