Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » অনুচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (সা) -এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে তোলা প্রসঙ্গে

অনুচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (সা) -এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে তোলা প্রসঙ্গে

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • পৌছেছিল যে, তারা মুসলমানদেরকে জাদু করেছে, যার ফলে হিজরতের পর তাদের কোন
    সন্তান জন্ম নেবে না ৷ ইয়াহ্রদীদের কল্পিত ধারণাকে আল্লাহ্ মিথ্যা প্রতিপন্ন করলেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে ভোলা প্রসঙ্গে

    ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত আইশা (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হযরত
    আইশা (রা),বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শাওয়াল মাসে আমাকে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসে
    আমাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ তাই রাসুল (সা )-এব সহধর্মিণীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার
    চাইতে অধিকতর প্রিয় ছিলেন ? আর এজ্যন্যই হযরত আইশা পসন্দ করতেন যে, শ্ৰীরা শাওয়াল
    মাসেই স্বামীগৃহে গমন করুক ৷ মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজা সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে
    হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করে মন্তব্য
    করেন যে, সুফিয়ান ছাওরীর সুত্র ছাড়া অন্য কোন সুত্র হাদীছটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই ৷
    এ হাদীছ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে হযরত আইশা (রা)-এর বাসর
    হিজরতের সাত বা আট মাস পরে হয়েছিল ৷ ইবন জারীর তাবারী এ দু’টি উক্তিই উল্লেখ
    করেছেন ৷ ইতোপুর্বে হযরত সাওদার সঙ্গে নবী (সা)-এর বিবাহের বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করা
    হয়েছে এবং কিভাবে এ বিবাহ সংঘটিত হয়েছে এবং হযরত আইশার সঙ্গে তার বাসরের
    বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর এ বাসর হয় মদীনা আগমনের পর সোকজনের
    বর্তমানকালের অভ্যাসের বিপরীতে সুনেহ্’ নামক স্থানে দিনের বেলা ৷ নবী করীম (সা) কর্তৃক
    শাওয়াল মাসে হযরত আইশা (রা)-এব সঙ্গে সংগত হওয়ার মধ্যে কিছু লোকের এ ধারণার
    প্রতিবাদ রয়েছে যে, দুই ঈদের মধ্যবর্তী কালে (অর্থাৎ শাওয়াল মাসে) নববধুর সঙ্গে সংগত
    হলে স্বামী-শ্ৰীর মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার আশংকা থাকে ৷ এ কারণে কেউ কেউ এ সময়ের
    মিলনকে না-পসন্দ করতেন ৷ এ কথার কোন ভিত্তি নেই ৷ এ ধরনের উক্তির১ প্রতিবাদ করেই
    হযরত আইশা (বা) বলেন : নবী (সা) আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল
    মাসেই আমার সঙ্গে সংগত হয়েছেন ৷ সুতরাং তীর ত্রীদের মধ্যে কে তার নিকট আমার চেয়ে
    প্রিয়তর ? এ থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আইশা (বা) বুঝতে পেরেছেন যে, নবী (সা)-এর
    শ্রীদের মধ্যে তিনি তার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় ৷ তার এ উপলব্ধি যথার্থ ৷ কারণ, এর পক্ষে
    স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে ৷ প্রমাণ হিসাবে সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত হড়াদীছ
    দু’ঢিই যথেষ্ট ৷ উক্ত হাদীছে আছে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার নিকট প্রিয়তম
    ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, আইশা ৷ আমি বললাম , পুরুষদের মধ্যে কে আপনার নিকট সবচেয়ে
    বেশী প্রিয় ? তিনি বললেন, অইিশার পিতা ৷

    ১ আবু আসিম বলেন ;; অতীতকালে শাওয়াল মাসে প্লেপ রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে লোকেরা এ মাসে শ্রী
    সংপমকে অশুভ কর্ম মনে করতো ৷ তার এ উক্তি ঠিক হয়ে থাকলে এ ধারণা দুর করার জন্যই তিনি
    শাওয়াল মাসে শ্রীদের সঙ্গে সংগত হন ৷ ইবন সাআদ তারকাত খ ৮ পৃ , ৬০

    অনুচ্ছেদ

    ইবন জ বীর বলেন৪ কথিত আছে, এ বছর অর্থাৎ হিজরতে র প্রথম বর্ষে ঘৃকীম অবস্থার
    নামাষে দু’ রাক্আত করে বাড়িয়ে দেয়৷ হয় ৷ ইতে তাপুর্বে মুকীম অবস্থায় ও সফরে নামায ছিল
    দু’ রাকআত ৷ আর এ ঘটনা ঘটে নবী করীম (সা) এর মদীনায় আগমনের এক মাস পর
    রবিউছ ছ৷ ৷নী মাসের ১ ২ তারিখে ৷ ইবন জারীর বলেনঃ ওয়ড়াকিদীর ধারণা মতে হিজাযবাসীদের
    মধ্যে এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই ৷

    আমার মতে, ম৷ মার সুত্রে হযরত আইশা থেকে বর্ণিত বুখারীর হাদীছ ইভ্রু৩ তাপুর্বে উল্লেখ
    করা হয়েছে ৷ হযরত আইশা বলেন : প্রথমে নামায প্রতি ওয়াকত দু ’রাকআত ফরয করা হয় ৷
    সফরকালে দু’ রাকআত বহাল রাখা হয় এবং মুকীম অবস্থায় আরো দুই রাকআত যোগ করা
    হয় ৷ শাবী সুত্রেও তিনি এ মর্মে হযরত আইশ৷ (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম
    বায়হাকী হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মুকীম অবস্থায় শুরুতে চার রাকআত নামায ফরয
    করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ সুরা নিসা আয়াত-

    যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর কর, তখন নামায কসর করায় তোমাদের কোন দোষ নেই ৷
    (৪ : ১০১) এ আঘাতের তাফসীরে আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷

    অনুচ্ছেদ
    আযান ও আযানের বিধিবদ্ধতা প্রসঙ্গে

    ইবন ইসহড়াক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনায় ত হলেন এবং মুহাজির ও
    নেতৃস্থানীয় আনসারগণ যখন তার পাশে সমবেত হলেন এবং ইসলাম যখন দৃঢ়তা-স্থিরত৷ লাভ
    করলো, তখন নামায কাইম হল, বোমা ও যাকাত ফরয করা হলো, হুদুদ তথা শরীআতের
    দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হলো, হালাল-হারামেব বিধান জারী করা হলো এবং ইসলাম তাদের মধ্যে
    সুদৃঢ় আসন করে নিল ৷ আর আনসাররা ছিলেন সেই গোত্র, যারা পুর্ব থেকেই মদীনায় বসবাস
    করতেন এবং ঈমান আনয়ন করেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন মদীনায় আগমন করলেন
    তখন কোন রকম আহ্বান ছা ৷ড়াই নামাষের সময় হলে লোকেরা তার নিকট সমবেত হতো ৷ এ
    সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা,বলেন ইয়াহুদীদের শিঙ৷ বা বিউগলের মতে ৷ তিনিও কিছু একটা
    বানারেন, যা দিয়ে ইয়াহুদীর৷ তাদের লোকজনকে তাদের প্রার্থনার দিকে ডাকে ৷ পরে তিনি
    এটা অপসন্দ করেন ৷ এরপর তিনি নাকুস (তৈয়ার করার) নির্দেশ দিলেন, যাতে তার আওয়াজ
    দ্বারা লোকজনকে মুসলমানদেরকে নামাষের জন্য ডাকা যায় ৷ তারা যখন এসব চিত্তা-ভাবনা
    করছিলেন এমন সময় বিলহারিস ইবন খাযরাজের অন্যতম সদস্য আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন
    ছালাব৷ ইবন আবৃদ রাব্বিহী স্বপ্নযোপে সালাতের জন্য আহ্বানের ধরন দেখতে পান ৷ তিনি
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপ ত হয়ে বলতে লাগলেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আজ রাত্রে আমার
    নিকট একজন আগন্তুক আগমন করে ৷ লোকটির গায়ে দুটো সবুজ বস্ত্র ৷ তার হাতে ছিল
    নাকুস ৷ আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা৷ তুমি কি এ নাকুস বিক্রয় করবে ? লোকটি

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : রাসূলুল্লাহ্ (সা) -এর হযরত আইশা (রা)-কে ঘরে তোলা প্রসঙ্গে Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.