Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » অনুচ্ছেদ : উবায়দা ইব্ন হড়ারিস ইব্ন আবদুল মুত্তালিব- এর অভিযান

অনুচ্ছেদ : উবায়দা ইব্ন হড়ারিস ইব্ন আবদুল মুত্তালিব- এর অভিযান

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবৃদ রাব্বিহী (স্বপ্নে) যা দেখেছিলেন
    তার সমর্থনে ওহী নাযিল হয়েছিল যেমনটি কেউ কেউ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷

    ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে বনু নাজ্জারের জনৈক মহিলা মারফত
    আমি জানতে পেরেছি যে, ঐ মহিলা বলেনঃ মসজিদের নিকটে আমার ঘরটি ছিল সবচেয়ে
    উচু ৷ এ ঘরের ছাদে উঠে বিলাল প্রতিদিন ভোরে অযােন দিতেন ৷ শেষ রাত্রে তিনি এসে ঘরের
    ছাদে বসে ফজরের অপেক্ষায় থাকতেন ৷ ফজরের সময় হয়েছে দেখতে পেয়ে তিনি দাড়িয়ে
    ৰু দৃআ করতেন :

    “হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার প্রশংসা করছি এবং কুরায়শের ব্যাপারে তোমার নিকট সাহায্য
    কামনা করছি যাতে তারা তোমার দীন কাইম করে ৷” মহিলা বলেন : (এ দুআ করার পর)
    তিনি আযান দিতেন ৷ নাজ্জারী মহিলা আল্পাহ্র কসম করে বলেন কোন রাতেই তিনি এ
    দুআটি বাদ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই ৷ ইমাম আবু দাউদ এ হড়াদীছটি এককভাবে বর্ণনা
    করেছেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    হড়ামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (না)-এর অভিযান

    ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর রমাযান মাসে
    হিজরতের সাত মাসের মাথায় সাদা রঙের পতাকা দিয়ে ৩০জন মুহাজিরের একটি দলকে
    কুরায়শের বণিক কাফেলাকে ঠেকাবার জন্য প্রেরণ করেন ৷ আবু জাহ্লের নেতৃত্বে পরিচালিত
    তিনশ’ জন কুরায়শী কাফেলা হযরত হামযার মুখোমুখি হয় ৷ মাজদী ইবন আম্রের মধ্যস্থতার
    ফলে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ রাবী বলেন, হযরত হামযার পতাকা১ বহন করেন আবু মারছাদ
    আল-গানাবী ৷

    অনুচ্ছেদ
    উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান

    ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, নবী (সা) এ বছর অষ্টম মাসের মাথায়
    শাওয়াল মাসে উবায়দা ইবন হারিছ (ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবৃদ মানাফ) এর নেতৃত্বে
    একদল মুজাহিদ প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে বাত্নে রাবিগ২ অভিমুখে রওনা হওয়ার নির্দেশ
    দান করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা ছিল মিসতাহ ইবন আছাছার হস্তে ৷ তারা জুহ্ফার দিকে
    ছানিয়া আল-মুররা পর্যন্ত পৌছেন ৷ এ দলে ছিলেন ৬০ জন মুহাজির কোন আনসারী ছিলেন
    না ৷ আহ্য়া’ নামক জলাশয়ের কাছে তারা মুশরিক বাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ তাদের মধ্যে তীর

    ১ ইবন সাআদ বলেন : এটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম পতাকা ৷
    ২ জুহ্ফা থেকে কুদায়দ অভিমুখে যাওয়ার পথে ১০ মাইল দুরবর্তী একটি স্থান ৷

    ছেড়োছুড়ি হয়, কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ ওয়াকিদী বলেন, মুশরিকরা সংখ্যায় ছিল দু’শ’ জন এবং
    তাদের নেতা ছিল আবু সুফিয়ান সাখৃর ইবন হারব ৷ আমাদের মতে এটাই বিশুদ্ধ কথা ৷ কেউ
    কেউ বলেন যে, তাদের নেতা ছিল মুক্রিয ইবন হাফ্স ৷
    অনুচ্ছেদ
    সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান

    ওয়াকিদী বলেন : এ বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে যিলকাদ মাসে রাসুল (সা) সাআদ
    ইবন আবু ওয়াক্কাসকে খারার অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা বহন করেন
    মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (রা) ৷ আবু বকর ইবন ইসমাঈল তার পিতা সুত্রে আমির ইবন
    সাআদেৱ বরাতে বলেন, ২০ বা ২১ জন মুজাহিদ নিয়ে আমি বের হই ৷ দিনের বেলা আমরা
    লুকিয়ে থড়াকতড়াম এবং রাতের বেলা সফর করতাম ৷ পঞ্চম দিন ভোরে আমরা খারার’ পৌছি
    এবং বাবার অতিক্রম না করার জন্য রাসুল (সা) আমাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিলেন ৷ কুরায়শের
    কাফেলা একদিন পুকেহ এ জায়গাটি অতিক্রম করে যায় ৷ বণিক দলে ছিল ৭০ জন লোক আর
    সাআদেৱ সঙ্গে যীরা ছিলেন, র্তাদের সকলেই ছিলেন মুহাজির ৷ আবু জাফর ইবন জারীর (র)
    বলেন, ইবন ইসহাকের মতে ওয়াকিদী বর্ণিত পুর্বোক্ত তিনটি অভিযানই সংঘটিত হয় তৃতীয়
    হিজরীতে ৷ আমার মতে ইবন ইসহাকের এ উক্তিটি দ্ব্যর্থহীন নয়, চিন্তা-ভাবনাকারী ব্যক্তি এটা
    অনুধাবন করতে পারবে ৷ প্রথম হিজরী সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে কিতাবুল মাপাযীর শুরুতে এ
    সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো ৷ এর পরই ইনশাআল্লাহ্ সে আলোচনা আসবে ৷ এটাও তার
    লক্ষ্য হতে পারে যে, এসব অভিযান সংঘটিত হয়েছে প্রথম সনে ৷ সেখানে পৌছে এ বিষয়ে
    আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷ আর ওয়াকিদীর নিকট অতিরিক্ত উত্তম তথ্য
    রয়েছে ৷ আর সম্ভবত তার রয়েছে লিখিত ইতিহাস ৷ এবং তিনি ইতিহাস বিষয়ের অন্যতম মহান
    ইমাম ৷ এমনিতে তত্ত্বগত ভাবে তিনি সত্যবাদী, তবে তার বর্ণনায় অতিকথন থাকে ৷
    অড়াত-তড়াক্মীল ফী মারিফাতিছ ছিকাত ওয়ায-যুআফা ওয়াল মাজাহীল’ নামক গ্রন্থে তার
    গ্রহণযোগ্যতা ও তার বিরুপ সমালোচনা সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেছি ৷

    অনুম্মেদ

    এই মুবারক বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে মারা জনআেহণ করেছেন, তাদের সর্ব প্রথমজন
    হলেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ৷ তার আম্মা আসমা এবং খালা আইশার বরাতে বুখারী এ কথা
    বর্ণনা করেছেন ৷ তীর মাতা আসমা (বা) এবং খালা উন্মুল মু’মিনীন আইশা (রা) এরা উভয়েই
    হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর কন্যা ৷ কেউ কেউ বলেন নুমান ইবন বাশীর তীর
    (আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র) ৬ মাস পুর্বে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এ মত অনুযায়ী আবদুল্লাহ্ ইবন
    যুবায়র হিজরতের পর মুহাজিরদের মধ্যে প্রথম নবজাত শিশু ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তারা
    উভয়েই দ্বিতীয় হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ প্রথমােক্ত মতই স্পষ্ট, যা আমরা ইতােপুর্বে

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : উবায়দা ইব্ন হড়ারিস ইব্ন আবদুল মুত্তালিব- এর অভিযান Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.