Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৬ » আনাস (রা) থেকে বর্ণিত একটি সূত্র

আনাস (রা) থেকে বর্ণিত একটি সূত্র

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • গেলাম এবং তাকে লোকদের সাথে মসজিদে পেলাম ৷ তখন আমি (ণ্লাকজানর) সরে যাওয়ার
    প্রর্তীক্ষায় থাকলাম ৷ আমাকে দেখতে পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রশ্নঢুবল্মলেন, তোমাকে কি আবু
    তালহা পাঠিয়েছে ? আমি বললাম, জী ছুা ৷ তিনি বললেন, খাবার দিয়ে ? আমি বললাম, জী
    হী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাথে যারা ছিলেন তাদেরকে বললেন, তোমরা সবইি ওঠো ! এ
    কথা বলে তিনি সকলকে নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ আমিও তাদের সামনে সামনে এসে আবু
    তালহার কাছে এসে তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম ৷ তখন আবু তালহা বললেন, হে উম্মু
    সুলায়ম ৷ এই যে আল্লাহ্র রাসুল সাথীদের নিয়ে হাযির; অথচ তাদেরকে খাওয়ানাের মত
    আমাদের কাছে কিছু নেই ৷ তখন উম্মু সুলায়ম বললেন, আল্লাহ্ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷
    এ কথা বলে আবু তালহা অগ্রসর হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন ৷ এরপর
    আবু তালহাকে সাথে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
    হে উম্মু সুলায়ম ! তোমার কাছে কি আছে আন দেখি ! তখন তিনি সেই রুটি আনলেন ৷ এরপর
    আল্লাহ্র রাসুলের নির্দেশে তা টুকরো-টুকরো করা হল এবং উম্মু সুলায়ম একটি ঘিয়ের পাত্র
    নিংড়ে ব্যঞ্জন স্বরুপ তাতে যোগ করলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহর ইচ্ছার যা বলার তা
    বললেন (অর্থাৎ কিছু একটা দুআ করলেন) ৷ এরপর বললেন, দশজনকে ভিতরে আসতে বল ৷
    তখন আবু তালহা তাদের (দশজ্যাকে) ভিতরে আসতে বললেন এবং তারা খেয়ে তৃপ্ত হয়ে
    বেরিয়ে আসলেন ৷ তারপর বললেন, আরো দশজনকে আসতে বল ৷ তখন তারাও এসে খেলেন
    এবং তৃপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসলেন ৷ এভাবে দশজন দশজন করে সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন ৷ আর
    তাদের সংখ্যা ছিল সত্তর কিৎবা, আশি জন ৷ যুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে অন্য কয়েকস্থানে এবং
    মুসলিম একাধিক সুত্রে ইমাম মালিক থেকে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    আনাস (না) থেকে অন্য একটি সুত্র

    আবু ইয়ালা, হুদ্বা ইবন খড়ালিদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ক্ষুধার্ত দেখে তার শ্রী উম্মু সুলায়মের কাছে এসে বললেন, আমিভাে
    আল্লাহর রাসুলকে ক্ষুধার্ত দেখে আসলাম ৷ তোমার কাছে কি খাওয়ার মত কিছু আছে ? তিনি
    বললেন, এক ঘুদ্১ পরিমাণ ময়দা ও বব ব্যতীত আর কিছুই নেই ৷ আবু তালহা বললেন,
    তাহলে তুমি তা খামীর করে প্রস্তুত করে রেখো ৷ এখনই আমি আল্লাহ্র রাসুলকে ডেকে
    আনছি, তিনি আমাদের গৃহে খাবেন ৷ আনাস বলেন, তখন তিনি তা ছানলেন এবং রুটির
    আকৃতি দিলেন, তখন একটি রুটির গোলক প্রস্তুত হল ৷ তখন আবু তালহা বললেন, হে
    আনাস! আল্লাহ্র রাসুলকে ডেকে নিয়ে এসো ৷ আমি তৎক্ষণাৎ তার কাছে গেলাম ৷ এ সময়
    তার সাথে তার সাথীরাও ছিলেন ৷ এই সনদের মধ্যস্থ রাবী মুবারক বলেন, আমার ধারণা,
    তিনি আশির বেশি বলেছেন ৷ আনাস বলেন, তখন আমি গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আবু
    তালহা আপনাকে আহ্বান করেছেন ৷ তখন তিনি তার সাথীদের উদ্দেশ্যে বললেন, আবু
    তালহার আহ্বানে সাড়া দাও ৷ আমি তখন তটস্থু হয়ে তাকে জানালাম যে, তিনি তার সকল
    সহচর নিয়ে এসেছেন ৷

    ১ শস্যের পরিমাপ বিশেষ ৷

    ছাবিত বলেন, আবু তালহা বললেন, আমার গৃহে কী আছে সে ব্যাপারে আমার চাইতে
    আল্লাহ্র রাসুলই অধিক জানেন ৷ তারা উভয়ে (বুকায়র ও ছাবিত) আনাস সুত্রে বলেন, তখন
    আবু তালহা অগ্রসর হয়ে তাকে স্বাগত জানালেন এবং “বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাদের
    গৃহে তো এ মুহুর্তে একটি রুটির গোলক ছাড়া কিছুই নেই ৷ আপনাকে ক্ষুধার্ত দেখে আসলাম,
    তাই উম্মু সুলায়মকে বললাম, তখন সে এই গোলক বানাল ৷ আনাস বলেন, তখন তিনি সেই
    রুটির গোলকটি আসলেন এবং একটি পাত্র আনিয়ে তাতে রাখলেন ৷ এরপর বললেন, ঘি
    আছে? আবুতালহা বললেন, ঘিয়ের পাত্রে সামান্য ঘি ছিল ৷ আনাস বলেন, তখন আবুতালহাপ্
    তা নিয়ে আসলেন ৷ আনাস বালন,তখর্নরার্মুলুল্লাহ্ (মা) এবং আবু তালহা দৃ’জনে মিলে তা
    নিংড়াতে লাগলেন ৷ ফলে সামান্য ঘি বের হল ৷ প্রথমে রাসুলুল্লাহ্ তার তর্জনী দ্বারা তা মুছলেন ,
    তারপর রুটির গোলকটি মুছলেন তখন তা ফুলে উঠল এবং তিনি বললেন, বিসৃমিল্লাহ্! তখন
    ণ্গালকটি আরও ফুলে উঠল ৷ এভাবে তিনি বলতে থাকলেন আর রুঢিটি ফুলতে থাকল ৷
    এমনকি আমি সেই পাত্রে রুটির গোলকটিকে তরল অবস্থায় দেখলাম ৷ এরপর তিনি বললেন, ,
    আমার সঙ্গীদের দশজনকে ডেকে আন ৷ তখন আমি দশজনকে ডাকলাম ৷ আনাস বলেন, যখন
    রাসুলুল্পাহ্ (সা) রুটির গোলকের মাঝে তার হাত রেখে বললেন, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে
    খাওয়া শুরু কর, তখন তারা রুটির চারপাশ থেকে পেয়ে তৃপ্ত হয়ে গেল ৷ এভাবে আবু তালহা
    দশজন দশজন করে ডেকে আনলেন, তারা সেই রুটির গোলক থেকে পেয়ে তৃপ্ত হলেন ৷
    অবশেষে এই রুটির গোলকের চারপাশ থেকে পেয়ে আশি জনের অধিক সাহাবী তৃপ্ত হলেন,
    আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাত রাখা রুটির মধ্যস্থুল যেমন ছিল তেমনই থাকল ৷ সুনান
    সংকলকগণের শর্তোত্তীর্ণ এই সনদখানি হাসান’ উত্তম স্তরের, কিন্তু তারা কেউ তা উল্লেখ
    কারননি ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

    আনাস (যা) থেকে অন্য একটি সুত্র

    ইমাম আহমদ, আবদুল্লাহ্ ইবন নুমায়র আনাস ইবন মালিক সুত্রে রিওয়ড়ায়াত করেন
    যে, তিনি বলেহ্নেৰ্, একবার আবু তালহা আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পাঠালেন তাকে
    ঢেকে আনার জন্য, এদিকে তিনি তার জন্য খাবার প্রস্তুত করলেন ৷ তখন আমি তার কাছে
    এসে দেখলাম, তিনি লোকদের সাথে রয়েছেন ৷ আনাস বলেন, এরপর তিনি আমার দিকে
    ভাকালেন , তখন লজ্জাবােধ করে বললাম, আবু তালহার দাওয়াতে চলুন ! তখন তিনি উপস্থিত
    সৰম্সকে বললেন, তােমরাও চল ৷ এরপর (সকলকে দেখে সজ্জিত হয়ে) আবু তালহা বললেন,
    ইয়ারাসুলাল্লাহ্! আমিতো শুধু আপনার জন্য সামান্য কিছু প্রস্তুত করেছি ৷ আনাস বলেন, তখন
    রাসুলুল্লাহ্ (না) তা স্পর্শ, করে তাতে বরকতের দৃআ করলেন ৷ তারপর (আবু তালহাকে)
    বললেন, আমার সঙ্গীদের দশজনকে প্রবেশ করতে বল ৷ (প্রবেশ করার পর) তিনি তাদেরকে
    বলবেন, তোমরা খাও ৷ তখন তারা পেট ভরে খেয়ে বের হয়ে আসলেন ৷ এরপর তিনি বললেন,
    আবার দশজনকে প্রবেশ করতে বল ! তখন তারাও পেট ভরে খেয়ে বেরিয়ে আসলেন ৷ এভাবে
    লক্ষ্য করে প্রবেশ করতে লাগলেন এবং দশজন বেরিয়ে আসতে লাগলেন এবং শেষ পর্যন্ত
    সকলেই প্রবেশ করলেন এবং খেয়ে তৃপ্ত হলেন ৷ তারপরও দেখা গেল সেই খাদ্যদ্রব্য তাদের
    ৰ্াওরার পুর্বে যেমন ছিল তেমনই আছে ৷ মুসলিম আবু বক্র ইবন আবু শায়বা সাদ
    ইবন সাঈদ ইবন কায়স আল-আনসারী সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছো ৷

    ভিন্ন একটি সুত্র
    শ্ মুসলিম খাদ্যদ্রব্য’ অধ্যায়ে আবৃদ্ ইবন হুমায়দ আনাস (রা) সুত্রে হাদীসখানি
    রিওয়ায়াত করেছেন এবং পুর্বের ন্যায় বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া আবু ইয়ালা মাওসিলী
    মুহাম্মাদ ইবন আবৃবাদ মকী আবু তালহা সুত্রে রিওয়ায়াত করে তা উল্লেখ করেছেন ৷ আর
    আল্লাহ্ই অধিক ভাল জানেন ৷

    আনাস (না) থেকে অন্য একটি সুত্র

    ইমাম আহমদ, আলী ইবন আসিম আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি
    বলেছেন, একবার আবু তালহার কাছে দুই মুদ্ যব আসল ৷ তখন তিনি তা দ্বারা খাবার প্রন্তুত
    করার নির্দেশ দিলেন ৷ তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস ণ্যাও৷ গিয়ে রাসুলুল্পাহ্
    (না)-কে ডেকে নিয়ে এসো ৷ আর আমাদের খাদ্যের পরিমাণ তো তোমার জানাই আছে ৷
    আনাস বলেন, আমি তখন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে এসে দেখলাম, তার কাছে তার
    সাহাবীগণ রয়েছেন ৷ তখন আমি বললাম, আবু তালহা আপনাকে (আপ্যায়নের জন্য) আহ্বান
    করেছেন ৷ একথা শুনে তিনি দাড়িয়ে বললেন, তােমরাও চল আমার সাথে ৷ তখন তারাও উঠে
    র্দাড়ালেন ৷ আমি তখন তার আগে ভাগে হেটে এসে আবু তালহার সাথে দেখা করে তাকে
    ঘটনা জানালাম ৷ তখন তিনি বললেন, তুমিতো আমাদের মান ডুৰিয়েছো ! আমিবললাম,
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথার উপর ফিরিয়ে কথা বলাটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি ৷ তারপর তিনি
    পৌছে অন্যদের বললেন, তোমরা এস ৷ এরপর তিনি দশজনের একজন হয়ে প্রথমে ভিতরে
    প্রবেশ করলেন ৷ তিনি যখন ভিতরে প্রবেশ করলেন তখন খাবার নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি
    খেলেন এবং তার সাথে প্রবেশকারীরাও খেলেন এবং তৃপ্ত হলেন ৷ তারপর তিনি তাদেরকে
    বললেন, তোমরা উঠে যাও এবং তোমাদের স্থলে অন্য দশজন প্রবেশ করুক ৷ এভাবে সকলেই
    প্রবেশ করলেন এবং (পেট ভরে) খেলেন ৷ রাবী ইবন আবু লায়লা বলেন, আমি বললাম, তারা
    কতজন ছিলেন ? তিনি (আনাস) বললেন, আশির অধিক ৷ আনাস বলেন, এরপর যা অবশিষ্ট
    ছিল তা খেয়ে গৃহবাসীরাও তৃপ্ত হয়েছিলেন ৷ মুসলিম খাদ্য সামগ্রী অধ্যায়ে আমর আন নাকিদ
    ৰু আনাস (বা) সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সেখানে আনাস (বা) বলেন, আবু
    তালহা উম্মু সুলায়মকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, শুধু নবী করীম (না)-এর জন্য বিশেষভাবে
    খাবার প্রস্তুত করা তিনি তা থেকে যাবেন, এরপর তিনি পুর্বের ন্যায় ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷

    আনাস (বা) থেকে ভিন্ন একটি সুত্র

    আবু ইয়ালা সুজা ইবন মুখাললাদ সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন ৷
    তিনি বলেন, একবার আবু তালহা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে মসজিদে শুয়ে (ক্ষুধার তাড়নায়)
    কখনও চিৎ হয়ে কখনও উপুড় হয়ে শুতে দেখলেন ৷ তখন তিনি তার শ্রী উম্মু সুলায়মের কাছে
    এসে বললেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে মসজিদে শুয়ে ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করতে দেখেছি ৷
    তখন উম্মু সুলায়ম একটি রুটির গোলক বানালেন ৷ তারপর আবু তালহা আমাকে বললেন,
    (আনাস) , তুমি যাও, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ডেকে নিয়ে এসো ৷ তখন আমি তার কাছে

    আসলাম, আর এ সময় তার কাছে তার সাহাৰীগণ ছিলেন ৷ আমি তাকে বললাম, ইয়া
    রাসুলাল্লাহ্৷ আবু তালহা আপনাকে আপ্যায়ন করতে চান ৷ তখন তিনি দাড়িয়ে অন্যদেরকে
    বললেন, চল সবইি আমার সাথে ৷ আনাস (রা) বলেন, আমি তখন দৌড়ে আবু তালহার কাছে
    এসে বললাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে তার সঙ্গীরাও আসছেন ৷ তখন আবু তালহা
    অগ্রসর হয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার (আয়োজনতাে অতি
    সামান্য) একটি মাত্র রুটির গোলক ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাতেই বরকত দেবেন ৷ তখন
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং রুটির সেই গোলকটিকে একটি পাত্রে আনা হল ৷
    তখন তিনি বললেন, ঘি আছে কি ? তখন সামান্য ঘি আনা হল ৷ এরপর তিনি রুটির
    গোলকটিকে তার আঙ্গুলের সাহায্যে পেচিয়ে ধরে উচু করলেন তারপর (ঘিটুকু) ঢেলে বললেন,
    তোমরা আমার আঙ্গুলগুলির মধ্য থেকে নিয়ে খাও ৷ তখন লোকেরা সকলে খেয়ে তৃপ্ত হল ৷
    অতঃপর তিনি বললেন, আমার কাছে দশজন করে পাঠাও ৷ তখন তারা খেয়ে তৃপ্ত হলেন এবং
    রাসুলুল্লাহ্ (সা), আবু তালহা, উম্মু সুলায়ম এবং আমিও খেয়ে তৃপ্ত হলাম ৷ এরপরও কিছু
    অবশিষ্ট রইলো, যা আমাদের প্রতিবেশীদের কাছে হাদিয়া পাঠানো হল ৷ মুসলিম তার সহীহ্
    গ্রন্থের “খাদ্য সামগ্রী’ অধ্যায়ে হাসান আল হুলওয়ানী আনাস ইবন মালিক সুত্রে
    হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনিও পুর্বের ন্যায় (ঘটনা) উল্লেখ করেছেন ৷

    আনাস (বা) থেকে বর্ণিত ভিন্ন একটি সুত্র

    ইমাম আহমদ, ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
    বলেছেন, একবার উম্মু সুলায়ম অর্ধ মুদ্ যব পিষলেন, তারপর ঘিয়ের পাত্র থেকে সামান্য ঘি
    নিয়ে তা দ্বারা একপ্রকার খাদদ্রেব্য প্রস্তুত করলেন ৷ এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে
    পাঠালেন (তাকে ডেকে আনতে) ৷ আনাস বলেন, তখন আমি তার কাছে আসলাম, আর সে
    সময় তিনি তার সঙ্গীদের মাঝে ছিলেন ৷ আমির্তাকে বললাম, উন্মু সুলায়ম আমাকে আপনার
    কাছে পাঠিয়েছেন, তিনি আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন ৷ তখন তিনি বললেন, আমি এবং আমার
    সাথে যারা আছে তারা সকলেই যাবো ৷ আনাস বলেন, তখন তিনি ও তার সাথীগণ আসলেন ৷
    আর আমি (তাদের পুর্বে) জ্যিরে প্রবেশ করে আবু তালহাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার
    সঙ্গীগণ এসে পড়েছেন ৷ তখন আবু তালহা বের হয়ে নবী করীম (না)-এর পাশাপাশি হীটলেন
    এবং তাকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ তাভাে সামান্য পরিমাণ খাবার ! অর্ধ মুদ্ যব দ্বারা উন্মু
    সুলায়ম তা তৈরী করেছে ৷ আনাস বলেন, এরপর নবী করীম ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং সেই
    খাবার তার সামনে আনা হল ৷ আনাস বলেন, তিনি তখন তাতে তার পবিত্র হাত রাখলেন ৷
    তারপর (আবু তালহাকে) বললেন, দশজনকে ভিতরে প্রবেশ করতে বল ৷ আনাস (রা) বলেন,
    তখন দশজন ভিতরে প্রবেশ করে পেট ভরে খেলেন ৷ তারপর দশজন প্রবেশ করে খেলেন,
    তারপর আরো দশজন, এভাবে তা থেকে চল্লিশজন পেট ভরে খেলেন ৷ আনাস (রা) বলেন,
    আর সেই খাবার যতটুকু ছিল ততটুকুই রয়ে গেল ৷ তখন আমরা তা থেকে থেলাম ৷

    এছাড়া বুখারী খড়াদ্যসামগ্রী’ অধ্যায়ে আসৃসালত ইবন মুহাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে
    বর্ণনা করেন যে, একবার উম্মু সুলায়ম এক মুদ্ পরিমাণ যব পিষে রুটির মত ৰ্বানালেন,
    তারপর একটি ঘিয়ের পাত্র নিংড়ে তাতে সামান্য ঘি মিশালেন ৷ এরপর তিনি আমাকে

    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পাঠড়ালেন ৷ আর তখন তিনি তার সঙ্গীদের মাঝে ছিলেন
    এরপর ঘটনার পুর্ণ বিবরণ রয়েছে ৷ এছাড়া আবু ইয়া’লা আলমাওসিলী আমর সুত্রে
    আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার আবু তালহার কাছে এই সংবাদ পৌছল
    যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে কোন খাবার নেই ৷ তখন তিনি গিয়ে এক সা’ যবের বিনিময়ে
    সারাদিন মজুর খাটলেন, তারপর তা নিয়ে এসে উম্মু সুলায়মকে তা দ্বারা খাবার প্রস্তুত করতে
    বললেন ৷ এরপর তিনি হাদীসের বাকি অংশটুকু উল্লেখ করেছেন ৷

    আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আরেকটি সুত্র

    ইমাম আহমদ, ইউনুস ইবন মুহাম্মদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
    তিনি বলেছেন, উম্মু সুলায়ম (আমাকে) বললেন, তুমি নবী কধীম (সা)-এর কাছে গিয়ে বল,
    আপনি যদি এ বেলা আমাদের গৃহে খাওয়া ভাল মনে করেন, তাহলে চলুন ৷ তখন আমি তার
    কাছে এসে তাকে এই বার্তা পৌছিয়ে দিলাম ৷ তিনি বললেন, আমার কাছে যারা রয়েছে
    তারাও? আমি বললাম, জী হী ৷ তখন তিনি তার সঙ্গীদের বললেন, তোমরা চল ৷ আনাস (রা)
    বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গীদের আগমনে হতবুদ্ধি হয়ে উম্মু সুলায়মের কাছে
    গেলাম ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আনাস, তুমি কী করেছো ? এর পরপরই রাসুলুল্লাহ্
    (সা) প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কি মি আছে ? উম্মু সুলায়ম বললেন, জী
    ই৷ ৷ আমার কাছে একটি ঘিয়ের পাত্রৈ সামান্য ঘি আছে ৷ তিনি বললেন, তুমি তা নিয়ে এসো ৷
    উম্মুন্ সুলায়ম (রা) বলেন, তখন আমি তা নিয়ে আসলাম ৷ এরপর তিনি তারর্বাধন খুললেন ৷
    তারপর বললেন, হে আল্লাহ এতে বিরাট বরকত দান করুন ৷ আনাস (রা) বলেন, এরপর
    তিনি (উম্মু সুলায়মকে) বললেন, তুমি তা উন্টে দাও! তখন তা উন্টে দিলেন এবং আল্লাহ্র
    নাম নিয়ে নবী বত্রীম (সা) তা নিং ×ড়ালেন ৷ আর তা থেকে আশি জনেরও বেশি লোক আহার
    করলেন এবং এরপরও অবশিষ্ট খাকল ৷ তখন তিনি তা উম্মু সুলায়মকে দিয়ে বললেন, তুমি
    নিজে থেয়ো এবং তোমার প্রতিবেশীদের খেতে দিও ৷ মুসলিম র্টখাদদ্রেব্যাদি’ অধ্যায়ে ন্হাজ্জাজ
    ইবনুশৃ শায়ির থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    আরেকটি বর্ণনা সুত্র

    আবুল কাশিম বাগাবী, আলী ইবনুল মাদীনী আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন
    যে, তার মা উম্মু সুলায়ম একবার ময়দ৷ ও ঘি দিয়ে কিছু খাবার তৈরী করলেন ৷ তখন আবু
    তালহ৷ তাকে বললেন, বৎস৷ যাও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ডেকে নিয়ে এসো ৷ আনাস (বা)
    বলেন, আমি যখন তার কাছে আসলাম, আর এ সময় তিনি তার সঙ্গীদের মাঝে ছিলেন, আমি
    তাকে বললাম, আমার পিতা আপনাকে আপ্যায়ন করাতে চান ৷ আনাস বলেন, তিনি নিজে
    তখন উঠে দীড়ালেন এবং লোকদেরাক বললেন, তােমরাও চল ৷ আনাস (বা) বলেন, আমি
    যখন দেখলাম যে, তিনি সকলকে সাথে নিয়ে আসছেন, তখন আমি তাদের আগে আগে এসে
    আবু তালহাকে গিয়ে বললাম, আব্বাজান! রাসুলুল্লাহ্ (না) লোকজনসহ এসেছেন ৷ আনাস
    বলেন, তখন আবুতালহ৷ বাড়ির দরজায় দীড়িয়ে তাকে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! খাবার খুবই
    সামান্য ৷ তখন তিনি বললেন : তা নিয়ে এসো ৷ আল্লাহ্ তাতেই বরকত দেবেন ৷ তখন আবু

    তালহা (রা) তা নিয়ে আসলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে হতে রাখলেন, এবং আল্লাহর
    কাছে দুআ করলেন ৷ তারপর বললেন, দশ দশ জন করে প্রবেশ কর ৷ এভাবে তাদের আশিজন
    তার কাছে প্রবেশ করলেন; এবং সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন ৷ মুসলিম খাদ্যসামগ্রী’ অধ্যায়ে
    আবৃদ ইবন হুমড়ায়দ আনাস ইবন মালিক সুত্রে পুর্বের ন্যায়হাদীসখানি রিওয়ায়াত
    করেছেন ৷

    আরেকটি বর্ণনাসুত্র

    এ ছাড়াও মুসলিম খাদ্যদ্রব্য অধ্যায়ে হারমাল৷ আনাস সুত্রে পুর্বের ন্যায় হাদীসবানি
    রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী বলেন, এদের কারও এক জনের বর্ণনায় রয়েছে তারপর
    রাসুলুল্পাহ্ (সা) খেলেন এবং বাড়ির পোকজনও খেলেন এবং তার অবশিষ্ট প্রত্যিবশীদের
    দেওয়া হল ৷ এগুলি সব মুতওয়াতির সনদে হযরত আনাসংইবন মালিক (রা) এর উদ্ধৃতিঃত
    বর্ণিত নির্ভরযোগ্য হাদীস ৷ এ সকল বর্ণনার দ্বারা প্রতিপন্ন হয় যে, কোন কোন বর্ণনায় আৎশিক
    ভিন্নতা বা ঈষৎ শাব্দিক অমিল থাকলেও মুল কাহিনী অভিন্ন, যেমন বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্র
    প্রশংসা ও অবদান আল্পাহ্র ৷ আনাস ইবন মালিকের বরাতে হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন,
    ইসহাক ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু তালহা, বাক্র ইবন আবদুল্লাহ্ আলমুযানী, ছাবিত ইবন
    আসলাম আল বুনানী (সাদইবন উছুমান) সাদ ইবন সাঈদ, যিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ
    আল-আনসারীর ভাই, সিনান ইবন রাবীআ, আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু তালহা,
    আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা, আমর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু তালহা, মুহাম্মাদ ইবন
    সীরীন, নায্র ইবন আনাস, ইয়াহ্ইয়া ইবন উমায়া ইবন আবু হাসান, ইয়াকুব ইবন আবল্লোহ্
    ইবন আবু তালহা প্রমুখগণ ৷

    অবশ্য খন্দক যুদ্ধের আলোচনায় নবী করীম (সা) কর্তৃক এক সা বন এবং একটি বকরী
    ছানা দ্বারা সকলকে আপ্যায়ন করা সংক্রান্ত হযরত জাবির (রা) এর হাদীস ইতিপুর্বে গত
    হয়েছে ৷ সে সময় উ পস্থিতদের সংখ্যা ছিল এক হাজার বা এক হাজারের মত ৷ এরপর তারা
    সেই বকরী হলো এবং এক সা’ বর থেকে পেয়ে তৃপ্ত হলেন এবং তা যেমন ছিল তেমনিই রয়ে
    গেল (কমলাে না) ৷ আর হাদীসখানি আমরা তার সনদ ও পাঠসহ বিজ্যিসুত্রে উল্লেখ করেছি ৷
    প্রশংসা ও অনুগ্রহ আল্লাহ্রই ৷

    আর সবচেয়ে আশ্চর্যজ্যাক ও অদ্ভুত বিষয় হল হাফিয আবু আবদুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ
    আল হারাবী তার গ্রন্থ আল আজাইবুল গরীবা’ তে এ হাদীসে যা উল্লেখ করেছেন তা ৷
    কেননা, তিনি সনদসহ সবিস্তারে হাদীসখানি বর্ণনার পর এর শেষে একটি অভিনবঅদ্ভুত
    বিষয়ের অবতারণা করেছেন ৷ তিনি মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন তারখান কাব ইবন মালিক
    (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি (কাব) বলেছেন, (একবার) জাবির ইবন আবদুল্লাহ
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসলেন এবং তার চেহারায় ক্ষুধার চিহ্ন দেখতে পেলেন ৷ (তিনি
    উল্লেখ করেন) এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে গৃহপালিত একটি বকরী জবইি করলেন ৷ তারপর
    তার গোশত রান্না করে একটি পাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে হাযির করলেন ৷ তখন
    তিনি তাকে আনসারদের ডেকে আনতে বললেন ৷ এরপর তাদেরকে দলে দলে প্রবেশ করালেন,
    এবং তারা সকলে খেলেন, বিন্দু খাবার যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেল ৷ আর আল্লাহ্র রাসুল

    তাদেরকে খাওয়ার সময় কোন হাড় ভাঙতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন ৷ অতঃপর তিনি পাত্রের
    মধ্যস্থলে হাড়গুলি একত্রিত করলেন, এরপর তার উপর হাত রেখে কিছু একটা পড়লেন ৷ আমি
    তা না শুনলেও তার ঠোট নড়তে দেখেছি ৷ হঠাৎ দেখা গেল জবাইকৃত বকরীটি দাড়িয়ে কান
    ঝাড়া দিচ্ছে ৷ তখন তিনি (আমাকে) বললেন, জাবির৷ তোমার বকরীটি নিয়ে নাও ৷ আল্লাহ্
    তোমাকে তার মাঝে বরকত দান করুন ৷ জাবির (রা) বলেন, আমি তখন সেটি নিয়ে চলে,
    আসলড়াম ৷ পথে সে আমার হাত থেকে কান ছড়োনাের চেষ্টা করছিল, শেষ পর্যন্ত আমি সেটিকে ,
    নিয়ে বাড়িতে পৌছে গেলাম ৷ তখন আমার শ্রী বলল, হে জাবির এটা কী ? তখন আমি
    বললাম, আল্লাহ্র কসম, এটাই আমাদের ঐ বকরী যা আমরা আল্লাহ্র রাসুলের জন্য জবাই
    করেছিলাম ৷ তিনি আল্লাহ্র কাছে দৃআ করলেন, তাই আল্লাহ্ এটাকে আমাদের জন্য জীবিত
    করে দিলেন ৷ তখন তিনি (শ্রী) বললেন, তিনি আল্লাহ্র রাসুল! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি
    আল্লাহর রাসুল ! ! সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহ্র রাসুল ! ৷ !

    আনাস (রা) থেকে বর্ণিত একই মর্মের আরেকটি হাদীস

    আবু ইয়ালা মাওসিলী, শায়বান ছাবিত আল বুনানী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
    বলেছেন, আমি আনাস ইবন মালিককে বললাম, হে আনাস! আপনার দেখা সবচেয়ে
    আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন ৷ তিনি বললেন, হী ! হে ছাবিত , শুন, আমি
    দীর্ঘ দশ বছর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমত করেছি, আমার কোন অবহেলার কারণে তিনি
    কখনও আমাকে তিরস্কার করেননি ৷ আর তিনি যখন যায়নাব বিন্ত জাহ্শ (রা)-কে বিবাহ
    করলেন, তখন আমার আম্মা আমাকে বললেন, হে আনাস ! আল্লাহ্র রাসুলতাে তার
    নবপরিণীতার সাহচর্যে রয়েছেন, তার সকালের আহারের কোন ব্যবস্থা আছে বলে আমার জানা
    নেই ৷ সুতরাং ঐ বিয়ের বয়ামটি নিয়ে এসো ৷ তখন আমি তাকে ঐ বয়ামটি এবং কিছু খেজুর
    এনে দিলাম ৷ তিনি তা দ্বারা খাবার প্রস্তুত করে বললেন, হে আনাস, এটা নিয়ে আল্লাহ্র নবী
    ও তার নবপরিণীতার কাছে পৌছিয়ে দাও ৷ তারপর আমি যখন পাথরের একটি পেয়ালায় সেই
    খাবার নিয়ে আল্লাহ্র রাসুলের কাছে আসলাম, তখন তিনি বললেন, এটাকে ঘরের এক কোণে
    রেখে দাও এবং আমার কথা বলে আবু বকর, উমর, আলী, উছমান এবং আরোও কয়েকজন
    সাহাবীকে তােক নিয়ে এসো ৷ মসজিদবাসীদের এবং তোমার সাক্ষাৎপ্রাপ্ত পথচারীদেরও ডেকে
    নিয়ে এসো ৷ আনাস (বা) বলেন, আমি তখন খাদ্যের স্বল্পতা এবং তিনি যাদেরকে ডেকে
    আনার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের আধিক্যে আশ্চর্যবোধ করতে লাগলাম ৷ আর তার আদেশ
    অমান্যও করতে চইিলাম না ৷ ফলে ঘর লোকে পরিপুর্ণ হয়ে গেল ৷ তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, ৰু
    হে আনাস৷ তুমি কি কাউকে দেখতে পচ্ছে ? আমি বললাম, জী না ৷ হে আল্পাহ্র রাসুল ! তিনি
    বললেন, তোমার সেই পাথুরে পেয়ালাটা নিয়ে এসো ৷ তখন আমি তা এসে তার সামনে
    রাখলাম ৷ তখন তিনি সেই ৫ পয়ালায় তার তিন আঙ্গুল ডুবালেন ৷ ফলে খেজুর বৃদ্ধি পেতে
    থাকল আর সকলে খেয়ে বেরিয়ে আসতে লাগলেন, অবশেষে যখন তারা সকলেই খেয়ে
    অবসর হলেন, তখন সেই পেয়ালায় আমার নিয়ে আসা পরিমাণ খেজুর অবশিষ্ট রইল ৷ তারপর
    তিনি বললেন, যায়নাবের সামনে তা রেখে দাও ৷ তখন আমি বের হয়ে তাদের কক্ষটি
    থেজুরের একটি ভাল দ্বারা তাদের দরজা বন্ধ করে দিলাম ৷ ছাবিত বলেন, আমরা বললাম, হে

    আবু হামযা, আপনি কী বলেন, কতজন সেই পেয়ালা থেকে সেদিন খেয়ে ছিলেন ? তখন তিনি
    বললেন, আমার ধারণা, একাত্তর কিৎবা বাহাত্তর জন ৷ এ সুত্রে হাদীসখানি গরীব’ পর্যায়ের ৷
    কেউই তা উল্লেখ করেননি ৷

    এ প্রসঙ্গে আবু হুরায়রা (যা) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদীস

    জাফর ইবন মুহাম্মদ আল ফারয়াবী, উছমান ইবন আবু শায়বা আবু হুরায়রা সুত্রে
    বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেরিয়ে এসে আমাকে বললেন,
    সুফ্ফাবাসী তোমার সঙ্গীদের আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো ৷ তখন আমি তাদেরকে একজন
    একজন করে জানিয়ে একত্র করলাম ৷ এরপর “আমরা আল্লাহ্র রাসুলের গৃহদ্বারে এসে ভিতরে
    প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলাম ৷ তখন তিনি আমাদেরকে অনুমতি প্রদান করলেন ৷ আবু
    হুরায়রা (বা) বলেন, তখন আমাদের সামনে একটি থালা রাখা হল ৷ আমার ধারণা তাতে এক
    মুদৃ পরিমাণ যব জ্জি ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলেন, তখন আল্লাহর রাসুল তার উপর নিজের হাত
    রাখলেন এবং বললেন, তোমরা আল্লাহ্র নামে খেতে থাকে৷ ৷ তিনি বলেন, তখন আমরা
    আমাদের ই চ্ছামত তৃপ্তি ভরে খেয়ে আমাদের হাত গুটিয়ে নিলাম ৷ বরতনটি যখন রাখা হল
    তখন নবী করীম (সা) বললেন, শপথ ঐ সত্তার, যার কুদরতি হাতে আমার প্রাণ ! মুহাম্মদ
    পরিবারে এমন কোন খাবার নেই যা তোমাদের অগােচরে ৷ আবুহুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল
    আপনারা যখন খাওয়া শেষ করলেন, তখন কতটুকু পরিমাণ খাবার বাকি ছিল ? তিনি
    বললেন, রাখার সময় যে পরিমাণ জ্জি, তবে তাতে কয়েকটি আঙ্গুলের চিহ্ন ছিল ৷ এই
    ঘটনাটি সুফ্ফাবাসীর পুর্ববর্তী দৃধপান সংক্রান্ত যে ঘটনা নয়,যা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ
    করেছি ৷

    এ প্রসঙ্গে আবু আয়ুক্তব থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদীস

    জাফর আল ফারয়াবী, আবু সালামা ইয়াহ্ইয়া ইবন খালফ আবু আয়ুবে আনসারী
    সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু বকরের (রা)
    জন্য তাদের দুজনের পরিমাণ খাবার প্রন্তুত করলাম ৷ তারপর তা নিয়ে তাদের দুজনের কাছে
    আসলাম ৷ তখন আল্লাহ্র রাসুল আমাকে বললেন,যাও আনসারদের নেতৃস্থানীয় ত্রিশ জনকে
    ডেকে নিয়ে এসো ৷ আবু আয়ুবে বলেন, তখন আমি বেশ বিব্রত বোধ করলাম ৷ কেননা, আমার
    কাছে বাড়তি কোন খাবার জ্জি না ৷ তিনি বলেন, তাই আমি যেন গড়িমসি করছিলাম ৷ ফলে
    তিনি আবার বললেন, যাও, আমার কাছে আনসারদের ত্রিশজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে ডেকে
    নিয়ে এসো! তখন আমি গিয়ে তাদেরকে ডেকে আনলাম ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন,
    তোমরা খাবার গ্রহণ কর ৷ তখন তারা খেয়ে বের হয়ে আসলেন ৷ র্তারা সাক্ষ্য প্রদান করলেন
    যে, তিনি আল্লাহর রাসুল ৷ চলে যাওয়ার পুর্বে তারা তার হাতে বায়আত হলেন ৷ এরপর তিনি
    আমাকে বললেন, এবার যাও, নেতৃস্থানীয় আনসারদের ষাট জনকে ডেকে নিয়ে এসো ! আবু
    আয়ুব্রব (বা) বলেন, আল্লাহ্র কসম, ষাট জনের ব্যাপারে আমি ত্রিশ জনের (ব্যাপারের চেয়ে)
    অধিক বদান্য ৷ তিনি বলেন, তখন আমি তাদেরকে ডেকে আনলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
    তোমরা চার জানু হয়ে (আসন করে) বস, এরপর তারা খেলেন এবং বেরিয়ে আসলেন ৷

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ আনাস (রা) থেকে বর্ণিত একটি সূত্র Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.