ঐ সনদে, আর তিরমিষী মন্তব্য করেছেন, এ সুত্রে হাসান সহীহ্ পরীর ৷ বুখাবী আবু
মামার সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি
আৎটি তৈরী করে বললেন ং
“আমি একটি আৎটি বানিয়ে তাতে নকশা খোদাই করেছি, অন্য কেউ যেন এ নক্শা
উৎকীর্ণ না করে” ৷ তিনি (আনাস) বলেন, তার কনিষ্ঠাঙ্গুলে আমি যেন তার দ্যুতি দেখতে
পাচ্ছি ৷ পরবর্তী বর্ণনায় আবু দাউদ নুসায়র ইবনুল ফারাজ সুত্রে ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সোনা দিয়ে একটি আষ্ টি বানালেন, এবং তার মণিৱ দিকটি তার তালুর
ভিতরের দিকে করে নিলেন ৷ আর তাতে (মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ্) নকশা
উৎকীর্ণ করে নিলেন ৷ তখন তার দেখাদেখি লোকেরাও সোনার আ ৎটি বানাল, নবী করীম (সা)
তাদেরকে তা বানাতে দেখে নিজের আৎটি ফেলে দিয়ে বললেন, আর কখনো আমি তা পরবাে
না ৷ এরপর তিনি রুপার একটি আৎটি বানিয়ে তাতে উৎকীর্ণ করলেন ৷
তার (মৃত্যুর) পর হযরত আবু বকর আৎটিটি পরতেন,ত তারপর উমর, তারপর উসমান (রা) ৷
অবশেষে তা হযরত উসমানের হাত থেকে আরীস কুয়া’তে পড়ে যায় ৷ য়ুসুফ ইবন মুসা সুত্রে
বুখাবী তা বর্ণনা করেছেন ৷৩ তারপর ইমাম আবু দাউদ উসমান ইবন আবু শায়ব৷ ইবন
উমর সুত্রে এ হাদীসে নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,৩ তিনি তাতে
এই নকশা উৎকীর্ণ করে বললেন, কেউ যেন আমার এ আ টির নকশা খোদাই না করে ৷
এরপর তিনি হাদীসখানি উদ্ধৃত করেছেন ৷ মুসলিম এবং সুনান চতৃষ্টয়ের স ৎকলকণণ সুফ্য়ান
ইবন উয়ায়না সুত্রে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ পরবর্তী বর্ণনায় আবু দাউদ, মুহাম্মাদ ইবন য়াহয়া
সুত্রে ইবন উমর থেকে নবী করীম (সা) সম্পর্কে বলেন, লোকেরা তা সন্ধান করল; কিন্তু তারা
তা পেল না ৷ পরবর্তীতে ৩হযরত উসমান (রা) আরেকটি আ টি বানিয়ে তাতে
খোদাই করে নিলেন ৷ বংনািকারী বলেন, পরে তিনি এটি সীলমােহর রুপে ব্যবহার
করতেন ৷ নাসাঈ তা বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবন মামার সুত্রে আবু আসিম আয্ যাহ্হাক
থেকে ৷
আবু দাউদের পরবর্তী বর্ণনা : আৎটি বর্জন
মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান লুওয়ায়ন, ইবরাহীম ইবন সাইদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি একদিনের জন্য নবী করীম (না)-এর হাতে একটি আৎটি দেখলেন,
তখন লোকেরা ও আষ্ টি তৈরী করে পরলো ৷ এরপর নবী করীম (সা) তার আ ংটিটি খুলে
ফেললে লোকেরাও তাদের আ ৎটি খুলে ফেলল ৷৩ তারপর বর্ণনাকারী বলেন, যুহরী থেকে এ
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যিয়াদ ইবন সা দ, শুআয়ব ও ইবন মুসাফির ৷ এদের সকলেই বলেন,
আৎটিটি রুপার ৷ গ্রন্থকার বলেন, বুখারীও তা (হাদীসখানি) রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ য়াহয়া ইবন
বুকায়র আনাস ইবন মালিক সুত্রে৩ তিনি বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি একদিন নবী করীম
(না)-এর হাতে একটি রুপার আৎটি দেখতে পেলেন ৷ এরপর লোকেরাও রুপার আৎটি বানিয়ে
পরল , তখন নবী করীম (সা) তার আৎটিটি খুলে ফেললে লােকেরাও তাদের নিজ নিজ আৎটি
খুলে ফেলল ৷ এরপর বুখারী এ হাদীসখানি ইব্রাহীম ইবন সাদ আয্-যুহরী আলমদানী
শুঅ আয়ব ইবন আবু হামযা ও যিয়াদ ইবন সাদ আল থুরাসানী সুত্রে সনদবিহীন ভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷ মুসলিম ইয়াহয়া ইবন বুক ঘর থেকে তা বর্ণনা করেছেন, আর আবু দাউদ আবদুর
রহমান ইবন খালিদ ইবন মুসাফিরের একক সুত্রে সকলেই আবু দ উদেব পুর্বোল্লিখিত
বিওয়ায়াতে র ন্যায় যুহরী সুত্রে রুপার (একটি) আৎটি’ ৷ তবে প্রামাণ্য হল একদিন মাত্র পরার
পর তিনি সেটি ফেলে দিয়েছিলেন, সেটি ছিল সোনার আৎটি, রুপার নয় ৷ কারণ বুখারী ও
মুসলিম সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক ইবন উমর সুত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, (প্রথমদিকে)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বর্ণের আৎটি পরতেন, এরপর তিনি তা খুলে ফেলে বললেন, আমি আর
কখনো তা না ৷ তখন লোকেরাও তাদের নিজ নিজ সোনার আৎটি ছুড়ে ফেলে দিল ৷
তা আর তিনি প্রায়শ রুপার আৎটি পরতেন, এবং তার ওফাতকাল পর্যন্ত তা তার হাতেই ছিল ৷
আর তার মণিও ছিল রুপার অর্থাৎ তার পৃথক কোন মণি ছিল না ৷ আর যারা বিওয়ায়াত
করেছে যে, তাতে একজন মানুষের আকৃতি ৩খােদিত ছিল, তার গুরুতর ভ্রান্তির শিকার ৷ বন্তুত
তার সবর্টুকুই ছিল রুপার, তার মণিও ছিল রুপার ৷ আর নকশা তিন
ছত্রে খােদিত ছিল ৷ এক ছত্রে ৰুাট্রুন্ঠুন্ (মুহাম্মদ) অপর ছত্রে ,(রাসুল) আরেক ছত্রে
ইএা৷ (আল্লাহ) ৷ উপরের সঠিক বিষয় আল্পাহ্ই সমধিক অবগত ৷ নকশা যেমন প্রচলন রয়েছে,
উল্টা করে খােদিত ছিল, যাতে সীল মারার সময়ে তা সোজা হয়ে তার ছাপ পড়ে, ৷ তবে কারো
কারো মতে তার নকশা সোজাভাবেই খােদিত ছিল, এবং সেভাবেই তা দ্বারা সীলমোহর করা
হত ৷ এ বর্ণনার বিশুদ্ধ৩ ৷ প্রশ্নাভীত নয় এবং এর অনুকুলে কোন বিশুদ্ধ কিৎবা দুর্বল সনদ
আমাদের জানা নেই ৷
আমাদের উল্লেখিত এ সকল হাদীস, যাতে বলা হয়েছে যে, নবী (না)-এর একটি রুপার
আৎটি ছিল, তা আবু আত্তাব সাহ্ল ইবন হাষ্মাদসুত্রে আবু দাউদ ও নাসাঈ-এর সুনান গ্রন্থদ্বয়ে
আমাদের উল্লেখিত হাদীস সমুহকে প্রত্যাখান করে ৷ সেখানে বিদ্যমান রয়েছে যে, নবী
(সা) এর আৎটি ছিল বাকানাে লোহার, যার উপরের প্রলেপ ছিল রুপার ৷ আর ইমাম আহমদ
আবু দাউদ তিরমিযী ও নাসাঈ আবু৩ তায়বা আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম সুলাযী আলমারওয়াযী
সুত্রে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা এর দৃর্বল৩ ৷ আরো বৃদ্ধি করে ৷ সে হাদীসখানি হল,
পিতলের আৎটি পরিহিত এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আসল, তখন তিনি তাকে
বললেন — ব্যাপার কি, অমি যে তে ৷মার থেকে মুর্তির গন্ধ পাচ্ছি? লােকঢি তখন তা ছুড়ে
ফেলল ৷ এরপর লোকটি যখন আসল তখন তার হাতে ছিল লোহার আৎটি ৷ নবী (সা) তাকে
বললেন, কী ব্যাপার, তোমার শরীরে আমি জাহান্নামীদের অলঙ্কার দেখতে পাচ্ছি? তখন
ল্যেকটি বলল, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! তাহলে কী দিয়ে আমি তা বানাব? জবাবে নবী করীম (সা)
বললেন তৃমি রুপ৷ দিয়ে তা বানাও; তবে যেন৩ তা পুর্ণ
এক মিছকালের ওজন বিশিষ্ট না হয় ৷ নবী করীম (সা) তার ডান হাতে আৎটি পরতেন ৷ যেমন
আবু দাউদ, তিরমিযী শামাইলে এবং নাসাঈ (র) শুরায়কের হাদীস থেকে তা বর্ণনা
করেছেন ৷ আর আবু সালাম৷ আলী (রা) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে আমাকে অব ত
করেছেন ৷ শুরায়ক বলেন, আবু সালাম৷ ইবন আবদুর রহমান আমাকে আরো অবহিত করেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ডান হাতে আ০ টি পরতেন ৷ আবার বাম হাতের রিওয়ায়াতও রয়েছে ৷
আবু দাউদ আবদুল আযীয ইবন আবু রাওওয়াদ ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার বাম “হাতে আৎটি পরিধান করতেন এবং তার মণি থাকত তার হাতের
তালুর ভিতরের দিকে ৷ আবু দাউদ বলেন, আবু ইসহাক ও উসামা ইবন যায়দ নাফি থেকে এ
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তার ডান হাতে’ ৷ আর হান্নড়াদ সুত্রে নাফি থেকে বর্ণিত আছে যে,
ইবন উমর (রা) তার বাম হাতে আংঢি পরতেন ৷ এরপর ইমাম আবু দাউদ আবদুল্লাহ ইবন
সাঈদ সুত্রে ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি সাল্ত ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
নাওফল ইবন আবদুল মুত্তালিবকে তার ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে আৎটি পরতে দেখে জিজ্ঞেস
করলাম, এটা কী? তিনি বললেন, আমি ইবন আব্বাস (রা)-কে এভাবে তার আংটি পরতে
দেখেছি ৷ তিনি তার আৎটির মণি হাতের পিঠের দিকে করে রাখতেন ৷ সাল্ত বলেন, আর
ইবন আব্বাস সম্পর্কে এরুপই ধারণা করা যায় যে, তার স্মরণ ছিল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এভাবেই তার আত্টি পরিধান করতেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বর্ণিত হাদীস থেকে তিরমিযী
এভাবেই তা বর্ণনা করেছেন ৷ তারপর মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল অর্থাৎ ইমাম বুখারী (র)
বলেন, সাল্ত সুত্রে বর্ণিত ইবন ইসহাকের হাদীসখানি হাসান (উত্তম) ণ্শ্রর্ণীভুক্ত ৷ আর
তিরমিযী তার শামাইলে হযরত আনাস, জাবির ও আবদুল্লাহ ইবন জাফর সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ডান হাতে আত্টি পরতেন ৷
বুখারী মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ আনসারী সুত্রে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, হযরত আবু বকর যখন খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন তার পক্ষ থেকে ফরমান
ইত্যাদি লেখা হল (এবং তাতে সীলমােহর করা হয়) ৷ আর তার আংটির নকশা (খােদইিকৃত)
ছিল তিন ছত্রে াএক ছত্র, এবং ৰুএপু৷ এক ছত্র ৷ আবু আবদুল্লাহ্
বলেন, আল আনসারী সুত্রে আনাস ইবন মালিক (রা) থােক আবু আহমদ অতিরিক্ত (এই
অংশ) বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম (না)-এর আত্টি ছিল প্রথমে তার নিজের হাতে, তারপর
হযরত আবু বকবের হাতে, তারপর হযরত উমরের হাতে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর যখন
হযরত উছমড়ান খলীফা হলেন ৷ তখন তিনি একদিন আরীস কুয়ার’ পাড়ে বসে আত্টিটি
নাড়াচাড়া করতে লাগলেন, হঠাৎ তা তার হাত থেকে কুয়াতে পড়ে গেল ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
এরপর আমরা তিনদিন পর্যন্ত পালাক্রমে অবস্থান করলাম ৷ তারপর কুয়া ঘেচা হল, কিন্তু তিনি
আত্টিটি পেলেন না ৷ আর কুতায়বা সুত্রে ইবন উমর থেকে তিরমিযী শামাইলে যে হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুপা দিয়ে একটি আৎটি বানিয়েছিলেন, আর তিনি
তা সীলমেড়াহররুপে ব্যবহার করতেন, তা (সাধারণত) পরতেন না-এটি অত্যন্ত (বিরল) বর্ণনা ৷
আর সুনান গ্রন্থে হযরত আনাস (রা) থেকে যুহরীর বরাতে ইবন জুরায়জের হাদীস বিদ্যমান ৷
আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন শৌচাগারে প্রবেশ করতেন তখন তার হাতের
আৎটিটি খুলে রাখতেন ৷
নবী (না)-এর তরবাবির আলোচনা
ইমাম আহমদ, শুরায়হ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : নবী
(সা) তার তরবারি যুলফাকারকে বদবের দিন বক্তিগত গনীমত রুপে পেয়েছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধের
দিন তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা ছিল এ তরবারি সম্পর্কিত ৷ তিনি বলেন-আমি আমার
তরবারি যুলফাকারে ফাটল দেখতে পেয়েছি ৷ আমি তাকে তোমাদের মাঝে সৃষ্ট ভাঙ্গন রুপে