Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » ইরাশী- এর বর্ণনা

ইরাশী- এর বর্ণনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • সিজদাতেই থেকে গেলেন ৷ অবশেষে হযরত ফাতিমা (রা) এসে সেটি তার পিট থেকে সরিয়ে
    ফেললেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বলে তাদের বিরুদ্ধে বদ-দৃআ করলেন : হে আল্লাহ!
    কুরায়শের নেতৃস্থানীয় এই লোকগুলোকে আপনি শাস্তি দিন হে আল্লাহ্৷ উতবা ইবন রাবীআকে
    শান্তি দিন, হে আল্লাহ শায়বা ইবন রাবীআকে শাস্তি দিন! হে আল্লাহ! আবু জাহ্ল ইবন
    হিশামকে শাস্তি দিন ৷ হে আল্লাহ উকবা ইবন আবী মুআইতকে শাস্তি দিন : হে আল্লাহ উবাই
    ইবন খাল্ফকে শাস্তি দিন ! বংনািকারী শুবা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উবাই ইবন খালফের
    জন্যে বদ-দৃআ করেছেন, নাকি উমাইয়া ইবন খালফের কথা বলেছেন ৷ এ ব্যাপার রাবীর
    সন্দেহ আছে ৷ আবদুল্লাহ্ বলেন, আমি বদরের যুদ্ধে দেখেছি যে, ওরা সবাই সে দিন নিহত
    হয়েছে ৷ এরপর উবাই ইবন খাল্ফ মতাম্ভরে উমাইয়া ইবন খালফ ব্যতীত অন্য সবাইকে টেনে
    নিয়ে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল ৷ উবাই ইবন খাল্ফ মােটাসােটা লোক ছিল ৷ তাই
    তাকে কেটে কেটে খণ্ড খণ্ড করা হয় ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে এবং
    ইমাম মুসলিম (র) তার কিভাবে একাধিক স্থানে ইবন ইসহাক থেকে উক্ত হাদীছ বর্ণনা
    করেছেন ৷ বর্ণনায় উমাইয়া ইবন খড়াল্ফ হওয়াটাই বিশুদ্ধ ৷ কারণ, বদর দিবসে সে-ই নিহত
    হয়েছিল ৷ তার ভাই উবাই ইবন খাল্ফ নিহত হয়েছে উহুদ দিবসে ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ
    অবিলম্বে আসবে ৷ সহীহ্ গ্রন্থে বর্ণিত কোন কোন হাদীছের বিষয়বস্তু এই যে, তারা যখন এ
    অপকর্ম করল, তখন তারা হাসতে হাসতে একে অন্যের গায়ে চলে পড়ছিল ৷

    উক্ত বর্ণনায় আরও এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উপর থেকে নাড়িভুড়ি ফেলে দিয়ে
    হযরত ফাতিমা (রা ) ওদের নিকট গেলেন এবং তিনি তাদেরকে গালমন্দ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) নামায শেষ করে দৃ’হাত তুলে তাদের বিরুদ্ধে বদ-দৃআ করলেন ৷ তা’ দেখে তাদের হাসি
    থেমে যায় এবং তার বদ-দৃআর প্রেক্ষিতে তারা শংকিত হয়ে পড়ে ৷ তিনি সামগ্রিক ভাবে দলের
    সবার জন্যে এবং নির্দিষ্টভাবে সাত জনের নাম উল্লেখ করে বদ-দৃ’আ করেছিলেন ৷ অধিকাৎশ
    বর্ণনায়, ওই সাত জনের মধ্যে ছয় জনের নাম পাওয়া যায় ৷ তারা হল, উতবা ইবন রাবীআ,
    শায়বা ইবন রাবীআ, ওশীদ ইবন উতবা, আবু জাহ্ল ইবন হিশাম, উকবা ইবন আবী মুআয়ত
    এবং উমাইয়া ইবন খাল্ফ ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সপ্তম ব্যজ্যি নাম আমি ভুলে গিয়েছি ৷ আমি
    বলি, ওই সপ্তম ব্যক্তি হল আম্মারা ইবন ওয়ালীদ, সহীহ্ বুখারীতে তার নাম উল্লিখিত হয়েছে ৷

    ইরড়াশী১ এর বর্ণনা

    ইউনুস ইবন বুকায়ৱ বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক আবদুল মালিক ইবন আবু
    সুফিয়ান ছাকাফী থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, বাবেল তথা ব্যাবিলনের ইরাশ অঞ্চলের
    একজন লোক কতক উট নিয়ে মক্কায় এসেকাি ৷ আবু জাহ্ল ইবন হিশাম তার নিকট থেকে
    উটগুলো ক্রয় করে ৷ কিন্তু মুল্য পরিশোধে সে অযথা বিলম্ব করতে থাকে ৷ ইরাশী লোকটি
    কুরায়শের গণ্যমান্য লোকদের সভায় আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন মসজিদের একপাশে বসা
    ছিলেন ৷ সে বলল, হে কুরায়শ গোত্র! আমার পক্ষে আপনাদের মধ্য থেকে কে আবু জাহ্ল
    ইবন হিশামের উপর শক্তি প্রয়োগ করতে পারবেন ? সে আমার পাওনা পরিশোধ করছে না ৷

    ১ ইরাশী শব্দটি ইরাশ নামক স্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত ৷

    আমি একজন ভিনদেশী মুসাফির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলল, ওই যে
    লোকটি ৫দখছ, তুমি তার নিকট যাও ৷ তিনিই পারবেন তোমার পাওনা উসুল করে দিতে ৷
    রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ও আবু জাহ্লের মধ্যে বিরাজমান বিরোধপুর্ণ সম্পর্কের কারণে তারা এমনটি
    বলেছিল ৷ ইরাশী এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে দীড়ায় ৷ সে তাকে সকল বৃত্তান্ত অবহিত
    করে ৷ তিনি তার সাথে রওনা হন ৷ লোকজন যখন (দখল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরাশী লোকটির
    সাথে যাচ্ছেন, তখন তারা একজন লোককে বলল, তৃমিও তার পেছনে পেছনে যাও এবং তিনি
    কি করেন তা লক্ষ্য কর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু জাহ্লের বাড়ীতে উপস্থিত হন এবং দরজায়
    আঘাত করেন ৷ আবু জাহ্ল বলে “কে ? “আমি মুহাম্মাদ তুমি বেরিয়ে এসো ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) বললেন, যে বেরিয়ে, আসে ৷ তখন তার মুখমণ্ডল ছিল রক্তহীন ফ্যাকাশে ৷ ভয়ে তার
    চােহারা বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ লোকটির পাওনা চুকিয়ে দাও ৷ সে
    বলল, ঠিক আছে, দীড়াও, এখনি আমি ওর পাওনা চুকিয়ে দিচ্ছি ৰু সে ঘরে যায় এবং ফিরে
    এসে ইরাশী লোকটির পাওনা দিয়ে বুঝিয়ে দেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফিরে আসেন এবং
    লোকটিকে বলেন, এবার তুমি তোমার পথে চলে যেতে পার ৷ ইরাশী পুনরায় কুরায়শীদের
    মজলিসে এসে উপস্থিত হয় ৷ সে বলে, ওই লোকটিকে আল্লাহ্ তাআলা উত্তম প্ৰতিদান দিন !
    আমার পাওনা আমি বুঝে নিয়েছি ৷ ওরা যে লোকটিকে পাঠিয়েছিল সে ওদের নিকট ফিরে
    আসে ৷ তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কী দেখলে ? সে বলে, যা ঘটেছে তা তো এক অতীব
    আশ্চর্য ঘটনা ৷ আল্লাহ্র কলম, মুহাম্মাদ (সা) গিয়ে তার দরজায় আঘাত করেন ৷ তাতে আবু
    জাহ্ল দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ৷ যেন তার দেহে তখন প্রাণ ছিল না ৷ মুহাম্মদ বললেন, এই
    লোকের পাওনা চুকিয়ে দাও ! আবু জাহ্ল বললেন, ইদ্র৷ তাই হবে, তুমি দড়াড়াও , আমি তার
    পাওনা নিয়ে আসছি ৷ এরপর সে ঘরে প্রবেশ করে এবং তার পাওনা এসে তাকে দিয়ে দেয় ৷
    তাদের কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর অবিলম্বে আবু জাহ্ল সেখানে হাযির হয় ৷ তারা বলে, হায়
    হায়, তোমার কী হয়েছিল ? যে কাজ তুমি করেছ, আল্লাহ্র কসম আমরা তো ইতোপুর্বে কখনো
    তা হতে দেথিনি ৷ সে বলল, হয়ে ! আল্লাহ্র কলম, প্রকৃত ঘটনা এই যে, মুহাম্মাদ আমার
    দরজায় আঘাত করে এবং আমি তার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই ৷ তাতে আমি ভীতশ্সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি ৷
    এরপর আমি তার নিকট বেরিয়ে আসি ৷ তখন আমি তার মাথার উপর দিয়ে একটি বিশালাকার
    উট দেখতে পইি ৷ ওই উটের মাথা, ঘাড় ও দীতের ন্যায় ভয়ংকর ও বিরাট মাথা ঘাড় ও দীত
    আমি কখনো দেখিনি ৷ আল্লাহর কলম, যদি আমি ওই পাওনা দিতে অস্বীকার করতাম, তাহলে
    ওই উট নিশ্চয়ই স্লামাকে খেয়ে ফেলত ৷
    পরিহেদ
    ইমাম বুখারী (র) বলেন, আইয়াশ ইবন ওয়ালীদট্রু উরওয়া ইবন যুৰায়র থেকে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, আমি ইবন আসকে বলেছিলাম, মুশরিকগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি
    কঠোরতম যে আচরণ করেছে, তা আমাকে একটু বলুন ৷ তিনি বললেন, একদিন কা’বাগৃহের
    হাতীম অংশে রড়াসুলুল্লাহ (সা) নামায আদায় করছিলেন ৷ তখন উকবা ইবন আবু মুআয়ত

    সেখানে উপস্থিত হয় ৷ সে তার কাপড় দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গলা পেচিয়ে সজােরে টান
    দেয় ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) সেখানে উপস্থিত হন এবং উকবাকে ঘাড় ধরে সরিয়ে দিয়ে
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে মুক্ত করেন ৷ তখন হযরত আবু বকর (রা) নিম্নোক্ত আয়াত উদ্ধৃত করে
    বলেন

    একজন লোককে তোমরা কি কেবল এজন্যেই হত্যা করবে যে, সে বলে আমার
    প্রতিপালক আল্লাহ অথচ সে তোমাদের প্ৰতিপালকের নিকট থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ সহ তোমাদের
    নিকট এসেছে ৷ সে মিথ্যাবাদী হলে তার মিথ্যাবাদিতার জন্যে সে দায়ী হবে ৷ আর যদি সে
    সত্যবাদী হয়, সে তােমাদেরকে যে শাস্তির কথা বলে তার কতক তোমাদের উপর আপতিত
    হবেই ৷ আল্লাহ্ তাআলা সীমড়ালংঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎপথে পরিচালিত করেন না (৪০ :
    ২৮) ৷
    এ হাদীছের সমর্থনে আল্লাম৷ বায়হড়াকী (র) হাকিম উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
    তিনি বলেছেন যে, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাসুলুল্লাহ্
    (না)-এর প্ৰতি কুরায়শদের শত্রুতার জঘন্যতম প্রকাশরুপে আপনি কোন ঘটনা দেখেছেন ?
    তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমি যা দেখেছি তা হল, তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ একদিন কাবা
    শরীফের হাতীম অংশে সমবেত হয়েছিল ৷ সেখানে তারা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর প্রসংপ আলোচনা
    করে ৷ তারা বলে যে, এই লোকটির ব্যাপারে আমরা যা ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করছি এরুপ
    ধৈর্যধড়ারণ করতে আমরা কখনো কাউকে দেখিনি ৷ যে আমাদের ধৈর্যশীল ও জ্ঞানবান
    লোকদেরকে মুর্থ ঠাওরাচ্ছে ৷ আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে গালমন্দ করছে আমাদের দীনধর্মের
    সমালোচনা করছে আমাদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করছে আমাদের দেবতা ও উপাস্যদেরকে পাল
    দিচ্ছে ৷ তার ব্যাপারে আমরা এখন এক মহাসংকটের সম্মুখীন ৷

    তারা হুবহু এ কথা বা এমর্মের বক্তব্য রেখেছিল অথবা তারা আলোচনা করছিল ঠিক ওই
    সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (না) সেখানে এলেন এবং সোজা এসে হাজ্বারে আসওয়াদ চুম্বন করেন ৷
    এরপর তাদের পাশ দিয়ে হেটে তিনি তাওয়াফ করতে শুরু করেন ৷ তাকে উদ্দেশ্য করে তারা
    বিভিন্ন কটুক্তি করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখমণ্ডলে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ৷ তবু
    তিনি তাওয়াফ চালিয়ে যেতে থাকেন ৷ দ্বিতীয় চক্করে যখন তিনি তাদেরকে অতিক্রম করছিলেন,
    তখনও তারা তাকে লক্ষ্য করে কটুক্তি করে ৷ তৃতীয়বারও যখন তারা এরুপ করলো, তখন তিনি
    তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! তোমরা কি শুনহো ৷ আমি জ্যি তোমাদের
    জন্যে এমন বিষয় নিয়ে এসেছি যাতে তোমাদের যবাহ্ হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ তার বক্তব্য
    শুনে তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ৷ সকলের মধ্যে পিন-পতন নিস্তব্ধতা বিরাজ করে ৷
    সবাই তখন স্থির ও অনড় যেন তাদের মাথায় পাখি বসেছে ৷ তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিন্দামুখর

    ব্যক্তিটি সে বক্তব্যটি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে বলে-হে আবুল কাসিম ! তালোয় ভালােয় এখান
    থেকে চলে যাও তুমি তো মুর্থ নও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ পরের দিন তারা সকলে
    পুনরায় হাভীম অংশে সমবেত হয় ৷ আমিওত ৷দের সাথে ছিলাম ৷ তারা একে অন্যকে বলে,

    তোমরা যা কিছু করো ন আর সে যা কিছু করেছে তা তো তোমাদের সবারই আছে ৷ এমনকি
    যখন সে তোমাদের অপসন্দের কথা বলেছে তোমরা তাকে ছেড়ে দিয়েছ ৷

    ইতোমধ্যে রাসুলুল্পাহ (সা) এসে সেখানে উপস্থিত হন ৷ তারা সব ই একযােপে তার উপর
    আক্রমণ চালায় ৷ সকলে তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তিনি তাদের দীন ধর্ম ও
    উপাস্যদের যে দােষত্রুটি বর্ণনা ও সমালোচনা করেন, সেগুলো উল্লেখ করে তারা বলে, তুমিই
    কি এরুপ বলে থাক ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ছুা, আমিই এরুপ বলে থাকি ৷ তাদের
    একজনকে আমি দেখলাম যে, সে তার চাদরের উভয় প্রান্ত কষে ধরে তার গলায় পেচিয়ে
    সজােরে টানছে ৷ এদিকে তার পেছনে দাড়িয়ে হযরত আবু বকর (রা)ত তার প্রতিবাদ করে
    বলছিলেন, তোমাদের সর্বনাম হোক ৷ তোমরা একজন মানুষকে কি কেবল এ জন্যেই হত্যা
    করবে যে, সে বলে আমার প্রতিপালক আল্লাহ ন্ তখন তারা তাকে ছেড়ে চলে যায় ৷
    কুরায়শদের নিষ্ঠুর আচরণসমুহের মধ্যে এটিই আমার দেখা নিষ্ঠুরতম আচরণ ৷

    পবিচ্ছেদ

    রাসুলুল্লাহ্ (না) ও তার সাহাবীগণের প্ৰতি কুরায়শ নেতৃবর্গের আক্রোশ , তার
    সাহায্য-সহযোগ্ পিতা ও তাকে রক্ষা করার সর্বদা ৷প্রস্তুত তার চাচা আবু তালিবের নিকট তাদের
    সমবেত উপস্থিতি এবংত ত ৷কে তাদের হাতে সােপর্দ করার দুরাশা ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ইচ্ছার
    চাচা আবুতালিব তাকে তাদের হাতে সােপর্দ করতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷

    ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়ার্কী’ আনাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহর পথে আমি এমন নির্যাতন ভোগ করেছি যা অন্য
    কাউকে ভোগ করতে হয়নি ৷ আল্লাহ্র পথে আমি এমন ভয়-ভীতির মুখোমুখি হয়েছি অন্য কেউ
    তেমনটি হয়নি ৷ রাতে-দিনে ত্রিশ দিন আমার এমন কেটেছে যে , আমার নিকট এবং বিলালের
    নিকট কে ন জীবের আহারযোগ্য কিছুই ছিল না ৷ বিলাল তার বগলের নীচে যেটুকু খাদ্য
    রেখেছিলত ৷ব্যভীত ৩৷ তিরমিযী ও ইবন মজােহ্ হাম্মাদ ইবন সালামাহ্ থেকে এ হাদীছটি উদ্ধৃত
    করেছেন ৷ তিরমিযী একে সহীহ্ ও হাসান বলে অভিহিত করেছেন ৷

    মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, চাচা আবু তালিব রাসুলুল্লাহ (সা) এর প্রতি অপার দয়া
    দেখিয়েছেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে রক্ষা করেছেন এবংত তার পাশে দাড়িয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
    (সা) অব্যাহত গতিতে দীন প্রচারে আল্লাহ নির্দেশ পালন করে গিয়েছেন ৷ কো ন কিছুই৩ ৷ ৩াকে
    দীন প্রচার থেকে বিরত রাখতে পারেনি ৷ কুরায়শরা যখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে পরিত্যাগ
    করা এবং তাদের উপাস্যদের সমালোচনা করা ইত্যাকার তাদের অপসন্দনীয় কাজগুলো থেকে
    রাসুলুল্লাহ (না) বিরত থাকছেন না এবং তারা এও দেখল যে, চাচা আবু তালিব তার প্রতি
    সহানুভুতি দেখিয়ে যাচ্ছেন, তার পাশে দাড়িয়ে এবং তাকে ওদের হাতে সােপর্দ করতে
    অস্বীক৷ ৷র করছেন, তখন তাদের নেতস্থানীয় একটি প্রতিনিধি দল আবু তালিবের নিকট উপস্থিত

    হয় ৷ প্রতিনিধি দলে ছিল উ৩ বা ইবন রাবীআ, শায়বা ইবন রাবীআ (ইবন আবৃদ শামস ইবন
    আবৃদ মানাফ ইবন কুসাই) , আবু সফিয়ান সাখর ইবন হাবব ইবন উমাইয়া ইবন আবৃদ শামস,
    আবুল বুখতারী আস ইবন হিৰুাম (ইবন হারিছ ইবন আসাদ ইবন আবদিল উঘৃযা ইবন কুসাই ,
    আসওয়াদ ইবন মুতিব ইবন আসাদ ইবন আবদিল উয্যা, আবু জাহ্ল তার নাম আমর ইবন
    হিশাম ইবন যুপীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন মাখযুম, ওয়ালীদ ইবন যুপীরা ইবন
    আবদিল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মাখবুম ইবন ইয়াকযা ইবন ঘুররা ইবন ক আর ইবন লুওয় ই
    নাবীহ্ ও মুনাব্বিহ এদের দুজনের পিতা হাজ্জাজ ইবন আমির ইবন হুযায়ফা ইবন সাঈদ
    ইবন সাহম ইবন আমর ইবন হাসীস ইবন কাআব ইবন লুওয় ই, আস ইবন ওয়াইল ইবন
    সাঈদ ইবন সাহম ৷ ইবন ইসহাক বলেন তাদের সাথে আরো কেউ ও পাকতে পারে ৷

    তারা বলল, হে আবু তালিব! আপনার ভাতিজা তো আমাদের উপাস্যদেরকে গলি মন্দ
    করে, আমাদের ধর্মের সমালোচনা করে, আমাদের বিজ্ঞজনদেরকে মুর্থ বলে আখ্যায়িত করে
    এবং আমাদের পুর্ব পুরুষদেরকে পথ ভ্রষ্ট রুপে চিহ্নিত করে ৷ সুতরাং আপনি হয় আমাদের
    দুর্নাম করা থেকে তারা বিরত রাখবেন, নতুবা তার ও আমাদের মধ্যস্থল থেকে আপনি সরে
    র্দাডাবেন ৷ কারণ, তার ধর্যমতের বিরোধি৩ায় আপনি ও আমাদের ন্যায় আছেন, তখন আমরা
    তাকে দেখে নিব ৷

    আবু তালিব তাদের সাথে নম্রভাবে কথা-বার্তা বললেন এবং ভালোয় ভালোয় তাদেরকে
    বিদায় দিলেন ৷৩ তারা চলে গেল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যথা নিয়মে৩ তার কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন,
    তিনি আল্লাহর দীন প্রচার ও মানুষকে আল্লাহর পথে ডাক র দ য়ি পালন করে যাচ্ছিলেন ৷
    ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তাদের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠে ৷ এদিকে কুরায়শদের
    মধ্যে পরস্পর অধিকহারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কথা আলোচিত হতে থাকে ৷ ফলে, তারা তার
    বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার চিভা-ভাবনা করে এবং একে অন্যকে এ জন্যে প্ররােচিত করে ৷ তারা
    দ্বিতীয়বার আবু তালিবের নিকট আসে ৷ তারা বলে, হে আবু তালিব ৷ আমাদের মধ্যে আপনি
    একজন প্রবীণ মর্যাদাবান ও সন্থান্ত লোক ৷ আপনাকে আমরা বলেছিলাম, আপনার তা তিাজাকে
    আমাদের সমালোচনা থেকে বিরত রাখতে আপনি কিন্তু তাকে থামিয়ে রাখেননি ৷ আমাদের
    পুর্বপুরুষদেরকে পালি দেয়া জ্ঞানী-গুণীদেরকে মুর্থ বলা এবং আমাদের উপাস্যদের সমালোচনা
    করার ন্যায় অনাচার আমরা আর সহ্য করব না ৷ শেষ পর্যন্ত হয় আপনি তাকে আমাদের থেকে
    বিরত রাখবেন নতুবা এর ফলশ্রুতিতে আমরা তার এবং আপনার উপর চড়াও হয় ৷ যতক্ষণ না
    আমাদের দু’ পক্ষের কােনু এক পক্ষ ধ্বংস হয় ৷ তারা হুবহু তাকে একথা বা এমর্মের অন্য কোন
    কথা বলেছিল ৷ এরপর তারা ওখান থেকে প্রন্থান করে ৷াগােত্রীয়দের লোকদের বিচ্ছেদ-বেদনা
    ও শত্রুতা আবু তালিবের নিকট গুরুতর ঠেকে ৷ আবার রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে ওদের হাতে
    সাে পর্দ করা কিংবা তাকে অপমানিত করার ব্যাপারেও তিনি কো নমতে সম্মত ছিলেন না ৷

    ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াকুব ইবন উতবা বলেছেন, কুরায়শের নেতৃবর্গ যখন আবু
    তালিবকে একথা বলল, তখন তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে ডেকে আনলেন এবং বললেন,
    “ভাতিজা! ণ্৩ামার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমার নিকট এসে এরুপ এরুপ বলেছে ৷ তারা যা যা

    বলেছিল তিনি তা তাকে শুনালেন ৷ সুতরাং তুমি নিজেও বীচ আমাকেও বীচতে দাও ! আমার
    মাথায় এমন বোঝা চাপিয়ে দিও না যা বহন করার ক্ষমতা আমার সেই ৷ তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)
    ধারণা করলেন যে, তার চাচার মনােভাবের পরিবর্তন ঘটেছে এবং তিনি তাকে ত্যাগ করতে
    এবং ওদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছেন ৷ তাকে রক্ষায় ও সহযোগিতায় তার চাচা অক্ষম হয়ে
    পড়েছেন ৷ এ প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, “আল্লাহ্র কসম, ওরা যদি আমার ডান হাতে
    সুর্য এবং বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয় এই শর্তে যে, আমি ওই কাজ ছেড়ে দিব, তবু আমি তা
    ছেড়ে দেব না যতক্ষণ না আল্লাহ্ এই দীনকে বিজয়ী করেন কিংবা ওই পথে আমার মৃত্যু হয় ৷
    দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠলাে এবং তিনি কেদেই ফেললেন ৷ তারপর ওখান থেকে উঠে
    গেলেন ৷ তিনি যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন আবু তালিব তাকে ডেকে বললেন ডাতিজা ৷ তুমি
    নিকটে আস ৷ তখন তিনি কাছে আসলেন এবং আবু তালিব বললেন, ডাতিজা ৷ তুমি যাও,
    তোমার মন যা চায় তুমি তা বলতে থাক ৷ আল্লাহ্র কসম, আমি কখনো তোমাকে ওদের
    হাতে তুলে দেব না ৷”

    ইবন ইসহাকবলেন, কুরায়শরা বুঝতে পারল যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে ত্যাগ করতে এবং
    তাকে হস্তান্তর করতে আবু তালিব রাযী নন ৷ বরং তার জীবন রক্ষায় আবু তালিব প্রয়োজনে
    কুরায়শদেরকে ত্যম্পো করতে এবং তাদের শত্রুতা বরণ করে নিতে প্রন্তুত ৷ তখন তারা আম্মারা
    ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরাকে তার নিকট নিয়ে যায় ৷ তারা তাকে বলে, হে আবু তালিব ! এ হল
    ওয়লীেদের পুত্র আম্মারা ৷ কুরায়শ বংশের শ্রেষ্ঠতম সাহসী ও সর্বাধিক সুদর্শন যুবক ৷ আপনি
    তাকে গ্রহণ করুন ৷ তার জ্ঞান-গরিমা, বিদ্যা-বৃদ্ধি ও শক্তি-সড়াহস আপনার জন্যেই উৎসপত্বিত
    থাকবে ৷ আপনি তাকে পুত্ররুপে গ্রহণ করুন ৷ সে একান্ত আপনার হয়েই থাকবে ৷ বিনিময়ে
    আপনার ভাতিজাকে আপনি আমাদের হাতে তুলে দিন ৷ সে তো আপনার ধর্ম এবং আপনার
    পুর্ব-পুরুষদের ধর্মের বিরোধিতা করছে ৷ আপনার ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে
    এবং আমাদের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদেরকে মুর্থ ঠাওরাচ্ছে ৷ আপনি তাকে আমাদের হাতে তুলে
    দিন, আমরা তাকে খুন করে ফেলি ৷ তার বিনিময়ে আমরা তো এ যুবকটিকে আপনার হাতে
    তুলে দিচ্ছি ৷ তখন আবু তালিব বললেন, তোমরা আমার নিকট যে প্রস্তাব দিয়েছ, আল্লাহ্র
    কসম, তা অত্যন্ত মন্দ প্রস্তাব বটে ৷ তোমাদের ছেলেটি তোমরা আমাকে দিবে যেন আমি তাকে
    খাইয়ে-পরিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে ভুলি ৷ আর আমার ছেলেটিকে আমি তোমাদের হাতে তুলে দিব
    যাতে তোমরা তাকে হত্যা করতে পড়ার? আল্লাহ্র কসম, তা কখনো হবার নয় ৷

    মত্ঈম ইবন আদী ইবন নাওফিল ইবন আবৃদ মানাফ ইবন কৃসাঈ বলল, হে আবু তালিব ৷
    আল্পাহ্র কসম, আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা আপনার নিকট ইনসাফ ভিত্তিক প্রস্তাব দিয়েছিল
    এবং যা আপনি অপসন্দ করেন তা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে ৷ কিন্তু
    আমি দেখছি আপনি তার কােনটিই গ্রহণ করছেন না ৷ মুত্ঈম-এর উদ্দেশ্যে আবু তালিব
    বললেন, আল্লাহ্র কসম, তারা আমার প্রতি ইনসাফ করেনি, তুমি বরং আমার জন্যে
    অপমানজনক এবং ওদের পক্ষে বিজয়মুলক কথাবার্তা বলছে! ৷ সুতরাং তোমার যা ইচ্ছা তা
    কর ৷ অথবা তিনি এ মর্মের অন্য কোন ভাষ্য ব্যবহার করেছেন ৷ এরপর সংকট দানা বেধে

    উঠে ৷ যুদ্ধ উন্মাদনা তীব্র হয়ে উঠে ৷ সম্প্রদায়ের লোকেরা যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ একে অন্যকে
    যুদ্ধের জন্যে আহবান জানায় ৷

    এ প্রেক্ষাপটে মুত্ঈম ইবন আদীকে কটাক্ষ করে আব্দ মানাফ গোত্রের যারা তাকে
    অপমানিত করেছে, তাদেরকে তিরস্কার করে এবং কুরায়শ গোত্রের যারা তীর প্রতি শত্রুতা
    পোষণ করেছে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আবু তালিব নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন ৷ তারা যে
    প্রস্তাব করেছে, সে প্রস্তাব যে তার নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়, তা তিনি কবিতায় উল্লেখ
    করেছেন ৷ তিনি বলেছেন০

    হে পথিক৷ আমর (আবু জাহ্ল ওয়ালীদ) ও মুতঈমকে বলে দাও যে, যদি তাদের সংস্পর্শ
    থেকে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেত তবে ভাল হত ৷
    আমার সম্পর্ক যদি ছিন্ন হয়ে যেত তার থেকে যে দুর্বল, মন্দ চরিত্র এবং খর্বর্কায়, অথচ
    চীৎকার করে খুব বেশী ৷ যার প্রস্রাবের ফৌটা ঝরে পড়ে পায়ের গোছার উপর ৷

    যে সব সময় কাফেলা ও যাত্রীদলের পেছনে পড়ে থাকে ৷ ওদের নাগাল পায় না ৷ মসৃণ
    পাথরে ও উচুতে উঠলে তাকে অনেকটা খরগােশের মত দেখায় ৷

    আমাদের দুই সহােদার ভাইকে আমি দেখি যে, তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া হলে তারা
    বলে সকল ক্ষমতা অন্যদের হাতে ৷ ,
    না, ক্ষমতা বরং তাদেরই হাতে ৷ কিন্তু তারা একজন অপরজনের উপর গড়িয়ে পড়ছে
    যেমন মুআলাক পাহাড়ের চুড়া থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ে ৷

    বিশেষভাবে আমি উল্লেখ করছি আব্দ শাম্স ও নাওফিল এ দৃ’ গোত্রের কথা ৷ তারা
    আমাদেরকে দুরে নিক্ষেপ করেছে যেমনটি ফেলে দেয়া হয় জ্বলম্ভ অঙ্গার ৷

    সম্প্রদায়ের মধ্যে তারাই আপন ভাইদের অধিক নিন্দাকড়ারী ও অপমানকারী ৷ নিজ

    ভ্রাতৃবংশের জন্যে তাদের হাতে কিছু উঠে না ৷
    সকল মানুষের মধ্যে তারা দু পােত্রই পিতৃহীন বালকের সাথে মর্যাদার শরীক ৷ তারা তার

    নাম নি-শ ৷৷না মুছে ফেলতে চায় ৷

    তায়ম, মাখবুম ও যুহরা গোত্রের কথাও আমি উল্লেখ করছি ৷ সাহায্য প্রার্থনাকালে ওরা
    আমাদের সাহায্যকারী ছিল ৷

    তবে আল্লাহর কসম, এখন তোমাদের মাঝে আর আমাদের মাঝে শত্রুত৷ ও বৈরিতার
    অবসান হবে না যতদিন আমাদের একজন বংশধরও জীবিত থাকে ও

    ইবন হিশাম বলেন, দু’টি পৎক্তিতে কটুক্তি থাকার কারণে আমরা ওই দুটো পৎক্তি উল্লেখ
    কৰিনি ৷

    পরিচ্ছেদ
    দুর্বল ও অসহায় মুসলমানদের প্রতি বিধর্মীদের সীমাহীন নির্যাতনের বিবরণ

    ইবন ইসহাক (র) বলেন, বিভিন্ন পােত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর যে সকল সাহাবী ছিলেন এবং
    র্যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে কুরায়ভৈশব লোকেরা একে
    অন্যকে প্ররোচিত করে ৷ ফলে, প্রতেকে গোত্রের লোকেরা নিজ নিজ গোত্রে অবস্থানকারী
    মুসলমানদের উপর বাপিয়ে পড়ে ৷ত তারা তাদের প্রতি নির্য৷ ৷তন চালায় এবং তাদেরকে ধর্মচ্যুত
    করা বচেষ্ট৷ চালায় ৷ চাচা আবু৩ তালিবেব মাধ্যমে আল্লাহ তা অ ৷ল৷ প্রিয়নবী (সা) কে এ দৃরবস্থা
    থেকে রক্ষা করেন ৷ কুরায়শ ৷বৎশীয় লোকদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ দেখে আবৃত তালিব বনু
    হাশিম ও বনু আবদুল মুত্তালিব গোত্রে উপস্থিত ৩হন ৷ তিনি নিজে যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
    সাহায্য-সহযােগিত ৷ ও নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছেন ওরাও যেন তেমন করে তার পাশে দাড়ায়
    তিনি তাদেরকে এ অনুরোধ করেন ৷ আল্লাহর দৃশমন আবু লাহাব ছাড়া অন্য সকলে তার
    আহ্বানে সাড়া দেয় ৷ এই প্রেফাপটে তাদের প্রশংসা সুত্রে এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    সহযোগিতার জন্যে তাদেরকে উৎসাহিত করে তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন :

    কুরায়শ বংশীয় গােত্রগুলো যদি কোন দিন নিজ নিজ গৌরব ও মর্যাদা প্রকাশের জন্যে
    সমবেত হয়, তবে আবৃদ মানাফের গোত্রই হবে কুর৷ য়শ গোত্রগুলো র শীর্ষন্থানীয় ৷

    আবৃদ মানাফের বংশীয়দের মধ্যে শোযদি সড্রাম্ভ ও সম্মানিত বাক্তিদের ঘোজখবর নেয়া হয়,
    তবে অধিকাৎশ সন্তুাম্ভ ও সম্মানিত ব্যক্তি পাওয়া যাবে হাশিমের বংশীয়দের মধ্যে ৷
    হাশিম গোত্র যদি কে ন দিন পর্ব ও গৌরব প্রকাশ করতে চায়, তবে৩ তাদের গৌরব ও
    পর্বের প্রধান স্তম্ভ হলেন মুহা ন্মদ ৷ গোত্রের সকল মর্যাদাবান ও সম্মানযোগ্য লোকদের মধ্য থেকে
    তিনিই মনোনীত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতু ৷

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ ইরাশী- এর বর্ণনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.