একদিন আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব যোহরের নামাযের ১ম রাকাতে উচ্চস্বরে সূরা ফাতেহার ১ম আয়াত তেলাওয়াত করেন। তারপর নিম্নস্বরেই অবশিষ্ট কেরাত পাঠ করেন। সর্বশেষে তিনি সাহু সিজদা না দিয়েই নামায শেষ করেন। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমনকি তারা পরস্পরে ঝগড়া বিবাদেও লিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তিত। মেহেরবানী করে সমাধান জানিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত নামায সহীহভাবেই আদায় হয়েছে। ইমাম সাহু সিজদা না করে ঠিকই করেছেন। কেননা নিম্নস্বরে কেরাত বিশিষ্ট নামাযে সূরা ফাতিহার এক-দুই আয়াত উচ্চস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়নি। প্রকাশ থাকে যে, দ্বীনী বিষয়ে সংশয় বা মতানৈক্য দেখা দিলে বিজ্ঞ আলেম বা মুফতীর শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৫১; রদ্দুল মুহতার ২/৮২; ইলাউস সুনান ৭/১৯১; ফাতহুল কাদীর ১/৪৪১