Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৬ » নবী কবীম (না)-এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ

নবী কবীম (না)-এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • কিতাবুশ শামাইল : রাসুল (না)-এর দেহাবয়ব ও পবিত্র স্বভাব

    অতীতে এবং সাম্প্রতিককালে লেখক-সংকলকগণ এ বিষয়ে বহু স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত গ্রন্থ রচনা
    করেছেন ৷ এ সংক্রান্ত সর্বোত্তম, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক উপযোগিতা সম্পন্ন গ্রন্থখানি হল আবু
    ঈসা মুহাম্মাদ ইবন ঈসা ইবন সাওরা আৎ তিরমিযী (র)-এর ৷ এ: বিষয়ে তিনি তার
    আশশামাইল’ নামক প্রসিদ্ধ কিতাব স্বতন্ত্রভাবে সংকলন করেছেন ৷ আর আমাদের কাছে তার
    অবিচ্ছিন্ন সনদ বা সংগ্রহসুত্র বিদ্যমান রয়েছে ৷ এখানে আমরা শামাইলে তার সংকলিত
    বিবরণের মুখ্য অংশ উল্লেখ করছি ৷ উপরন্তু এমন কিছু অতিরিক্ত বিষয় আলোচনা করব, হাদীস
    ও ফিকাহবিদগণ যার অভাব বোধ না করে পারেন না ৷ প্রথমে আমরা তার চোখ র্ধাধানো
    সৌন্দর্যের আলোচনা করব ৷ তারপর তার বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করব ৷ আর এই মুহুর্তে
    আমাদের বক্তব্য হল (সহায়রুপে) আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম
    কর্মবি ধায়ক ৷

    নবী করীম (সা)শ্এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ

    ইমাম বুখারী (র) আহমদ বিন সাঈদ আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আবু ইসহাকের বরাতে
    উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বারা ইবন আযিব (রা)-কে বলতে শুনেছি, নবী
    করীম (সা) লোকদের মাঝে সুন্দরতম চেহারা ও সর্বোত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন ৷ অতি
    দীর্ঘকায়ও নন কিৎবা খর্বাকৃতিও নন ৷ আবু কুরায়ব সুত্রে ইমাম মুসলিমও এরুপই বর্ণনা
    করেছেন ৷ এছাড়া বুথারী (র) জাফর ইবন উমরের সুত্রে বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) ছিলেন মধ্যম আকৃতির, তার ইে কাধের মধ্যে বেশ
    ব্যবধান ছিল ৷ তার কেশ তার উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌছে থাকত ৷ আমি তাকে লাল বর্ণের
    জোড়া পােশাকে দেখেছি ৷ তার চাইতে অধিকতর সুন্দর কিছু আমি কখনো দেখিনি ৷ এ
    রিওয়ায়াতে য়ুসুফ ইবন আবু ইসহাক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার চুল পৌছত তার
    উভয় র্কাধ পর্যন্ত ৷ ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত ধারা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, লাল জোড়া পােশাকেরাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেয়ে সুদর্শন কোন বাবরি চুলবিশিষ্ট লোক
    আমি দেখিনি ৷ তার মাথার চুল উভয় র্কাধ্ স্পর্শ করত আর তার উভয় কাধের মধ্যে বেশ
    ব্যবধান ছিল ৷ তিনি দীর্ঘকায় নন, বেটেও নন ৷ আর ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও
    নাসাঈ ওকী বর্ণিত হাদীস থেকে এ সনদে তা রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আসওদ
    ইবন আমির আবুইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত বারা (রা)-কে বলতে
    শুনেছি, আল্লাহর সৃষ্টিকুলে লাল জোড়া পােশাকে আমি আল্লাহর রাসুলের চাইতে অধিকতর
    সুন্দর কাউকে দেখিনি ৷ আর তার বাবরি চুল তার উভয় র্কাধ স্পর্শ করত ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আবু
    বুকায়র বলেন, তীর উভয় কাধের কাছাকাছি পৌছত ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন, আমি তাকে
    বারংবার এ হাদীস রিওয়ায়াত করতে শুনেছি ৷ যখনই তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন তখনই
    তিনি হাসতেন ৷ আর বুখারী এই হাদীসটি ইসরইিল সুত্রে পরিচ্ছদ’ অধ্যায়ে, তিরমিযী
    শামইিল’ অধ্যায়ে এবং নাসাঈ সাজসজ্জা’ অধ্যায়ে ৷

    বুখারী আবু নুআয়ম আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ৷ বারা ইবন
    আযিবকে জিজ্ঞেস করা হল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখমণ্ডল কি তরবারির মত ছিল? তিনি
    বললেন, না, বরং চান্দ্রর মত ৷ আর ইমাম তিরমিযী তা রিওয়ায়াত করেছেন যুহায়র ইবন
    মুআবিয়া আল কুফী বারা ইবন আযিব সুত্রে এই সনদে ৷ তারপর তিনি মন্তব্য
    করেছেন, এটি হাসান-সহীহ হাদীস ৷ হাফিয আবু বকর আড়াল-বায়হাকী আদ্-দালাইল’ গ্রন্থে
    আবুল হাসান ইবন ফযল সাম্মাক সনদে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাম্মাক) জাবির ইবন
    সামুরাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুখমণ্ডল কি তরবারির
    ন্যায় (লম্বাটে) ছিল? তিনি বললেন, না; বরং চন্দ্র সুর্যের ন্যায় গোলাকার ছিল ৷ মুসলিমও আবু
    বকর ইবন আবু শায়বা সামুরা সুত্রে উল্লেখিত ৩সনদে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর
    রাজ্জাক সুত্রে সাম্মাকের বরাতে ইমাম আহমদ৩ তা বিশদভাবে বংনাি করেছেন যে তিনি
    (সাম্মাক) জাবির ইবন সামুরা (রা) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাথার চুলের
    এবং দাড়ির অগ্নভাগে পাক ধরে ছিল ৷ যখন তিনি তেল মেখে তা আচড়ে নিতেন তখন আর
    তা প্রকাশ পেত না ৷ তবে এলােমেলে৷ হলে তা প্রকাশ পেতে৷ ৷ তিনি ছিলেন ঘন চুল ও দাড়ির
    অধিকারী ৷ তখন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, তার মুখমণ্ডল কি তরবারির ম৩ ৩? তিনি বললেন, না,
    বরং চন্দ্র সুর্যের ন্যায় গোলাকার ৷ তিনি বলেন, আমি তার কাধের কাছে নুবুওয়াতের মোহর
    দেখতে পেলাম, যা ছিল কবু৩ তরের ডিম আকৃতির এবং তার গাত্রবর্ণের সদৃশ ৷

    হাফিয বায়হাকী ফকীহ আবৃত তাহির জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বণ্টা৷ করেন যে,
    তিনি বলেছেন, কোন এক মেঘমুক্ত নির্মল র্চাদনী রাতে লাল বর্ণের জোড়া পােশোকে আমি
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) ণ্ক দেখলাম ৷ তখন আমি (৩ আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে) একবার তার দিকে
    একবার চাদের দিকে তাকাতে লাগলাম, আর আমার কাছে তাকে চাদের চাইতেও সুন্দরতর
    মনে হচ্ছিল ৷ তিরমিযী ও নাসাঈ উভয়ে হাদীসখানি হান্নাদ ইবন সারী আশআছ সুত্রে
    এভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর নাসাঈ মন্তব্য করেছেন, আশআছ দুর্বল রাবী, তিনি বিভ্রমের
    শিকার হয়েছেন ৷ সাঠিক সনদ হল আবুইসহাক বর্ণনা করেছেন ধারা থেকে ৷ তিরমিযী বলেন,
    এই হাদীসটি হাসান’ স্তরের ৷ আশআছ ইবন সাওয়ার ব্যতীত আমাদের এই হাদীসের কোন
    সুত্র জানা নেই ৷ আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করলাম, হযরত
    বারার বরাতে আবুইসহাকের হাদীসটি বিশুদ্ধ৩ র, নাকি হযরত ৩জাবিরের বরাতে? তখন তিনি
    উভয় হাদীসকে বিশুদ্ধ বলে মত দিলেন ৷ আর সহীহ বুখারীতে কাব ইবন মালিক (রা) সুত্রে
    তাওবা স ক্রাম্ভ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি (কা ব) বলেন, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
    আনন্দিত হতেন তখন তীর মুখমণ্ডল এমন উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় হত, যেন তা চাদের টুকরো ৷
    ইতিপুর্বে পুর্ণ হাদীস উল্লেখিত ৩হয়েছে ৷ য়া কুব ইবন সুফিয়ান আবু ইসহাক হামাদানীর
    বরাতে আর তিনি জনৈকা হামাদানী মহিলার বরাতে যার নাম আবুইসহাক উল্লেখ করেছেন,
    বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছি ৷ আমি তাকে
    দেখলাম, তিনি নিজের একটি উটে আরোহণ করে কাবাঘর তাওয়াফ করছেন, তার হাতে
    রয়েছে একটি বাক্য লাঠি আর তার পরণে দু ’খানি লাল চাদর, লাঠিটি (উচ্চতায়) তার র্কাধ্
    ছুই ছুই করছিল ৷ তিনি যখন হ৷ জারে আসওয়াদ অতিক্রম করছিলেন, তখন লাঠি দ্বারাত
    স্পর্শ করছিলেন ৷ এরপর লাঠিটি উচিয়ে নিজের দিকে টেনে নিয়ে তাতে চু মু খাচ্ছিলেন ৷

    আবু ইসহাক বলেন আমি (মহিলাটিকে) বললাম, আপনি কি উপমা দ্বারা তার অবস্থা
    বর্ণনা করতে পারেন? তিনি বললেন, (হী) পুর্ণিমার পুর্ণচরুন্দ্রর ন্যায়, এর আগে বা পরে তার
    মত কাউকে আমি দেখিনি ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আমার ইবন ইয়াসিরের পৌত্র আবু
    উবায়দা ইবন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রুবায়ি বিনৃত মুআববিযকে আমি
    বললাম, আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর (দৈহিক সৌন্দর্যের) বর্ণনা দিন ৷ তিনি বললেন, বাছা,
    তুমি তাকে দেখলে উদয়কালীন সুর্য দেখতে ৷ বায়হাকী তার সনদে হাদীসখানি য়৷ কুব ইবন
    মুহাম্মদ আয় যুহরী এর হাদীস সংগ্রহ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তার ভাষ্য হল তখন মহিলাটি
    বললেন, যদি তুমি তাকে দেখতে তাহলে বলতে, উদীয়মান সুর্য ৷ আর বুখাবী-মুসলিমে যুহরী
    আইশার সনদে প্রামাণ্য বর্ণনা রয়েছে যে, আয়েশ৷ (রা) বলেন, আনন্দিত অবস্থায়
    একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার কাছে আসলেন, তখন আনন্দে তার মুখমণ্ডলের ব্লেখাগুলাে
    চমকাচ্ছিল ৷

    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গাত্রবরুংরি বিবরণ

    বুখাবী ইয়াহয়া ইবন বুকায়র রাবীআ ইবন আবু আবদুর রহমান সুত্রে বর্ণনা করেন

    যে, তিনি বলেছেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা)-কে নবী করীম (না)-এর দেহাবয়ব ও
    সৌন্দর্যের বিবরণ দিতে শুনেছি ৷ তিনি (আনাস) বলেন তিনি ছিলেন মধ্যম আকৃতির মানুষ-
    না দীর্ঘকায়, না খর্বাকৃতি ৷ তর গাত্রবর্ণ ছিল না উজ্জ্বল ফব্রাকাশে আর নাত তা বাদামী বা
    শ্যামল৷ বর্ণ ৷ আর তার মাথার চুল না অতি কােকড়ানাে আর না তা ৷অতি সরল সোজা ৷ চল্লিশ
    বছর বয়সে তার প্রতি ওহী নাযিল হয় ৷ এরপর তিনি মক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন ও তার
    প্রতি ওহী নাযিল হতে থাকে ৷৩ তারপর মদীনায় দশ বছর ৷ তখনও তার মাথার চুল ও দাড়িতে
    কুড়িটি সাদা (পাকা) চুল ছিল না ৷ রাবী আ বলেন, পরে আমি তার একটি চুল দেখলাম, আর
    তা লাল দেখলাম ৷ এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল, সুগন্ধি ব্যবহারের কারণে ৷
    তারপর বুখাবী আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
    রাবীআ (ইবন আবদুর রহমান) র্তাকে (আনাসকে) বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) অতি
    দীর্ঘকায়ও ছিলেন না আবার বেটেও ছিলেন না, অতিরিক্ত সাদাও ছিল না আবার শ্যামলাও হ্নিা
    না ৷ তার মাথায় চুল অতি কৌকড়ানােও ছিল না আবার একেবারে সােজাও ছিল না ৷ চল্লিশ
    বছরের মাথায় আল্লাহ্ তাকে নুবুওয়াত দান করেন ৷৩ তারপর তিনি মক্কায় দশ বছর এবং
    মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেন ৷ এরপর আল্লাহ্ র্তাকে ওফাত দান করেন; অথচ তার মাথা
    ও দাড়িতে কুড়িটি সাদা চুলও ছিল না ৷ মুসলিম ইয়াহয়া ইবন ইয়াহয়া মালিক সুত্রে হাদীসটি
    এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অনুরুপ তিনি তা কুতায়বা, ইয়াহয়া ইবন আয়ুদ্রব এবং আলী
    ইবন হাজার সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ আর তিরমিযী ওন্নড়াসাঈ উভয়ে হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত
    করেছেন কুতায়ব৷ সুত্রে ঐ সনদে ৷ আর তিরমিযী হাদীসখানি হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য
    করেছেন ৷ হাফিয বায়হাকী বলেন, হযরত ৩আনাস থেকে ছাবিত তা বর্ণনা করে বলেন, তিনি
    ছিলেন উজ্জ্বল গাত্রবর্ণের অধিকারী ৷ তিনি (বায়হাকী) আরও বলেন, হুমায়দ তা আমাদের
    অনুরুপ সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর তিনি তার সনদে ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান সুত্রে
    আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা ) এর গাত্রবর্ণ ছিল
    উজ্জ্বল বাদামী বা শ্যামলা ফর্স৷ ৷ হাফিয আবু বকর আল-বায্যার একইভাবে এই হাদীসখানি

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ নবী কবীম (না)-এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.