Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » নবী কবীম (সা)-এর বীদীগণের বিবরণ

নবী কবীম (সা)-এর বীদীগণের বিবরণ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • নবী কবীম (না)-এর বীদীগণের বিবরণ

    নবী কবীম (সা) এর বাদী ছিলেন দুজন ৷ তাদের একজন মারিয়া ৰিনত শামউন কিরতী
    (মিশরী) ৷ আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা জুবারজ ইবন মীন৷ নবী কবীম (সা) এর সকাশে
    র্তাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিলেন ৷ উপহার সামঘীর মধ্যে তার সংগে আরো ছিলেন র্তার
    বোন শীরীন ৷ আবু নৃআরম (র) উল্লেখ করেন, উপহার প্রদত্ত চারটি বীদীর মধ্যে তিনি ছিলেন
    অন্যতমা ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ আর ছিল একটি থােজা ৷;গালাম, যার নাম ছিল মাবুর
    এবং দৃলদুল’ নামের একটি খচচর ৷ নবী কবীম (সা) তার এ উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন এবং
    নিজের জন্য মারিয়াংক বেছে নেন ৷ মারিয়া ছিলেন মিশরের সানা জেলার হাফন নড়ামক
    জনপদের যেয়ে ৷ ঘুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (বা) তার শাসনামলে এ অঞ্চলের লোকদের
    যিজিয়া রহিত করে দিয়েছিলেন এ মারিয়ার সম্মানে ৷ কারণ, তিনি রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর পুত্র
    সন্তান ইবরাহীমকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন ৷

    বর্ণনাকারী বলেন, মারিয়া ছিলেন সুন্দরী ও গৌরবর্ণ ৷ তার সৌন্দর্যে রাসুলুল্লাহ (সা) মুগ্ধ
    হন ৷ তিনি তাকে তলেবাসতেন এবং তিনি ছিলেন তার দৃষ্টিতে বিশেষ মর্যাদার অঘিকারিণী;
    বিশেষত পুত্র ইবয়াহীন (আ) কে জন্ম দেয়ার পরে ৷ আর বাসুলুল্লাহ (না) তার বোন শীবীনকে
    হিবা’ করে দিয়েছিলেন হাসসড়ান ইবন ছাবিতকে (বা) ৷ এ শীরীনের পর্তে জন্মগ্রহণ করেন তার
    পুত্র আবদুর রহমান ইবন হাসসান (বা) ৷ আর থােজ৷ গ্রেল্যেম মাবুও মিশরে থাকাকালীন তার
    অভ্যাস অনুসারে এখানেও অনুমতি গ্রহণ বাতিরেকে (পর্দা না করে) মারিয়া ও শীবীনের কাছে
    আসা-মাওয়া করতেন ৷ এ কারণে কিছু লোক মারিয়া সম্পর্কে ঐ বিষয়টি নিয়ে উচচ-বাচ্য
    করেন ৷ তার থােজা হওয়ার ব্যাপারটি তাদের জানা ছিল না ৷ অবশেষে বিষয়টি তাদের কাছে
    প্রকাশ পেয়ে গেল(তার বর্ণনা পরবর্তীতে আসছে) ৷ আর খচ্চরটিতে নবী কবীম (সা)
    আরোহণ করতেন ৷ বলাবাহুল্য, হনায়ন অভিযানে নবী কবীম (না) ঐ খচ্চরেই আরােহী
    ছিলেন ৷ এ খচচরটি নবী কবীম (সা)এর পরেও বিদ্যমান ছিল এবং দীর্ঘ দিন বেচে ছিল ৷
    এমনকি আলী (বা) এর খিলাফতকড়ালে সেটি তার বাহন ছিল ৷ আলী (রড়া)এর মৃত্যুর পরে
    সেটি আবদুল্লাহ ইবন জাফার ইবন আবু তালিব (রড়া)এর কাছে ছিল ৷ এটি অতিশয় বুড়িয়ে

    য়েছিল বিধায় তার খাবারের জন্য তাকে যব এর জাউ পাকিয়ে দেয়া হত ৷

    আবু বকর ইবন খুযায়মা (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ ইবনঃ উবায়দুল্লাহ (র)
    বৃরায়দা ইবনুল হুসায়ব (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, কিরতী শাসক রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর
    জন্য দুই তরুণী বোনকে উপহার পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের সংগে ছিল একটি খন্ডের ৷ তিনি
    মদীনায় এ খচচরটিতে আরোহণ করতেন ৷ দুই তরুণীর একজনকে তিনি নিজের জন্য গ্রহণ
    করলেন এবং তিনিই তীর পুত্র ইরড়াহীমের পর্ভধারিনী ৷ অন্যজনকে তিনি হেব৷ করে দিলেন ৷
    ওয়াকিদী (র) বলেন, ইয়াকুব ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু সাসাআ (র) আবদুল্লাহ ইবন আবদুর
    রহমান ইবন আবু সাসাআ (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মারিয়া
    কিবতিয়াকে অত্যন্ত পসন্দ করতেন ৷ তিনি ছিলেন সুন্দরী ও মনােহর কৌকড়ানো কশধারিণী ৷
    নবী কবীম (সা) মারিয়ার বোন সহ উম্মু সুলারম রিনত যিলহাম (বা) এর বাড়িতে তার

    অবস্থানের ব্যবস্থা করলেন ৷ পরে রড়াসুলুল্লাহ (সা) তাদের কাছে গিয়ে (তান্সেরকে ইসলাম
    গ্রহণের দাওয়াত দিলে) র্তারড়া সেখানেই ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ পরে তিনি মালিকানা সুত্রে
    মারিয়া (রড়া)-এর সৎগ ভোগ করলেন এবং তাকে মদীনায় উচু এলাকায় অবস্থিত বনুনড়াষীরের
    নিকট হতে প্রাপ্ত বড়াগানসমুহের এ কটি গ্রীষ্মকালে তিনি সেখানে
    উন্নতমদ্বনের খেজুর বাগানে বাস করতে থাকেন ৷ নবী কবীর (সা) সেখানেই র্তার কাছে
    তিনি ছিলেন চরম ধর্যপ্রাণ মহিলা ৷ নবী কবীর (সা) র্তার বোন শীবীনকে
    হব করলেন খ্ড়াসসান ইবন ছড়াবিত (রড়া) কে ৷ সেখানে তিনি তার গর্ভে হাসসড়ান পুত্র আবদুর
    জ্জা হয় ৷ অন্যদিকে মারিয়ার গর্ভে রাসুলুল্লাহ (সা) এর একটি পুত্র ইবরাহীমের জন্ম
    হয় নবী করীম (সা) এ সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে একটি ছাগল জবইি করে তার আকীকা
    :দ্দোয় করলেন ৷ তার মাথায় চুল মুণ্ডালেন এবং চুলের ওকবৃনর সমসরিমাণ রপা মিসর্কীনদের
    সত্ত্বসকা করে দিলেন ৷ তিনি তীর চুল মাটিতে দাফন করার হুকুম দিলেন এবং তার নাম
    করলেন ইবরাহীন ৷ মারিয়ার ধাত্রী ছিলেন বদ্বসুলুল্লাহ (না) এ র আয়ড়াদকৃত ন্ন্থাড়াদী সালমা (বা) ৷
    সালমা তার স্বামী আবু রব্বফি (রা) এর কাছে গিয়ে তার খবর দিলেন যে , মারিয়া একটি পুত্র
    সন্তান জন্য দিয়েছেন ৷ তখন আবু রাফি“ (বা) রাসৃলুল্লাহ (না)-এর নিকটে এসে তাকে এ
    সৃসত্বাদ দিলেন ৷ নবী কবীম (সা) আবু বাফিকে একটি ২ার পান করণেন ৷ রাসুপুহু৷হ্ (সা)-
    এর বিকািণ এতে ঈর্ষা বোধ করলেন এবং মারিয়ার ঘরে নবী কবীর (সা) এর সন্তান লাভে
    তাদের মন তাবী হয়ে গেল ৷

    হাফিয আবুল হ্াসান পারাণুঙ্কু৩নী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবু উবারস কাসিম ইবন
    ইসমাঈল (র) সুত্রেইবন আব্বাস (বা) থেকে ৷ তিনি বলেন, মারিয়া সন্তান জন্য দিলে
    রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এোদ্বু ৰুশুএভো তার সন্তান র্তাকে মুক্ত করে দিয়েছে ৷ পরে
    সারাকু৩বী মওব৷ করেছেন, যিয়ড়াদ ইবন আব্যুব (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তবে
    তিনি ৰিশ্বম্ভ রাবী ৷ এছাড়া ইবন খাজা (ব)-ও অন্য একটি সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
    ৎশ্রিষ্ট উম্মু ওয়ালাদ ন্(সন্তানের যা বীদী) বিষয়ক মাসঅল্দোটি আমি একটি স্বতন্ত্র আলোচনায়
    পৃথকতারে বংনাি করেছি ৷ তাতে আমি সনীবীগঃণর বিভিন্ন যতড়ামতশ্আট প্রকারের অভিমত
    উদ্ধৃত করেছি এবং প্রতিটি অভিসতের যুক্তি প্ৰমাণও উল্লেখ করেছি ৷ আল্লাহ্ব জন্য হহ্মেদ এবং
    তারই অনৃকস্পা ৷
    ইউনুস ইবন বুকায়র (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে আলী ইবন আবু তল্লি
    (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ণ্লাকেরড়া ইবরাহীমের মা মারিয়া সম্পর্কে তার এক জ্ঞাভি
    (চাচাত) তাই জনৈক কিবতীকে নিয়ে বেশ বিরুপ সমালোচনার যেতে উঠল ৷ এ কিবত্তী
    সংগে দখা-সক্ষোত করত এবং তার কাছে প্রায়ই যাতায়াত করত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) দ্দৌ ণ্রন্
    কে বললেনম্বু
    ল্যেকটিকে তার কাছে দেখতে গেলে তার গর্দান উড়িয়ে দোব ৷” আলী ( রা ) বললেন র্মী
    বললহ্বম ইয়া রাসুলাল্লাহশু আপনার হুকুমের ব্যাপারে-রক্ষা আপনি তামকে
    বব উত্তপ্ত লৌহ নদ্রড়ায় কিৎবড়া (আমি হব) উপস্থিত ব্যক্তি দুসরভে পার

    ব্যক্তি দেখে রাসুলুল্ল-হ (না) বললেন

    (তুমি হবে) উপস্থিত ব্যক্তি দেখতে পড়ায় যা অনুপস্থিত ব্যক্তি দেখে না” (নীতির অনুসারী) ৷
    আলী (বা) বললেন, আমি তরবারী কাধে ঝুলিয়ে এগিয়ে চললাম এবং সেখানে গিয়ে
    লোকটিকে তার কাছে দেখতে পেলাম ৷ আমি তরবারী কোষ যুক্ত করলে সে বুঝতে পারল যে,
    আমার লক্ষ্য সেই ৷ সে তখন দৌড়ে গিয়ে একটি খেজুর গাছে চড়ল এবং লাফ দিয়ে নিজেকে
    মাথার উপর দাড় করিয়ে দিয়ে দুই পড়া উর্ধে তুলে দিল ৷ লক্ষ্য করলাম, ল্যেকটির পুরুষড়াঙ্গ
    কর্তিত ও তার যে স্থানটি সমতল ৷ অর্থাৎ পুরুষের যা কিছু থাকে তার আ ৷দি অন্ত কিছুই তার
    কাছে নেই ৷ তখন আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে গিয়ে তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম ৷
    তিনি বললেন,৷ সব হামদ সে আল্লাহর যিনি আমাদের
    (নবী) পরিবার হতে (দুনমি ও অপবাদ) হটিয়ে দিলেন ৷” ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন,
    ইয়াহয়া ইবন সাঈদ (র) আলী (যা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া
    রাসুলাল্লাহ৷ আপনি যখন আমাকে পাঠাচ্ছেন তবে আমি উত্তপ্ত নৌহদণ্ডের ন্যায় হয় কিংবা
    উপস্থিত ব্যক্তি দেখতে পড়ায় যা অনুপস্থিত দেখে না? (অর্থাৎ চোখ ৰুজে আপনার হুকুম পালন
    করব নাকি যাচাই করা ?) ৷ তিনি বললেন, উপস্থিত দেখতে পড়ায় যা অনুপস্থিত দেখে না
    (অর্থাৎ যাচাই করে দেখবে)া আহমাদ (র) এর রিওয়ায়াত এরুপ স০ ক্ষেপিত ৷ আমাদের
    পুর্ব উদ্ধৃত হাদীসে মুল এটিই এবং এর সনদের রাবীগণ বিশ্বস্ত ৷ তাবারানী (র) বলেছেন,
    মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন খালিদ আল হা ৷ররানী (র) আনাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, মারিয়া (বা) ইব্রাহীম (রা) কে জন দেয়ার পর নবী করীম (সা) এর মান তার
    ব্যাপারে দ্বিধা সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷

    অবশেষে জিবরীল (আ) আগমন করলেন এবং বললেন, ণ্স্পেধো — — এ্যাং স্পো
    ইবরাহীমের পিতা৷ আপনাকে সালাম আবু নু আয়ম (র) বলেছেন, তা ৷বদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ
    আইশা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, যুকাওকিস নামে অভিহিত র্জ্যনক সেনাপতি ও রাজা
    মারিয়া নাম্বী এক কুমারী কিবতী রাজকন্যাকে উপহার পাঠালেন এবং তার মা গে তার এক যুবা
    বয়সী চাচাত ভাইকেও উপহারের অন্তর্ভুক্ত করে পাঠালেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার সংগে নিভৃ৩
    বাসে মিলিত হতেন ৷ একদিন গিয়ে তিনি দেখতে পেলেন যে, তিনি (ইবয়াহীমকে) গর্ভে ধারণ
    করেছেন ৷ আইশা (বা) বলেন, তার পর্ভ দৃশ্যমান হয়ে উঠল ৷ যে তাতে অস্থির হয়ে পড়ল ৷
    রাসুলুল্লাহ (সা) নিরবতা অবলম্বন করলেন ৷ পরে তার স্তনে দুধ হচ্ছিল না ৷ তখন তার জন্য
    একটি দুধেল মেষ খরিদ করা হল ৷ যা দিয়ে শিশুর খাদ্যের ব্যবস্থা করা হত ৷ তাতে তার দেহ
    সৃগঠিত হল এবং বর্ণও সুন্দর ও সুশ্ৰী হল ৷ একদিন সে সত্তানটিকে কাধে করে নবী করীম
    (না)-এর নিকট নিয়ে এল ৷ নবী করীম (সা) বললেন৷,এ আইশা
    ঢেহারার সাদৃশ্যতা দেখে কেমন মনে হচ্ছে ?’ তখন আমি এবং অন্যরা বললাম, বিশেষ কোন
    সাদৃশ্য দেখছি না ৷ ’ তিনি বললেন, ণ্১া৷৷ শ্বদ্বু আর দেহ ও গোশতের ব্যাপায়টিও নয় ? আমি
    বললাম, আমার জীবনের দোহ ই মেঘের দুধে প্ৰতিপালিত হলে তার পােশ ত তো সুন্দর
    হয়েই ৷

    ওয়া ৷কিদী (র) বলেন, পনের হিজরীর মুহাররাম মাসে মারিয়া (রা) ইনতিকাল করেন ৷
    উমর (বা) তার জানাযার সালাত আদায় করেন এবং তাকে বার্কীতে (পােরস্থানে) দাফন

    করেন (র)ও অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ৷ তবে খলীফা,
    আবু (র) বলেছেন, (বলে হিজরীতে তিনি ইনতিকাল
    করেন

    হ্বয়হনাে ৰিনত যারদ বনু নাষীর গোত্রীয়া এবং মতান্তরে
    রক্কিবী (র) বলেন, রড়ায়হানা ৰিনত যায়দ ছিলেন বনু নড়াবীর গোত্রের কেউ বলেছেন বনু কুরারজার ৷ ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, রড়ারহানা বিনত যারদ
    ছিলেন বনু নড়াবীর গোত্রের এবং তিনি এ গোত্রেই বিবাহিতা ছিলেন ৷ রা“সুলুল্লাহ (না) তাকে
    ক্তের কনদ্র বাছাই করে নিয়েছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সুন্দরী মহিলা ৷ রড়াসুলুল্লাহ (না) তাকে
    ইন্কহ্বম গ্রহণের প্রস্তাব দিলে তিনি ইয়াহুদী ধর্ম পরিত্যাগে অস্বীকৃত হন ৷ তংদ্দ রণ্সৃহুরর্ভহ
    (না) তাকে পরিত্যাগ করে রড়াখলেন এবং মনে মনে তার আচরন্বণ বথো শ্বপলেন পরে ইবন
    শু“বা (ছালাব) কে ডেকে পাঠিয়ে তার সংগে নবী কবীম (না) বিষয়টি আলোচনা করলেন ৷
    ইবন শুবা বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উত্সর্গিত ! লে ইসলাম গ্রহণ করবেই ৷
    তিনি তখন বের হয়ে গিয়ে ররহ্শ্নোর কাছে এবং তাকে বলতে লাগলেন, তুমি
    তোমার স্বগোত্রের অনুগামী হয়ে থেক না ৷ তুমি তো (সর্দার) হুয়ায় ইবন আখতার
    তাদের কি পরিণতিই না ঘটিয়েছে ৷ তাই, (আমার পরামর্শ হচ্ছে) তুমি ঘুসলমান হয়ে যাও ৷
    রাসুলুল্লাহ (সা) তোমাকে তীর একান্ত বদ্রক্তিগত করে নেবেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার
    সাহাবীদের মাঝে ছিলেন ৷ ইতোমধ্যে তিনি এক জোড়া চপ্পলের আওয়াজ শুনতে পেয়ে
    বললেন, অবশ্যই ইবন শুবার চপ্পলদ্বর ৷
    সে আমাকে রায়হানার ইসলাম গ্রহ ণর সৃসংবাদ দিতে আসছে ৷ তখনই ইবন শুবা এসে বলতে
    লাপলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহশু রায়হান) ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ ফলে নবী কবীম (সা) আনন্দিত
    হলেন ৷ ইবন ইলহাক (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু কুরড়ায়জাকে পরাজিত করার পরে
    বারহান৷ বিনত আমর ইবন খিনফোকে নিজের জন্য একান্ত করে নিলেন ৷ নবী কৰীম ( ন্দ্ব ) এর
    ওফাত পর্যন্ত তিনি তার নিকটে ভীরই মালি কা করার
    এবং পরে তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷

    কিন্তু তিনি ইয়াহুদী ধর্ম ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ এরপরে ইবন ইনহড়াক
    তার ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কিত পুর্বোক্ত বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, পরে
    রড়াসুলুল্লাহ (সা) র্তাকে উম্মুল মুনযির সালযা বিনত কারস (রা)এর বাড়ীতে পাঠিয়ে দিলেন ৷
    সেখানে অবস্থান কালে তার ঋতুস্রাব দেখা দেয় এবং এক বারের স্রারের পরে তিনি পবিত্রা হলে
    উম্মুল মুনযির (বা) এসে রাসুলুল্লাহ (না)-কে তা অবহিত করলেন ৷ নবী কবীম (সা) উম্মুল
    মুনযিরের বাড়িতে তার কাছে গিয়ে বললেন,

    “তোমার যদি পসন্দ হয় তার তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে আমি তোমাকে বিয়ে করি ৷ তবে
    আমি তাই করব ৷ আর যদি আমার মালিকানায় থাকা তোমার কাছে ভাল লাগে তার মালিকানা
    সুত্রে আমি তোমাকে ব্যবহার করব ৷ সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার দৃষ্টিতে আপনার জন্য

    এবং আমারও জন্য আপনার মালিকানাধীন থাকা অধিক নিবঞ্চিটি ও সহজ ৷ ফলে তিনি
    রাসুলুল্লাহ (সা)এর মালিকানাধীন ছিলেন এবং তার মৃত্যু পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত ছিল ৷
    ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, ইবন আবু থিব (র) আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে, আমি যুহয়ী
    (র) কে রড়ায়হনাে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন, তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (না)-এর
    বীদী ৷ পরে তিনি তাকে আমার করে দিয়ে দাম্পতা বন্ধনে আবদ্ধ করলেন ৷ ফলে তিনি তার
    পরিবারের মাঝেও পর্দা করে থাকতেন এবং বলতেন, রাসুলুল্লাহ (সা)এর পরে আর কেউ
    আমাকে দেখতে পারে না ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, হাদীসদ্বয়ের মাঝে এটিই আমাদের বিচারে
    অধিক প্রামাণ্য ৷ নবী কবীম (সা) এর পুর্বে তীর স্বামী ছিল হাকাম ৷

    ওয়াকিদী (র) বলেন, আসিম ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল হাকাম উমর ইবনুল হাকাম (র)
    থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) রড়ায়হানড়া বিনত মায়দ ইবন আমর ইবন
    খিনড়াফ কে আমাদ করে দিলেন ৷ তিনি তার স্বামীর কাছে ছিলেন এবং স্বামী ভীকে তালরানত
    এবং র্তার যথাযোগ্য কদর করত ৷ তাই তিনি বলেছিলেন, তার পরে কোন দিন আর কাউকে
    আমি তার স্থানে গ্রহণ করব না ৷ তিনি ছিলেন সৌন্দর্যের অধিকারিণী ৷ পরে বনু কুরায়জার
    নারীদের বন্দী করা হলে বন্দিনীদের রাসুলুল্লাহ (সা)এর সামনে উপস্থিত করা হল ৷ রায়হানড়া
    বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) এর সামনে যাদেরকে উপস্থিত করা হয় তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম ৷
    তার আদেশে আমাকে পৃথক করে রাখা হল ৷

    আর যে কোন ণণীমতে তার একান্ত কিছু অধিকার থাকত, আমাকে পৃথক করে
    রাখা হলে তিনি আমার ব্যাপারে আল্লাহর নিকট ইসতিখারা’ (কল্যাণবহ সিদ্ধান্ত কামনা)
    করলেন ৷

    পরে কিছু দিনের জন্য আমাকে উম্মুল মুনযির বিনত কারন (রা) এর বাড়িতে পাঠিয়ে
    দিলেন ৷ ইত্যবসরে তিনি পুরুষ বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিলেন এবং নারী বন্দীদের বাটোয়ারা করে
    দিলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (না) আমার কাছে আগমন করলে আমি লজ্জায় পাশে সরে রইলাম ৷
    তিনি আমাকে ডেকে তার সামনে বসালেন ৷ এবং বললেন,
    তুমি আল্লাহ এরয় রাসুলকে গ্রহণ করলে আল্লাহর রাসুল র্তার নিজের জন্য
    তোমাকে গ্রহণ করবেন ৷ আমি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে যুক্ত করে
    দিলেন এবং আমাকে শ্ৰীরুপে গ্রহণ করলেন ৷ তিনি আমাকে বারো উকিয়ার১ কিছু অধিক
    (সাড়ে বারো উরুিয়া ৫ :০ দিরহাম) মহর দিলেন ৷ যেমন তার অন্যান্য দ্রীদের দিতেন ৷
    তিনি উম্মুল যুনষির (রা)-এর বাড়িতে আমাকে নিয়ে বাসর উদযাপন করলেন ৷ তিনি নিজের
    শ্ৰীদের জন্য রাত্রি মাপনের পলো’ নির্ধারণ করতেন ৷ আমার জন্য পর্দার বিধান সাব্যস্ত
    করলেন ৷ রর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) র্তার প্ৰতি ষিমুগ্ধ ছিলেন এবং তিনি কোন কিছুর
    জন্য আবদার করলে নবী করীম (না) তা ত্তীকে দিয়ে দিতেন ৷ তাই র্তাকে বলা হয়, তুমি
    রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট বনু কুরড়ায়জার ব্যাপারে আবদার করলে তিনি অবশ্যই তাদের যুক্ত
    করে দিতেন ৷ এর জং!বে তিনি বলতেন, বন্দিনীদের বন্টন (এবং পুরুষ বন্দীদের হত্যা)

    ১ টৰিন্মা (আরবী) চল্লিশ দিরহাম এর সব পরিমাণ মুদ্রা ৷অনৃরাদক

    করার পরই তিনি আমার সংগে নিভৃতে মিলিত হয়েছিলেন ৷ নবী কবীম (সা) তীর সংগে নিভৃত
    বাস করতেন এবং প্রায়শ তা করতে তিনি নবী কবীম (সা) এর নিকটেই ছিলেন
    এবং অবশেষে বিদায় হজ্জ থেকে নবী কবীম (সা) এর প্ৰত্যাগমন কালে তার মৃত্যু হল ৷ নবী
    করিম (সা)৩ তাকে বাকী গোরস্তানে দাফন করলেন ৷ নবী কবীম (সা)৩ তাকে বিবাহ করেছিলেন
    হিজরতে ব ষষ্ঠ বর্ষে মুহাররম মাসে ৷

    ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, ইউনুস ইবন ইয়াবীদ (র) সুত্রে যুহবী (র) থেকে ৷ তিনি
    বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু কুরায়জার রায়হানাকে বীদী পত্নীরুপে গ্রহণ করলেন ৷ পরে জকে
    যুক্তি দিয়ে দিলে তিনি তার পরিবারপােরিজনের সং গে মিলিত হলেন ৷ আবু উবায়দ৷ মামার
    ইবনুল মুদান্ন৷ (র) বলেছেন, রায়হান৷ বিনত যায়দ ইবন শ ৷৷ম উন ছিলেন বনু নাবীর গোত্রের !
    আবার কারো মতে বনু কুরায়জা গোত্রের ৷ সাদাকার বাগানসঘুহের এক খেজুর বাগানে তিনি
    অবস্থান করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) মাঝে মধ্যে সেখানে মধ্যাহ্ন বিশ্রাম নিতেন ৷ শাওয়াল,
    চার হিজবীতে তিনি তাকে বন্দিনী রুপে পান ৷

    আবু বকর ইবন আবু খায়ছড়ামা (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর দুজন বীদী-পত্নী ছিলেন;
    মারিয়া কিবতীয়া ও রারহন্তো ৰিনত শামউন ইবন যায়দ ইবন থিনাদাকুরায়জার বনু আয়র-
    এর লোক ৷ প্রথমে তিনি যতদুর জানা যায়, র্তার চাচাত ভাই হাকাম এর শ্রী ছিলেন ৷ নবী
    কবীর (সা) এর ওফাতের আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল ৷ আবু উবায়দড়া মামার ইবনুল মুছান্না
    (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ র চার জন র্বাদী ছিলেন মারিয়া, কিবতিয়া, রায়হান৷ কুরাজী ,
    আর একজন বীদী ছিলেন জমীল৷ সুন্দবী ৷ নবী সহবযিণীগণ তার বিরুদ্ধে কৌশল অবলম্বন
    করলেন ৷ র্তীন্সের আশংকা ছিল যে, নবী কবীম (সা ) এ র উপর তিনি তাদের তুলনায় প্রাধান্য
    বিস্তার করে ফেলবেন এবং অন্য জন বীদী নফীসা ইা৷কে যায়নাব (রা) তাকে হিবা
    করেছিলেন ৷ (ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে) নবী কবীর (সা) সফিয়্যা বিনত হুয়ায় (রা)এর
    কারণে যায়নাব (রা)-া:ক পরিত্যাগ করে রেখেছিলেনন্যিলহজ্জ , ঘৃহাররম ও সফর মাস ৷ তার
    ওফাতের মাস রাবীউল আউয়াল শুরু হলে তিনি যায়নাব (বা) বললেন, আমি তেরে স্থির
    করতে পারছি না যে আপনাকে কি প্রতিদান দেব ? পরে এ বীদীটিরুক নবী কবীম (সা)কে
    হিব৷ করলেন ৷

    সায়ফ ইবন উমার (র) বলেছেন, সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (র৷ ) সুত্রে বর্ণনা
    করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) এক সময় মারিয়া ও রায়হানার জন্য (ত্রীদের প্রাপ্য)
    নির্ধারণ করতেন ৷ আবার কোন কোন সময় তাদের বাদ দিয়েও রাখতেন ৷ দ্বহ্বৃ
    বলেন, আবু মুহাম্মদ ইবন উমার আল ওরাকিদী (র) বলেন ররহ
    ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ৬ঘার ইবনুল খত্তেব (বা) ইইর

    রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্তান-নম্ভজ্যি বিবরন

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ নবী কবীম (সা)-এর বীদীগণের বিবরণ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.