নবুওয়াতের ইদ্রিয়ানুভুত প্রমাণসমুহ
এ জাতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ হল আলোকময় চদ্রের দ্বিখন্ডিত হওয়া ৷ আল্লাহ্ তা আলা বলেনং
“কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ৷ তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং
বলে, এ তো চিরাচরিত যাদু ৷ তারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে নিজ খেয়াল খুশির অনুসরণ করে,
আর প্রত্যেক ব্যাপারই লক্ষে পৌছবে ৷ তাদের নিকট এসেছে সুসং বাদ, যাতে আছে
সাবধানবাণী ৷ এ পরিপুর্ণ জ্ঞান, তবে এ সতকবািণী তাদের কোন উপকারে আসেনি” ( ৫৪
কামার৪ > সকল উলামা ও ইমামগর্ণ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা
সংঘটিত হয়েছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবদ্দশায় ৷ অকাট্য সুত্রে এ প্রসঙ্গে হাদীসসমুহ বর্ণিত
হয়েছে ৷
আনাস ইবন মালিকের রিওয়ায়াত
ইমাম আহমদ আবদুর রায্যাক আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
মক্কাবাসীরা নবী করীম (না)-এর কাছে একটা নিদর্শন চাইল, তখন মক্কায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত
হ্ওয়ার ঘটনা ঘটল ৷ আনাস (রা) তিলাওয়াত করলেন : ৷
“কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ৷ মুসলিম মুহাম্মদ ইবন রাফির সুত্রে এবৎ বুখারী
আবদুল্লাহ্ আবদুল ওয়াহ্হাব আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মক্কাবাসী
রা সুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে তাদেরকে একটি নিদর্শন দেখানোর দাবি করল ৷ তখন তিনি তাদের
দ্বিখণ্ডিত চন্দ্র দেখালেন, ফলে তারা হেরা পাহাড়কে চান্দ্রর দ্বিখণ্ডিত খণ্ডদ্বয়ের মাঝে দেখল ৷
বুখারী ও মুসলিম শ্ময়বানের হাদীস সংগ্রহ থেকে কাতাদা সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ ছাড়া মুসলিম শুবার হাদীস সংগ্রহ থেকে কাতাদা সুত্রে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷
জুবায়র ইবন মুত ইমের রিওয়ায়াত
ইমাম আহমদ, মুহাম্মদ ইবন কাহীর জুবায়র ইবন মুতইম সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবদ্দশায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত (দৃটুকরা) হল, এই পাহাড়ের
উ পর একাৎশৃ এবং ঐ পাহাড়ের উপর একাংশ ৷ তা দেখে মক্কার মুশরিকরা বলল, মুহাম্মদ
আমাদেরকে যাদু করেছে ৷ তখন তারা (এও) বলল,, আমাদেরকে ণ্ স যাদু করতে পারে; বিন্তু
অন্য ণ্লাকদেরতাে জাদু করতে পারবেনা ৷ হাদীসখানি ইমাম আহমদের একক বর্ণনা ৷ আর
ইবন জারীর ও রায়হাকীর রিওয়ায়াতে হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান থেকে তা একাধিক সুত্রে
বর্ণিত ৩হয়েছে ৷