১৬ আবুমালীল ইবন আযআর ইবন যায়দ আল-আওসী ৷
অনুচ্ছেদ : বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীবুদর সংখ্যা
বদর যুদ্ধে সর্বমোট মুসলিম মুজাহিদবুদর সংখ্যা ছিল তিনশ’ চৌদ্দ জন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) ও এ স খ্যার অন্তর্ভুক্ত ৷ যেমন ইমাম বুখারী বলেছেন আমর ইবন খালিদ বারা’ ইবন
আযিব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমার নিকট রাসুলুল্লাহ (সা)শ্এর সেই সাহাবা
বলেছেন যারা বদর যুদ্ধে উপস্থিত ছিবুলন যে তাদের স০ থ্যা ছিল তালুবুত তর সাথে জিহাদ
করতে যারা নদী অতিক্রম করেছিলেন, র্তাদের সমান ৷ আর তাদের সংখ্যা ছিল তিনশ দশের
কিছু বেশী ৷ বার৷ বলেন আল্লাহর কসম তালুবুতর সাথে মৃ ’মিন ছাড়া অন্য কউ নদী অতিক্রম
করতে পারেনি ৷ ইমাম বুখারী ইসরাঈল ও সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে ও বাবা (বা) থেকে অনুরুপ
হাদীছ বংনি৷ করেছেন ৷ ইবন জা ৷রীর বলেন, প্রাচীন আলিমবুদর নিকটাট ই সুপ্রসিদ্ধ যে, বদরী
মুসলমানদের স থ্যা তিনশ’ দশের কিছু বেশী ৷ তিনি আরও বলেন, মাহমুদ সুত্রে বারা’
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন বদর যুদ্ধের ব্যাপারে আমি ও ইবন উমর ছোট হিসেবে গণ্য হই ৷
ঐ যুদ্ধে মুহাজিরদের সংখ্যা ছিল ষাট এর কিছু বেশী এবং আনসারবুদর সংখ্যা ছিল দৃইশ’
চল্লিবুশর কিছু বেশী ৷ এ বংনাি ছাড় ডাইবন জা ৷রীর মুহাম্মদ ইবন উবায়দ সুত্রে ইবন আব্বাস
(রা) থেকে আরও একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি ববুলন৪ বদর যুদ্ধে যুহাজিরবুদর স০ থ্যা
ছিল সত্তর জন ৷ আর আনসারদের স০ খ্যা ছিল দুইশ ছত্রিশ জন ৷ রাসুলুল্লাহ্র পক্ষে ঝাণ্ডা
বহনকা ৷রী ছিলেন হযরত আলী ইবন আবু৩৷ লিতাব ৷ আ র আনসারবুদর ঝাণ্ডার দায়ি তৃ ছিল সাআদ
ইবন উবাদার উপর ৷ এ বর্ণনা মত বদরী সাহাবীগবুণর স০ থ্যা দাড়ায় তিনশ ছয় জন ৷ ইবন
জারীর বলেন, কারও কারও বর্ণনায় এসেছে তিনশ সাত জন ৷
আমি বলি, একদল রাসুলুল্লাহ্বুক যোদ্ধাবুদর মধ্যে গণ্য করে বলেছেন তিনশ’ সাত জন ৷
অন্যান্য দল র্তাকে গণ্য না করে বলেছেন তিনশ’ ছয় জন ৷ ইবন ইসহাবুকর উদ্ধৃতি দিয়ে
আগেই বলা হয়েছে যে, মুহাজিরদের সংখ্যা ছিল তিরাশি জন ৷ আওসের একষট্টি এবং
খাযরাজের একশ সত্তর জন ৷ এই স০ খ্যা ইমাম বুখারী উল্লিখিত স০ খ্যা ও ইবন আব্বাবুসর
বর্ণিত স০ খ্যা থেকে ভিন্ন ৷ বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত আনাসকে জিজ্ঞেস করা হল,
আপনি কি বদর যুদ্ধে উপ তছিবুলন ? তিনি বললেন,৩ তাহলে আমি কোথায় অনুপস্থিত
ছিলাম ?
যারা বদর যুদ্ধে না গিয়েও গনীমত পেয়েছিলেন
বদরী সাহাবীবুদর তালিকায় এমন কতিপয় লোকের নাম আছে, যারা কোন না কোন
যুক্তিসঙ্গত ওযবুরর কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হবুত পারেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের ওযর
গ্রহণ করেছেন এবং গনীমবুতর অংশ প্রদান করেছেন ৷ ইবন ইসহাক এ ধরনের লোকদের নাম
বাছাই কবুরবুছন যাদের স০ খ্যা আ ৷ট কি নয় জন ৷
৬৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
উছমান ইবন আফ্ফান : তিনি তীর শ্রী ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কন্যা হযরত রুকাইয়ার
বোপাক্রান্ত হওয়ার কারণে যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার প্রদান করেন ৷
সাঈদ ইবন যায়দ ইবন আসর ইবন নুফায়ল : যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন সিরিয়ার ৷ সেখান
থেকে আসার পর তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷
তালহ৷ ইবন উবায়দুল্লাহ্ : তিনিও যুদ্ধের সময় সিরিয়ায় ছিলেন ৷ ভীকেও গনীমতের ভাগ
ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷
আবু যুবাবা বশলীর ইবন আবদুল মুনযির : রাওহা নামক ন্থাশ্চে পৌছার পর রাসুলুল্পাহ্
জানতে পারলেন যে, মক্কা থেকে সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের উদ্দেশ্যে এদিকে রওনা হয়েছে ৷
তখন তিনি সেখান থেকে তালহাকে মদীনায় শাসনভার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন ৷
রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) তাকে গনীমতের অংশ দেন এবং যুদ্ধের পুরঙ্কারও দেন ৷
হারিছ ইবন হাতির ইবন উবায়দ ইবন উমাইয়৷ : ভীকেও রাসুলুল্লাহ্ (সা ) পথ থেকে
ফিরিয়ে দেন ৷ পরে তাকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয় ৷
হারিছ ইবন সাম্মা : রাওহা নামক স্থানে পৌছলে তার পা ভেঙ্গে যায় ৷ ফলে তিনি সেখান
থেকে ফিরে আসেন ৷ র্তাকে গনীমতের ভাগ দেয়৷ হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন, তাকে পুরস্কারও
দেয়৷ হয় ৷
খাওয়াত ইবন জুবায়র : তিনিও যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন না ৷ কিন্তু তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার দেয়া হয় ৷
আবুসৃ সাবাহ্ ইবন ছাবিত : তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে যুদ্ধের জন্যে বের হন ৷ পথে
তীর পায়ের নলায় একটা পাথরের আঘাত লাগে ৷ তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভীকে গনীমতের অংশ ও পুরস্কার দান করেন ৷
ওয়াকিদীর মতে সাআদ আবু মালিক ও এর মধ্যে একজন ৷ যুদ্ধে গমনের জন্যে তিনি প্রস্তুতি
নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু হঠাৎ মারা যান ৷ কারও মতে তিনি রাওহড়ায় মারা যান ৷ র্তাকে গনীমতের
অংশ ও পুরস্কার দেয়৷ হয় ৷
বদর যুদ্ধে র্যারা শহীদ হয়েছিলেন
বদর যুদ্ধে মোট চৌদ্দ জন মুসলমান শহীদ হন ৷ তাদের মধ্যে মুহাজির ছিলেন ছয় জন :
উবায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিব ৷ যুদ্ধে তার পা কাটা যায় ৷ এরপর সাফরা নামক স্থানে
পৌছে তিনি মারা যান ৷
উমায়র ইবন আবু ওয়াক্কাস যুহ্রী ৷ তিনি সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের ভাই ছিলেন ৷
আস ইবন সাঈদ তাকে হত্যা করে ৷ সে সময় তার বয়স হয়েছিল ষোল বছর ৷ কথিত
আছে, বয়স কম হওয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে পথ থেকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ