Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ২ » হযরত উযাৱ (আ) এর বর্ণনা

হযরত উযাৱ (আ) এর বর্ণনা

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • হযরত উযায়র (আ)-এর বর্ণনা

    ইবন আসাকির হযরত উযায়র (আ) এর পুর্ব পুরুষদের বংশলতিকা নিম্নরুপ বর্ণনা
    করেছেন : উযায়র ইবন জ বওয ৷(ভিন্নমতে সুরীক) ইবন আাদয়৷ ইবন আইয়ুব ইবন দারযিনা
    ইবন আরী ইবন তাকী ইবন উসব ইবন ফিনহাস ইবনৃল আবির ইবন হারুন ইবন ইমরান ৷
    কারও কারও বর্ণনায় উযায়র (আ)-এর পিতার নাম বলা হয়েছে সারুখ৷ ৷ কোন কোন
    ঐতিহাসিকের মতে উযায়র (আ)-এর কবর দামিশকে অবস্থিত ৷ ইবন আসাকির ইবন
    আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন, আমার জানা নেই, ঝর্ণাট৷ বি
    বিক্রি হয়েছে না বিক্রি হয়নি, আর উযায়র কি নবী ছিলেন নাকি নবী ছিলেন না ৷ আবু
    হুরায়রা (রা) থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইসহাক ইবন বিশর ইবন আব্বাস (রা ) থেকে
    বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বুখত নসর যাদেরকে বন্দী করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে উযায়রও
    ছিলেন ৷ তখন তিনি ছিলেন একজন কিশোর ৷ যখন তিনি চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হন তখন
    আল্লাহ তাকে হিকমত (নবুওত) দান করেন ৷ তাওরাত কিতাবে তার চাইতে ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন
    পন্ডিত আর কেউ ছিল না ৷ অন্যান্য নবীদের সাথে৩ তাকেও নবী হিসেবে উল্লেখ করা হত ৷ কিন্তু
    যখন তিনি আল্লাহর নিকট তার ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন তখন তার নবুওত প্রত্যাহার করে
    (নয়৷ হয় ৷ কিভু এ বর্ণনাটি দুর্বল ৷ সুত্র পরম্পর৷ বিচ্ছিন্ন ও অগ্নহণযোগ্য ৷

    ইসহাক ইবন বিশর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, উযায়র
    হলেন আল্লাহর সেই বান্দা, র্যাকে তিনি একশ বছর মৃত অবস্থায় রেখে পুনরায় জীবিত
    করেছিলেন ৷ ইসহাক ইবন বিশর বলেন, বিভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) ৷;থকে বর্ণনা করেছেন
    যে উযায়র ছিলেন একজন জ্ঞানী ও পুণ্যবান লোক ৷ একদা তিনি তার (ক্ষত খামার ও
    বাগ বাগিচ৷ দেখার জন্যে ঘর থেকে বের হন ৷ সেখান থেকে প্রত্যাব৩ নকালে দ্বিপ্রহরের সময়
    একটা বিধ্বস্ত বাড়িতে বিশ্রাম নেন ৷ তবে বাহন গাধার পিঠ থেকে নিচে অবতরণ করেন ৷ তার
    সাথে একটি ঝুড়িতে ছিল ডুমুর এবং অন একটি ঝুড়িতে ছিল আঙ্গুর ৷ খাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি
    একটি ;পয়ালায় আব্দুর নিংড়িয়ে রস বের করেন এবং শুকনো রুটি তাতে ভিজিয়ে রাখেন ৷
    রুটি উক্ত বসে তালরুপে ভিজে গেলে খাবেন এই সময়ের মধ্যে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে কিছু
    সময়ের জন্যে চিত হয়ে ওরে পড়েন এবং পাদ খান৷ দেয়ালের সাথে লাগিয়ে দেন ৷ এ অবস্থায়
    তিনি বিধ্বস্ত ঘরগুলাের প্ৰতি লক্ষ্য করলেন যার অধিবাসীরাও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ তিনি
    অনেকগুলো পুরাতন হাড় দেখতে পেয়ে মনে মনে ভাবলেন মৃত্যুর পর আল্লাহ কিরুপে
    এগুলোকে জীবিত করবেন? আল্লাহ যে জীবিত করবেন, এতে তার আ৷:দা কোন সন্দেহ ছিল
    না ৷ এ কথাটি তিনি কেবল অবাক বিস্ময়ের সাথে ভেবেছিলেন ৷ অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর
    ফেরেশতাকে পাঠিয়ে তবেঃ রুহ কবজ করলে এবং একশ বছর পর্যন্ত মৃত অবস্থায় রেখে দেন ৷

    একশ’ বছর পুর্ণ হলে আল্লাহ উযায়রের নিকট ৫ফরেশত ৷ পাঠিয়ে দেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ে বনী
    ইসরাঈলের মধ্যে অনেক পরিবর্ত ন সাধিত হয়ে গিয়েছিল এবং তার ধর্মের মধ্যে অনেক
    বিদআতে তর প্রচলন করেছিল ৷ যা হোক ফেরেশ৩ ৷ এসে উযায়রের কালর ও চক্ষুদ্বয় জীবিত
    করলেন, যাতে কিভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করবেন তা স্বচক্ষে দেখেন ও অন্তর দিয়ে
    উপলব্ধি করেন ৷ এরপর ফেরেশত৷ উযায়রের বিক্ষিপ্ত হাড়গুলে৷ একত্রিত করে তাতে গোশত
    লাগালেন, চুল পশম যথাস্থানে স০ যুক্ত করলেন এবং চামড়া দ্বারা সম ম্ভ শরীর আবৃত করলেন ৷
    সবশেষে তার মধ্যে রুহ প্রবেশ করালেন ৷ তার দেহ এভাবে তৈরি হচ্ছে৩ তা তিনি প্রত্যক্ষ
    করছিলেন এবং অন্তর দিয়ে আল্লাহর কুদরত উপলব্ধি করছিলেন ৷ উযায়র উঠে বললেন ৷
    ফেরেশত৷ জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এ অবস্থায় কতদিন অবস্থান করলেন ? তিনি বললেন, এক
    দিন অথবা এক দিনেরও কিছু কম ৷ ’ এরুপ বলার কারণ হল তিনি দ্বিপ্রহরে দিনের প্রথম ভাগে
    শুয়েছিলেন এবং সুর্যাস্তের পুর্বে উঠেছিলেন ৷৩ তাই বললেন, দিনের কিছু অংশ, পুর্ণ দিন নয় ৷
    ফেরেশত৷ জানালেন, না, বরং আপনি একশ’ বছর এভাবে অবস্থান করেছেন ৷ আপনার খাদ্য
    সামগ্রী ও পানীয় বস্তুর প্রতি ৩লক্ষ্য করুন! এখানে খাদ্য বলতে তার শুকন৷ রুটি এর০ পানীয়

    বলতে পেয়ালার মধ্যে আব্দুর নিংড়ানে৷ রস বুঝানো হয়েছে ৷ দেখা গেল এ দুটির একটিও নষ্ট
    হয়নি ৷ রুটি শুকন৷ আছে এর০ রস অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে ৷

    কুরআনে একেই বলা হয়েছে রষ্৷ ণ্ অর্থাৎ তা অবিকৃত রয়েছে ৷ রুচি ও রসের মত
    তার আব্দুর এর০ ডুমুরও ট টক ৷রয়েছে ৷ এর কিছুই নষ্ট হয়নি ৷ উযায়র ফেরেশতার মুখে
    একশ বছর অবস্থানের কথা শুনে এবং খাদ্যদ্রব্য অবিকৃত দেখে দ্বিধা-দ্বত্তন্দুর মধ্যে পড়ে যান,
    যেন ফেরেশতার কথা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না ৷৩ তাই ফেরেশত৷ তাকে বললেন, আপনি
    আমার কথায় সন্দেহ করছেন, তা হলে আপনার গাধাটির প্রতি লক্ষ্য করুন ৷ উযায়র লক্ষ্য করে
    দেখলেন যে, তার গাধাটি মরে পচে গলে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৷ হাড়গুলো পুরাতন হয়ে
    যত্রতত্র বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ অতঃপর ফেরেশত৷ হাড়গুলোকে আহ্বান করলেন ৷ সঙ্গে
    সঙ্গে হাড়গুলো চতুর্কিংৰু থেকে এসে একত্রিত হয়ে গেল এবং ফেরেশত৷ সেগুলো পরস্পরের
    সাথে স০ যুক্ত করে দিলেন ৷ উযায়র তা তাকিয়ে দেখছিলেন ৷ তারপর ফেরেশত৷ উক্ত কৎকালে
    রগ, শির ৷-উপশ্যিরা সৎঙ্গু য়োজন করেছেন ৷ গোশত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং চামড়া ও পশম
    দ্বারা তা আবৃত করেন ৷ সবশেষে তার মধ্যে রুহ প্রবেশ করার ৷ ফলে গাধাটি মাথা ও কান
    খাড়া করে সাড়া ল এর০ কিয়ামতঅ আরম্ভ হয়ে গিয়েছে ভেবে চীৎকার করতে লাগল ৷

    আল্লাহ্র বাণী :

    এবং তোমার গাধাটির প্রতি লক্ষ্য কর; কারণ তোমাকে মানব জ তির জন্যে নিদর্শনস্বরুপ
    করব ৷ আর অন্থিগুল্যের প্রতি লক্ষ্য কর, কিভাবে সেগুলোকে সংযোজিত করি এবং গোশত দ্বারা
    ঢেকে দেই ৷ (২ : ২৫৯) ৷

    অর্থাৎ তোমার পাবার বিক্ষিপ্ত হাড়গুলাের প্ৰতি লক্ষ্য কর ৷ কিভাবে সেগুলোকে গ্রন্থিতে
    গ্রন্থিতে সংযোজন করা হয় ৷ যখন গোশতবিহীন হাড়েব কংকাল তৈরি হল তখন বলা হল,
    এবার লক্ষ্য কর, কিভাবে আমি এ কংকালকে গোশত দ্বারা আচ্ছাদিত করি ৷ যখন তার নিকট এ
    বিষয়টি সু ম্পৃষ্ট হয়ে গেল তখন তিনি বলে উঠলেন, আমি জানি যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে
    সর্বশক্তিমান ৷ মৃতকে জীবিত করড়াসহ যে কোন কাজ করতে তিনি সম্পুর্ণ সক্ষম ৷

    অতঃপর উযায়ব (আ) উক্ত গাধার পিঠে আরোহণ করে নিজ এলাকায় চলে যান ৷ কিন্তু
    সেখানে কোন ল্যেকই তিনি চিনতে পারছেন না; আর তাকেও দেখে কেউ চিনতে পারছে না ৷
    নিজের বাড়ি-ঘরও তিনি সঠিকভাবে চিনে উঠতে পারছিলেন না ৷ অবশেষে ধারণার বশে নিজের
    মনে করে এক বাড়িতে উঠলেন ৷ সেখানে অন্ধ ও পঙ্গু এক বৃদ্ধাকে পেলেন ৷ তার বয়স ছিল
    একশ বিশ বছর ৷ এই বৃদ্ধা ছিল উযায়ব পরিবারের দাসী ৷ একশ’ বছর পুর্বে তিনি যখন বাড়ি
    থেকে বের হয়ে যান, তখন এই বৃদ্ধার বয়স ছিল বিশ বছর এবং উযায়রকে সে চিনত ৷ বৃদ্ধ
    বয়সে উপনীত হলে সে অন্ধ ও পঙ্গু হয়ে যায় ৷ উযায়ব জিজ্ঞেস করলেন, হে বৃদ্ধ৷ ! এটা কি
    উযায়রের বাড়ি? বৃদ্ধা বলল, হীা, এটা উযায়রের বাড়ি ৷ বৃদ্ধা মহিলাটি কেদে ফেলল এবং
    বলল, এতগুলো বছর কেটে গেল, কেউ তার নামটি উচ্চারণও করে না, সবাই তাকে ভুলে
    গিয়েছে ৷ উযায়ব নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, আমিই সেই উযায়ব ৷ আল্লাহ আমাকে একশ
    বছর মৃত অবস্থায় রেখে পুনরায় জীবিত করেছেন ৷ বৃদ্ধা বলল, কী আশ্চর্য ! আমরাও তো
    তাকে একশ বছর পর্যন্ত পাচ্ছি না, সবাই তার নাম ভুলে গিয়েছে, কেউ তাকে স্মরণ করে না ৷
    তিনি বললেন, আমিই সেই উযায়ব ৷ বৃদ্ধা বলল, আপনি যদি সত্যিই উযায়ব হন, তা হলে
    উযায়রের দোয়া আল্লাহ কবুল করতেন ৷ কোন রােগী বা বিপদগ্নস্তের জন্যে দোয়া করলে আল্লাহ
    তাকে নিরাময় করতেন এবং বিপদ থেকে মুক্তি দিতেন ৷ সুতরাং আপনি আমার জন্যে দোয়া
    করুন, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলে আপনাকে দেখব এবং আপনি উযায়ব হলে আমি
    চিনব ৷ তখন উযায়ব দোয়া করলেন এবং বৃদ্ধার চোখে হাত বুলিয়ে দিলেন ৷ এতে তার অন্ধতৃ
    দুর হয়ে গেল ৷

    তারপর তিনি বৃদ্ধার হাত ধরে বললেন, আল্লাহর হুকুমে তুমি উঠে র্দাড়াও ৷ সাথে সাথে
    তার পঙ্গুতু বিদুরিত হল, যে লোকের মত উঠে দীড়ালাে ৷ মনে হল যে বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ
    করেছে ৷ তারপর উযায়রের দিকে তাকিয়ে দেখে বলে উঠল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনিই
    উযায়ব ৷ এরপর ঐ বৃদ্ধা রনী ইসরাঈলের মহল্লায় চলে গেল ৷ দেখল, তারা এক আসবে
    জমায়েত হয়েছে ৷ সে আসবে উযায়রের এক বৃদ্ধ পুত্রও উপ ত ছিল, বয়স একশ আঠার
    বছর ৷ শুধু তাই না, পুত্রদেব পুত্ররাও তথায় উপ ত ছিল, তারাও আজ প্রোঢ় ৷ বৃদ্ধা মহিলা এক
    পার্শে দাড়িয়ে মজলিন্সের লোকদেরকে ডেকে বলল, উযায়ব তোমাদের মাঝে আবার ফিরে
    এসেছেন ৷ কিন্তু বৃদ্ধার এ কথা তারা হেসে উড়িয়ে দিল ৷ তারা বলল, তুমি মিথুব্রক ৷ বৃদ্ধা
    নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, আমি অমুক, তোমাদের বাড়ির দাসী ৷ উযায়ব এসে আমার জন্যে
    আল্লাহর নিকট দোয়া করেছেন ৷ তিনি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং পঙ্গু পা সুস্থ
    করে দিয়েছেন ৷ উযায়ব বলেছেন, আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত অবস্থায় রেখে আবার জীবিত

    করে দিয়েছেন ৷ এ কথা শোনার পর লোকজন উঠে উযায়রের বাড়িতে গেল এবং তাকে ভাল
    করে দেখল ৷ উযায়রের বৃদ্ধ পুত্র বলল, আমার পিতার দুই র্কাধের মাঝে একটি কলে তিল
    ছিল ৷ সুতরাং সে কাধের কাপড় উঠিয়ে তিল দোখ তাকে চিনতে থাকা এবং বলল ইনিই
    আমার পিতা উযায়র ৷ তখন বনী ইসর৷ ঈলের লোকজন উযায়রকে বলল, আমরা শুনেছি আপনি
    ব্যতীত অন্য কোন লোকের তাওরাত কিতাব মুখস্থ ছিল না ৷ এ দিকে বুখত নসর এসে লিখিত
    তাওরাতের সমস্ত কপি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে ৷ একটি অংশ ও অবশিষ্ট নেই ৷ সুতরাং আপনি
    আমাদের জন্যে একখান৷ তাওরাত লিখে দিন ৷ বুখৃত নসরের আক্রমণকালে উযায়রের পিতা
    সারুখ৷ তাওরাতের একটি কপি মাটির নিচে পুতে রেখেছিলেন ৷ কািন্তু ;সই স্থানটি কো ৷থায়
    উযায়র ব্যতীত আর কেউ তা জানত ন৷ ৷ সুতরাং র্তিনি৷ উপস্থিত সো ব দেরকে সাথে নিয়ে :সই
    স্থানে গেলেন এবং মাটি খুড়ে তাওরাতেব কপি বের করলেন ষ্ কিভু এতদিনে ত ৷ওরাতের
    পাতাগুলো নষ্ট হয়ে সমস্ত লেখা মুছে গিয়েছে ৷ এরপর তিমি একটি বৃক্ষের নিচে গিয়ে
    বসলেন, বনী ইসরাঈলের লোকজনও তার পাশে ৷গিয়ে ঘিরে রুম্ভ্রু৷ ৷ কিছুক্ষাণর মধ্যে
    আকাশ থেকে দু’টি নক্ষত্র এসেত র পেটের মধ্যে প্রবেশ করল দু এতে গোটা তাওরাত
    কিতাব তার স্মৃতিতে ভেসে উঠলে৷ ৷ তখন বনী ইসরাঈলের জন্যে তিনি নতুনভাবে তাওরাত
    লিখে দিলেন ৷ এ সবের জন্যে অর্থাৎ নক্ষত্রদ্বয়ের অবতরণ ও কার্যক্রম, তাওরাত কিতাব
    নতুনভাবে লিখন ও বনী ইসরাঈলের নেতৃত্ব গ্রহণের কারণে ইহ্রদীপণ উযায়রকে আল্লাহ্ব পুত্র
    হিসেবে আখ্যায়িত করে ৷ উযায়র হিযকীল নবীর সাওয়াদ এলাকায় অবস্থিত আশ্রমে বসে
    তাওরাত কিতাবের পুনর্লিখন কাজসম্পন্ন করেছিলেন ৷ যে নগরীতে তিনি ইনতিকাল
    করেছিলেনত ৷র নাম সাইরাবায ( ১ ৷; ৷ ) ৷) ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেন এ প্রসঙ্গে আল্লাহর
    বাণীং : (৫তামাকে আমি মানব জাতির জন্যে নিদর্শন বানাবার
    উদ্দেশ্যে এরুপ করেছি) মানব জাতি বলতে এখানে বনী ইসরাঈলকে বুঝানো হয়েছে ৷ কেননা
    উযায়রত ৷র পুত্রদের মাঝে অবস্থান করছিলেন ৷ অথচ পুত্রপ ৷ণ সবাই ছিল বৃদ্ধ আর তিনি
    অবশ্য যুবক ৷ এর কারণ, যখন ত ব মৃত্যু হয় তখন বয়স ছিল চল্লিশ ৷বছর ৷ একশ বছর পর
    আল্লাহ যখন তাকে জীবিত করলেন তখন (প্রথম) মৃত ত্যুকালের যৌবন অবস্থার উপরেই জীবিত
    করেছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেছেন, বুখৃত নসরের ঘটনার পরে উযায়র পুনর্জীবিত
    হয়েছিলেন হাসানও এ একই মত তপ্ৰকাশ করেছেন ৷ আবু হাতিম সিজিসতানী ইবন আব্বাসেব
    বক্তব্যকে কবিতা আকারে নিম্নলিখিত৩ ৩াবে রুপ দিয়েছেন ৷

    অর্থ : তার (উযায়রের) মাথার চুল কালই আছে, কিন্তু এর পুর্বেই তার পুত্র ও পৌত্রের চুল
    থেকে সাদা হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ বড় তো তিনিই ৷
    তার পুত্রকে দেখা যায় বৃদ্ধ–লাঠির উপর ভর দিয়ে চলাফের৷ করে; অথচ পিতার দাড়ি
    এখনও রয়েছে কাল এবং মাথার চুল লাল-খয়েরি ৷

    পুত্রের দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে সে যখন র্দাড়াতে ও হাটতে চায়
    তখন ছোট শিশুর ন্যায় আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় ৷

    সমাজের লোক জানে, তার (উযায়রের) পুত্র নব্বই বছর পর্যন্ত তাদের মাঝে চলাফেরা
    করেছে ৷ কিভু বিশ বছর হল ভালরুপে চলতে ফিরতে পারছে না ৷

    পিত ৷র বয়স চল্লিশ বছর, আর পুত্রের বয়স নব্বই বছর অতিক্রম করেছে এএমন একটি
    বিষয় যা তে তামর৷ বুদ্ধি থাকলে তুমি অনুধাবন করতে পারবে ৷ আর যদি এর মম অনুধাবন
    করতে ব্যর্থ হও তা হলে তোমার অজ্ঞতা ক্ষমাহ ৷

    পরিচ্ছেদ

    প্রসিদ্ধ মতে উযায়র (আ) ছিলেন বুনী ইসরাঈলদের অন্যতম নবী৷ তিনি দা উদ ও
    সুলায়মান এবং যাকাবিয়াও ইয়াহ্য়৷ (আ) এর মধ্যবর্তী সময়ে আবির্ভুত হন ৷ কথিত আছে
    বনী ইসরাঈলের মধ্যে কারও নিকট যখন তাওরাত তার সংরক্ষিত ছিল না ৷ তখন উমায়ব;রর
    স্মৃতিপটে আল্লাহ তাওরাত কিতাব জাগরুক করে দেন এবং বনী ইসরাঈলকে তিনি তা পড়ে
    শুনান ৷ এ সম্পর্কে ওহাব ইবন মুনাব্বিহ (র) বলেছেন, আল্লাহর নির্দেশে একজন ফেরেশতা
    একটি নুরের চামচ নিয়ে আসেন এবং উযায়রের মুখের মধ্যে তা ঢেলে দেন ৷ অতঃপর তিনি
    তাওরাতের হুবহু একটি কপি লিখে দেন ৷ ইবন আসাকির লিখেছেন, ইবন তা৷ব্বাস (বা ) একদা
    আবদুল্লাহ ইবন সালামের নিকট নিম্নোক্ত আয়াত ৩টি ৰুএে ৷ ; ৷ , ,: এ্ ধ্ট্রু এ ৷ ;;াএেন্এ
    (ইহুদীর৷ উযায়রকে আল্লাহ্র পুত্র বলে থাকে) উল্লেখ পুর্বক জিজ্ঞেস করেন যে, তাকে আল্লাহর
    পুত্র বলার কারণ কিং উত্তরে আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) বললেন বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক
    সময়ে তাওরাত কণ্ঠস্থুকারী একজন লােকও ছিল না ৷৩ তারা বলত, নবী মুসাও ত ৷ওরাত লিখিত
    আকারে ছাড়া আমাদেরকে দিতে পারেন নি ৷ অথচ উযায়র নিজের স্মৃতি থেকে তালিখিত
    তাওরাত আমাদেরকে দিয়েছেন ৷ তার এ বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে বনী ইসরাঈলের একদল
    লোক তাকে আল্লাহর পুত্র বলে আখ্যায়িত করে ৷ এ কারণে অধিকাংশ আলিম বলেছেন
    তাওরাত কিতাবের ধারাবাহিকতা উযায়রের সময়ে শেষ হয়ে যায় ৷ তিনি যদি নবী না হয়ে
    থাকেন, তা হলে এ মন্তব্যটি খুবই প্ৰণিধানযোপ্য ৷ আতা ইবন আবী রাবাহ এবং হাসান বসরী ও
    এরুপ মন্তব্য করেছেন ৷

    ইসহাক ইবন বিশর বিভিন্ন সুত্রে আ৩া ইবন আবী রাবাহ্ থেকে বংনাি করেছেন যে

    ফাতরাত (শেষ নবী ও ঈসা (আ)-এর মধ্যবর্তী বিরতিকাল) যুগের নয়টি বিষয় খুবই
    উল্লেখযোগ্য, যথা ং বুখৃত নসর, সানআর উদ্যান১ সাবার উদ্যান২, আস্হাবুল-উখৃদুদ৩, হাসুরার
    ঘটনা, আসহাবুল ক হয়ন্ ,আসহাবুল ফীল৫ ,ইনতাকিয়া৬ নগরী ও তুব্বার ঘটনা৭

    ইসহাক ইবন বিশৃর হাসান থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়র ও বুখৃত নসরের ঘটনা
    ফাতরাতকালে সংঘটিত হয় ৷ সহীহ্ হাদীছে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, মবিয়ম পুত্র
    (ঈসা)-এর নিকটবর্তী লোক আমিই ৷ কেননা আমার ও তার মাঝে অন্য কোন নবী নেই ৷

    হার ইবন মুনাব্বিহ লিখেছেন, উয়ায়রের আগমন হয়েছিল সুলায়মান ও ঈসা
    (আ)ও এর মধ্যবর্তী সময়ে ৷ ইবন আসাকির আনাস ইবন মালিক ও আ৩া ইববৃসৃ স ইব
    থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়রের আগমন হয়েছিল হযরত স্কৃ না ইবন ইমরান (আ)-এর
    য়ামানায় ৷ একদা তিনি আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্যে মুসা (আ)-এর
    নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু মুসা (আ) সে অনুমতি দেননি ৷ এই ক্ষোভে তিনি
    সেখান থেকে চলে আসেন এবং বলেন : এক মুহুর্তের লান্থনার তুলনায় শতরার মৃত্যুবরণ

    ১ সানআর বাগিচাদ্ভ সুরা সাবায় উল্লিখিত ইয়ামনের রাজধানী সানআর ঐতিহাসিক বাগিচা ৷ আল্লাহর নাফরমানির
    কারণে তা ধ্বংস হয়ে যায় ৷

    ২ সাবার উদ্যানদ্ভ সাবা ইয়ামানের এক বিখ্যাত পুরুষের নাম ৷ তার ছয় পুত্র ইয়ামানে ও চার পুত্র সিরিয়ার বসবাস
    করত ৷ ইয়ামানের রাজধানী সানআ থেকে ৬০ মাইল পুর্বে মাআরিব নগরীতে ছিল যারা জাতির বসতি ৷ নগরীর
    দৃ’প্রান্তে ছিল দৃই পাহাড় ৷ পাহাড়ের ঢলের পানি রোধে দৃ পাহাড়ের মধ্যে বিরাট বাধ দেয়া হয় ৷ উক্ত ৰ্বাধের দৃ’পাশে
    বিশাল উদ্যান গড়ে উঠে ৷ ফলে এই জাতি ধনেঐশ্বর্যে অনাবিপ্স শাস্তিতে বাস করে ৷ কিণ্ডু আল্লাহকে ভুলে যেয়ে তারা
    মুর্তি পুজায় লিপ্ত হয় ৷ তাদের শাস্তির জন্যে আল্লাহ ইদুর দ্বারা ৰ্বাধের নিম্নদেশ কেটে দিয়ে পাহাড়ী ঢল না বা ৰ্বাধ
    ভেঙে দেন ৷ এতে উদ্যানসহ সমস্ত বসতি ধ্বংস হয়ে যায় ৷ (এটা ঈসা (আ ) এর আবির্ভাবের পরের ঘটনা) ৷

    ৩ আসহাবুশ উথুদৃদও অর্থাৎ অগ্নিকুন্ডের জন্যে কুখ্যাত শাসকবর্গ ৷ ইয়ামানেব হিময়ারী বাদশাহ আবু কারিরা ইহ্রদী
    ধর্ম গ্রহণ করে নিজ দেশে প্রচার করে ৷ তার পুত্র যু-নুওয়াস ঈসায়ী ধর্মের প্রাগকেন্দ্র নাজরান আক্রমণ করে
    ঈসরাঈলীদেরকে ইহ্রদী ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে ৷ তারা এতে আীকৃতি জানালে প্রায় বিশ হাজার লোককে
    অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে হত্যা করে ৷ এর প্রতিশোধে রোমের সাহায্য নিয়ে ইথিওপিয়ার খৃষ্টানগগ ইয়ামান আক্রমণ
    করে দখল করে নেয় ৷ এটা ছিল ৩৪০ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা ৷

    ৪ আসহাবুল কাহ্ফ : (গুহাবাসী) এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম উপকুলে অবস্থিত রােমকদের বৃহৎ নগরী আফসৃস
    (পররভাংত তরসুস নামে খ্যাত)-এর মুর্তি পুজারী বাদশাহ দাকিয়ানুস (£)০০া৷া৪) এর ভয়ে তথাকার সাত জন
    ঈমানদার যুবক পালিয়ে গিয়ে এক পাহাড়ী গুহায় আত্মরুগাপন করেন ৷ ক্লান্ত দেহে তারা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ এটা ছিল
    ২৫০ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা ৷ চান্দ্র হিসেবে ৩০৯ বছর (যা সৌর হিসেবে ছিল ৩০০ বছর) ঘুমাবার পর তারা জাগ্রত হল
    ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে ৷ কিছু সময় পর পুনরায় ঘৃমালে আল্লাহ তাদেরকে মৃত্যু দান করেন ৷ এর বিশ বছর পর শেষ নবীর
    জন্য হয় ৷

    ৫ আসহাবুল ফীস : (হস্তী বাহিনী) ইয়ামানের খৃস্টান বাদশাহ আবরাহা রাজধানী সানআর বায়তুল্লাহর বিকল্প এক
    র্গীর্জা নির্মাণ করে ৷ অতঃপর ১৩টি হাতি ও ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কা বা ঘর ধ্বংস করার উদ্দেশে মক্কার দিকে
    রওয়ানা হয় ৷ আল্লাহ আবা বিলের সাহায্যে তাকে ধ্বংস করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মের ৫০ দিন মতাম্ভরে ৫৫
    দিন পুর্বে এ ঘটনাটি ঘটে ৷

    ৬ সুরা ইয়াসীনে উল্লিখিত ঈসায়ী ধর্মের তিনজন মুবাল্লিগকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার ও তাদেরকে হত্যা করার
    ইনতাকিয়া (এন্টিয়ক) নগর আল্লাহ ধ্বংস করে দেন ৷

    ৭ তুব্বান্ ইয়ামানের হিময়ারী শাসকদের উপাধি ছিল তুব্বা’ ৷ এরাইয়ামানের পশ্চিমাংশসহ দীর্ঘদিন আরব ও ইরাকে
    শাসন করেছে ৷ শক্তিশালী এই রাজবংশ পরবর্তীকালে ইহ্রদী ধর্ম ত্যাগ করে মুর্তিপৃজা শুরু করে ৷ ফলে আল্লাহ

    তাদেরকে ধ্বংস করে দেন ৷

    আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৯ ৭

    করাও সহজতর এ কথাটি এক করি বলেছেন
    নিম্নোক্তভাবে :

    অর্থাৎ ব্যক্তিত্ব সম্পন্নাধীনচেতা মানুষ যুদ্ধের ময়দানে তরবারীর আঘাতকোগত জানায়

    কিন্তুাভাবিক মৃত্যুবরণ করাকে ঘৃণা করে ৷ এমন অবস্থায় যে মৃণ্ডু ব্রুবরণ করাকে অপ্রাধিকার
    দেয় যখন সে যেহমানদের আহার্য প্রদানে অপারগ হয় ৷

    ইবন আসাকির প্রমুখ লেখকগণ ইবন আব্বাস, নুফ আল ,বিকালী সুফিয়ান ছাওরী প্রমুখ
    থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়র( (আ) নবীই ছিলেন ৷ কিন্তু মৃ৩ তকে জীবিত করার ব্যাপারে
    আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করায় ত র নবুওত প্রত্যাহার করা হয় ৷ কিন্তু এ বর্ণনাটি মুনকার
    বা অপ্রহণযোগ্য, এর বিশুদ্ধ হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ আছেশুসম্ভববত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে এটা
    গৃহীত হয়েছে ৷ এ বিষয়ে আরও একটি বর্ণনা লক্ষ্যণীয় ৷ তা হল, আবদুর রাযযাক ও কুতায়বা
    ইবন সা’দ নুফ আল-বিকালী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা উযায়র আল্লাহর নিকট
    একাম্ভে আবেদন করেনং “হে আমার প্রতিপালক! মানুষ তো আপনারই সৃষ্টি, যাকে ইচ্ছা
    তাকে আপনি পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন ৷ আল্লাহর পক্ষ
    হতে তাকে বলা হল, তুমি এ কথা থেকে বিরত ৩হও ৷ কিন্তু তিনি পুনরায় একই কথা বললেন ৷
    তখন তাকে জানান হল, তুমি এ কথা থেকে বিরত থাক ৷ অন্যথায় নবীদের তালিকা থেকে
    তামার নাম কেটে দেয়া হবে ৷ জেনে রেখ, আমি যা কিছু করি সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলার
    অধিকার কারও নেই; কিন্তু মানুষ বা কিছু করবে তার জন্যে তাকে জবাবদিহী করতে হবে ৷ এ
    বর্ণনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, সতর্ক করার পরও তিনি ঐ কথার পুনরাবৃত্তি করেন নি ৷ সুতরাং
    নবীদের তালিকা থেকে৩ার নাম কাটা যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না ৷

    ইমাম তিরমিযী ব্যতীত সিহাহ সিত্তাহ্র অন্যান্য সংকলকগণ আবু হুরায়রা (রা ) থেকে
    বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, জনৈক নবী একবার এক বৃক্ষের নিচে অবতরণ
    করেন ৷ একটি পিপড়া তাকে দংশন করে ৷ তিনি সেখান থেকে বিদায় হওয়ার জন্যে মালপত্র
    গুটিয়ে নিতে বলেন ৷ নির্দেশামতে মালপত্র গুটিয়ে নেয়া হয় ৷ অতঃপর তার হুকুমে পিপাড়দের
    বাসা পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ তখন তা ল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাকে বললেন, খান, একটি মাত্র পিপড়ার
    জন্যে এ কী করছ? ইসহাকমুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, ঐ নবী ছিলেন হযরত উযায়র
    (আ) ৷ ইবন আব্বাস ও হাসান বসরী থেকে বর্ণিত যে, তিনি ছিলেন উযায়র (আ) ৷

    আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৩

    যাকারিয়া ও ইয়াহয়া (আ)
    আল্লাহ্র বাণী : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    -কাফ-হা-ইয়া-আয়ন-সাদ; এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তার বান্দা
    যাকারিয়ার প্রতি ৷ যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেছিল নিতৃতে ৷ সে বলেছিল,
    “আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে ৷ বার্ধক্যে আমার মস্তুক শুদ্রোজ্জ্বল হয়েছে : হে আমার প্রতিপালক ৷
    তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হইনি ৷ আমি আশাৎকা করি আমার পর আমার
    স্বগাে ৷ত্রীয়দের সম্পর্কে অ,ামার ত্রী বন্ধ্য৷ ৷ সুতরাং তৃমি৫ আমার নিকট হতে আমাকে দান কর
    উত্তরাধিকারী ৷ যে আমার উত্তরাধিকা ৷রিতু করবে এবং উত্তরাধিকারিতু করবে ইয়াকুবের বংশের,
    এবং হে আমার প্রতিপালক ! তাকে করো সন্তোষভাজন ৷ তিনি বললেন : “হে যাকারিয়্যা ! আমি
    তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি ৷ তার নাম হবে ইয়াহ্ইয়া; এ নামে পুর্বে আমি কারও
    নামকরণ করিনি ৷ ” সে বলল, “হে আমার প্রতিপালক ! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ হযরত উযাৱ (আ) এর বর্ণনা Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.