ইবন হারিছের একটি পা কেটে যায় ৷ সেসময় তিনি নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন ৷ কিন্তু ইবন
হিশাম এ কবিতাটি উবায়দার বলে স্বীকার করেননি ৷
অর্থ : অচিরেই মক্কাবাসীদের নিকট আমাদের সম্পর্কে একটি ঘটনার সংবাদ গিয়ে
পৌছবে ৷ সে সংবাদ শুনে এখ ড্রুন থেকে যারা দুরে অবস্থান করছে তারা ঘাবড়ে যাবে ৷
উতবা সম্পর্কে, যখন মুে পালাচ্ছিল এবং তারপরে শায়বা, আর যে অবস্থায় থাকতে
উতবার প্রথম ছেলেঢিও ( ওয়া ল্লীদ) সম্মত ছিল ৷
তারা যদি আমার পা হ্মেটেন্দিয়ে থাকে, তবে এতে আমি বিচলিত নই, কেননা, আমি
মুসলমান ৷ এর বিনিময়ে আমিৰুরুআল্লাহ্র পক্ষ থেকে অচিরেই এক সুখমর জীবন আশা করি ৷
সে জীবন হবে হ্রদের সাথে যারা মুর্ডিং মত স্বচ্ছ ৷ উচ্চতর জন্নাতে যারা উচ্চ মর্যাদা
পারে তাদের জন্যে নির্ধারিত থাকবে এ সব হ্রর ৷
তা পাওয়ার জন্যে আমি এমন এক জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছি যার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে
আমি অবহিত ৷ আমি তা দ্রুত্বচুকড়ামনা করেছি ৷ এমনকি কাছের জিনিসকেও পরিত্যাগ করছি ৷
পরম দয়ালু সত্তা আপন ন্অনুগ্রহে আমাকে ইসলামের পোশাক দিয়ে সম্মানিত করেছেন-
যা আমার যাবতীয় অপরাধকে ঢেকে ফেল্যেছ ৷
যে দিন সকাল বেলা জ’ামার সমকক্ষ লোকের পক্ষ থেকে মুকাবিলা করার আহ্বান
আসলো সে দিন তাদের সাথে যুদ্ধ করা আমার কাছে খারাপ ঠেকেনি ৷
যখন তারা নবী করীম (না)-এর নিকট (মল্লযুদ্ধের ) দাবী জালাল তখন তিনি আমাদের
তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকেননি ৷ সুতরাং আমরা আহ্বানকারীদের সামনে গিয়ে
উপস্থিত হলাম ৷
আমরা বর্শা হাতে নিয়ে সিংহের মত গর্জে উঠে তাদের সামনে হাযির হলাম এবং রহমান
আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্যে পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকলাম ৷
এরপর আমরা তিনজনই আপন জায়গায় অবিচল থাকলাম ৷ আর তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়ালা ৷
ইবন ইসহাক লিখেছেনৰুধ্৪ বদর যুদ্ধে হারিছ ইবন হিশাম যুদ্ধ না করে দলবল ফেলে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷ এ সম্পর্কে হাস্সান ইবন ছাবিতের নিন্দাসুচক কবিতাও
রয়েছে
হাস্সান ইৰ্ন ছাবিত আরও বলেন :
অর্থ : হে হারিছ ! যুদ্ধ ও দুর্যোগকালে এমন সব লোকের উপর তুমি নির্ভর করলে যারা
মোটেই নির্ভরযোগ্য ছিল না ৷
তখন তুমি এমন উটের পৃষ্ঠে আরোহণ করেছিলে, যার পা ছিল দীর্ঘকায়, ভাল বংশজাত,
দ্রুতগামী ও প্রশস্ত পিঠ বিশিষ্ট
সম্প্রদায়ের লোকজন তোমার পিছনেই ছিল, কিন্তু বেচে থাকার আশায় তুমি যুদ্ধ ত্যাগ
করে চলে আসলে ! অথচ ঐ সময়টি পলায়নের সময় ছিল না ৷
হায় ! তুমি তোমার সহোদরের দিকেও ফিরে তাকলে না ৷ যখন সে বর্শার আঘাতে মাটিতে
পড়ে মরে যাচ্ছিল এবং তার সঙ্গের আসবাবপত্র সব থােয়া যাচ্ছিল ৷
আল্লাহ (মালিক) তার (আবু জাহলের) ব্যাপারে দ্রুত ফায়সালা দিলেন ও তার দলবলকে
লাঞ্চুনাকর কলং ক দিয়ে ও জঘন্য শাস্তি দিয়ে ধ্বং স করে দিলেন ৷
তিনি আরও বলেন :
অর্থ৪ বদর যুদ্ধের প্রাত ংকালে কুরায়শরা নির্বিচারে কঠিন ভাবে বন্দীতৃ ও হত্যাকাণ্ডের
শিকা ড়ার হয় ৷
আবুলং ওয়ালীদের নেতৃত্বে পরিচালিত সে দিনের লড়াইয়ে যুদ্ধের সাহায্যকারী লোকজনের
মধ্যে বাদ নুবাদের সময় আমরা প্রন্তুত হলাম ৷ যেদিন রাবীআর দুই পুত্র বিপুল অস্ত্র সাজে
সজ্জিত হয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসলেন, সে দিন আমরা তাদেরকে হত্যা করলাম ৷
আর যখন বনু নাজ্জার সিংহের ন্যায় গত্তনি করে যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়াপিয়ে পড়ল, তখন হাকীম
সেখান থেকে পালিয়ে গেল ৷
সে দিন গোটা ফিহ্র গোত্র পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়ে যায় ৷ আর হুয়ায়রিছ তাে দুর থেকে
তাদেরকে ত্যাগ করে চলে যায়
তোমরা অপমান ও হত্যার সম্মুখীন হয়েছিলে যা তোমাদের কণ্ঠশিরার মধ্যে প্রবেশ
করেছিল ৷
বাহিনীর সমস্ত লোকই দৌড়ে পালিয়ে গেল এবং পুর্ব পুরুষদের মান-সম্মানের দিকে কেউ
ফিরেও তাকলে না ৷
হিন্দ বিনত উছাছার কবিতা
হিন্দ বিনত উছাছা ইবন আব্বাদ ইবন মুত্তালিব উবায়দা ইবন হারিছ ইবন মুত্তালিবের
মৃত্যুতে নিম্নোক্ত শোকগাথা রচনা করেন :
অর্থ : সাফ্রা নামক স্থানটি নিজের মধ্যে সমবেত করেছে সম্মান, নেতৃত্ব, স্বভাবগত
সহনশীল এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন গুণ গরিমার লোকদেরকে ৷