Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » অনুচ্ছেদ : আরাফাতে অবস্থান কালে রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ

অনুচ্ছেদ : আরাফাতে অবস্থান কালে রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • হাফিজ আবুল কাসিম তাবাৱানী (র) বলেন, ইসহাক ইবন ইবরাহীম আদ-দাবারী (র) উবাদা
    ইবনুস-সামিত (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আরাফার দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
    লোক সকল; এ দিনটিতে আল্লাহ্ তোমাদের প্ৰতি করুণা দৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের
    মাগফিরাত দান করেছেন ৷ তবে তোমাদের পারস্পারিক দাবী-দাওয়া (হক্কুল ইবাদ) ৷ তোমাদের
    সদাচারী পুন্যবানের ওসীলায় তোমাদের অসদাচারী পাপীকে ক্ষমা দান করেছেন এবং পুন্যবানফে
    তার প্রার্থিত বিষয় দিয়ে দিয়েছেন ৷ ৰিসমিল্লাহআল্পাহ্র নামে এবার (সৃযদালিফায়) চলো ! পরে
    তারা যুযদালিফায় থাকা কালে তিনি বললেন

    আল্লাহ তোমাদের পুণ্যবান লোকদের মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের মন্দ লোকদের
    জন্য ভাল লোকদের সুপারিশকারী রুপে গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন ৷ রহমত অবতব্লিত হয়ে সৰজ্জাকে
    ব্যাপ্ত করে ফোবরে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে নিজের জিহব৷ ও হাত সংরক্ষণকারী
    প্রত্যেক তাওবাকায়ীর ভন্যে বপ্টিত হবে ৷ ওদিকে আল্লাহ তাদের (বন্দোদের) সাথে কী করেন তা
    দেখার জন্য ইবলীস ও তার দলবল আরাফাতের পর্বতমালার প্রতীক্ষা বল্মজ্যি, রহমত নেমে আসলে
    ইবলীস ও তার দলবল হায় মরণ হায় মরণ চিৎকার জুড়ে দিল ৷ (যে আক্ষেপ করতে লাগল)
    এক দীর্ঘ যুগ তাদের আমি ৰিপথপামী হতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছিলাম-ক্ষমা প্রাপ্তির আশংকায় (কিন্তু)
    ক্ষমা তাদের আবৃত করেই য়েলেল ৷ তখন তারা হীয় মরণ, হীয় মরণ বলে ছাভেৎগ হয়ে গেল ৷

    অনুচ্ছেদ : আবফোতে অবস্থান কালে রাসুলুয়াহ্ (না)-এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ

    ইমাম আহম্মদ (র) বলেন, জাফর ইবন আওন (র)তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব
    (রা)-এর কাছে জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি এসে বলল, আমীরুল যুমিনীন ! আপনারা আপনাদের
    কিভাবে একটি আয়াত তিলায়াত করে থাকেন ৷ সে রকম একটি আয়াত আমাদের ইয়াহুদী
    সমাজের জন্য নাযিল হবে আমরা ঐ (আয়াত নাযিল হওয়ার) দিনটিকে ঈদ দিবস রুপে
    পালন করতাম ৷ উমর (রা) বললেন, সেটি কোন আয়াত? ইয়াহুদী বলল, আল্লাহ তাআলার
    বাণী ন্ত্র আজ
    তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাৎগ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ণ বল্মলাম
    এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম (৫ : ৩) ৷ উমার (না) তখন বললেন, আল্লাহর
    কসম ! আমি যথার্থ ভাবে সে দিনটির কথা জানি যে দিন এ আয়াত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি
    নাযিল হয়েছিল এবং যে বিশেষ সুহুর্তটিও আমি যখন তা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে নাযিল

    হয়েছিল ৷ ষ্সেটি ছিল জুমুআর দিন আরাফার বিকেল বেলা ৷ বুখারী (র) এটি রিওয়ায়াত
    করেছেন হাসান ইবনুস-সাবাহ্ (র)হতে এবং বুখারী অন্য এক রিওয়ড়ায়াতে এবং মুসলিম,
    তিরমিযী ও নাসাঈ (র) কায়স ইবন মুসলিম (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে ঐ সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷

    আরাফাত হতে নবী বত্মীম (না)-এর আল-মাশআরুল হারাম-মৃযদালিফাঅভিষুখে গমন

    জাবির (বা) তার দীর্ঘ হাদীসে বলেছেন, তিনি নবী করীম করতে থাকলেন ৷ অবশেষে
    সুর্যড়াস্তের পর দিপন্তে তা হলু (সা) (আরাফা প্রান্তরে) অবস্থান দের আভা মিলিয়ে যেতে থাকলে
    যখন সুর্য-বৃত্ত অদৃশ্য হয়ে গেল তখন উসামা (রা)-কে নিজের পিছনে সহ-আরোহী করে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে শুরু করলেন ৷ তিনি কাসওয়া উদ্রীর লাগাম এমন সজােরে টেনে রাখলেন
    যে, তার মাথা তার উরু ছুতে লাগল ৷

    তিনি তখন তার জ্ঞান হাত , দিয়ে ইৎগিত করে করে বলছিলেন লোক সকল ! ধীর ন্থিরে ৷

    শান্তভাবে (এগিয়ে চল) ! সামনে কোন টিলা পাহাড় পড়লে তাতে চড়া পর্যন্ত উটনীর লাগাম

    ঢিলা করে দিতেন ৷ এভাবে মুযদালিফায় পৌছে সেখানে এক আমান ও দুই ইকড়ামতে মাগরিব

    ও ইশড়ার সালাতদ্বয় আদায় করলেন এবং এ দুইয়ের মাঝে কোন তাসবীহ (নকল) আদায়
    করলেন না ৷ (মুসলিম)

    বুখারী (র) আরাফা হতে প্রস্থানকালে চলার গতি ৷

    অনুচ্ছেদ শিরোনামে বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন, উসামা (রা)-কে
    রাবী উরওয়ার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হল-বিদায় হরুজ্জ আরাফা হতে ঘুয়দালিফা যাওয়ার
    পথে নবী করীম (সা) কিভাবে পথ চলেছিলেন? তিনি বললেন, সাধারণত তিনি আনাক চালে
    চলতেন, তার সামনে ফাকা দেখলে নাস’ চালে চলতেন ৷ রাবী হিশ ৷ম (র) বলেন, নাস হল
    আনাক এর চেয়ে দ্রুততর গতি ৷

    ইমাম আহম্মদ (র) এবং তিরমিযী (র) ব্যতীত ছয় গ্রন্থকার সকলেই হিশাম ইবন
    উরওয়া উসামা ইবন যায়দ (রা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
    বলেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) হতে তিনি বলেন, আমি অ ৷রাফার শেষ বেলায়
    রাসুলুল্লট্রুহ (সা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ উসামা (বা) বলেন, সুর্য অস্ত গেলে রাসুলুল্লাহ (সা)
    (ষুযদালিফা পানে) চলতে লাপলেন, তিনি যখন পিছনে জনতার ভিড়ের হৈহল্লা শুনতে পেলেন
    তখন বললেন- ৷ ধীরে, লোক সকল!
    শান্ত স্থির থাকবে ! দ্রত উট ঘোড়া ছুটানােতে কোন পুন্য নেই ৷ উসামা (রা) বলেন, এভাবে
    রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের ভিড় দেখলে অনোক গতিতে চলতেন এবং পথ ফীকা দেখলে উটকে
    গতিশীল করতেন ৷ অবশেষে যুযদালিফায় উপনীত হলে তিনি মাগরিব ও ইশড়ার সালাতদ্বয়
    একত্রিত করলেন ৷ তারপর ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রের ইব্রাহীম (র)
    উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) আরো
    বলেন, আবু কামিল (র) ইবন উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

    ১ আনাক ( তাে) ও নাসস ( খো’) উঃটর গতি চলার বিশেষ ৷ প্রথমটি ঘাড় উচু করে দােলার তালে
    চলা ৷ দ্বিতীয়টি দ্রুত চলার জন্য উটকে উত্তেজিত করা ৷-অনুবাদক

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : আরাফাতে অবস্থান কালে রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.