Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » উম্মাতের জন্য দৃ’আ প্রসংগ

উম্মাতের জন্য দৃ’আ প্রসংগ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • মিসর্কীনের ন্যায় ভিক্ষা প্রার্থী, আপনার কাছে হীন দৃর্বলের ন্যায় কাকুতি মিনতি কারী ৷ শংকিত
    পতিতের ন্যায় আপনার কাছে দৃআ করছি-যার পর্দান আপনার সমীপে অবনত, যার অশ্রু
    আপনার জন্য প্রবাহিত, মার দেহ আপনার কাছে আবনমিত, যার নাক (মর্যাদা) আপনার কাছে
    ধুলি লুষ্ঠিত ৷ ইয়৷ আল্লাহ আপনার সকাশে দৃআর ওয়াসিলায় আমাকে, হে প্রতিপালকা দুর্ভাগা
    বানাবেন না; আমার প্রতি হোন স্লেহশীল, দয়াবান ৷ হে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা শ্রবণকায়ী ! হে শ্রেষ্ট দাতা !

    হাত তোলা প্রসংগে

    ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম (র)উসামা ইবন যায়দ (র) সুত্রে বলেন, আরাফাতে
    আমি নবী করীম (না)-এর সহ-আরােহী ছিলাম ৷ তিনি দ,আ করার জন্য দৃহাত তুললেন ৷
    তখন তার উটনী ঝুকে পড়লে তার লাগাম পড়ে গেল ৷ (উসামা বলেন) , তিনি এক হাত দিয়ে
    লাগাম ভুলে নিলেন এবং অন্য হা ৷ত (দৃআর জন্য) উর্দ্ধ দিকে তুলে রেখেছিলেন ৷ ইমাম

    সােঈ (র) ও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হাফিজ বায়হা ৷কী (র) বলেন ৷ অ ৷বু আবদুল্লাহ্
    আল-হাফিজ (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আ ৷মি রাসুলুল্লাহ
    (না)-কে আরাফ৷ তে দু আ করতে দেখেছি ৷ ফকীর-মিসকীনদের খাদ্য ভিক্ষা ৷র তংগিমায়
    দু হাত বুক পর্যন্ত তুলে ৷

    উম্মাজাে জন্য দু আ প্রসংগ :

    আবু দাউদ তায়ালিসী (র) তার ঘুসনাদে বলেছেন, আবদুল কাহির ইবনুস সারীয়া আব্বাস
    ইবন মিরদাস (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আরাফা দিবসের বিকেল
    বেলা তার উম্মতের জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দুআ করলেন এবং খুব বেশী বেশী দৃআ
    করলেন ৷ তখন আল্লাহ পাক তার কাছে ওহী পাঠালেন যে-

    আমি তা (কবুল) করেছি ৷ তাদের পরস্পরের প্রতি ত্তস্থেম অনাচ৷ র ব্যতীত, আর আমার হক

    ৎক্রান্ত পাপ সমুহ আ ৷মি মাফ করে দিলাম ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন, হে প্ৰতিপ৷ লক ৷
    আপনি তো ঐ মাযলুমর্কে তার নিপীড়িত হওয়ার পরিমাণের চাইতে উত্তম বিনিময় দিতে এবং এ
    জালিমকে মাফ করে দিতে পারেন ৷ কিন্তু ঐ বিকেলে তার এ দৃআ কবুল করা হল না ৷ পরে
    মুযদালিফার সকালে (দশ তারিখে) তিনি পুনরায় দৃআ করলে আল্লাহ্ তাআলা তা কবুল
    করলেন “আমি তাদের মাফ করে দিলাম, তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-কে মৃদু
    হাসতে দােখ কোন কোন সাহাবী তাকে বললেন ৷ ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ! আপনি এমন একটি সময়
    হাসলেন যে মুহুর্তে সাধারণত আপনি হাসতেন না ৷ তিনি বললেন, আমি স্মিত হাসি হেসেছি ণ্
    আল্লাহর দৃশমন ইবলীসের দুরবস্থা দেখে, সে যখন জানতে পেল যে, যহীয়ান গরিয়ান আল্লাহ
    আমার উম্মা;তর ব্যাপারে আমার দৃআ কবুল করলেন, তখন হায় কপাল, হায় মরণ ! বলে চিৎকার
    জুড়ে দিল এবং নিজের মাথায় ধুল৷ বালি ছিটাতে লাগল ৷” আবু দাউদ সিজিসতানী (র) তার
    সুনান গ্রন্থে এ হাদীছটি আব্বাস ইবন যিরদাস-এর সনদে সংক্ষেপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    ইমাম ইবন সাজা (র) আয়ুযে ইবন মুহাম্মদ আল-হাশিমী (র) সুত্রে ঐ সনদে আনুপুর্বিক
    রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) তার তাফসীবেঃ এ হাদীছটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    হাফিজ আবুল কাসিম তাবাৱানী (র) বলেন, ইসহাক ইবন ইবরাহীম আদ-দাবারী (র) উবাদা
    ইবনুস-সামিত (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আরাফার দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
    লোক সকল; এ দিনটিতে আল্লাহ্ তোমাদের প্ৰতি করুণা দৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের
    মাগফিরাত দান করেছেন ৷ তবে তোমাদের পারস্পারিক দাবী-দাওয়া (হক্কুল ইবাদ) ৷ তোমাদের
    সদাচারী পুন্যবানের ওসীলায় তোমাদের অসদাচারী পাপীকে ক্ষমা দান করেছেন এবং পুন্যবানফে
    তার প্রার্থিত বিষয় দিয়ে দিয়েছেন ৷ ৰিসমিল্লাহআল্পাহ্র নামে এবার (সৃযদালিফায়) চলো ! পরে
    তারা যুযদালিফায় থাকা কালে তিনি বললেন

    আল্লাহ তোমাদের পুণ্যবান লোকদের মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের মন্দ লোকদের
    জন্য ভাল লোকদের সুপারিশকারী রুপে গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন ৷ রহমত অবতব্লিত হয়ে সৰজ্জাকে
    ব্যাপ্ত করে ফোবরে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে নিজের জিহব৷ ও হাত সংরক্ষণকারী
    প্রত্যেক তাওবাকায়ীর ভন্যে বপ্টিত হবে ৷ ওদিকে আল্লাহ তাদের (বন্দোদের) সাথে কী করেন তা
    দেখার জন্য ইবলীস ও তার দলবল আরাফাতের পর্বতমালার প্রতীক্ষা বল্মজ্যি, রহমত নেমে আসলে
    ইবলীস ও তার দলবল হায় মরণ হায় মরণ চিৎকার জুড়ে দিল ৷ (যে আক্ষেপ করতে লাগল)
    এক দীর্ঘ যুগ তাদের আমি ৰিপথপামী হতে উদ্বুদ্ধ করে চলেছিলাম-ক্ষমা প্রাপ্তির আশংকায় (কিন্তু)
    ক্ষমা তাদের আবৃত করেই য়েলেল ৷ তখন তারা হীয় মরণ, হীয় মরণ বলে ছাভেৎগ হয়ে গেল ৷

    অনুচ্ছেদ : আবফোতে অবস্থান কালে রাসুলুয়াহ্ (না)-এর কাছে আগত ওহী প্রসংগ

    ইমাম আহম্মদ (র) বলেন, জাফর ইবন আওন (র)তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব
    (রা)-এর কাছে জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি এসে বলল, আমীরুল যুমিনীন ! আপনারা আপনাদের
    কিভাবে একটি আয়াত তিলায়াত করে থাকেন ৷ সে রকম একটি আয়াত আমাদের ইয়াহুদী
    সমাজের জন্য নাযিল হবে আমরা ঐ (আয়াত নাযিল হওয়ার) দিনটিকে ঈদ দিবস রুপে
    পালন করতাম ৷ উমর (রা) বললেন, সেটি কোন আয়াত? ইয়াহুদী বলল, আল্লাহ তাআলার
    বাণী ন্ত্র আজ
    তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাৎগ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পুর্ণ বল্মলাম
    এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম (৫ : ৩) ৷ উমার (না) তখন বললেন, আল্লাহর
    কসম ! আমি যথার্থ ভাবে সে দিনটির কথা জানি যে দিন এ আয়াত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি
    নাযিল হয়েছিল এবং যে বিশেষ সুহুর্তটিও আমি যখন তা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে নাযিল

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ উম্মাতের জন্য দৃ’আ প্রসংগ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.