“ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জন্য জানাযার সালাত পড়বে নাউমর
(বা) বলেন, “পরে আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে আমার এ দুঃসাহসিক আচরণের কথা
ভেবে বিস্মিত হয়েছি ৷ আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সা) সমধিক অবগত ৷
সুফিয়ান ইবন উয়ারনা (র) বলেন, আমৃর ইবন দীনার (র) জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)-কে
বলতে শুনেছেন, “আবদুল্লাহ্ ইবন উবইিকে তার করবে ঢুকিয়ে দেয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
কবরের কাছে তশরীফ আনলেন ৷ তিনি ছকুম করলে লাশ কবর থেকে বের করা হল এবং তিনি
সেটি তার দুই হাটু অথবা (বর্ণনা ব্যতিক্রম) তার উরন্দ্বয়ের উপরে রেখে তার পা-মুখে নিজ্যেম্ভ
থুথু ছিটিয়ে দিলেন এবং তাকে নিজের কামীস পরিয়ে দিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
বুখরীিতে উল্লিখিত সনদে অনুরুপ বিবরণ রয়েছে ৷ বুখায়ীর বর্ণনায় এ কত্থারও উল্লেখ রয়েছে যে,
(চাচা) আব্বাস (রা)-কে কামীস দানের প্রতিদানে রাসুল (সা) ইবন উবইিকে কামীস
পরিধেয়রুপে দিয়েছিলেন ৷ কোনো, আব্বাস (রা) (বদরের বন্দীরুপে) মদীনায় নীত হলে তার দীর্ঘ
দেহের মাপে আবদৃল্লাহ্ ইবন উবইির কাযীস ব্যতীত আর কোন কামীস পাওয়া যাচ্ছিল না ৷
বায়হাকী (র) এ ক্ষেত্রে ছালাবা ইবন হাতির-এর ঘটনা এবং সম্পদধিক্যে তার পার্থিব
মােহের ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ আমি তাফসীর গ্রন্থে ৷১৩
(৯ : ৭৫) ৷ আঘাতের ব্যাখ্যার সংশ্লিষ্ট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছি ৷
অনুচ্ছেদ : তাবুক অভিযানের পব্লিশিষ্ট
ইবন ইসহাক (র) বলেন, তাবুক অভিযানই ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক পরিচালিত
যুদ্ধাভিযানসমুহের শেষ অভিযান ৷ কাব হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহগমনে আনসারীদের যুদ্ধ যাত্রা ও যুদ্ধক্ষেত্রে নবী করীম (সা) এর সাথে তার নিজের
সহাবস্থানের বিবরণ দিয়ে সমরগাথা রচনা করেছেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেন, মতান্তরে এ
কবিতাগুলো হাসৃসান (রা)এর পুত্র আবদুর রহমান (র) বিরচিত ৷
আপনি কি (হে মুহাম্মদ সা) জনগোষ্ঠী ও সমাজ বিচারে আরবজাতির পিতৃপুরুষ মআেদ
(ইবন আদনান)-এর অধস্তন বংশধরদের মধ্যে গোটা আরবের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নন ? তারা বৃহত্তর
বিন্তুত পরিবেশেই অবস্থান করুক কিংবা কোন সীমিত পরিসরে ৷
যেহেতু আপনার সমাজ (আনসারীদের সমাজ) যারা রাসুল (সা ) এর সাথে সদলবলে
বদরে উপস্থিত হয়েছিল এবং বিপদ মুহুর্তে তার সঙ্গত্যাগ করে নি ও সাধনার বিচ্যুতি
আসে নি ৷
“তার! তার হাতে হাত দিয়ে বায়আত করেছে, তারপর তাদের একজনও সে বায়আত
অঙ্গীকার ভঙ্গ ব৷ ক্ষুশ্ন করে নি এবং তাদের কারো ঈমানে কোন রুপ দ্বিধা-দ্বদ্বেরও অনুপ্রবেশ
হয় নি ৷
“আর সে দিনও না যেদিন উহুদ-এর গিরিপথ বেয়ে তাদের আক্রান্ত করেছিল প্রচণ্ড শক্ত
আঘাত যা ছিল অগ্নিকুণ্ডের তুল্য লেলিহান ও প্রচণ্ড উত্তপ্ত ৷
“আর য়ু-কারাদ অভিযানকালেও যেদিন তাজী ঘোড়া র পিঠে তাদের প্রতিপক্ষের উপরে
আঘাত হেনেছিলেন (সেদিনও তারা ছিল তার ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা) তড়াতেও তারা বিশ্বাসভঙ্গ করে
নি, বা ভীরুতার পরিচয় দেয় নি ৷ ”
“যুল আশীরা অতিযানেও রাসুলের সহযোদ্ধা হয়ে ঘোড়ড়ায় চড়ে প্ৰতিপক্ষের ব্যুহ মাড়িয়ে
ছিল; ঘোড়াগুলাের পিঠে চমকা ৷চ্ছিল শি রস্ত্রল্কণ ও ভীক্ষ্ণধার বল্লম ৷ ”
“ওয়াদ্দান অতিযানেও আমরা আমাদের অশ্ব-নৃত্য দিয়ে ওয়াদ্দানবাসীদের বিতাড়িত-
নির্বাসিত করে ছাড়লাম যতক্ষণ না বন্ধুর প্রস্তর ও গিরিশ্রেণী আমাদের অগ্ৰাভিযানে
প্রতিবন্ধক হল ৷
“আল্লাহর সন্তুষ্টি ৰিধানে শত্রু অনুসন্ধানে কেটেছে তাদের কত কত রাত; আল্লাহ্ই দিবেন
তাদের কর্মের যথাযোপ্য প্রতিদান ৷
“হুনায়দ প্রান্তরে কত রাতেই (তা তার সাথে তাদের বীরতু প্রকাশের সুযোগ ঘটেছে; যুদ্ধে
দিয়ে) তাদের প্রথমবার পান করার পরে (অতৃপ্ত পিয়াল) পরিতৃপ্ত করছিলেন
দ্বিতীয়বার পান করিয়ে ৷ ”
“নাজ্বদ অভিমুখী জিহাদ মালায়ও তারা সমান শরীফ; তাই রাসুল (না)-এর সাথে হোক
তাদের প্রাপ্তি ভাগ্য হল সালাব’ ও নাফাল’ এর ৷১
“আর গায্ওয়া আলফা-এ আমরা শত্রুদের তেমনি বিক্ষিপ্ত ও ছত্রভঙ্গ করে দিলাম, যেমন
পানির ঘাটে স্বচ্ছন্দে পান করার জন্য উটপালকে বিক্ষিপ্ত ছেড়ে দেয়া হয় ৷”
১ সালাব আভিধানিক অর্থ, ছিনতাইকৃত বস্তু, ইসলামের স্যার পরিভাষায় প্রতিপক্ষীয়
ষোদ্ধার দেহস্থিত পোশাক ও সমরােপকরণ ৷ উে অভিযানে অতিরিক্ত’ বর্ধিত ৷ পরিভাষায় সমরাধিনায়ক কর্তৃক
বিযােষিত লুদ্ধলদ্ধ সম্পদের পরিমাণ বিশেষ বা অংশ বিশেষ ৷ যুদ্ধে শৌর্যবীর্য প্রদর্শন বা বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃত্যিত
ব্যক্তি বা ইউনিটকে সাল লাব ও নফ ৰুল দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করার বিধান ইসলামী সমর অইিন রয়েছে
“আর যখন (হুদায়বিয়ক্ষুয়) অবিচল অপ্ৰতিরােধ্যতড়ার বায়আত নেয়া হল, তখনও এ
আনসাৰীরা ছিল ৰায়আতের প্রথম সারিতে এবং তাতে তারা সামান্য বিচ্যুত না হয়েই তার
সহমর্মীতা সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছে ৷
“মক্কা বিজয় অভিযানেও৩ রাে ছিল তার বাহিনীতে দেহরক্ষী ও সার্বক্ষণিক যোদ্ধা হয়ে;
তাতেও তারা অহেতুক উত্তেজনা বা তাড ড়াডাহুড়ড়ার শি কার হয় নি ৷ ”
“খায়বার অভিযানেও তারা তার বাহিনীর তালিকাভুক্ত সহয়ােদ্ধা; ৰীরদর্পে এগিয়ে চলছিল
শৌর্যভরা দৃর্ধর্ষ তাজা প্রাণ ৷
“ঝলমলে তরবারি হাতে, যারা আন্দেৰ্লিত হয় নিরেট নির্ডেজা ড়াল ঈমানে, কখনো আঘাত
হানে সরাসরি আবার কখনো একেবেকে লক্ষেক্তর অবস্থানডেদে ৷
“আল্লাহর রেযামন্দির অন্বেষায় যেদিন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক অভিমুখে সফর করলেন,
সেদিনও; তারা তো ছিল তার অগ্নসারির প৩ কোবাহী দল ৷
“ওয়াই যুদ্ধের ঝানু সহিষ পরিচা ড়ালক; যুদ্ধ যদি এ সেই পড়ে; ওরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আ-গা গোড়ড়া অগাভিযান থেকে শুরু করে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ৷ ”
“এ জাতি-গোষ্ঠীই নবী করীম (না)-এর আনসার-সাহাযক্যেরী বাহিনী, আর এরইি তো
আমার স্বগােত্র; গোত্র-পরিচয়ে মিলিত হতে চাইলে আমি তো এদের এখানেই ধর্ণা দেই ৷”
“আভিজা৩ তা নিয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেছে; আর কোন দিন প্রতিজ্ঞা ভন্সের দ্বারা কলুষিত
হয় সি; আর বিনষ্ট হয় নি আল্লাহর রাহে তাদের শাহাদাতের সুধা পান, যখন তারা শহীদ
হ্যয়ছে !
নবম হিজরীর হরুজ্জ আবু বকর সিদ্দীক (না)-কে আমীরুল হজ্জ
নিয়েম্পো ও সুরা তাওবা অবতরণ
মোঃ (৯ হি) মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে আগত তাঃয়ফবাসীদের প্রতিনিধি
অ্যাং বিশদ ৰিবরণের পর ইবন ইসহাক (র) বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযানের
ঠো দিম্মালা এবং শাওয়াল ও যিলকদ মাসদ্বয় মদীনায় অবস্থান করলেন ৷ তারপর নবম