Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ

অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • নবী করীম আলায়হিস সালামের এ বাণীও পুর্বে উদ্ধৃত হয়েছে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি
    বলেছিলেন “এখন থেকে (মক্কা হতে মদীনায় বিধিণ৩ ত) হিজরত
    নেই; তবে জিহাদ ও নিয়ত এ আমল চিরক৷ ল অব্যাহত থাকবে ৷

    অতএব, মদীনাভিঘুখী প্রতিনিধি দলসমুহের মাঝে স্তরৰিন্যাস ও পার্থক্য নির্ণয় জরুরী ৷ একটি
    স্তব্র হল মক্কা বিজয়ের পুর্বে আগমনকারীদের, যাদের আগমন হিজরতরুপে স্বীকৃত ৷ অন্য স্তরটি
    হল মক্কা বিজয়ের পরবর্তী সময় আগমনকাবী থোত্রীয় প্রতিনিধি দলসমুহের; যাদের জন্যও আল্লাহ্
    কল্যাণ ও পুণ্যের ওয়াদ৷ করেছেন ৷ কিন্তু সময়ের পার্থক্য ও মাহাঅোর বিচারে এরা পুর্ববর্জীদর
    সমতুল্য হতে পারে না ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ এ ছাড়া প্রতিনিধি দল বিষয়ক আলোচনায়
    গুরুতৃারোপ সত্বেও পুর্ববর্তীদের আলোচনা থেকে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ পড়ে গিয়েছে ৷
    আমরা শ্আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অপার অনৃখহে পুর্বসুরীদের আলোচনা সংেক্ষ্যপ উল্লেখ করার
    সাথে সাথে সে বিষয় প্রয়োজনীয় ঢিকা-টিপ্পনী ও সংশোধন-সংযোজনসহ আমাদের প্রাপ্ত তথ্যাদি
    র্তাদের পরিত্যক্ত বিষয়গুলোও সাধ্যমত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্!

    ওয়াকিদী (র) বলেন, কাহীর ইবন আবদুল্লাহ আল মুযানী (র)র্তার দাদা থেকে বর্ণনা
    করেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে সর্বপ্রথম আগমনকারী প্রতিনিধি দল হল
    মুযার’ গোত্রের শাখা মুযায়না’-র চারশ ৷’ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি কাফেলাঢি ৷ এদের আগমন
    হয়েছিল পঞ্চম হিজরীর রজব মাসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের স্বদেশ ভুমিতে অবস্থান করাকেই

    তাদের জন্য হিজরত তভুল্য’ সাব্যস্ত করে দিলেন ৷ তিনি বললেন,

    “তোমরা তোমাদের বাড়ি-ঘরে থেকেই ন্মুহাজির সাব্যস্ত হবে ৷ সুতরাং তোমরা ণ্তামাদের
    ধন-সম্পদের মাঝে ফিরে যাও” ৷ ফলে র্তার৷ ভীদের আবাসভুমিতে ফিরে গেল ৷ তারপর
    ওয়াকিদী (র) হিশাম ইবনৃল কা ৷লবী (র) থেকে৩ারই সনদে উল্লেখ করেছেন যে, যুযায়ন৷ থেকে
    সর্বাগ্রে আগমনকা ৷রী ব্যক্তি ছিলেন খুয৷ ৷ঈ ইবন আবৃদ নৃহুম এবং তার সাথে ছিল তার স্বগােত্রীয়
    আরও দশজন ৷ তিনি তার কওমের পক্ষে রাসুলুল্লাহ্র হাতে ইসলামের বায়আত করলেন ৷ কিন্তু
    কওমের কাছে ফিরে গেলে তাদের ব্যাপারে তার ধারণার ব্যতিক্রম দেখতে পেয়ে হতাশ হলেন ৷
    কওম তীর প্রতি তেমন সাড়া দিল না ৷ এ অবস্থা জানতে পাের রাসুলুল্লাহ্ (সা) করি হাসৃসান
    ইবন ছাবিত (রা) কে নির্দেশ দিলেন, থুযাঈর নিন্দা না হয়, এমনভাবে কটাক্ষ করে কবিতা
    রচনা কর ৷ তিনি সে মত কয়েকটি পংক্তি রচনা করলেন ৷ এগুলো খুযাঈর কাছে পৌছলে তিনি
    গোত্রের ণ্লাকদের কাছে এ ব্যাপারে অনৃযোগ করলেন ৷ তখন তারা সমবেত হয়ে ইসলাম গ্রহণ
    করলে খুযাঈ তাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ৷খদমতে হ যিব হলেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন-
    সেদিন পর্যন্ত তাদের সং খ্যা হাজ জারের ঘরে পৌছেছিলণ্প্ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুযায়না ৷কবীলার
    পতাকাবাহী নিযুক্ত করেছিলেন এ খুয৷ ৷ঈকেই ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, ইনি হলেন আবদুল্লাহ যুল-
    বিজাদায়ন (দৃই কম্বলধারী অ ৷বদুল্লাহ্) এর ভাই ৷

    অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ

    ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র)ইমরান ইবন হুসায়ন (না) থেকে, তিনি
    বলেন, একদল বনু তামীম নবী করীম (না)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, “হে তামীষীরা ৷

    “ ৎঘাত ও লুঠতরাজকালে কত শত গোত্রের দর্প আমরা চুর্ণ করে দিয়েছি; মর্যাদার
    মাহাত্ম্য অনুসরণীয় তো বটে ৷

    “আমরা দৃর্তিক্ষকালে আমাদের দস্তরখানের খাবার ৰিতরিত হয় দেদার সে ভুনা কবােব;
    যদি না সংকট আসন গেড়ে বলে ও বিপদ স্থায়ী রুপ নেয় ৷

    “যেমন দেখতেই পচ্ছে, লোক সমাজের সর্দার শ্রেণী সারাদেশ থেকে সাহায্যের আশায়
    আমাদের কাছে ছুটে ছুটে আসে; তখন আমরা দান দক্ষিণা করি ৷
    “আমরা তখন সুস্থ-সবল উটপাল যবইি করতে থাকি আমাদের এ মরুনিৰাসে; আগন্তুক
    অতিথিবৃন্দের জন্য; যারাই অতিথি হন তারা পরিতৃপ্তির সাথে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন ৷

    “কোন গোত্রের সাথে আমরা গৌরব প্রতিযোগিতার যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তুমি শুধু এমনটিই
    দেখবে যে, তারা মরে ৰিনাশ হচ্ছে আর ছিন্ন শির জাতিতে পরিণত হচ্ছে ৷ (অথবা তুমি দেখবে

    না যে আমরা যে কোন গোত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হচ্ছি) তবে হা যে গোত্রটি
    ধনেজনে বলীয়ড়ান হয়ে সুসংগঠিত গোত্রে পরিণত হয়েছে ওদের মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় ৷

    “সুতরাং ঐ ক্ষেত্রে মারা আমাদের সাথে পাল্লা দিতে আসে আমরা ওদের যথার্থ পরিচয়
    নিয়ে সেই, ফলে সে গোত্র ফিরে যায় এমনভাবে যে তাদের নাস্তানাবুদ হওয়ার খবর কানে
    কানে ছড়িয়ে পড়ে ৷
    “আমরাই অন্যদের প্রাধান্য অস্বীকার করে থাকি; আমাদের নেতৃত্ব শ্রেষ্ঠতু অস্বীকার করার

    দৃর্যতি হয় নি কারো; কীর্তি ও কৃতিত্বের গৌরবে আমরা এভাবেই উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে
    থাকি ৷ ”

    ইবন ইসহাক (র) বলেন, হাসৃসান ইবন ছাবিত সে সময়টিতে উপস্থিত ছিলেন না ৷
    রাসুলুল্লাহ্ তার কাছে লোক পাঠালেন ৷ তিনি (হড়াসৃসান) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
    কাছে পৌছলে প্রতিপহ্মের করি দাড়িয়ে তার বক্তব্য পেশ করল ৷ আমিও তার মত করেই তার
    উক্তির প্রত্যক্ষ পাল্টা জবাব দিলাম ৷ মোটকথা, যাব রিকান তার কবিতা শেষ করলে রড়াসুলুল্লাহ্
    (সা ) হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা)-কে বললেন, হাসৃসান ! তুমি দাড়িয়ে লোকট্যর বক্তব্যের জবাব
    দাও ৷ হড়াসৃসান (বা) তার কবিতা শুরু করলেন-

    ফিহ্র খ্যন্দানের শীর্ষস্থানীররা এবং তাদের ভ্রড়াতৃশ্রেণী জনতার সামনে তুলে রয়েছে এমন
    রাজপথের দিশা যা অনুসরণীর ৷

    “যে পথ ও জীবনধারা পসন্দ করে তেমন সকল ল্যেকই, যাদের প্রকৃতি’ হল আল্লাহ্র
    তাকওয়া; যা সার্বিক কল্যাণ সাধনের হেতু ৷
    “ওরা এমন সম্প্রদায় যারা যুদ্ধের ময়দানে নামলে শত্রুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়ে; আর
    স্বপক্ষীরদের উপকার রর্তাতে চাইলে তা তাদের দোর গোড়ার পৌছিয়ে দেয় ৷

    “ওটা ওদের জন্ম জন্মাম্ভরের স্বতাব; নতুন কিছু নয়; জেনে রাখা ভাল নতুন নতুন আচরণ
    হচ্ছে নিকৃষ্টতম আচরণ ৷

    “যদি লোকদের মাঝে তাদের পরবর্তী স্তরের অ্যাণী কেউ থেকে থাকে, তা হলে প্রতিটি
    অগ্রণী (দল) তাদের (কাছাকাছি এবং তাদের) চাইতে নিম্নতর ঐ অগ্রণী স্তরের অনুগাযী ৷
    প্রতিরোধকালে তাদের পাঞ্জা যা ফেলে দেয়, তা লোকেরা তুলে উঠার না; আর তারা যা
    তুলে ধরে তা লোকেরা ফেলে নীচু করে দেয় না ৷ অর্থাৎ সভ্রম ও মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করে ৷
    “কখনো লোকদের সাথে প্রতিদ্বচ্ছিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের লোকেরইি প্রতিযোগিতায়

    জয়মাল্য ছিনিয়ে নেয়, আর ঐতিহ্যের অধিকারীদের সাথে বদান্যতার প্রতিযোগিতায় এল এরা
    ওদের হটিরে দের ৷

    ওরা পুত চরিত্রের অধিকারী; ওহীর মধ্যে বিবৃত হয়েছে ওদের পুত পৰিত্রতা ৷ ওরা
    লালায়িতহয় না, লোড ওদের কখনো ধ্বংস করে না ৷

    প্রতিবেশীদের প্ৰতি অনুগ্রহ বর্ষণে তাদের কার্পণ্য নেই লালসার কোন বস্তু তাদেরকে স্পর্শ করে না ৷
    ব্লু )যখন কোন ণ্গাত্রের বিপক্ষে আমরা যুদ্ধের পতাকা উডচীন করি, আমরা (ভালুক চালে) হামাগুড়ি

    দিয়ে কিংবা অতর্কিতে তাদের কাছে পৌছে না, নীল পাভী ও বন্য শিকারকে প্রতারণাপ্রলুব্ধ ক্যার জ্যা
    সহত্রে’১ প্রাণী যেমন ঢাদে ঢেলে থাকে (বরং আমরা প্রকাশ্যে ও প্রচণ্ড বিক্রাম আঘাত হানতে অভ্যস্ত) ৷

    ত্রুশ্ শ্খো মাধ্যম, উপায় ৷ বন্য শিকারী প্রাণীর নাখে মিতালী পাতাবার জন্য শিকারীরা যে
    পাের মানা প্রাণী ব্যবহার করে, যারা বন্য প্রাণীর সাথে তার জমিয়ে তাকে শিকারীর র্ফাদে ফেলে ৷

    “যুদ্ধ আমাদের পারে তার নখর বসালে আমরা তার উরুর্ধ্ব অবস্থান করি তাকে আমাদের
    কাবুতে রাখি; যেমন দল ছুট ব্যক্তি যুদ্ধের নখরাক্রমণে ভীত হয়ে পড়ে ৷”

    “এরা শত্রুদের পরাস্ত করলে সে জন্য পর্ব প্রকাশ করে না ৷ আবার কখনো আক্রান্ত হলে

    কাপুরুষতা বা সস্ত্রম্ভতা তাদের অস্থির করে তুলে না ৷

    কঠিন যুদ্ধক্ষেত্রে যখন মৃত্যু চোখের সামনে নাচানাচি করে, ওরা তখন (ইয়ামড়ানের) হড়ালয়া

    বনভুমির পেশী বিশিষ্ট সিংহ দল ৷

    “ওরা যখন রাগের মাথায় থাকে তখন তাকে ক্ষমাস্বরুপ যা যতটুকু দেয়৩ তা ততটুকু

    নিয়েই তুষ্ট থাক; ওরা যে বিষয়টি না করে দেয়, তাই যেন তোমার লক্ষ্য না হয় ৷”

    ওদের সাথে সং ঘাতে লিপ্ত হওয়ার মানে হলো অকল্যাণের মাঝে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মা ন্হুতি
    দেয়া যে অকল্যাণের মাঝে সাতরে যেড়ায় উট-ঘোড়ারা; অতএব, সাবধান! ওদের সাথে
    শক্রতা ত্যাগ কর : ’
    “মহান সেই কওম, আল্লাহর রাসুল (সা) যাদের আদর্শ ও পুরােধা; যখন নাকি অন্যান্যদের
    মত ও পথ বিতিন্নমুখী ও বিক্ষিপ্ত ৷
    তাদের আঙ্গিনড়ায় আমার এ স্তুতি কাব্যের ভালি নিবেদন করছে এমন একটি হৃদয়, যাকে
    তার প্রিয় বিষয়ে প্রবল শক্তি জােগায় এক বয়ন-শিল্পশ্দক্ষ রসনা ৷
    “কেননা, গোত্রকুলের মাঝে ওরাই সকলের সেরা; তা মানুষেরা বাস্তব ও তথ্যভিত্তিক বক্তব্য
    পেশ করুক কিৎবা হাসি ও ঠট্টিড়াচ্ছলে কোন মন্তব্য করুক ৷
    ইবন হিশাম (র) বলেন, বনু তামীম গোত্রের কবিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞ জনৈক জ্ঞানী ,ব্যক্তি
    আমাকে অবহিত করেছেন যে, বনু তামীম প্রতিনিধি দলের সদস্যরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
    আগমন করলে করি যাবরিকান যে কবিতা আবৃত্তি করেছিল তা নিম্নরুপ-
    এএে,ওা
    আপনার কাছে আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন উৎসব ও পর্ব অনুষ্ঠানকালে

    লোকদের মাঝে যখন বিরোধ সুচিত হয়, তখন যেন তারা আমাদের শ্রেষ্ঠৎ অনুধাবন
    করতে পারে ৷

    “এ মাহাত্ম্য যে; প্ৰল্টি এলাকায় আমরাই মানব সমাজের শীর্ষস্থানীয় এবং এ কথা যে,
    হিজায ভুমিতে দারিম’ খান্দানের তুলনা নেই ৷”

    “আর আমরা চিহ্রধারী’ বীরযোদ্ধাকে হটিয়ে দেই, যদি সে অহং প্রকাশে বাড়াবাড়ি করে;
    আর অপ্রতিদ্বন্দী উদ্ধত গর্দানের খুলিতে আঘাত হানি ৷
    “আর (যাতে লোকদের জানা হয়ে যায় যে) যে কোন আক্রমণ অভিংান লব্ধ লুটের সম্পদে

    আমরা অইিনত চতুর্থাংশের অধিকারী,১ সে আক্রমণ আরবীয় নাজ্বদ এলাকাসয় পরিচালিত
    হোক, কিৎরা আজমীদের কোন দেশে ৷ ”

    যাবৃরিকানের প্রতিপক্ষে হাসৃসান (রা) জবাব দেয়ার জন্য দাড়িয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন,
    “আভিজাত্য তা তো হল সুপ্রাচীন নেতৃতৃ, বদান্যতা, রাজকীয় মর্যাদাবােধ্ ও বড় বড়
    ঝক্কি-ঝড়ামেলার দায় বহন ৷”
    “আমরা নবী মুহাম্মদ (না)-এর সহায়তায় অবতীর্ণ হয়েছি, তাকে সসম্মানে আশ্রয় দিয়েছি
    যুআদ্দ বংশের তুষ্ট ও অতুষ্ট লোকদের অহমিকার পরােয়া না করেই ৷”
    এমন একটি জনগােষ্ঠির সহায়তায় যাদের মুল অস্তিতৃ আজমী (অনারৰ) দেশের বুকের
    উপরে গোলড়ান উপত্যকায় অপ্রতিরোধ্য শিকড় বিস্তার করে রয়েছে ৷ ২
    “আমাদের মাঝে তার শুভ পদার্পণের পরে আমরা আমাদের অমি দিয়ে প্রতিটি উদ্ধত-
    অনাচারীর বিরুদ্ধে তার সহায়তা করেছি ৷ ”

    “আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততিদের দিয়ে তার সামনে রক্ষাব্যুহ রচনা করেছি এবং গনীমত
    লব্ধ সম্পদের ক্ষেত্রে তার জন্য আমাদের মন প্রাণ সন্তোষে নিবেদিত ৷
    “দু’ধারী সুডীক্ষ্ণ তরবারি দিয়ে আমরা লোকদের আঘাত হেনেছি, ফলে তারা দলে দলে
    তার দীনের প্ৰতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে ৷ ”

    এক-চতুর্থাংশ ৷ জাহিলিয়াত যুগের সমর বিধান অনুযায়ী যুদ্ধলব্ধ লুটের মালে এক-চতুর্থাংশ
    সম্পদ অথবা রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনকারী কিৎবা রবি মৌসুমে প্রসবকারিণী উটের উপরে কোন গোত্র বা
    গোত্রপতির আইনগত অধিকার ৷

    ২ গোলড়ান অঞ্চলে মুহাম্মদ (সা) এর পিতৃপুরুষ ইবরাহীম (আ) এর বংশীয় আভিজাত্যের প্রতি ইঙ্গিত ৷

    কুরায়শদের শ্রেষ্ঠ সভানকে আমরাই জন্ম দিয়েছি; বনু হাশিম পরিবারে কল্যাণের নবীকে
    আমরাই জন্ম দিয়েছি ৷

    দারেমীরা৷ অত পর্ব করো না; কারণ মর্যাদা-আভিজাত্যের আলোচনা ক্ষেত্রে ঐ গর্বসমুহ
    বিপদের রুপ নিতে পারে ৷
    “তোমরা আমাদের সাথে পর্ব করে বোকামী ও হেৎলাপনড়ার পরিচয় দিয়েছো; অথচ তোমরা
    হলে আমাদের সেবাদাস, কেউ বা ধাত্রী, কেউ বা গৃহপরিচড়ারিকা ৷”

    “এখন তোমরা যদি জানের হিফাজত ও গণীমতের হিস্সারুপে বণ্টন হয়ে যাওয়া থেকে
    তোমাদের সম্পদের হিফাজত করার উদ্দেশ্যে এসে থাকে৷ ৷

    “তা হলে অংশীবাদী বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ কর (আত্মসমর্পণ কর) এবং অনারব
    কাফেরদের বেশ-ভুষা পরিধান কর না ৷ ”

    ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, হড়াসৃসান ইবন ছাবিত (বা) তার কবিতা শেষ করলে আক্রা ইবন
    হাবিস (বা) বললেন, আমার জন্মদাতার শপথ! এ কাব্য প্রতিভা নিঃসন্দেহে আল্পাহ্ প্রদত্ত;
    তার পক্ষের বক্তা আমাদের বক্তার চাইতে অধিকতর বাশ্মী; আর তার করি আমাদের কবির
    চাইতে অধিকতর কাব্য প্রতিভাসম্পন্ন এবং তাদের ধ্বনি আমাদের ধ্বনির চাইতে উচ্চতর ৷
    বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যিযাগিতড়া শেষে আগত প্রতিনিধি দলের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল ৷
    রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদের যথাযােগ্য উপহার-উপটোকন দিয়ে সমাদৃত করলেন ৷ আম্র ইবনৃল
    আহ্তাম ছিলেন দলে সর্বকনিষ্ঠ ৷ তাই লোকেরা তাকে র্তাবুতে রেখে এসেছিলেন ৷ কায়স ইবন
    আসিম আমরের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল ৷ সে বলে উঠল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! আমাদের এক ক্ষুদে
    তরুণ র্তাবুতে রয়ে গিয়েছিল ৷ তার স্বরে তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ পাচ্ছিল ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
    (না) তাকেও অন্যান্য সদস্যদের সমতুল্য উপহার দিলেন ৷ আম্র ইবনুল আহ্তাম তার প্রতি
    কায়সের তাচ্ছিল্যের কথা জানতে পেরে তাকে ব্যাস করে কবিতা রচনা করলেন ৷

    “অলস নিতম্ব ৰিছিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিলে, রাসুল (না)-এর দরবারে বসে আমাকে ব্যাস
    করে, কিন্তু সত্য কথা বলার সাহস তোমার হল না ৷

    আমরা তো তোমাদের উপর সমুজ্জ্বল নেতৃতু দিয়ে এসেছি; আর তোমাদের নেতৃতু
    ফোকলা হয়ে লেজের উপরে মুখ থুবড়ে পড়েছে ৷

    হাফিয বায়হাকী (র) রিওরায়াত করেছেন, ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র)ঘৃহাম্মদ ইবনুয
    যুবায়র আল-হানজালী (র) থেকেতিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যাবৃরিকান ইবন
    বদর, কায়স ইবন আসিম ও আমৃর ইবনৃল আহ্তাম (রা) প্রমুখ আগমন করলেন ৷ নবী করীম
    (সা) আমর ইবনুল আহ্তামকে বললেন, যাবৃরিকান সম্পর্কে তোমার মন্তব্য আমাকে বল; আর

    ৯২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

    লোক (কায়স) সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই ৷ আমার ধারণা কায়স সম্পর্কে
    আগে থেকে অবহিত ছিলেন ৷ আমৃর বললেন, তার সামনে সকলে তার অনুগত সে ভাবলেশ ৷হীন
    অহৎকা র ও পাস্তীর্যের অধিকারী এবং পশ্চাতের বিষয়ে সতর্ক সং ৎরক্ষণকাৰী ৷ যাবৃরিকান এ মন্তব্য
    শুনে বললেন, তার কথা যে বলেছে, তবে সে একথাও জানে যে তার ঐ বর্ণনার চাইতে আমি
    অবশ্যই শ্রেষ্ঠ ৷ বর্ণনাক ৷য়ী বলেন, তখন আমৃর বলল, আল্লাহর কলম! তোমার সম্পর্কে আমি যা

    জানি তা হল, তুমি হচ্ছে৷ বিশাল বপু, স ৎকীর্ণ আস্তাবলের মালিক, আহম্মক বাপের সন্তান আর
    ইতর মামা র ভ ৷গ্নে ৷ পরে সে বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্! উভয় বক্তব্যেই আমি সত্যবাদিত৷ রক্ষা
    করেছি ৷ প্রথমে সে আমাকে সন্তুষ্ট করেছিল, তাই আমি তার সম্পর্কে আমার জানা তার ভাল
    গুণগুলোর উল্লেখ করেছিলাম, পরে সে আমাকে রাগিয়ে দিলে তার সম্পর্কে আমার জানা মন্দ
    কথাগুলো ও বলে দিলাম ৷ বণ্নািকায়ী বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ৩১১ ;)ঞা ৰুএ
    “কোন কোন তাবণে যাদুকরী হয়ে থাকে ৷ এ বর্ণন৷ সুত্রে এটি যুরসাল পর্যায়ের ৷ বায়হাকী (র)
    বলেন, অন্য একটি সুত্রে হাদীছটি ম’াওসুল রুপেও বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু জাফর কাযিল ইবন
    আহমদ আল-ঘুসতামিলী (র)ইবন আব্বাস ং(রা) থেকে বর্ণনা করেন, ৷ তিনি বলেন, একবার
    তামীম গোত্রের কায়স ইবন আসিম, যাবৃরিকান ইবন বদর ও আমৃর ইবনৃল আহতাম৩ তাযীমী
    রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরব৷ রে বসা ৷ছিল ৷ এ সময় যাবৃরিকান আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে পর্ব ভরে
    বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্ৰু আমি তামীম গোত্রের ৷:নতা,ত তাদের মাঝে বরেণ্য ও অনুসরগীয় ৷ অত্যাচার
    থেকে তাদেরকে রক্ষা করি এবৎ তাদের প্রাপ্য অধিকার উসৃল করে দেই ৷ এ আম রও আমার দাবী
    সমর্থন করবে ৷ তখন আমর ইবনৃল আহ্তাম বলল, যে অবশ্যই চাপড়াবাজ, অগ্রপশ্চাত
    ৎরক্ষণকারী এবৎ তার নীচতা সত্বেও বরেণ্য ৷

    তখন মাবৃরিকা ৷ন বলল, আল্লাহর কসম ইয়৷ রাসুল৷ ল্লাহ্!৫ সে যা বলেছে তা ৷র চাইতে ভাল কথা
    আমার সম্পর্কে যে জা নে, কিন্তু বিদ্বেব তাকে স৩ গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ আমৃর ইবনৃল আহ্তাম
    বলল, আমি তোমাকে হিৎস৷ করব? আল্লাহর কসম! তুমি ইতর মাঘুর ত ৷প্নে (মাতৃকুল নিম্নশ্রেণীর),
    ইদানিৎ সম্পদের অবিকা ৰী নতুন ধনী, আহম্মক বাপের সন্তান (পিতৃকুলও নিম্নস্তরের) এবৎ
    সমাজে নিম্নস৷ রির ফেলন৷ লোক ৷ ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ শু আল্লাহর কসম ৷ প্রথমবারে ও আ ৷মি সত্য
    বলেছি, আর শেববারেও মিথ্যার আশ্রয় নেই নি ৷ তবে আমার স্বতাব হল, আমার যেবাজ ভাল
    থাকলে কারো সম্পর্কে আমার জানা ভাল গুণের কথইি বলি, আর যেযাজ বিপড়ে গেলে আমার
    দৃষ্টিতে ৩তার যা মন্দ পরিচয় তাই তুলে বরি ৷ সুতরাৎঅ আমি নিঃসন্দেহে উভয় বারই সত্য কথা
    বলেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, স্পো গ্রাএ৷াএ ,)াক কারো কারো বক্তৃতায় যাদৃ থাকে ৷ ” এ
    বর্ণনার সনদ অতি পরিচিত ৷

    এদের আগমনের কারণ বর্ণনায় ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেছেন, যে এর৷ খুযাঈদের বিরুদ্ধে
    অস্ত্র শানিয়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ায়ন৷ ইবন বদর (রা)-কে পাঠালেন পঞ্চাশজন
    য়ুজাহিদের অধিনায়কতৃ দিয়ে ৷ যাদের মাঝে একজনও যুহাজির বা আনসার ছিলেন না ৷ দলপতি

    ১ যে হাদীছের সনদে শেষ রাবীরুপে সাহাৰীর নাম উল্লিখিত না হয় তাকে ঘুরসাল ( এগু,ন্ অসৎযুক্ত বা
    উন্মুক্ত) বলে ৷ এর বিপরীতে রয়েছে মা ওসুল ( এ রু প্রু ব৷ ফো সং ৎযুক্ত বা সম্পৃক্ত) ৷ আমার সাহাবীর
    নাম উল্লিখিত নবী (না) এর সাথে অসম্পৃক্ত রিওয়ায়াতকেও (ব্যাপক অর্থে) মুরসাল বলা হয় ৷

    উয়ড়ায়ন৷ তাদের এগা রজন পুরুষ, এগা রজন নারী ও তিনজন শিশু-কিশোর বন্দী করে তা ৷নলেন ৷ এ
    বন্দীদের খাতিরে তাদের নেতারা আসতে বাধ্য হল ৷ এদের স০ খ্যা ছিল নব্বই কিংবা আ ৷শিজন ৷
    উল্লেখমোঃাব্র ছিল উত ৷রিদ, যাবৃরিকান, কায়স ইবন আসিম, কায়স ইবনৃল হ রিছ, নৃ আয়ম ইবন
    সাদ, আকর৷ ইবন হাবিস, রাব৷ ইবনুল হারিছ ও আমর ইবনুল আহতাম ৷ বিলাল (বা) জহরের
    আমান দেয়ার পরক্ষণে তারা এসে মসজ্যিদ প্রবেশ করল ৷ লোকেরা তখন সলোঃতর জন্য
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হুজর৷ থেকে বেরিয়ে আসার প্রতীক্ষায় ছিলেন ৷ আগন্তুকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে
    হুজরাসমুহের বাইরে থেকে চিৎকার দিয়ে তাকে ডাকতে লাগল ৷ তখন তাদের এ আচরণের
    নিন্দাসুচক আয়াত নাযিল হল ৷ এরপর ওয়াকিদী তাদের বক্তা ও কবির বিষয় আলোচনা করেছেন
    এবং উল্লেখ করেছেন যে নবী কবীম (সা) তাদের প্রত্যেককে বার উকিয়ার অধিকহারে রৌপ্য মুদ্রা
    (প্রায় পাচশ’ দিরহড়াম) উপচৌকনরুপে দিয়েছিলেন ৷ তবে কনিষ্ঠতম সদস্য আমৃর ইবনুল
    আহতামের বয়সে ছোট হওয়ার কারণে পাচ উকিয়া দিয়েছিলেন ৷ আ ৷ল্লাহ্ই সমধিক অবগত

    ইবন ইসহাক (র) বলেন, এদের সম্পবেইি আল্লাহ পাকের এ বাণী না ৷যিল হল

    ; ,

    “যারা ঘরের পেছন থেকে উচচস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংইি নিবেধি ৷ তুমি বের হয়ে

    , তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি“ তারা ধৈর্যধারণ করত, তাই তাদের জন্য উত্তম হত ৷ আল্লাহ্
    ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৪৯ : ৪ ৫) ৷

    ইবন জারীর (র) বলেন, আবু আম্মার আল হ্লায়ন ইবন হ্বায়ছ আল মারওয়াষী (র)বারা
    (বা) সুত্রে “যারা ঘরের পিছন থেকে চিৎকার করে তোমাকে ডাকে আয়াত সম্পর্কে বর্ণনা
    করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তিরাসুলুলাহ্ (সাএর কাছে এসে বলল, “হে মুহাম্মদ! কারো জন্য
    আমার ন্তুতি তার জন্য সৌন্দর্যবর্ধক আর আমার কুৎসা বর্ণনা তার জন্য কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম
    (সা) বললেন, ঐ ব্যাপারটি মহীয়ান-গবীয়ান আল্লাহর অধিকারে ( অর্থাৎ ইজ্জত দেয়া ও
    বেইজ্জত করা একমাত্র আল্লাহ্রই অধিকা ৷রে ৷ কোন মানুষের হাতে নয় ৷) এ হাদীসের সনদ
    উত্তম ও অবিচ্ছিন্ন ৷ হাসান বসবী ও কা৩ ড়াদ৷ (র) থেকে এ বিওয়ায়া তটি ঘুরসাল’ রুপে বণিতি
    হয়েছে ৷ ইমাম আহমদের রিওয়ায়াতে চিংক৷ ৷রকা ৷বী লোকটির নামও উল্লিখিত হয়েছে৷ ৷তিনি
    বলেন, আফ্ফা ন (র)অ ৷কর৷ ইবন হাবিল (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিই এভাবে রাসুলুল-
    াহ্ (না)-কে ইয়৷ মুহাম্মদ ! ইয়৷ মুহাম্মদ! বলে ডেকেছিলেন ৷ অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে-
    ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু কিন্তু নবী করীম (না) তার ড ৷কে জব৷ ব দেননি ৷ তখন লোকটি বলে ইয়া
    রাসুলাল্পাহ্!ক কারো জন্য আমার স্তুতিত ৷র সৌন্দর্যবর্ধক এবং কারো “ব্যাপারে আমার বক্তব্য তার
    জন্যে কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম (সা) বললেন, ঐ বিষয়টি মহান আল্লাহ্রই অধিকারে ৷

    বনুতামীমের ফষীলভ প্রসঙ্গ

    বুখারী (র) বলেন, যুহায়র ইবন হাবৃব (র)আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
    তিনি বলেছেন, তিনটি কারণে যা আ ৷মি বনু তাষীম সম্পর্কে রাসুলুলাহ্ (সা) কে বলতে
    শুনেছি আমি তাদের তা ৷লবেসেই যাবং (১) দ ৷জ্জালের বিরুদ্ধে আমার উম্মতের মাঝে তারা

    হবে সৰ্বাধিক কঠোর; (২) অইিশা (না)-এর জনৈক! র্বাদী ঐ গোত্রের ছিল; ংরাসুলুলাহ্ (সা)
    বললেন, ওকে আনন্দ করে দাও ৷ কেননা, ওত্যে ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর; (৩) তাদের
    সাদাকা নিয়ে আসা হলে নবী কয়ীম (সা) বলেছিলেন, এ হচ্ছে এমন এক কওমের সাদাকা
    অথবা তিনি বলেছিলেন আমার কওমেব সাদাক৷ ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও যুহায়র ইবন হাবৃব
    (র) থেকে এ হাদীছটি অনুরুপ ব্লিওরায়াত করেছেন ৷ এ হাদীছখানা কাতাদা (র) প্রমুখের
    বর্ণনাকে আংশিক খণ্ডন করে এবং হামসাে কাব্য সৎকলনে গৃহীত বনু তামীমের কুৎসামুলক
    কবিতা প্রত্যাখ্যান করে সে কবিতায় বলা হয়েছে তাষীমীরা ইতরামীর ব্যাপারে কাতা’
    পাখির চইিতে অধিকতর পারদর্শী; ওরা কল্যাণের পথে চলতে শুরু করলেও তা বিভ্রান্তিতে
    পর্যবসিত হয় ৷ তাষীমীরা এমন ভীতুব ডিম যে উকুনের পিঠে আরােহী কোন চাম-উকুনকে দুর
    থেকে দেখলেও ওরা লেজ গুটিয়ে দৌড়তে থাকে ৷

    আবদুস কারন গোত্রের প্রতিনিধিদ্যা প্রষ্স্তো
    তামীমী প্রতিনিধিদলের আঙ্গেল্দো শেষ করে বুৰ্াৰী (র) বলেছেন, “অনুচ্ছেদ ও আবদুল
    কায়স প্রতিনিধিদল আবু ইসহাৰু (র)আবু হামৃধ্৷ (র) সুত্রে বলেন, আমি ইবন আব্বাস
    (রা)-কে বললাম, আমার মটকাগুলির মাৰে একটিকে আমার জন্য খুরম৷ তিন্ধিন্নে রাখা হয়,
    স্বাদু হলে আমি তা পান করি ৷ একটু বেশী পরিমাণে তা দান করেন দীর্ঘ সময় ধরে কোন
    মজলিসে বসলে তার মাদকতায় আমার লজ্জা পাওয়ার (মত কোন কিছু করে বসার) আশংকা
    হয় ৷ (এ বিষয় আপনার ফত্ওয়৷ কি ?) তিনি বললেন, আবদৃল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদল
    রাসুলুল্লাহ (সা)-এৱ সকাশে আগমন করল ৷ তিনি বললেন,

    স্বাগতম ! হে কওম ! লাঞ্চনা ও অনুতাপের শংকামুক্ত ৷ তারা বলল, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ ! আপনার
    এবং আমাদের মাঝে মুমার গোত্রের মুশরিকদের অবস্থান, তইি আমরা (যুদ্ধ নিষিদ্ধ থাকার)
    পবিত্র মাসগুলি ব্যতীত অন্য সময় আপনার কাছে আমার অবকাশ পাই না ৷ সুতরাং আপনি
    আমাদের একটা সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা দিয়ে দিন, যে অনুসারে আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ

    কবতে পারব ৷ তা ছাড়া আমরা অন্যান্যদেরকেও যে দিকে দাওয়াত দোবা ৷ ” তিনি বললেন-

    “চারটি বিষয় আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ (প্রথম চারটি
    বিষয়) আল্লাহ্র প্রতি ঈমান ; তোমরা কি জান আল্লাহর প্রতি ঈমান কাকে বলে ? (তা হল)
    একমাত্র আলাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ না থাকার সাক্ষ্য দেয়া, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত
    আদায় করা, রমযানের সিয়াম পালন করা এ ছাড়া তোমরা গণীমতেব এক পঞ্চমাংশ
    (ৰায়তৃল সালে) জমা দেবে ৷ আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি লাউয়ের খােল, গাছের কাণ্ড বা

    পৌড়া খোদাই করে তৈরী পাত্র, সবুজ রংয়ের পলিশ দেয়৷ কলস এবং আলকাতরার পলিশ
    দেয়৷ কলসে খুরমা ইত্যাদি ভিজ্যিয় তৈরী পানীয় ৷ ”

    মুসলিম (র) ও কুরুরা ইবন খালিদ (র)আবু হামৃযা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত
    করেছেন ৷ সহীহ্ (বুখারী ও মুসলিমে) আবু হাম্যা (র) থেকে আরো একাধিক সুত্রে এ
    হার্দসেৰুন্ানা বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু দাউদ তায়াসলিসী (র) তীর ঘুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন, শুবা
    (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বলেছেন, আবদুল কায়স-এর প্রতিনিধি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    সকাশে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, এ দল কোন গোত্রের ?’ তারা বলল, আমরা রাৰীআ-
    গোত্রের ৷ তিনি বললেন, স্বাগতম হে প্রতিনিধিদল ! ইজ্জাতর সাথে অনৃতড়াপ বিহীন আগমন
    হোক ! তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা বৃহৎ রাবীআ গোত্রের একটি শাখা; আমরা
    অনেক দুর-দুরান্ত থেকে আপনার কাছে এসেছি ৷ মুযারী কাফেরদের ঐ পােত্রটি আপনার এবং
    আমাদের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করে রয়েছে ৷ তাই পবিত্র মাস ছাড়া অন্য সময় আপনার কাছে
    আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ সুতরাং আমাদের কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিন, আমাদের
    পশ্চাতে রয়ে যাওয়া লোকদের আমরা যে বিষয়ের আহবান আমার এবং সে মতে আমরা
    জান্নাতে প্রবেশ করব ৷ রাসুলুল্লাহ (স্যু) বললেন, আমি চারটি বিষয় তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি
    আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ তোমাদের নির্দেশ করছি এক আল্লাহ্র প্রতি ঈমানের; জান
    কি, অল্লোহ্র প্রতি ঈমান কাকে বলে, এক আল্পাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ ইবাদাভ্রুতর
    অধিকারী নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া ; সালাত কায়েম
    করা, যাকৃড়াত আদায় করা এবং রমযানের সিয়াম পালন করা ৷ এ ছাড়া তোমরা গণীমতের এক
    পঞ্চমাংশ (বায়তৃল মালকে) আদায় করবে ৷ চারটি বিষয় তোমাদের নিষেধ করছি লাউয়ের
    খােল, সবুজ কলসি, খোদাই করা গাছের গুড়ি এবং আলকাতরা দেওয়া কলসি (থেকে পান
    করা, কেননা এগুলো থেকে মদ পান করা হতো) (কোন কোন রিওয়ায়াতে ন্গ্)ন্;া৷ শব্দের
    স্থলে ;ৰুএগ্ৰা শব্দ রয়েছে ৷ শব্দদ্বয়ের অর্থ অভিন্ন আল্কাতরা মাখড়ানাে পাত্র) ৷ £তামরা নিজেরা
    এ বিষগুলির সংরক্ষণ করবে এবং তোমাদের পশ্চাতবভীচিদরকে এদিকে আহ্বান করবে ৷
    বুখারী ও মুসলিম (র)-ও শুবা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) অন্য
    একটি সনদে সাঈদ ইবন আবু আরুবা (র) থেকে আবু সাঈদ (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
    দিয়েছেন ৷ যুসলিমের রিওয়ায়ড়াত অতিরিক্ত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল কারন-এর
    দলীয় প্রধান আশাজ্জ (না)-কে বলেছিলেন,

    “তোমার মধ্যে এমন দুটি স্বভাব রয়েছে যা মহান আল্লাহ পসন্দ করেন সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য ৷
    অন্য এক রিওয়ায়াতে রয়েছে “আল্লাহ এবং তার রাসুল যা পসন্দ করেন ৷
    আশাজ্জ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, এ দু’টি আমি সাধনা করে অর্জন করেছি ; নাকি আল্লাহ
    জ্জাতভ্যবেই আমাকে তা দান করেছেন ? তিনি বললেন, আল্লাহ

    লাতভ্যবে তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি বললেন, যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহ্র, যিনি
    আৰু এমন দুটি জন্মগত গুণ দিয়েছেন যা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রিয় ৷

    ইমাম আহ্মাদ (র) বলেন, বনু হাসিমের আযাদকৃত গোলাম আবু সাঈদ (র)আল
    ষ্শ্ৰী (বা) সুত্রে বলেন, আমি এবং আলু ঘুনযির ইবন আমির আল আশাজ্জ্ব অথবা

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.