এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করলেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, আবু উবায়দা (র) প্রমুখ
বিদ্বান মনীষীবর্গ বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে অধিকাংশ
মক্কাবাসী ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করল এবং তারা তাতে উদ্যতও
হয়েছিল ৷ এমন কি (মক্কার শাসন দায়িত্বে নিয়োজিত) আত্তাব ইবন আসীদ (বা) তাদের
ভয়ে আত্মগােপন করতে বাধ্য হলেন ৷ তখন সুহায়ল ইবন আমৃর (রা) বলিষ্ঠ ভুমিকা গ্রহণ
করেন এবং জনতার সামনে দাড়িয়ে এক মন্স্পির্শী ভাষণ দেন ৷ প্রথমে তিনি আল্পাহ্র হড়ামৃদ ও
ছানা আদায়ের পরে নবী করীম (না)-এর ইনতিকাল বিষয়টি উল্লেখ করে বললেন, এটা তো
ইসলামের শক্তিই বৃদ্ধি করেছে ৷ সুতরাং যারাই ঝামেলা সৃষ্টি করবে আমরা তাদের গর্দান
উড়িয়ে দেব ৷ এ ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় লোকেরা তাদের অন্যায় সংকল্প পরিত্যম্পো করে সৃষ্ট
জীবনে ফিরে আসতে লাগল ৷ আত্তাব ইবন আসীফ (রা)-ও আত্মপ্রকাশ ব্বালন ৷ নবী কব্রীম
(সা) সুহায়ল ইবন আমৃর (রা)-এর এ সাহসিকতাপুর্ণ অবস্থানের ভবিষ্যদ্বাণী করে ব্লেখেহািলন ৷
নবী করীম (সা) বদর যুদ্ধে সুহায়ল (রা) বন্দীরুভৈপ আনীত হলে উমর (রা) তার সামনের র্দাত
ভুলে দেয়ার ইংগিত ক্যালে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন, সম্ভবত সে একদিন এমন একটি
অবস্থানে র্দাড়াবে যার তুমি নিন্দা করতে পারবে না ৷
গ্রস্থুকারের বক্তব্য : পরবর্তী অনুচ্ছেদসমুহে নবী করীম (সা)-এর ওফাত পরবর্তী বিভিন্ন
পরিস্থিতি, আরবের অধিকাংশ গোত্রের রিদ্দা ও ধর্মত্যাগ ইয়ামামায় ভণ্ড নবী ঘুসায়লামা ইবন
হাবীবের অপ-তৎপরতা, ইয়ামানে আসওয়াদ আনসারী তৎপরতা; মহান ও সত্যনিষ্ঠ খলীফা
আবু বকর সিদ্দীক (না)-এর সযয়ােচিত দৃ৪সাহসী পদক্ষেপের ফলে তার প্রতি মুসলমানদের
সম্মিলিত আনুগত্যে প্ৰতাবর্ভন এবং শয়তানের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের নির্বুদ্ধিতা ও চরম
অজ্ঞতাজনিত কর্মকাণ্ড বিশেষত র্ধম ত্যাগের হিড়িক হতে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি প্রসংগে বিশদ
বিন্তুত ও প্রামাণ্য আলোচনা করা হবে ইনশা আল্লাহ্ তাআলা ৷
অনুচ্ছেদ : নবী করীম (না)-এর ওফাতে রচিত শোক পথােসমুহ
ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ রাসুলুল্পাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্পামের ওফাত উপলক্ষে
রচিত হাসৃসান ইবন ছুাবিত (রা)-এর একাধিক কাসীদা ও কবিতাসমষ্টি উল্লেখ উদ্ধৃত
করেছেন ৷ সে সবের মাঝে মহতুর, শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক বাশ্মীতাপুর্ণ পাথাঢি হল যা আবদুল
মালিক ইবন হিশাম (র) আবু যায়দ আনসাবী (র) সুত্রে হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) থেকে
আহরণ করেছেন ৷ এতে রাসুলুল্পাহ (না)-এর বিরহে শোক প্রকাশ করে “রাসুল কবি’ হাসৃসান
(রা) বলছেন,
তায়বা (পবিত্র ভুমি মদীনা)-য় রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা) স্মৃতি নিদর্শন ও প্রোজ্জল প্রতিষ্ঠান ৷
তবে নিদর্শন তো প্রায়শ মুছে যায় ও সমতলে বিলীন হয়ে যায় ৷
কিন্তু সে দারুল হুরবড়াত (মর্যদার ভুমি) হতে নিদর্শনসমুহ মুছে ফেলা যাবে না, যেখানে
রয়েছে হাদী (পথ প্ৰদর্শক)-এর মিনার, যাতে তিনি আরোহণ করতেন ৷
এবং (যেখানে রয়েছে) সুস্পষ্ট নিদর্শনসমুহ, অবশিষ্ট আলামত ও চিহ্নসমুহ এবং একটি
প্রাস্তব যাতে রয়েছে তার ঈদপাহ্ ও মসজিদ ৷
শুএ
“এখানে রয়েছে এমন প্ৰকােষ্ঠসমুহ যার মাঝে অবতীর্ণ হত আল্লাহর পক্ষ হতে আলোকােজ্জ্বল
ও প্রজ্জ্বলিত নুর ৷
“সেখানে রয়েছে এমন সব পরিচিতি ভাণ্ডার যে, যুগ যুগম্ভেরের ব্যবধানে তার আলামত
মুছে যায়নি ৷ বিপদ আপদ এসেছে, তাতে আলামতগুলি নতুন করে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে ৷
সে আলামাত দিয়ে আমি চিনেছি রাসুলের স্মৃতি চিহ্ন এবং পরিচয় লভেছি তার যুগের ৷
আর সেখানে তীর সমাধি দিয়ে; যা দিয়ে কবর খননকারী তাকে মাটিতে আড়াল করে
নিজে ৷
সেখানে আমি রাসুলের জন্য কেদে কেদে কাটাতে লাপলাম ৷ তখন বহু বহু চোখ সে
কান্নার সহযোগী হল এবং জ্বিন জাতির মাঝেও তার দ্বিগুন সহযোগী হল ৷
সে চােখগুলো রাসুল (না)-এর অবদান-অনুগ্নহের কথা স্মরণ করে, তবে আমার আত্মাকে
আমি যে সাবর পরিসংখ্যান নিরুপনকারী দেখতে পাচ্ছি না ৷ বরং আমার আত্মা বেদনানৃতুতিতে
কৌপ কৌপ উঠে, অস্থির হয় এবং তাকে আরো চাঙ্গা করে তোলে আহমদ (না)-এর ৰিরহ ৷
তখন সে আবার রাসুলের কীর্তি অবদানসমুহের ধারা গণনায় নিমগ্ন হয় ৷
আমার আত্মা তার যে কোন অবদানের দশমাৎশও খতিয়ে দেখতে পায় নি; তবু তারপরও
আমার আত্মা বেদনাৰিধুব হচ্ছে ৷
এাঞা
আমার আত্মা সুদীর্ঘকাল ঠায় দাড়িয়ে থেকে যথাসাধ্য আখিনীর বহাতে লাগলো সে কবরের
ঢিরির জন্য, যাতে রয়েছেন আহমদ (সা) ৷
অতএব, বরকতময় তুমি হে রাসুল সমাধি ! আর বরকতময় সে জনপদ যেখানে অন্তিম
শ্ক্লোন গ্রহণ করেছেন সত্যপন্থা ও কল্যাণের দিশারী !
তার উপরে মাটি ঢেলে দিচ্ছিল তার প্ৰতি পরম আনুগত্যে ভ্যগ্যবান কতকগুলো হাত ও
কতক নত্র যা সে কারণে কেটিরাণত ৷
ওহ ৷ তারা তাে আড়াল করে দিন সহিষ্ণুতা ও রহমতকে, সে অপরাত্নে যখন তারা তার
উপরে মাটি চাপিয়ে দিচ্ছিল; তাকে তাকিয়া বালিশ তাে দেয়া হল না ৷
সন্ধ্যায় তারা ফিরে চললেন দুঃখ তারাক্রাস্ত হৃদয়ে, তীদ্যো নবী নেই তাদের মাঝে ! শ্রান্তিতে
নিস্তেজ ওদের মেরুদণ্ড ও পার্শ্বদেশ ৷
তারা র্কাদতে থাকেন যে মহান সভার জন্য, য়ীরকথা স্মরণ করে সেদিন র্কাদে আসমান
এবং যার জন্য র্কাদে যমীন; সুতরাং মানুষ তাে চরম ও মহাদুঃখে ভারক্রোস্ত ৷
কোনও মৃত্যুবরণকরীির বিপদ কি যে দিনের ৰিপদের সমতুল্য, যে দিন মুহাম্মদ (সা)
মৃত্যুবরণ করলেন?
যেদিন তাদের ওহীর অবতরণ ধারা ছিন্ন হয়ে গেল ৷ যিনি ছিলেন সে আলোকবর্তিকা যা
অস্তণাযী ও উদীয়মান ৷
এম
তিনি রহমান’-এর দিকে পথ নির্দেশ করতেন তাদেরকে মারা তার অনুপমন করতেন এবং
ভয়াবহ লাস্থনা হতে তাদের মুক্ত করতেন এবং তাদের সুপথ প্রদর্শন করতেন ৷
তিনি তাদের ইমাম পরম নিষ্ঠা সহকারে তাদেরকে সত্যের পথে পরিচালিত করতেন;
সততার শিক্ষাদাতা যারা র্তার আনুগত্য করবেন র্তারা সৌড্যাগ্যর অধিকারী হবেন ৷
ত্রুটি-ৰিচ্যুতি মাত্তনািকারী; তাদের ওমর-আপত্তি গ্রহণ করে থাকেন ৷ আর যদি তারা
সদাচারী হয় তবে আল্লাহ তো সর্বশ্রেষ্ঠ কল্যাণ দাতা ৷
যদি এমন কোন সমস্যা দেখা দেয় যার চাপ বহনে তার! সমর্থ নয়, তবে তারই নিকট হতে
পাওয়া যায় যুশকািল আসন্ন ৷
এমতাবস্থায় যে তারা ছিলেন আল্লাহর নিয়ামাতে নিমজ্জিত; তাদের মধ্যমণি ছিলেন
একজন দিশারী ৷ পথ চলার দিশা লাভে যিনি উদ্দিষ্ট ৷
হিদায়ড়াভ হতে তাদের বিচ্যুত হওয়া তার কাছে অসহানীয়, তাদের সরল সঠিক হিদায়াতের
পথের পখিক হওয়ার ব্যাপারে তিনি পরম অগ্রেহী ৷
তাদের প্ৰতি পরম স্নেহার্দ্র, তার বাহু অন্যত্র হটিয়ে যেন না , (বরং) তাদের উপরে প্রসারিত
করেন এবং তাদের জন্য ৰিছিয়ে দেন ৷
তারা ঐ নুরের মধ্যেই ছিলেন, এমতাবস্থায় তাদের সে নুরপানে ধাবিত হল একটি অব্যর্থ
মৃত্যুবান ৷
প্রসংশিতরুপে তিনি কাির ঢললেন আল্লাহর সকাশে; তার জন্য কান্না ভেজা হচ্ছিল
ফিরিশতাকুলের নেত্রপল্লব এবং তার গুণকীর্তন হচ্ছিল ৷
হারমের দেশের অলি গলি হল ভীতিকর নিস্তব্ধ; তার পরিচিত ওহী প্রবাহের অনুপস্থিতির
কারণে ৷
গেটি৷ দেশ শুন্য মরু, শুধু কবরের আবাদী টুকু ব্যতিক্রম; যেথায় অতিথি হয়েছেন
(আমাদের) হারানো মানিক; যার জন্য র্কাদে শিলা-পাথর ও ণারকাদ বৃক্ষরাজি ৷
আর র্কাদে তার মসজিদ; তার ৰিরহে নিত্তনিতা-একাকীত্নে ৰিদ্ধ শুন্য প্রাস্তর; যেখানে ছিল
তার র্দাড়ানাে ও বসার স্থান ৷
আর জামরাতুল কুবৃরার দেশে (ম্ক্কাভৃমে); সেখানে তাকে হারাবার নিজর্নতায় বিদ্ধ হচ্ছে
বাড়িঘর, আৎগিনা ও জন্মতুমি ৷
আল্লাহর রাসুলের (না) জন্যে তাই হে চোখ! অশ্রু ধারা বহিয়ে চল, যুগ-যুএড়ান্তেরে কোন
দিন যেন তোমাকে দেখি না যে, তোমার অশ্রু জমাট বেধে গেছে ৷
তোমার কি হয়েছে যে তুমি যে নিয়ামতধারীর জন্য র্কাদবে না; যা পুর্ণমাত্রায় আচ্ছাদিত
করে রেখোছ মানবকুলকে ৷
মন খুলে অশ্রু ঝরাও র্তার জন্য এবং চিৎকার করে র্কাদ; সেই মহান সাত্তার বিরহে যার
তুলনা মহাকাল আর উপস্থাপন করবে না ৷
অতীত কালের লোকেরা মুহাম্মদ (না)-এর ন্যায় এমন কাউকে হারায় নি; এবং কিয়ামত
পর্যন্ত আর কখ্যনা র্তার মত এমন কাউকে হারানো হবে না ৷
তার চাইতে অধিকতর চরিত্রবান এবং একের পরে এক দায়িত্ব পলেন ও অঙ্গীকার
পুরণকারী এবং সহজ্যাভ্য দাতা ৷
এবং যিনি স্বউপার্জিত ও উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ৰিতরণে অতুনর্নীয়-ধ্ৰ্ৰ
উত্তরাধিকাৱসুত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ব্যয় করতে ন্াড় দানবীরও কার্পণ্য করে ৷
এবং যিনি বংশ পরিচয় কালে গোত্র পরিবারের দিক থেকে সৰ্বাধিক অভিজাত এবং সর্দার
ও নেতারুপে বরিত বাতহার অভিজ্বাতেত্রৱ অধিকারী ৷
এবং যিনি মর্যাদা-মাহাঅেক্ত দৃর্ণঘো শিখর চুড়া এবং সুদৃঢ় সুউচ্চ গগনচুষী মর্যাদা-স্তম্ভের
অধিকারী ৷
এবং যিনি সুদৃঢ় মুল ও শাখা-প্ৰশাখা এবং এমন কাণ্ডের অধিকারী,’ যাকে পুষ্টি বুগিয়ােছ
মেঘমালা ৷ সুতরাং সে কাও অধিকতর সজীব ৷
মহীমান প্ৰতিপালক র্তাঝে প্ৰতিপালন করেছেন শৈশব হতে; ফলে র্তার পুর্ণতা পুর্ণাত্গ
হয়েছে সার্বাত্তস্ কস্যাণকররুপে ৷
মুসলমানদের সুদৃঢ় র্বাধন নিবন্ধিত হয়েছে তার হাতের সাথে, তইি তো তিনি পারে নি
রুদ্ধ, বুদ্ধি হয় নি বিভ্রান্ত ৷
“আমি তো বলেই লেছি এবং আমার বক্তব্যে ণ্দাষারোপকারী ও বিরুপ সমালোনােকারী
কাউকে পাওয়া যাবে না, তবে যদি কেউ বাস্তবতা বিবর্জিত ও কষ্টকল্পিত কথ্য বলে ৷
তীর গুণকীর্তদুন আমার আগ্রহ নিবৃত্ত হবে না ৷ আমার আশা, এতে করেই আমি চিরন্তন
জান্নাদুত চিরস্থায়ী হন ৷
মুস্তাফা (সা) এর সং দুগ; ও দিয়েই তার পার্শ্ব সান্নিধ্যই আমার কাম এবং ঐ দিনটি
পাওয়ারই আমি সাধ্য সাধনা করে চদুলছি ৷
হাফিয আবুল কাসিম সৃহায়লী (র) তার রাওযুল উনুফ গ্রন্থের উপসংহাদুর লিখেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য গােকপথােয় আবু সুফিয়ান ইবনুল হড়ারিছ ইবন আবদুল ঘুত্তালিব (রা)
বদুলদুছন-
আমি ৰিনিদ্র রাত কাটিদুয়ছি, ফলে আমার রাত নিঃশেষ হতে চাচ্ছিল ন৷ ৷ ৰিপদ্যো রাত
প্রলন্বিভই হয়ে থাকে ৷
এবং কান্না আমাকে সহযোগিতা দিল; তবে মুসলমানরা যে চরম ৰিপদুদর সম্মুখীন হয়েছিল
তার তুলনায় এ কান্না নি৩ ৷স্তই অল্প ৷
যে বিকেলে বলা হল রাসুল (সা) দুক তুলে নেয়া হয়েছে, সে সময় আমাদের বিপদ ছিল
ভারী ও ভীষণ
আমাদের এ ভুমি তার উপরে আগত মহাবিপদে এমন হয়ে গেল যেন, তার প্রাতগুদ্যে
আমাদেরকে নিয়ে কাৎ হয়ে যাচ্ছিল ৷
আমরা বঞ্চিত হয়েছি ওহীর অব৩ রণ থেকে, যা নিয়ে সকাল বিকাল আগমন করতেন
জিবরীল (আ )
এবং মানুষের চোখ যে সব কারণে অশ্রু বহায় বা প্রবহমান হওয়ার উপক্রম করে, সে
সদুবর মাঝে ঐঢিই জ্জি অধিকতর উপযুক্ত ৷
(তিনি সেই ) নবী, যিনি আমাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দুর করে দিতেন তার কাছে আগত ওহী
এবং তার রাণী দিয়ে ৷
এবং তিনি আমাদের ইিদারাত করতে তন, কাজেই আমরা ছিলাম ভ্রাস্তির আশংকামুক্ত,
যেহেতু রাসুল (সা) আমাদের পথ নির্দেশক ৷
হে ফাতিমা ! তুমি যদি অস্থির হয়ে গিয়ে থাক তবে তা যার্জনা যােপ্য; আর যদি অস্থিরতা
প্রকাশ না করে পায় তার তা-ই যথার্থ পন্থা ৷
তোমার পিতার কবর সব কবরের সেরা; সে কবরে রয়েহ্নে৷ মানবক্যু শিরােমনি রাসুল (সা) ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উত্তরাধিকার
প্ৰসত্তা : যীরাছরুপে নবী করীম (না)-এর কোন দীনার, দিরহাম, গোলাম, ৰীদী, বকরী,
উট এবং মীরাছন্বযাগ্য অন্য কিছু রেখে না যাওয়া; বরং তিনি তার পরিত্যক্ত তু-সম্পত্তি মহান-
মহীয়ান আল্পাহ্র জন্য সাদাকা রুপে করে যান ৷ কেননা, পৃথিবী ও তার আনুযার্থপক সব কিছুই
ছিল তার দৃষ্টিতে তুচ্ছাতিভুচ্ছ; যেমনটি তা আল্লাহর নিকটে তুচ্ছ ৷ এসব সত্তাহ সঞ্চয়ের ত্তনাে
চেষ্টা সাধনা করা কিৎবা মীরাছরুপে রেখে যাওয়ার বাসনা পোষণ করা ছিন তার মর্যাদার সাথে
অসং গতি পুর্ণ ৷
বুযাবী (র) বলেন, কুতায়বা (র) আমৃর ইবনুল হারিছ (যা) থেকে বনাি করেন যে, তিনি
বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) রেখে যাননি কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও গোলাম না কোনও
বীদী, তার একমাত্র তার বাহন আলু-বারযা’ (শ্বেত) খাস্তে ও তার অস্ত্র এবং তার ভুমি যা
মুসাযিবদের জন্য সাদাকা করে গিয়েছিলেন ৷ বুখায়ী (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে আবুল আহ্ওয়াস, সুফিয়ান আছু ছাওরী ও
যুহড়ায়র ইবন যুআৰিয়া (র) সুত্রের বিজ্যি সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন, ইসরাঈল (র)-এর বরাতে এবং নাসাঈ (র) ইউনুস ইবন আবু ইসহাক
(র) সুত্রেউম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়ারিয়া বিনৃতুন হারিছ (না)-এর ভাই আমৃর ইবন হারিছ
হতে আহমদ (র)-ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবু মুআবিয়া (র)অইিশা (রা)
থেকে, তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও বকরী, কোনও
উট রেখে যান নি এবং (কারো জন্য সম্পদ প্রদানের) কোনও অসিয়াতও করে যাননি ৷ এ
হাদীস মুসলিম (র) একাকী অনুরুপ এবং আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজা (র) বিজ্যি সুত্রে
সুলায়মান ইবন মিহরান-আল আমড়াশ (র) সুত্রে, আল্লাহর হড়াবীব ও প্রিয়তমের প্রিয়তমা,
সপ্তাকাশের উর্ধ হতে পবিত্রতার সনদ প্রাপ্তা সিদ্দীক তনয়া অইিশা সিদ্দীকা সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন (আল্লাহ তার প্রতি রাযী থাকুন এবং তাকে তৃষ্ট রাখুন) ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, ইসহাক ইবন ইউসুফ (র)আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার-দিরহাম, কোনও ৰীদী, গোলাম এবং কোনও ছাপল-উট
(যীরছেরুপে) রেখে যান নি৷ আবদুর রহমান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না) কোনও দীনার-দিরহাম এবং কোন ছাগল-উট রেখে যাননি ৷ সুফিয়ান (র)