Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৩ » অনুচ্ছেদ : মক্কা-মদীনার ফযীলত

অনুচ্ছেদ : মক্কা-মদীনার ফযীলত

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • বালুকাম্য় স্থইনের (খজুর গ্শ্চেছও ণ্তহ্বয়ন্ক্কৰু করে নড়া তৰুর মৰুলিৰুকর, যখন ণ্স হয় তৃপ্তৰু যখন
    সে দাড ৷য় ৷নিজের পায়ে ৷

    ইবন ইসহাক প্রমুখ কবি৩ ৷টি উল্লেখ করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র আল-হুমায়দী
    প্রমুখ সুফিয়ান ইবন উয়ায়না, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আনসারী সুত্রে এক আনসারী বৃদ্ধার
    উদ্ধৃতি ৩দিয়ে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাসকে এ কবিতামা ৷লা
    বর্ণনড়াকালে সুরমা ইবন কায়স এর নিকট আসা যাওয়া করতে দেখেছি ৷ ইমাম বায়হাকী
    বর্ণনাটি উদধৃত করেছেন ৷

    অনুচ্ছেদ
    মকা-মদীনার ফযীলত

    মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হিজরতের মাধ্যমে মদীনা নগরী ধন্য হয় ৷ আল্লাহ্র বন্ধু এবং
    তীর নেক বন্দোদের জন্য তা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয় ৷ মুসলমানদের জন্য তা পরিণত
    হয় দুর্ভেদ্য দুর্ণে, আর গোটা বিশ্ববাসীর জন্য তা হয়ে উঠে ইিদায়াতের কেন্দ্রস্থল ৷ মদীনায়
    ফযীলত সম্পর্কে অনেক অনেক হাদীছ বর্ণিত আছে ৷ বিভিন্ন স্থানে সে সমস্ত হাদীছ আমরা
    উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ্ ৷

    বুখারী এবং মুসলিম শরীফে হাবীব ইবন ইয়াসাফ সুত্রে জাফর ইবন আসিম-এর বরাতে
    আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ঘ্র

    “নিশ্চয়ই ঈমান মদীনায় আশ্রয় নেবে যেমন সর্প আশ্রয় নেয় তার গর্ভে ৷” ইমাম মুসলিম
    মুহাম্মদ ইবন রাফি’ সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে আর তিনি নবী করীম (সা) থেকে অনুরুপ
    হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী এবং মুসলিম শরীফে মালিক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) এর বরাতে
    বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
    “এমন একটি জনপদে (হিজবত করার জন্য) আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যে জনপদ
    সমস্ত জনপদকে গ্রাস করবে ৷ লোকেরা সে জনপদকে ইয়াছরিব বলে, (আসলে) তা হল মদীনা
    রা নবীর নগরী, এ নগরী মানুষকে পরিচ্ছন্ন করে (পাপ-পংকিলতার আবর্ত থেকে) যেমন
    আগুনের র্ভাটি লোহার মরিচা দুর করে ৷ চার ইমামের মধ্যে কেবল ইমাম মালিকই এককভাবে

    মক্কার উপর মদীনায় শ্রেষ্ঠতৃ স্বীকার করেন ৷ ইমাম বায়হাকী (র) হাফিয আবু আবদুল্লাহ্ সুত্রে
    আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

    “হে আল্লাহ ! আমার সবচাইতে প্রিয় নগরী থেকে তুমি আমাকে বের করেছ, কাজেই
    তোমার নিকট প্রিয়তম নগরীতে আমাকে বাসিন্দা কর ! ফলে আল্লাহ র্তাকে মদীনায় বাসিন্দা
    করেন ৷ ” এ হাদীছটি অতিশয় গরীব পর্যায়ের ৷ আর জমহুর আলিম সমাজের মতে মক্কা হচ্ছে
    মদীনা থেকে শ্রেষ্ঠ ৷ তবে সে স্থান ব্যতীত, যাতে রাসুলের পবিত্র দেহ ঢিড়াশে আছে ৷ জমহুরে
    উলামা এ ব্যাপারে দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন যার আলোচনা এখানে করতে গেলে
    অনেক দীর্ঘ হবে ৷ আমরা গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ এ প্রসঙ্গ আলোচনা
    করবো ৷ তবে তাদের প্রসিদ্ধ দলীল, যা ইমাম আহমদ আবুল ইয়ামান সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন
    আদী ইবন হড়ামরার বৱাতে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ : মক্কার বাজারে
    হাবুরা’ নামক স্থানে দাড়িয়ে বলতে শ্যুনছেন :

    “আল্লাহর শপথ, আল্লাহর দুনিয়ার তুমি আমার নিকট এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম এবং
    সবচেয়ে প্রিয় ভুমি ৷ তোমার কােল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা না হলে আমি কখনো তা থেকে
    বের হতাম না ৷ অনুরুপভাবে ইমাম আহমদ ইয়াবুয ইবন ইব্রাহীম সুত্রে যুহ্য়ী থেকে হাদীছটি
    বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ্ লায়ছ সুত্রে যুহ্য়ী থেকে
    হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং তিরমিযী হড়াদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলেছেন ৷ তিরমিযী ইউনুস
    সুত্রে যুহ্য়ী থেকেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আম্র আবু সালামা সুত্রে আবু
    হুরায়রা (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ আমার মতে যুহ্য়ী বর্ণিত হাদীছটি বিশুদ্ধতর ৷

    ইমাম আহমদ আবদুর রায্যাক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) হায়ুরা’ নামক স্থানে দাড়িয়ে বলেন :

    “আমি জানি যে, তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ ভুমি এবং আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ভুমি ৷
    তোমার অধিবাসীরা আমাকে তোমা থেকে বহিষ্কার না করলে আমি বের হতাম না ”
    অনুরুপভাবে ইমাম নাসাঈ মামার সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেন,
    এটা মামারের ভ্রম ৷ কোন কোন মুহাদ্দিছ মুহাম্মদ ইবন আমৃর সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকেও
    হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এটিও ভ্রম ৷ জামাআত তথা বিপুল সংখ্যক লোকের বর্ণনাই বিশুদ্ধ ৷
    ইমাম আহমদ ইব্রাহীম ইবন খালিদ সুত্রে আবু সালামা থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

    তাবারানী আহমদ ইবন খালিদ সুত্রে আদী ইবন হামরা থেকেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
    এগুলো হলো হাদীছটির সুত্র বা সনদ ৷ আর এ সবের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বিশুদ্ধ, সে সম্পর্কে
    ইতোপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন ৷

    হিজরী প্রথম সনের ঘটনাবলী

    হিজরী ষোড়শ, কারো কারো মতে সপ্তদশ বা অষ্টাদশ সনে খলীফা হযরত উমর (রা ) এর
    শাসনামলে হিজরী সন গণনার সুচনা সম্পর্কে সাহাবায়ে কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম একমত
    হন ৷ আর তা এভাবে হয় যে, আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) এর দরবারে কোন এক ব্যক্তির
    বিরুদ্ধে কিছু দলীল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করা হয় এবং তাতে একথা উল্লেখ ছিল যে, শাবান
    সালে তা পরিশোধ করতে হবে ৷ তখন হযরত উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন শাবান
    মাস ? এর এ বছরের শাবান মাস, যাতে আমরা এখন আছি, নাকি গত বছরের শাবান মাস, না
    আগামী বছরের শাবান মাস ? এরপর তিনি সাহাবায়ে কিরামকে ডেকে একটা তারিখ
    নির্ধারণের ব্যাপারে তাদের নিকট পরামর্শ আহ্বান করেন, যাতে ঋণ পরিশোধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে
    উক্ত তারিখ দ্বারা পরিচয় পাওয়া যায় ৷ কেউ কেউ পারস্যের অনুরুপ তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব
    করলে খলীফা তা না-পসন্দ করেন ৷ আর পারসিকরা একের পর এক তাদের রাজত্ব-বাদশাহ
    দ্বারা তারিখ গণনা করতো ৷ কেউ কেউ রোম সাম্রাজেব্রর তারিখ অদুযত্মী তারিখ নির্ধারণের জন্য
    প্রস্তাব করে ৷ বোমানরা তারিখ নির্ধারণ করে মেসিডোনিয়ার ফিলিপৃস তনয় সম্রাট
    আলেকজান্ডারের রাজতৃকাল থেকে ৷ খলীফা উমর (বা) এ প্রস্তাবও পসন্দ করেননি ৷ কিছু কিছু
    সাহাবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্ম থেকে তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ৷ আবার কোন কোন
    সাহাবী প্রস্তাব করেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে তারিখ গণনা শুরু করতে ৷
    আবার কিছু লোক বলেন, বরং রাসুল (না)-এর হিজরত থেকেই তারিখ গণনা শুরু করা হোক চ
    কেউ কেউ বলেন, বরং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফড়াত থেকেই শুরু করা হোক ৷ হিজরত থেকে
    তারিখ গণনা শুরু করার দিকে খলীফা উমর (রা) ঝুকেন ৷ কারণ, হিজরতের ঘটনা প্রসিদ্ধ ও
    খ্যাত ৷ এ ব্যাপারে সকলে তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ৷

    ইমাম বুখারী (র) সহীহ্ বুখারী গ্রন্থে তারিখ এবং তারিখের সুচনা পরিচ্ছেদে আবদুল্লাহ
    ইবন মুসলিম সুত্রে সাহল ইবন সাআদ থেকে বর্ণনা করে বলেনঃ

    সাহাবায়ে কিরাম রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ বা ওফাত থেকে (তারিখ) গণনা শুরু
    করেননি, বরং তারা শুরু করেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মদীনায় আগমন থেকে ৷

    ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ইবন আবিয যিনাদ সুত্রে ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করে বলেন :

    হযরত উমর (রা) সমীপে কেউ একজন আবেদন জানায় : তারিখ নির্ধারণ করে দিন হে
    আমীরুল মু’মিনীন ৷ খলীফা উমর জানতে চাইলেন, কী তারিখ ? লোকটি বললাে : আজমী
    তথা অনারবরা একটা কাজ করে তারা লিখে রাখে অমুক শহরে অমুক সালে এ ঘটনা

    ৎঘটিত হয়েছে ৷ তখন হযরত উমর (রা ) বললেন : চমৎকার, তাহলে তােমরাও লিখে রাখ ৷

    তখন লোকজন বললাে : কোন সন থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললাে,
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নবুওয়াত লাভ থেকে ৷ অপর কিছু লোক বললো৪ না, বরং তার ওফাত
    থেকেই শুরু করি ৷ এরপর হিজরত থেকে সুচনা করার ব্যাপারে সকলেই একমত হন ৷ পরে
    কিছু লোক বললেন : কোন মাস থেকে আমরা সুচনা করবো ? কিছু লোক বললেন : রমাযান
    মাস থেকে ৷ আবার অপর কিছু লোক বললেন : না বরং মুহাররম মাস থেকে (শুরু করা

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অনুচ্ছেদ : মক্কা-মদীনার ফযীলত Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.