Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » অভিশপ্ত আব্দুল্লাহ ইবন উবাইর মৃত্যু

অভিশপ্ত আব্দুল্লাহ ইবন উবাইর মৃত্যু

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • পাওয়া গেলে তাকে চাবুক লাগানো হবে এবং তার পরিধেয়-পরিচ্ছেদ বাজেয়াপ্ত হবে ৷
    পুনঃপুনঃ সীমালঙ্ঘন করলে তাকে ধরে নবী মুহাম্মদ (সা)এর আদালতে উপস্থিত করা
    হবে ৷ এ হচ্ছে নবী মুহাম্মদ (সা)এর ঘোষিত ফরমান (নবী দরবারের লিখক নিবন্ধক)
    খালিদ ইবন সাঈদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ রাসুলেৱ নির্দেশে এ লিপি লিখে দিচ্ছে ৷ কেউ
    তা লঙ্ঘন করলে সে নিজ দায়িত্বে আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ এর আইন অমান্য করেছে বলে
    সাব্যস্ত হবে ৷”

    ইমাম আহমদ (র) বলেন, মক্কাবাসী মাখয়ুম গোত্রের আবদৃল্লাহ্ ইবনুল হারিছউরওয়া
    ইবনুয যুবায়র (না) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা লিয়্যা১ থেকে ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    সাথে এগিয়ে চলছিলাম ৷ সিদরাহ্ বৃক্ষের কাছাকাছি পৌছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) গাহটির বরাবরের
    টিলাপ্রাস্তে থেমে গিয়ে সম্মুখে উপত্যকা পানে দৃষ্টি প্রসারিত করে র্দাড়ক্রোন ৷ তার র্দাড়ানাের
    ফলে গেটিড়া কাফেলার গতি থেমে গেল ৷ তখন তিনি বললেন-“ওয়াজ্জ্ব-
    এর শিকার ও বৃক্ষরাজী হারাম আল্লাহ্ব উদ্দেশ্যে নিবেদিত ম্মিবধাজ্ঞাযুক্ত ৷ এ ঘোষণা দেয়া
    হয়েছিল তার তায়েফে উপনীত হওয়ার আগে এবংঘকীফ্ মোঃ পুর্বে ৷

    ইমাম আবু দাউদ (র)ও হাদীসখানি উল্টিত সনদেমুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
    আনসান আত্-তইিফী (র) সুত্রে বর্ণনা মোঃ ৷ ইবন হাব্বান (র) রাৰী মুহাম্মদ (র)-কে
    ছিকা ও নির্ত্যযােপ্য বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তার সম্পর্কে ইবন মাঈন (র)-এর মন্তব্য “তীর
    বিরুদ্ধে কোন অত্যিমাগ নেই ৷ কোন কোন হাদীস ৰিশ্নেবক তার বিরুপ সমালোচনা
    করেছেন ৷ আহমদ ও বুখারী (র) প্রমুখ ইমামগণ এ হাদীসকে জঈফ’ বলেছেন ৷ অপরদিকে
    ইমাম শাফিঈ এটিকে বিশুদ্ধ আখ্যা দিয়ে এর মর্স কথাকে মাযহাবরুপে গ্রহণ করেছেন ৷
    আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

    অভিণপ্ত আবদুল্লাহ ইবন উবাইর মৃত্যু

    মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, যুহরী (র)উসামা ইবন যায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা
    করেন, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উবাইর অন্তিমশয্যায় আল্লাহর রাসুল (সঃ) তাকে দেখতে
    গেলেন ৷ তার মৃত্যু সন্নিকট হওয়ার আলামত দেখতে পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)তাকে বললেন,
    আল্লাহর কসম ! আমি তো তোমাকে ইয়াহুদী প্রীতি বর্জন করতে বলতাম ৷ সে বলল, আসআদ
    ইবন যুরারা তো তাদের নাখোশ করেছিল; তাতে তার কীইবা জুটেছে?

    ওয়াকিদী (র)-এর বিবরণ : শাওয়াল মাসের কয়েকদিন বাকী থাকতে আবদুল্লাহ্ ইবন
    উবাই অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং যিলকদ সালে মারা গেল ৷ তার রোগভোগোর ব্যাপ্তি ছিল বিশ
    দিন ৷ এদিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) তাকে প্রায়ই দেখতে যেতেন ৷ তার মৃত্যুর দিনও
    রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) যথারীতি তাকে দেখতে গেলেন ৷ তখন তার অন্তিম অবস্থা ৷ তিনি বললেন,
    “ইয়াহুদী প্রীতি থেকে তোমাকে আমি বিরত রাখার প্রয়াস পেরেছিলাম ৷ সে বলল, আসআদ
    ইবন যুরারা তো ওদের ক্ষেপিরে রেখেছে? কিন্তু তাতে কি তার খুব লাভ হয়েছে? পরে বলল,

    ১ লিয়া; তায়েফের উপকণ্ঠ ও শহরতলী ৷

    ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এটা তো আর ভভুসনা করার সময় নয়; সামনে নিথর মৃত্যু; আপনি উপস্থিত
    থেকে আমার গোসল ও দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করবেন এবং আপনার পায়ে লাগা কামীসটি
    আমাকে দান করে তা দিয়ে আমাকে কাফন পরাবেন আর আমার জানাযার নামায আদায় করে
    আমার জন্য মাগফিরাত কামনা করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শেষ ইচ্ছা পুরণ করেছিলেন ৷
    বায়হড়ার্কী (র) সালিম ইবন অ্যালান (র) থেকে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ওয়াকিদীর বর্ণনার
    অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক জ্ঞাত ৷

    ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ্ (র) বলেন, আমি আবু উসামা (র)-কে জিজ্ঞেস করলাম, শারখ
    উবায়দুল্লাহ্ (র) ইবন উমর (রা) থেকে আপনাদের কাছে এ মর্মের হাদীস বর্ণনা করেছেন
    কি যে, (ইবন উমর (রা) বলেছেন) পিতা আবদুল্লাহ্ ইবন উবইি ইবন সালুল মারা গেলে তার
    ছেলে আবদৃল্পাহ্ (ইবন আবদৃল্লাহ্) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসবেন এবং তার পিতার
    কাফনরুপে ব্যবহারের জন্য তার কাযীসটি র্তাকে দান করার দরবাস্ত পেশ করলে তিনি সেটি
    তাকে দিয়ে দিলেন ৷

    পরে তিনি তার পিতার জানাযা নামায আদায় করার জন্য আবেদন জানালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    জানাযা আদায়ের উদ্দেশে সালাতে র্দাড়ালেন ৷ উমর ইবনুল বত্তোব (রা) দাড়িয়ে তার কাপড়
    টেনে ধরে র্তাকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি তার জন্য জানাযার নামায আদায় করছেন?
    অথচ আল্লাহ্ (মুনাফিকের জানাযা আদায়ের) এ বিষয়টি আপনার ড্ডা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন ৷
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার প্ৰতিপালক আমাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন, কারণ তিনি (তা
    ইরশাদ করেছেন, “তুমি তাদের জ্জা ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না কর
    একই কথা; তুমি তাদের জন্য সক্কুরবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ্ কখনই তাদেরকে ক্ষমা
    করবেন : ৮০) ৷

    তা হলে আমি সত্তুরৰারের অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করে দেখব ৷ উমর (রা) বললেন, ওতো
    একটা মুনাফিক ছিল, আপনি ওর জন্য জানাযার সালাত আদায় করবেন? এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্
    তাআলা নাযিল করলেন ’ ’

    “ওদের মধ্যকার কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জন্য জানাযার সালাত পড়বে না এবং
    তার কবর পাশে র্দাড়াবে না; ওরা তো আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে অস্বীকার করেছিল” (৯ :
    ৮৪) ৷ আবু উসামা (র) এ সনদ ও হাদীসের যথার্থতা অনুমোদন করে বললেন, হা , (অর্থাৎ
    এমন রিওয়ায়াত রয়েছে) সহীহ্ ৰুখারী ও মুসলিমের ইমামদ্বয় আবু উসামা (র) থেকে
    হাদীসখানি গ্রহণ করেছেন ৷ বুখায়ী (র) প্রমুখের রিওয়ায়াতে রয়েছে উমর (রা) বলেন, আমি
    বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আপনি তার জানাযার সালাত আদায় করছেন? অথচ সে অমুক দিন
    অমন কথা এবং অমুক দিন অমুক অমুক অমুক কথা বলেছিল ? তিনি বললেন, উমর! আমাকে
    বাধা দিও না, আমাকে তো দুদিকেরই ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে ৷ আমার যদি নিশ্চিতভাবে এ
    কথা জানার সুযোগ হত যে, সত্তুরের চাইতে অধিকবার ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে ক্ষমা করে
    দেয়া হবে, তা হলে আমি অবশ্যই তা করতাম ৷ ’ এ কথা বলে তিনি তার জানাযার সালাত
    মাদার করলেন ৷ ওদিকে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন

    “ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জন্য জানাযার সালাত পড়বে নাউমর
    (বা) বলেন, “পরে আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে আমার এ দুঃসাহসিক আচরণের কথা
    ভেবে বিস্মিত হয়েছি ৷ আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সা) সমধিক অবগত ৷

    সুফিয়ান ইবন উয়ারনা (র) বলেন, আমৃর ইবন দীনার (র) জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)-কে
    বলতে শুনেছেন, “আবদুল্লাহ্ ইবন উবইিকে তার করবে ঢুকিয়ে দেয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
    কবরের কাছে তশরীফ আনলেন ৷ তিনি ছকুম করলে লাশ কবর থেকে বের করা হল এবং তিনি
    সেটি তার দুই হাটু অথবা (বর্ণনা ব্যতিক্রম) তার উরন্দ্বয়ের উপরে রেখে তার পা-মুখে নিজ্যেম্ভ
    থুথু ছিটিয়ে দিলেন এবং তাকে নিজের কামীস পরিয়ে দিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
    বুখরীিতে উল্লিখিত সনদে অনুরুপ বিবরণ রয়েছে ৷ বুখায়ীর বর্ণনায় এ কত্থারও উল্লেখ রয়েছে যে,
    (চাচা) আব্বাস (রা)-কে কামীস দানের প্রতিদানে রাসুল (সা) ইবন উবইিকে কামীস
    পরিধেয়রুপে দিয়েছিলেন ৷ কোনো, আব্বাস (রা) (বদরের বন্দীরুপে) মদীনায় নীত হলে তার দীর্ঘ
    দেহের মাপে আবদৃল্লাহ্ ইবন উবইির কাযীস ব্যতীত আর কোন কামীস পাওয়া যাচ্ছিল না ৷

    বায়হাকী (র) এ ক্ষেত্রে ছালাবা ইবন হাতির-এর ঘটনা এবং সম্পদধিক্যে তার পার্থিব
    মােহের ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ আমি তাফসীর গ্রন্থে
    আঘাতের ব্যাখ্যার সংশ্লিষ্ট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছি ৷

    অনুচ্ছেদ : তাবুক অভিযানের পব্লিশিষ্ট

    ইবন ইসহাক (র) বলেন, তাবুক অভিযানই ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক পরিচালিত
    যুদ্ধাভিযানসমুহের শেষ অভিযান ৷ কাব হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
    সহগমনে আনসারীদের যুদ্ধ যাত্রা ও যুদ্ধক্ষেত্রে নবী করীম (সা) এর সাথে তার নিজের
    সহাবস্থানের বিবরণ দিয়ে সমরগাথা রচনা করেছেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেন, মতান্তরে এ
    কবিতাগুলো হাসৃসান (রা)এর পুত্র আবদুর রহমান (র) বিরচিত ৷

    আপনি কি (হে মুহাম্মদ সা) জনগোষ্ঠী ও সমাজ বিচারে আরবজাতির পিতৃপুরুষ মআেদ
    (ইবন আদনান)-এর অধস্তন বংশধরদের মধ্যে গোটা আরবের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নন ? তারা বৃহত্তর
    বিন্তুত পরিবেশেই অবস্থান করুক কিংবা কোন সীমিত পরিসরে ৷
    যেহেতু আপনার সমাজ (আনসারীদের সমাজ) যারা রাসুল (সা ) এর সাথে সদলবলে
    বদরে উপস্থিত হয়েছিল এবং বিপদ মুহুর্তে তার সঙ্গত্যাগ করে নি ও সাধনার বিচ্যুতি
    আসে নি ৷

    “তার! তার হাতে হাত দিয়ে বায়আত করেছে, তারপর তাদের একজনও সে বায়আত
    অঙ্গীকার ভঙ্গ ব৷ ক্ষুশ্ন করে নি এবং তাদের কারো ঈমানে কোন রুপ দ্বিধা-দ্বদ্বেরও অনুপ্রবেশ
    হয় নি ৷

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ অভিশপ্ত আব্দুল্লাহ ইবন উবাইর মৃত্যু Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.