প্রশ্ন
আমি যতটুকু জানি যে, অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার নাজায়েজ, এটা নাকি নাপাক। কিন্তু আমি একজনের নিকট শুনেছি যে, আল্লামা তাকি উসমানী সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে
অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি পাক। এটা ব্যবহার
জায়েজ। সুতরাং আমার প্রশ্ন হল যে অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার কি জায়েজ ? আর তা শরীরে ব্যবহার করা অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে কি?
অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি পাক। এটা ব্যবহার
জায়েজ। সুতরাং আমার প্রশ্ন হল যে অ্যালকোহল যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার কি জায়েজ ? আর তা শরীরে ব্যবহার করা অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে কি?
উত্তর
অ্যালকোহেলযুক্ত যে সকল সুগন্ধি বা
পারফিউম পাওয়া যায় তা ব্যবাহার না করাই উত্তম
ও শ্রেয়। অ্যালকোহেলযুক্ত সুগন্ধি ব্যাবহার করা জায়েজ আছে কিনা তা জানার জন্য আগে মদ বা অ্যালকোহেলের বিধান জানা জরুরী। সংক্ষেপে তা পেশ
করা হল-
ইমাম আবু হানীফা রহ. এর মতে, মদ বা এ্যালকোহেল হল, যা আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরী হয়। এটি যখন ভালভাবে জ্বাল দেওয়া হয় তখন তা মদ হয়। মোটকথা যে মদ বা অ্যালকোহোলের উপাদান আঙ্গুর সেটাই কেবল মদ। এটি নাপাক। এটি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার অল্প বা বেশি নেশা হোক বা না হোক সবই হারাম। এ ব্যাপারে সবাই একমত। আরেক হল, এমন মদ যার উপাদান- খেজুর বা কিসমিস। এটিও হারাম, নাপাক। অল্প হোক বেশি হোক পান হারাম। তবে এর নিষিদ্ধতা প্রথমটার মত মযবুত নয়। তাই এ ধরনের মদ্যপায়ীর উপর ইসলামী হদ (শাস্তি) কার্যকর হয় না। এই কারণে তা বৈধ উদ্দেশ্যে বিক্রয় জায়েয। যেমন মেডিসিনের ব্যবহারের জন্য উক্ত প্রকার এ্যালকোহেল ক্রয়-বিক্রয় করা। তবে ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ রহ. এর মতে এটিও বিক্রি জায়েয নয়। হারাম। তৃতীয় প্রকার অ্যালকোহেল হল-যার উপাদান উপরোক্ত বস্তু ছাড়া অন্য কিছু। যেমন গম, যব বা অন্য কোন শষ্য, মধু ইত্যাদি। এসব অ্যালকোহেলের বিধান হল, নেশা উদ্রেক করে না -এ পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ। নেশা উদ্রেক করে এ পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ না। এটি ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আবু ইউসুফ রহ. উভয়ের মত। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম ইসলামিক স্কলার শাইখুল ইসলাম মুফতী ত্বাকী দা.বা. এ বিষয়ে যা লিখেছেন তার সার সংক্ষেপ হল- “বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অ্যালকোহেল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাসায়নিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বহু শিল্প কারখানা এ্যালকোহেলের ব্যবহার করা ছাড়া চলা সম্ভব নয়।এক কথায় বর্তমান সময়ে বহু মানুষ এর সাথে জড়িত। এবং এর প্রচন্ড প্রয়োজনয়ীতা রয়েছে। এখন আমাদের দেখার বিষয়, যদি এসব অ্যালকোহেল আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরী না হয় তবে তা বৈধ কাজে ব্যবহার করা ইমাম আবু হানীফা রহ.এর মতে
বৈধ।
‘ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা ’(খ.১,পৃ.৫৪৪,প্রকাশকাল ১৯৫০খৃ.)-এ- বর্তমান বিশ্বে অ্যালকোহেল কীসের থেকে তৈরী হয় এর একটি তালিকা দেয়া হয়েছে, সে তালিকায় আছে, মধু, শষ্য, যব, আনারসের রস, গন্ধক ও সালফেট অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান। তবে তাতে কোথাও আঙ্গুর বা খেজুরের কথা নেই। সার কথা, ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মতানুযায়ী বাজারে প্রচলিত অ্যালকোহেল যদি খেজুর ও আঙ্গুর থেকে প্রস্তুত না হয় তবে তা বৈধ কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার বৈধ হবে। নেশার উদ্রেক হয় না এ পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে। আর এটিই স্বাভাবিক সত্য যে, বর্তমানে অধিকাংশ অ্যালকোহেল আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরী হয়না। সুতরাং এসব বৈধ উদ্দেশ্যে ক্রয়- বিক্রয় করা যাবে। তদ্রুপ
ঔষধ তৈরিতে বা চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যাবে।
অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যাবে।” (দেখুন তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩৪৮,৩/৩৩৭; ফিকহুল বুয়ূ ১/২৯৮) উল্লেখ্য যে, যদি কোন অ্যালকোহেলের ব্যাপারে প্রমাণিত হয় যে, তা আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরী তাহলে তা ব্যাবহার করা যাবে না। তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩৪৮,৩/৩৩৭; ফিকহুল বুয়ূ ১/২৯৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
পারফিউম পাওয়া যায় তা ব্যবাহার না করাই উত্তম
ও শ্রেয়। অ্যালকোহেলযুক্ত সুগন্ধি ব্যাবহার করা জায়েজ আছে কিনা তা জানার জন্য আগে মদ বা অ্যালকোহেলের বিধান জানা জরুরী। সংক্ষেপে তা পেশ
করা হল-
ইমাম আবু হানীফা রহ. এর মতে, মদ বা এ্যালকোহেল হল, যা আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরী হয়। এটি যখন ভালভাবে জ্বাল দেওয়া হয় তখন তা মদ হয়। মোটকথা যে মদ বা অ্যালকোহোলের উপাদান আঙ্গুর সেটাই কেবল মদ। এটি নাপাক। এটি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার অল্প বা বেশি নেশা হোক বা না হোক সবই হারাম। এ ব্যাপারে সবাই একমত। আরেক হল, এমন মদ যার উপাদান- খেজুর বা কিসমিস। এটিও হারাম, নাপাক। অল্প হোক বেশি হোক পান হারাম। তবে এর নিষিদ্ধতা প্রথমটার মত মযবুত নয়। তাই এ ধরনের মদ্যপায়ীর উপর ইসলামী হদ (শাস্তি) কার্যকর হয় না। এই কারণে তা বৈধ উদ্দেশ্যে বিক্রয় জায়েয। যেমন মেডিসিনের ব্যবহারের জন্য উক্ত প্রকার এ্যালকোহেল ক্রয়-বিক্রয় করা। তবে ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ রহ. এর মতে এটিও বিক্রি জায়েয নয়। হারাম। তৃতীয় প্রকার অ্যালকোহেল হল-যার উপাদান উপরোক্ত বস্তু ছাড়া অন্য কিছু। যেমন গম, যব বা অন্য কোন শষ্য, মধু ইত্যাদি। এসব অ্যালকোহেলের বিধান হল, নেশা উদ্রেক করে না -এ পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ। নেশা উদ্রেক করে এ পরিমাণ ব্যবহার করা বৈধ না। এটি ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আবু ইউসুফ রহ. উভয়ের মত। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম ইসলামিক স্কলার শাইখুল ইসলাম মুফতী ত্বাকী দা.বা. এ বিষয়ে যা লিখেছেন তার সার সংক্ষেপ হল- “বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অ্যালকোহেল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাসায়নিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বহু শিল্প কারখানা এ্যালকোহেলের ব্যবহার করা ছাড়া চলা সম্ভব নয়।এক কথায় বর্তমান সময়ে বহু মানুষ এর সাথে জড়িত। এবং এর প্রচন্ড প্রয়োজনয়ীতা রয়েছে। এখন আমাদের দেখার বিষয়, যদি এসব অ্যালকোহেল আঙ্গুরের কাচা রস থেকে তৈরী না হয় তবে তা বৈধ কাজে ব্যবহার করা ইমাম আবু হানীফা রহ.এর মতে
বৈধ।
‘ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা ’(খ.১,পৃ.৫৪৪,প্রকাশকাল ১৯৫০খৃ.)-এ- বর্তমান বিশ্বে অ্যালকোহেল কীসের থেকে তৈরী হয় এর একটি তালিকা দেয়া হয়েছে, সে তালিকায় আছে, মধু, শষ্য, যব, আনারসের রস, গন্ধক ও সালফেট অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান। তবে তাতে কোথাও আঙ্গুর বা খেজুরের কথা নেই। সার কথা, ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মতানুযায়ী বাজারে প্রচলিত অ্যালকোহেল যদি খেজুর ও আঙ্গুর থেকে প্রস্তুত না হয় তবে তা বৈধ কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার বৈধ হবে। নেশার উদ্রেক হয় না এ পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে। আর এটিই স্বাভাবিক সত্য যে, বর্তমানে অধিকাংশ অ্যালকোহেল আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরী হয়না। সুতরাং এসব বৈধ উদ্দেশ্যে ক্রয়- বিক্রয় করা যাবে। তদ্রুপ
ঔষধ তৈরিতে বা চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যাবে।
অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যাবে।” (দেখুন তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩৪৮,৩/৩৩৭; ফিকহুল বুয়ূ ১/২৯৮) উল্লেখ্য যে, যদি কোন অ্যালকোহেলের ব্যাপারে প্রমাণিত হয় যে, তা আঙ্গুর ও খেজুর থেকে তৈরী তাহলে তা ব্যাবহার করা যাবে না। তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ১/৩৪৮,৩/৩৩৭; ফিকহুল বুয়ূ ১/২৯৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
মেয়েদের পারফিউম ব্যবহার করা কি জায়েজ
Alcohol Denat অর্থ কি
হালাল বডি স্প্রে
এলকোহল মুক্ত বডি স্প্রে
এলকোহল মুক্ত পারফিউম
বডি স্প্রে ব্যবহারের সময় ঠান্ডা অনুভূত হয় কেন
Alcohol denat কি হালাল
এলকোহল কেন হারাম