আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে মাঝে মাঝে মেসে দাবা খেলতাম। একদিন আমার এক বন্ধুর ভাই (যে মাদরাসায় পড়ে) আমাদেরকে দাবা খেলতে দেখে বলল, দাবা খেলা জায়েয নেই।
আমারা জানার বিষয় হল, এ ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কী?
দাবা খেলা নাজায়েয। এক বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَوْمٍ يَلْعَبُونَ الشِّطْرَنْجَ فَقَالَ: مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ؟ لَأَنْ يَمَسَّ جَمْرًا حَتَّى يُطْفَأَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمَسَّهَا.
হযরত আলী রা. একবার দাবা খেলায় রত কিছু মানুষের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের কে বললেন, এই মুর্তিগুলো কী, যাদের সামনে তোমরা বসে আছো? এগুলো স্পর্শ করার চেয়ে জলন্ত অঙ্গার নির্বাপিত হওয়া পর্যন্ত তাতে হাতে রেখে দেওয়া ভাল। -সুনানে কুবরা, বাইহাকী ১০/২১২
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-কে দাবা খেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,
هُوَ شَرٌّ مِنَ النَّرْدِ
সেটা ‘নারদ’ (নামক খেলা) থেকে নিকৃষ্ট।
(প্রাগুক্ত)
আর নারদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ
যে নারদ দ্বারা খেলল সে আল্লাহ ও তার রাসূলের নাফরমানি করল। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৩৮
মুসলমানদের জন্য এ ধরনের খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত ।
-শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৮/৫৪৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১৯৪; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৯৪