“তুমি একজন দুত; তাই তোমার কিছু অধিকার রয়েছে ৷ উপচৌকন দেওয়ার মত কিছু
আমাদের সংগ্রহে এসে গেলে তা দিয়ে তোমাকে উপচৌকন দিব ৷ এখন তো আমরা খালি হাত
মুসাস্কির ৷
বর্ণনাকাৰী বলেন, তখন সমবেত লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে আওয়ায দিয়ে
বলল, আমি তাকে উপচৌকন দিয়ে দিচ্ছি ৷ ’ এ কথা বলে সে তার জাম্বিল থুলল, দেখলাম
কি, এক জোড়া সোনালী বর্ণ বস্ত্র নিয়ে এসে যে তা আমার কোলে রেখে দিল ৷ আমি বললাম ,
উপচৌকন প্রদানকারী ইনি কে ? আমাকে বলা হল, উছমান (বা) ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন,“এ যেহমানের যেহমানদারী করবে কে ?
এক আনসারী তরুণ বলল, আমি ৷ ’ আনসাৰী উঠে দীড়ালে আমিও তার সাথে চলতে
লাগলাম ৷ মজলিসের চৌহদ্দি পার হয়ে যেতে লাগলে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে ডেকে বললেন,
“ এস হে তানুখী!” আমি এগিয়ে যে স্থানে র্দাড়ালাম , যেখানে একটু আগে
তার সামনে আমি , বসে ছিলাম ৷ তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে দিয়ে বললেন,“ তোমার প্রতি আদিষ্ট (তৃতীয়) বিষয়টিন জন্য এদিক দিয়ে এস ৷
তখন আমি তার পিঠে দৃষ্টি নিবন্ধ করলাম ৷ দেখি কি, তার স্কন্ধ-সন্ধিতে হিমহিমা’
ঘাসফুলের ন্যায় (পাওযবড়ান ফুলের আকৃতির) নবুয়তের মােহর ৷ ’ এ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷
তবে এর সনদ ত্রুটি মুক্ত ৷ ইমাম আহমাদ (র) একক ভাবে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তাবুক থেকে ফেরার পুর্বে আবৃরুহ ও আরো বাসীদের সাথে এবং আলো
রাজ্যের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধি প্ৰসংগ
ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ৩াধুণ্ডে উপনী৩ হ্ণে আরলা এর শাসক ইয়াহনা
ইবন রুবা রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে হাজির হলেন এবং জিঘৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হয়ে তার
সাথে সন্ধিবদ্ধ হলেন ৷ আলো ও আযরুহ-এর অধিবাসীরাও জিবৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হল ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সন্ধি-সনদ লিখে দিলেন ৷ যা তাদের কাছে সংরক্ষিত ছিল ৷ ইয়াহনা
ইবন করা ও আয়লাবাসীদেব প্রদত্ত সন্ধি-সনদে তিনি লিখলেন,
“যেহেরবান দয়ালু আল্লাহ্র নামেশ্আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসুল ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর
পক্ষ থেকে এ নিরাপত্তা পত্র ইয়ড়াহনা ইবন করা ও আয়লাবাসীদের জন্য; জলেস্থলে চলমান
তাদের ও নৌবহরের জন্য আল্লাহ্ ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর জিম্মা এবং তাদের মিত্রবর্গ
শাম, য়ামান ও উপকুলীয়বাসীদের জন্য ৷ তবে তাদের কেউ বিশৃৎখলা সৃষ্টি করলে তার
সম্পদ তার জীবনের জন্য রক্ষাকবচ হবে না এবং সে ক্ষেত্রে যে ভ্রুকড়ান মানুষ তা অধিকার
করলে তা তার জন্য হালাল বলে পরিগণিত হবে ৷ আর জলেস্থলে কোন পানির ক্ষেত্র বা
জলপখে তারা অবতরণ করলে তা থেকে অন্যদের বিরত রাখার অনুমোদন তাদের জন্য
থাকবে না ৷”
ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত ইউনুস ইবন বুকায়র (র)-এর রিওয়ায়াতে একটু অধিক
বিবরণ রয়েছে ৷ এ পত্র জুহায়ম ইবনুস সালত ও শুরাহবীল ইবন হাসনাে-এর সাক্ষাতে
আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর অনুমোদন সুত্রে প্রদত্ত ৷
ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে ইউনুস (র) আরো বলেছেন, জারবা ও আযরুহ
বাসীদের প্রদত্ত সন্ধি সনদে তিনি লিখলেন,
ইহা আল্লাহ্র নবী ও রাসুল (না)-এর পক্ষ থেকে আবকহ ও জারবা বড়াসীদেরকে প্রদত্ত
সনদ ৷ তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত নিরাপত্তা ও মুহাম্মদ (সা) প্রদত্ত নিরাপত্তার অধিকারে শ্ ৎকামুক্ত ৷
আর তারা প্রতি রজব মাসে একশ’ দীনার (স্বর্ণ মুদ্রা) ও একশ’ উকিয়া দিরহাম (চার হাজার
রৌপ্য মুদ্রা) (জিঘৃরা) আদায় করবে ৷ আর ইসলাম ও মুসলিম জাতির প্রতি এবং তাদের কাছে
আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলমানদের সাথে সদাচরণ ও কল্যাণ কড়ামনার ব্যাপারে আল্লাহ্ই তাদের
তত্ত্বাবধায়ক ৷ বণ্নািকায়ী বলেন, আয়লাবাসীদের জন্য নিরাপত্তার প্রর্তীকস্বরুপ নবী করীম (সা)
তার সনদপত্রের সাথে তার চাদর মুৰারকও দিয়ে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী আরো বলেন, পরবর্তী
সময়ে আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) তিনশত দীনাংরর বিনিময়ে সে ঢাদরখানা
খরিদ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নির্দেশে দুমা : আল-জানদাল এর শাসক উকায়দির-এর বিরুদ্ধে
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এর অভিযান
ইবন ইসহাক (র) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)-কে তােক
পাঠালেন এবং তাকে উকায়দির ইবন মালিক-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ
দিলেন ৷ সে হল কিনানা: গোত্রের সামন্ত রজাে উকায়দির ইবন আবদুল মালিক ৷ সে ছিল খৃস্ট
ধর্মানুসাবী ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ (রা)-কে বলে দিয়েছিলেন যে,
তুমি তাকে ৰুনাে গরু শিকারে মগ্ন অবস্থায় পেয়ে যাবে ৷ খালিদ (রা) অভিযানে বেরিয়ে
পড়লেন এবং রাতের প্রথম প্রহরে দুর্গের দৃষ্টি সীমায় পৌছে গেলেন ৷ রাতটি ছিল প্রীল্মকালের
জোৎস্না রাত ৷ উকায়দির তার শ্ৰীকে নিয়ে প্রাসাদের ছাদে সান্ধ্য বিনোদন করছিলেন ৷ বুনো
পরুগুল্যে দুর্গ ৷;তারণে শিং ঘষছিল ৷ উকায়দির পত্নী স্বামীকে বলল, এমন মনােহর দৃশ্য কি
তুমি কখনো দেখেছ ? সে বলল, না ৷ আল্লাহ্র কলম! রানী বলল, (শিকারের) এমন সুবর্ণ
সুযোগ কি কেউ হেলায় হারায় ? রাজা বলল, €কউ না ৷ ’ তারপর নীচে নেমে এসে ঘোড়া
তৈরী করার হুকুম দিল ৷ ঘোড়ার জ্বিন পড়ানো হলে সে বেরিয়ে পড়ল ৷ সাথে ছিল পরিবারের