Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৫ » নবী করীম (না) তামাত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত পােষনকারিগণের প্রসঙ্গ

নবী করীম (না) তামাত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত পােষনকারিগণের প্রসঙ্গ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • ধরনের তামাত্তু১-এর অভিমত পােষণকড়ারীদের জানা জটিল এ কারা;ণ যে, এখানে উল্লেখ করা
    হয়েছে যে, তিনি (সা) সাফা-মারওয়ায় সাঈ করার পরেও তীর ইহরাম হতে হালাল হন নি ৷
    অথচ এটা তামাত্তু হজ্জ পালনকারীর অবস্থা নয় ৷ তবে এ ক্ষেত্রে যারা এ দাবী করেছেন যে,
    (বিশেষ তামাতু হওয়া সত্বেও) সাথে হাদী নিয়ে যাওয়া তার হালাল হওয়ার ব্যাপারে অম্ভরায়
    সৃষ্টি করেছিল যা হযরত হাফসা (বা) হতে (ইবন উমর রা ) সুত্রে হাদীসের মর্ম; যাতে তিনি
    বলেছিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ব্যাপারটি কী, লোকেরা তাদের উমরা হতে হালাল হয়ে গেল,
    আপনি আপনার উমরা হতে হালাল হলেন না ? তখন তিনি বলেছিলেন, আমি আমার মাথায়
    আঠাল দ্রব্য জড়িরেছি এবং আমার হাদীকে মল্দো’ পরিয়েছি; অতএব, কুরবানী না করা পত্তি
    আমি হড়ালাল হচ্ছি না ৷ এ বক্তব্যও যুক্তিসিদ্ধ নয় ৷ কেননা, কিরান’ সম্পর্কিত হাদীসসমুহ এ
    বক্তব্য নাকচ করে দেয় এবং তা নবী করীম (সা) প্রথম উমরার ইহরাম করেছিলেন, পরে
    সাফা-মড়ারওয়ড়ায় সাঈর পরে পুনরায় হব্পুজ্জর ইহরাম বেধেছিলেন ৷ এ বর্ণনাকেও নাকচ করে
    দেয় ৷ কেননা, বিশুদ্ধ সনদে, বরং উত্তম (হাসান) সনদে, এমনকি দুর্বল সনদেও কোন
    বর্ণনাকারী এক্ষেত্রে এ ধরনের ইহরাম, উমরা ও হরুজ্জর কথা উদ্ধৃত করেন নি ৷

    তাছাড়া উল্লিখিত হাদীসে বিদায় হরুজ্জ্ব রাসুলুল্লাহ্ (সা) হল্কজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
    তামাত্তু করেছিলেন এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি ৰিণেষ তামাক্কু’ হয়; যাতে সাঈর পরে হালাল
    হওয়া যায়; তা হলে ; তা গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ৰুণ্ কেননা, হাদীসের পুর্বাপর , বর্ণনা এ ব্যাখ্যা
    অস্বীকার করে ৷ তদুপরি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর হরুজ্জর সাথে উমরা মিলানাের প্রমাণ্যতাও এ
    দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে ৷ আর যদি এ তামাভু দ্বারা ব্যাপক অর্থের (আভিধানিক) তামাতু
    উপকার ও সুযোগ লাভ বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে তাতে তে ৷ বক্ষমান আলোচ্য বিষয়ের
    উদ্দেশ্য কিরানও অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ৷

    , পরবর্তী উক্তি, রড়াসক্ট্র-বুল্যুহ্ (না) প্রথমে উমর র ইহরাম বাধলেন, পরে হরুজ্জর ইহরাম
    বাধলেন ৷ এ উক্তির উদ্দেশ্য যদি এ কথা বুঝা নো হয় যে, প্রথমে উযরা’ শব্দ এবং তার পরে
    হজ্জ’ শব্দ উচ্চারণ করে এভাবে বলেছেন যে, ৷১ম্পু ং>শ্প্ণ্ ণ্শুণ্স্রা এ-;এ্যা ইয়া আল্লাহ! উমরা ও
    হরুজ্জ্বর উদ্দেশ্য আপনার সকাশে হাযির হচ্ছি! তবে এ ব্যাখ্যা সহজ এবং তা কিরান-এর
    প্রতিকুল নয় ৷ আর যদি এ কথা বুঝানো উদ্দেশ্য হয় যে, তিনি প্রথমে উমরার ইহরাম
    করেছেন, তারপর বিলস্বে তার সাথে হজ্জকেও শামিল করেছেন তবে তাওয়াফ শুরু করার
    আগে; তবে সে ক্ষেত্রেও কিরান’ সাব্যস্ত হবে৷ আর যদি উদ্দেশ্য এমন হয় যে, প্রথমে তিনি
    উমরার ইহরাম বেধে তার কার্যক্রম সমাধা করেছেন ৷ তারপর হালাল হয়েছেন কিংবা হাদী
    নিয়ে আসার কারণে হড়ালাল হতে পারেন নি (যেমন কেউ কেউ দাবী করেছেন) ৷ এভাবে

    ১ তামাভু দৃপ্রকার; বিশেষত তামাত্তু অর্থাৎ বিশেষ অর্থে তথা পারিভাষিক অর্থে তামাত্তু যাতে প্রথমে
    উমরার ইহরাম করা হয় এবং বায়তুল্লাহ্ তাওয়ষ্কে ও সাফা-যারওয়ায় সৌড়াবার পরে মুহরিম হালাল হয়ে যায় ৷
    পরে হহ্বজ্জয় তার আগে (৭ তারিখে) মক্কায় হরুজ্জর ইহরাম করে হজ্জ সম্পাদন করা হয় ৷ আর একটি তামাভু
    ব্যাপক অর্থে অর্থাৎ আভিধানিক (একই সফরে একাধিক আমলের) উপকার ও সুযোগ লাভ ৷ এ তামাতু মুলত
    কিরান (এক সাথে হজ্জ ও উমরার নিয়তে করে প্রথমে উমরা পালন করে হালাল না হয়ে যথাসময় হজ্জ পালন
    করা) এর সমর্থক ৷ আলোচ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থের তামাভু হতে পারে না ৷ যেহেতু ন্

    উমরার কার্যক্রম সমাধা করার পরে মিনার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে হরুজ্জর ইহরাম
    বেধেছিলেন ৷ তবে তা হবে এমন বিষয় যা সাহাৰীদের কেউই বর্ণনা করেন নি ৷ পরবর্তীদের
    মাঝে যারা এ দাবী করেছেন, তাদের দাবী কোন বর্ণনায়ই না পাওয়া যাওয়ার কারণে এবং
    কিরান বিষয়ক হড়াদীসসমুহের এমনকি ইফরাদ বিষয়ক হাদীসসমুছের পরিপন্থী হওয়ার কারণে
    প্রত্যাখ্যাত হবে ৷ অড়ারড়াহইি সমধিক অবগত ৷

    বড়াহ্যত (যুহরী সালিম) ইবন উমর (বা) হতে লায়ছ (র)-এর এ হাদীস ইবন উমর (বা)
    হতে অন্য একটি সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে, যাতে ইফরাদ হজ্যের ইহরাম র্বাধার বর্ণনা রয়েছে ৷
    অনুরুপ হড়াজ্জাজ যখন ইবনুয যুবায়র (রা)-কে অবরোধ করেছিল ৷ তখন ইবন উমর (রা)-
    কে বলা হয়েছিল, “লোকদের মাঝে কোন কিছু (সংঘাত-সংঘর্ষ) সংঘটিত হতে পারে; তইি
    আপনার হজ্জ যদি এ বছরের জন্য ঘুলতবী করতেন ! জবাবে ইবন উমর (রা) বলেছিলেন,
    “তা হলে আমি তেমনই করব, যেমনটি নবী করীম (সা) করেছিলেন অর্থাৎ হুদারবিয়ার
    অবরুদ্ধ হওয়ার বছর ৷ এ কথা বলে তিনি যুল-হুলায়ফা হতে উমরার ইহরাম বীধলেন ৷
    পরে প্রাতরের উচুতে উঠলে তিনি বললেন, ও দুটি (উমরা ও হজ্জ)-এর ব্যাপার তো আমি
    অতিন্নই দেখতে পাচ্ছি ৷ তইি তিনি উমরার সাথে হভ্রুজ্জ্বরও ইহরাম বীধলেন ৷ ইবন উমর
    (রা)-এর এ কর্মপন্থা দেখে রাবী মনে করেছেন যে, রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) হুবহু অনুরুপই
    করেছিলেন ৷ অর্থাৎ উমরার ইহরাম বেধেছিলেন, পরে হজ্যের ইহরাম বেধেছিলেন (এক
    সঙ্গে উমরা ও হরুজ্জর ইহ্রাম করেন নি) ৷ তইি বর্ণনাকারীরা অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
    তবে এতে চিন্তার কারণ রয়েছে (পরবর্তীতে এর বিবরণ দেব) ৷

    আবদৃল্লাহ্ ইবন ওয়াহ্ব (র) বর্ণিত বর্ণনায় এ হাদীসের বিশদ বিবরণ রয়েছে ৷ মালিক ইবন
    আনাস (র) প্রমুখকে নাফি (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ফিতনার’১ সময় আবদৃল্লাহ্ ইবন
    উমর (রা) উমরার উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং বললেন, “বায়তুল্লাহ্ পৌছতে বাধাপ্রাপ্ত হলে
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেমন করেছিলেন আমারড়াও তেমনই করব ৷” সুতরাং বের হয়ে তিনি উমরার
    ইহুরাম করলেন এবং লেতে লাগলেন ৷ যখন বায়দা প্রাতরের উচু স্থানে চড়লেন, তখন তার
    সহযাত্রীদের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে বললেন, হজ্জ ও উমরার ব্যাপার তো অজ্যিই, আমি তোমাদের
    সাক্ষী করছি যে, আমি উমরার সাথে হবজ্জরও নিয়তে করলাম ৷ তারপর সফর করলেন ৷ অবশেষে
    বায়ত্নল্লাহ্-এ পৌছে তার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ করলেন ৷ তার
    চইিতে বেশী করলেন না এবং এ কার্বক্রমবেইি তিনি যথেষ্ট মনে করলেন, আর হাদী কুরবানী
    করলেন ৷ মুসলিম অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আর আবদুর রড়াঘৃযাক (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত প্রসঙ্গে
    অতিরিক্ত যোগ করেছেন, ইবন উমর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এরুপ করেছেন ৷

    বুখারী (র)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, কুতায়বা (র) নাফি (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন

    যে, হাজ্জাজ ইবনুয যুবায়র (রা)-ণ্ক অবরোধ করার বছর ইবন উমর (রা) হস্কজ্জ্ব যাওয়ার
    নিয়াত করলেন ৷ তখন তাকে বলা হল যে, “লোকদের মাঝে লড়াই আসন্ন মনে হচ্ছে,

    ১ মক্কার আবদুল্পাহ্ ইবনুয বুৰারর (রা)-এর বিরুদ্ধে উমাইয়াদের ইরাকী গভর্ণর (ও সেনাপতি) হাজ্জাজের
    অভিযান ও অবরোধজনিত দাঙ্গা ৷

    আমাদের আশংকা যে, তারা আপনাকে (হজ্জ পালনে) বাধা দেবে ৷ তিনি বললেন, “ তোমাদের
    জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর মাঝে অবশ্যই উত্তম আদর্শ বিদ্যমান; সেক্ষেত্রে তেমনই করব
    যেমনটি করেছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে ৷ আমি তোমাদের সাক্ষী বানাচ্ছি এ মর্মে যে, আমি
    উমরার নিয়ত করলাম ৷ তারপর বের হয়ে বায়দা প্রান্তরের উচু স্থানে পৌছলে তিনি বললেন,
    হজ্জ ও উমরার অবস্থা তো আমি অভিন্নই দেখতে পাচ্ছি; আমি তোমাদের সাক্ষী বড়ানাচ্ছি যে,
    আমি আমার উমরার সাথে হরুজ্জরও নিয়ত করলাম ৷ তিনি তখন সাথে একটি হাদী নিয়ে
    নিলেন, যা তিনি কাদীদে’ খরিদ করেছিলেন ৷ এবং (একবার তাওয়াফ ও সাঈ) ছাড়া বেশী
    কিছু তিনি করলেন না ৷ হাদী জবাই করলেন না, যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল তার কিছুই
    হালাল হল না, তিনি মাথা কামালেন না, চুল ছুাটলেন না ৷ অবশেষে দশ তারিখ এসে গেলে
    কুরবানী করলেন এবং মাথা কামালেন এবং তিনি মনে করলেন যে, হজ্জ ও উমরা, উভয়ের
    জন্য প্রয়োজনীয় তাওয়াফ সাঈ তিনি প্রথম তাওয়াফ সায়ী দিয়েই সমাধা করেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে
    ইবন উমর (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) এরুপই করেছেন ৷

    বুখারী (র) আরো বলেছেন, ইয়াকুব ইবন রাহীম (র)নাফি (র) হতে, এ মর্মে বর্ণনা
    করেন যে, ইবন উমর (রা)-এর কাছে তার ছেলে আবদুল্লাহ (র) এলেন, তখন তার পিঠ
    কর্দমাক্ত ছিল ৷ তিনি (পিতাকে) বললেন, “এ বছর লোকদের মাঝে লড়াই সংঘর্ষ হওয়ার
    আশঙ্কা হচ্ছে ৷ তাই তারা বায়তুল্পাহ্র উপনীত হওয়ার ব্যাপারে আপনাকে বাধা দিতে পারে ৷
    আপনি যদি থেকে যেতেন ! ইবন উমর (রা) বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও তো বের
    হয়েছিলেন; কুরায়শী কাফিররা তার ও বায়তুল্পাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল ৷ তাই আমার ও
    বায়তুল্লাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক দেখা দিলে রাসুলুল্পাহ্ (না) যেমন করেছিলেন, তেমনটি করব ৷
    কেননা, তোমাদের জন্য রাসুলুল্পাহ্ (সা)ৰুএর মধ্যে অবশ্যই উত্তম আদর্শ রয়েছে ৷ সুতরাং
    তেমন হলে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যেমন আমল করেছিলেন, আমিও তেমনটি করব ৷ আমি
    তোমাদের সাক্ষী রাখছি এ মর্মে যে, আমি আমার উমরার সাথে হস্তুজ্জর নিয়ব্রত করে ফেলেছি ৷
    এরপর তিনি মক্কায় পৌছে গিয়ে হজ্জ ও উমরা দৃ’টির জন্য একটি তাওয়াফ করলেন ৷ বুখারী
    (র) ও মুসলিম (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

    অতএব, এ কথা বলা যায় যে, শত্রু দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে হালাল হওয়ার ব্যাপারে
    এবং হজ্জ ও উমরার জন্য একটি তাওয়াফকে যথেষ্ট মনে করার ব্যাপারে ইবন উমর (রা)
    রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনুসরণ করেছিলেন ৷ আর , তা এভাবে যে, প্রথমে তিনি তামাত্তু হজ্জ
    পালনের মানসে শুধু উমরার ইহরাম করেছিলেন; কিন্তু অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা যথারীতি রয়ে
    গেলে, দৃ’টিকে একত্রিত করলেন এবং উমরার আগে তাওয়াফের আগেই হজ্জকে শামিল
    করে কিরান হজ্জ পালনকারী হয়ে গেলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, আমি এ দু’টির ব্যাপার
    অভিন্নই দেখতে পাচ্ছি’ ৷

    অর্থাৎ শুধু হজ্জ বা শুধু উমরা কিংবা এর উভয়টিতে বাধাখস্ত হওয়াতে কারো ব্যাপারে কোন
    ব্যবধান নেই ৷ তাই যখন তিনি মক্কায় পৌছে গেলেন তখন তার প্রথম তাওয়াফকে উভয়
    আমল সম্পাদনের জন্য যথেষ্ট মনে করলেন ৷ যেমন আমাদের পুরুবাল্লিখিত একক বর্ণনায়
    স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ রাবীর এ উক্তি যে, তিনি (ইবন উমর) মনে করলেন

    যে, হজ্জ ও উমর৷ পালনের জন্য প্রয়োজনীয় তাওমাফ তিনি র্তার প্রথম তাওয়ড়াফ দিয়েই সমাধা
    করে ফেলেছেন ৷

    ইবন উমর (রা) এর অন্য উক্তি, “রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) অনুরুপ করেছেন ৷ ” অর্থাৎ তিনি হজ্জ ও
    উমরড়ার জন্য একটি তাওয়ফে তথা সাঈকে যথেষ্ট মনে করেছেন ৷

    এ বর্ণনায় প্রতীয়মান হয় যে, ইবন উমর (রা) কিরড়ান’ হভ্রুজ্জর রিওয়য়োতে করেছেন ৷ এ
    কারণেই নাসাঈ (র) রিওয়য়ােত করেছেন ৷ ঘুহড়াম্মদ ইবন মনসুর (র)নাফি (র) হতে এ
    মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা ) হজ্জ ও উমরড়া মিলিয়ে আদায় করেছিলেন এবং একটি
    তাওয়াক করেছেন ৷ নাসাঈ (র)-এর পরবর্তী রিওয়ায়ড়াত আলী ইবন মায়মুন আর রড়াক্কী
    (র)নাফি (র) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রা) যুল-হুলায়ফা পৌছে উমরার
    ইহরাম করলেন ৷ তখন জর আশঙ্কা হল যে, বড়ারতুল্লাহ্তে পৌছুতে বড়াধাপ্রস্ত হবেনএভারে
    উমরড়ার সাথে হজ্জাক শাযিল করে কিরড়ান হজ্জ পালনের পুর্ণ বিবরণ সম্বলিত হাদীস উল্লেখ
    করেছেন ৷

    এ আলোচনায় আমার উদ্দেশ্য হল এ কথাটি স্পষ্ট করে দেয়া যে, রাবীদের কেউ কেউ
    যখন ইবন উমর (রা) এর উক্তি দু’টি তেমন পরিস্থিতিতে আমি তেমনই করব যেমন
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) করেছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) অপুরাপই করেছেন শুণেছেন তখন তারা
    ধারণা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু) প্রথমে উমরড়ার ইহরাম বেধেছিলেন, পরে হবুজ্জর ইহরড়াম
    করে উমরড়ার সাথে হজ্জকে শামিল করেছিলেন তাওয়ড়াফের আগেই (যেমনটি তিনি ইবন উমর
    (রা) এর আমল থেকে বৃঝেছেন) ৷ অথচ ইবন উমর (বা) তা বুঝাতে চান নি ৷ তিনি তো
    বুঝাতে চেয়েছিলেন তাই, না আমরা উল্লেখ করে এসেছি (আল্লাহ সঠিক বিষয় অধিক
    অবগত) ৷ এ ছাড়া যদি মনে হয় যে, তিনি প্রথমে উমরড়ার ইহরাম র্বীধার পরে তা ওমাফ করার
    আগে উমরড়ার সাথে হজ্জাক শামিল করেছিলেন তার তাতেও কিরড়ান পালনকারী সক্যেম্ভ
    হবেন ৷ বিশেষ ধরনের তামাভু পালনকারী সাবম্ভে হবেন না; যাতে তামাত্তু সর্বোত্তম হওয়ার
    অভিমত ৫পড়ারণকড়ারীদের অনুকুল প্রমাণ হতে পারত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

    তবে তার সহীহ্ গ্রন্থে আহরিত বুখারী (র) এর হাদীস মুসা ইবন ইসমাঈল (র)ইমরড়ান
    (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা নবী করীম (সা) এর যুগে তামাত্তু হজ্জ পালন
    করেছি, তখন তো কুরআন নাযিল হত; তারপর যে কেউ যেমন ইচ্ছা তার মত প্রকাশ করতে
    লড়াপল (এবং কিরড়ান’কে প্রাধান্য দিতে প্রয়াস পেল!) ৷ (এ সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য হল)
    ইমাম মুসলিম (র)-ও এ হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইরনুল ঘুছান্না (র) কড়াতড়াদা
    (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে বর্ণনা করেন যে, এ হাদীসের তড়ামাত্তু শব্দটি কিরড়ান ও বিশেষ
    তামড়াতু এ উতরকে অম্ভভুক্তকারী (আভিধানিক) ব্যাপক অর্থের তামাত্তুরুপে প্রযোজ্য ৷
    আমাদের এ দাবীর প্রমাণ হল মুসলিম (র) বর্ণিত হাদীস : শুবা ও সাঈদ ইবন আবু আরুবড়া
    (র) ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রড়া) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও
    উমরড়া একত্রিত করেছিলেন (এরপর তিনি পুর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন) ৷ আর প্রাথমিক যুগের
    অধিকড়াৎশ আলিম তামাত্তু ও যুতআ শব্দটি কিরড়ান’ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন ৷ যেমন বুখারী

    ৫০ শে)

    (র)-এর রিওয়ায়াত এ বিষয় ইঙ্গিত করছে : কুতড়ায়বা (র)সাঈদ ইবনৃল যুসাব্যিব (র)
    হতে ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী ও হযরত উছমান (রা) ঘুতআ হন্থজ্জ্বর ব্যাপারে মতানৈক্যে
    লিপ্ত হলেন, তখন তারা উসফানে’ অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, আপনি তো
    এমন একটি বিষয় নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন যা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে করে গিয়েছেন ৷ আলী
    ইবন আবু তালিব (বা) ঐ পরিস্থিতি প্ৰ৩ ত্যক্ষ করলেন একত্রে (হজ্জ ও উমরা) দু টির ইহরাম
    (অর্থাৎ কিরান) করলেন ৷ ভিন্ন সুত্রে এ মমে মুসলিম (র) এর আর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷
    তাতে আছে আলী (রা) বললেন, “কোন মানুষের কথায় আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সুন্নত
    পরিত্যাগ করতে পারি না ৷ শুবা (র) হতে ভিন্ন সনদে মুসলিম (র)এর আর একটি
    রিওয়ায়াতআলী (রা) র্তাকে (উছমানকে) বললেন, “আপনি তো অবগত রয়েছেনই যে,
    আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তামাত্তু (অর্থাৎ কিরান) হজ্জ পালন করেছিলাম ৷ উছমান
    (রা) বললেন, হী, তবে (সে সময়) আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে শ্ ৎকাগ্রস্ত ছিলাম (এ বর্ণনা
    স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তৎকালে তাযাভু শব্দ পরবর্তী পরিভাষায় কিরান’-এর সমর্থক
    ছিল অনুবাদক) ৷

    তবে মুসলিম (র) বর্ণিত অন্য হাদীস : গুণদার (র)ইবন আব্বাস (রা) বলতেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমরা ৷র ইহরাম করলেন এবং তার সহযাত্রী সাহাবীগণ হরুজ্জর ইহরাম করলেন ৷
    পরে রৰুসুলুল্লাহ্ (সা) হড়ার্লাল হলেন না এবং তার সাহাবীদের মাঝে অন্য যারা হাদী সাথে
    নিয়েছিলেন তারাও হালাল হলেন না এবং অন্যানরাে হালাল হয়ে গেলেন ৷ আবু দউিদ তায়ালিসী
    (র) তার ঘুসনাদে এবং রাওহ্ ইবন উবাদা (র)-ওইবন আব্বাস (বা) হতে এ হাদীস
    রিওয়ায়াত করেছেন, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর ইহরাম বীধলেন ৷ আবু
    দাউদের বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তার সাহাবীগণ হৰ্জ্জর ইহরাম বীধলেন ৷ তাদের মাঝে
    যার সাথে তামা ত্তুর হ দী ছিল না, তা ৷রা তো হালাল হলেন, আর যাদের সাথে হাদী ছিল তা ৷রা
    হালাল হলেন না (পুর্ণ হাদীস) ৷ শ্

    এ ক্ষেত্রে আমরা দু টি রিওয়ড়ায়াত্যকই (সমম্বিততাবে) বিশুদ্ধ বললে কিরান’ সাব্যস্ত হয়ে
    যায় ৷ আর প্রতিটি রিওয়ায়াতে স্বতন্ত্র অবস্থান নিলে দলীলও স্থবির হয়ে যাবে অর্থাৎ কোন
    পক্ষের দলীল সাব্যত হতে পারবে না ৷ আর যদি আমরা মুসলিম (র) এর শুধু উমরা সম্পর্কিত
    রিওয়ায়াতকে প্রাধান্য দিই, তবে বলব যে, ইবন আব্বাস (রা) হত ৩ইফরাদ সম্পর্কিত (মুসলিম
    র-এর) রিওরাযা য় ৷তইতোপুৰর্দুর্ব উল্লিখিত হয়েছে ৷

    আর ইফরাদ হল শুধু হৰ্জ্জর ইহরাম ৷ তা হলে সে রিওয়ায়াতের হরুজ্জ্বর সাথে বর্তমান
    রিওয়ায়াত্ত তর উমরা যুক্ত হয়ে অবশেষে কিরান সাব্যম্ভ হয়ে যাবে ৷ বিশেষত ইবন আব্বাস (রা)
    হতে এরুপ প্রমাণবহ হাদীস একটু পরেই বিবৃত হচ্ছে ৷
    মুসলিম (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন, গুনদার ও ঘুআয ইবন ঘুআয (র) ইবন
    আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-

    “এটি এমন একটি উমরা যা আমরা তামাত্তু (হভ্রুজ্জর সাথে অতিরিক্ত সৃয়েড়াগ)-রুপে গ্রহণ
    করলাম ৷ এখন যাদের সাথে হড়াদী নেই, তারা পুরোপুরিতাবে হলােল হয়ে যেতে পারে; কেননা,
    কিয়ামত পর্বতের জন্য উমরা হরুজ্জর সাথে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ” বুখারী (র) ৰিওয়ায়াত
    করেছেন, আদম ইবন আবু ইয়াস (র) হতে এবং মুসলিম (র) ক্তাদার (র) হতে (শুবড়ার
    মাধ্যমে) আবু আমরা (র) হতে ৷ তিনি বলেন, আমি তামাত্তু (এক সাথে হজ্জ ও উমরার
    ইহরাম) ৰীধলাম; কিছু লোক আমাকে তা করতে নিষেধ করলে আমি ইবন আব্বাস (রা)-কে
    জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাকে তা করে যেতে বললেন ৷ আমিস্বপ্লে দেখলাম, যেন একজন
    লোক বলছে, মাবরুর (পুণ্যময় ও গৃহীত) হজ্জ ও মাকবুল ঘুতআ আমি ইবন আব্বাস (রা)-
    কে (এ স্বপ্নের) খবর দিলে তিনি বললেন, “আল্লাহ আকবারশ্ আল্লাহ সবার চেয়ে মহান ও
    তো আবুল কাসিম (মুহাম্মদ) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত ৷ ” এ বর্ণনার ঘুতআ
    শব্দের উদ্দেশ্য কিরান’ ৷

    কুআয়নী (র) প্রমুখ হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (র) বর্ণনা করেন যে, মুআৰিয়া (রা)-
    এর হভ্রুজ্জ আগমনের বছর সাদ ইবন আবু ওয়াকাস (রা) ও যাহ্হাক ইবন কায়স (রা)-কে
    হভ্রুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার বিষয় আলোচনা করতে করেছেন ৷ আলোচনায়
    যাহ্হাক (রা) বললেন, “আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে অজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই তা করতে
    পারে না ৷ তখন সাদ (বা) বললেন, “ভাতিজা ! তুমি অতিশয় অসুন্দর কথা বললে ! যাহ্হাক
    (র) বললেন, তবে উমর ইবনুল খন্ডোব (বা) যে তা নিষেধ করতেন? সাদ (বা) বললেন,
    “রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা করেছেন এবং আমরাও তার সাথে থেকে তা করেছি ৷ তিরমিষী ও
    নাসাঈ (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) থেকে এবং তিরমিষী (র) এ
    সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন সহীহ্ বিশুদ্ধ ৷

    আবদুর রাঘৃযাক (র)(গুনায়ম র বলেন) আমি সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (না)-এর
    কাছে হভ্রুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে তামাত্তু করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন,
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সান্নিধ্যে থেকে আমি তা করেছি, যখন এ লোকটি মক্কায় কাফির ছিল ৷
    ল্যেকটি হল মুআৰিয়া (বা) ৷ মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে এ হড়াদীসটি ৰিওয়ায়াত করেছেন ৷

    উল্লিখিত সব রিওয়ায়াতেই তামাত্তু (ও ঘুতআ) শব্দ এমন ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা
    হয়েছে বা বিশেষ তামাত্তু তথা উমরার ইহরাম বেধে তা সম্পাদন করার পর হরুজ্জর ইহরাম
    ৰীধা এবং কিরান (তথা এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার ইহরাম করে হজ্জ শেষে একবারে হালাল
    হওয়া)-এ উতয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ৷ বরং সাদ (রা) এর রিওয়ায়াতে ভো হরুজ্জর মাসসমুহে
    উমরা পালনকেও তামাত্তু বলার ইঙ্গিত রয়েছে ৷ কেননা, মুআবিয়া (রা)-এর মক্কাতে কাফির
    থাকা অবস্থায় র্তাদের হন্বজ্জর পুর্বে উমরা পালন করার অর্থ হুদায়বিয়ার উমরা কিংবা
    উমরাতুল-কাযা ৷ তবে দ্বিতীয়টি এ ক্ষেত্রে অধিকতর প্রযোজ্য ৷ তা কখনো জিইররানার উমরা
    হতে পারে না ৷ কেননা, মুআৰিয়া (রা) তো তার পিতার সাথে মক্কা বিজয়ের রাতে ইসলাম
    গ্রহণ করেছিলেন ৷ আমাদের এ রিওয়ায়াত রয়েছে যে, কোন এক উমরার মুআৰিয়া (রা)
    একটি র্কাচি দিয়ে নবী করীম (না)-এর কিছু কেশ হেটে দিয়েছিলেন ৷ সেটিকে জিইররানার
    উমরা না বলে পতন্তের নেই ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

    নবী কবীম (সা) কিরান হজ্জ পালন করেছিলেন-
    অভিমত পে’াষণকারীদের যুক্তি প্রমাণ

    আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর রিওয়ায়াত : আবু আমৃর আল-আওযাঈ
    (র) হতে গৃহীত বুখারী (র)-এর রিওয়ড়ায়াত (যা পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে), ইয়াহয়া ইবন আবু
    কাহীর (র) উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আকীক উপত্যকায়
    রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে আমি এ কথাঢবলতে শ্যুনছিষ্ “আমার মহান-মহীয়ান প্ৰতিপালকের পক্ষ
    হতে একজন আগমনকারী আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময় উপত্যকায় সালাত
    আদায় করুন এবং বলুন হভ্রুজ্জ্বর সাথে উমরা ( এর নিয়ত করছি) ৷ হাফিজ ৰায়হৃকী (র)
    বলেছেন, আলী ইবন আহমদ উমর ইবনুল খড়াত্তাব (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা)
    বলেছেন

    “জিবরীল আলায়হিস সালাম আমার কাছে এলেন, তখন আমি আকীকে ছিলাম ৷ তিনি
    বললেন, এ বরকতময় উপত্যকায় দৃ’রাকআত সালাত আদায় করুন এবং বলুন “হত্তজ্জর সাথে
    উমরা; কেননা, কিযামত পর্যন্তের জন্য উমরা হরুজ্জর মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷
    বিওয়ায়াত শেষে বায়হার্কী (ব) বলেছেন, বুখারী (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
    আহমদ (র) বলেন, হাশিম (র) আবু ওয়াইল (র) সুছুএ এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, আসসাবি
    ইবন মা বাদ নামে জক্ট্রনক খৃল্টান ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি জ্বিহাদ কর র ৷ইরাদা করলে ত্যাক বলা
    হল, হজ্জ দিয়ে শুরু কর ৷ তখন সাবী (র) আশ আরী (রা) এর কাছে গেলে তিনি তাকে
    একত্রে হজ্জ ও উমরড়ার ইহরাম ৰীধতে বললেন ৷ সাবী (র) তাই করলেন ৷ তালবিয়া
    উচ্চারণকালে তিনি যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাবীআ (র)-এর পাশ দিয়ে
    যাচ্ছিলেন ৷ তখন ঐ দৃ”জনের একজন অন্য জনকে বলল, “এ ণ্লাকঢি তার পরিবারের উটটির
    চাইতেণ্ড অধিক বিভ্রান্ত ৷” কথাটি সাবী (র)-এর কানে পৌছলে তা তার কাছে গুরুতর মনে
    হল ৷ যখন (মক্কায়) পৌছে গেলেন তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)এর কাছে গিয়ে বিষয়টি
    উত্থাপন করলেন ৷ উমর (রা) তাকে বললেন, “তুমি তোমার নবী করীম (না)-এর সুন্নাত প্রাপ্ত
    হয়েছ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, অন্য একবার আমি তাকে এভাবে বলতে শুনেছি ”তুমি তোমার
    নবী করীম (না)-এর সুন্নাতের তাওফীক পেয়েছো ৷” ইমাম আহমদ (র) এ হড়াদীসটি ইয়াহ্য়া
    ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (র)(সাবী ইবন মড়াবাদ) উমর ইবনুল খত্তোব (রা) সনদেও
    রিওয়ায়াত করে (অনুরুপ) উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে রয়েছে তিনি (উমর রা) আংরা বলেছেন,
    ন্ “ওরা দুজন কোন কাজের কথা বলে নি; তুমি তোমার নবী করীম (সা)ন্এর সুন্নাহ্র হিদায়ড়াত
    প্রাপ্ত হয়েছ ৷ আবদুর রায্যাক (র)আবু ওয়াইল (র) উল্লিখিত সনদে এ রিওয়ায়াত

    রয়েছে ৷ অনুরুপ ওণদার (র)আবু ওয়াইল (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সাৰী ইবন
    মাবাদ (র) বলেন, আমি খৃস্ট ধমৰিলম্বী এক ব্যক্তি ছিলাম; আমি ইসলাম গ্রহণ এবং (এক
    সময়) আমি হজ্জ ও উমরার ইহরাম ৰীধলাম ৷ যায়দ ইবন সাওহান ও সালমান ইবন রাৰীআ
    আমাকে ঐ দৃকাজেব্ল জন্য তালৰিয়া উচ্চারণ করতে শুনলেন ৷ তখন তারা বললেন, এ
    ণ্লাকটি তার বাড়িওয়ালার উটের চইিতেও বিভ্রান্ত ৷ তাদের দুজানর কথায় আমার মাথায় যেন
    পাহাড় ভেঙ্গে পড়ল ৷ আমি উমর(রা)এর কাছে ট্রপাছলে তাকে এ বিষয় অবগত করলাম ৷
    তিনি ঐ দৃ’জনের কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাদের তিরস্কার করলেন এবং আমার কাছে
    এসে বললেন, “তুমি নবী করীম (না)-এর সৃন্নতের প্ৰতি হিদায়াত প্রাপ্ত হরেহ ৷

    আবদা (র) বলেন, আবু ওরইিল (র) বলেছেন, আমি এবং মড়াসরাক এ হাদীস সম্পর্কে
    জিজ্ঞেস করার জন্য অনেক সময় সাবী ইবন মাবাদ (র)-এর কাছে ষেতাম ৷

    উল্লিখিত সনদগুলো সহীহ্ (বুখারী)এর শর্তানুরুপ বেশ উত্তম ৷ আবু দাউদ, নাসাঈ ও
    ইবন মাজা ও আবু ওয়াইস লার্কীকইবন সালাম৷ (র) হতে উল্লিখিত সনদের বিজ্যি সুত্রে এ
    হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নাসাঈ (র) তার সুনানের কিতাবুল হজ্জ-এ বলেছেন ৷ মুহাম্মদ
    ইবন আলী ইবনুল হাসান ইবন শাকীক (এ শাকীকই হলেন আবু ওয়ইিল) উমর (রা) সুত্রে এ
    মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের যুতআ (তামাত্তু)
    করতে নিষেধ করছি; অথচ তা অবশ্যই আল্লাহ্র কিতাৰেও রয়েছে এবং নবী করীম (সা)ও
    তা অবশ্যই করেছেন (তবুও একটি বিশেষ কারণে আমি নিষেধ করছি) ৷ এ হাদীসের সনদ
    জামািদ বেশ উত্তম ৷

    আযীরম্স মৃমিনীন উদ্যান ও আমীরম্স মৃমিনীন আলী (বা) হতে আগত রিঅ্যাংত ষ্ক ইমাম
    আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িাব (র) সুত্রে বর্ণনা
    করেন, তিনি বলেন, (মক্কার) উসফানে আলী ও উছমান (রা) একত্রিত হলেন ৷ উছমান (বা)
    যুতআ (তামাত্তু) কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ, হজ্যের সাথে) উমরা করতে নিষেধ করতেন ৷ আলী
    (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যে কাজ করেছেন সে ব্যাপারে আপনার এ কেমন ইচ্ছা যে, তা
    নিষেধ করছেন ! উছমান (বা) বললেন, এ ব্যাপারে আপনি আমাকে আমার মত করতে দিন !
    ইমাম আহমদ এভাবে সংক্ষিপ্ত আকারেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুবরীি-মুসলিমে ইমামদ্বয় এ
    হাদীস আহরণ করেছেন তারা (র)সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (র)-এর বরাতে, তিনি বলেন,
    আলী ও উছমান (বা) তামাত্তুর ব্যাপারে মত ভৈদ্বধতায় লিপ্ত হলেন, তখন র্তারা উসফ্যা:ন
    অবস্থান করেছিলেন ৷ আলী (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) করে গিয়েস্ফো এমন এক কাজে
    আপনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান?আলী (বা) এ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে একত্রে দৃটির
    (হজ্জ ও উমরা) ইহরাম ৰীধলেন ৷ বুখারী (র)-এর ভাষ্য-শব্দ অনুরুপ ৷

    বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র) ;মারওয়ান ইবনুল হাকাম (র)
    হতে, তিনি বলেন, আমি উছমান ও আলী (না)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম, যখন উছমান (বা)
    তামাত্তু এবং (হজ্জ ও উমরা এ) দুটি একত্রিত করা নিষেধ করছিলেন ৷ আলী (বা) অবস্থা
    দেখে দৃটির তন্যে ইহরাম তালৰিয়া উচ্চারণ করে বললেন “আপনার
    সকাশে হাষির ৷ উমরা ও হজ্জ সহ ! তিনি বললেন, “কারো কথার আমি নবী কয়ীম (না)-এর

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ নবী করীম (না) তামাত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত পােষনকারিগণের প্রসঙ্গ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.