বলেছেন, “যার উপরে সুরা আল্-বাকার৷ নাযিল করা হয়েছিল (নবী স) তাকে আমি এ স্থানে
বলতে শ্যুনছি-লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়ক !
আল-মাশআরুন হারাম-এ নবী বল্পীম (না)-এর অবস্থান, সুর্যোদয়েৱ আগে তার মুয্দালিফা
হতে প্রস্থান এবং যুহাস্সিব’ নিম্নভুমিতে তার দ্রুত উট পরিচালন প্রসংগ
আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন
“যখন তোমরা আরাফাত হতে চলে আসবে তখন মাশৃআরুল হারামের কাছে পৌছে
আল্লাহকে স্মরণ করবে” (২ : ১৯৮) ৷ জাবির (বা) তার হাদীসে বলেছেন, “সুব্রেহ সাদিক হয়ে
পেলেই তিনি (নবী সা) আযান ও ইকামত সহকারে ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর
কাসৃওয়া-য় সওয়ার হয়ে মাশআরুল হারাম পর্যন্ত পৌছলেন, সেখানে কিবলামুথী হয়ে মহান
মহীয়ান আল্লাহর কাছে দুআ করলেন এবং তার মাহাত্ম্য এককতু ও তাওহীদ ঘোষণা করলেন
(তাক্বীর কালিমা-ই-তাওহীদ উচ্চারণ করলেন ৷) এবং উষ৷ বেশ পরিষ্কার হওয়া পর্যন্ত সেখানে
অবস্থান করার পর সুর্যোদয়ের আগে (মিনাঅভিমুখে) চলতে শুরু করলেন এবং ফাঘৃল ইবন
আব্বাস (রা) কে তার পিছনে সহ-আরােহী করলেন ৷ বৃখারী (র) বলেন, হাজ্জ ৷জ ইবন মিনৃহাল
(র)ইবন ইসহ৷ ৷ক (র) হতে, তিনি বলেন, আমৃর ইবন মায়মুন (র) কে বলতে শুনেছি,৷ অমি
প্রত্যক্ষ করেছি, উমর (রা) ঘুবৃদালিফায় ফজর সালাত আদায় করার পর অবস্থান করলেন এবং
বললেন, মুশরিকরা সুর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত প্ৰস্থান করত না, তারা বলত “ছাবীর! রৌদ্রোজ্যা
হও ৷২ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রস্থান করেছেন সুর্যোদয়ের আগেই ৷ ” বুখারী (র) আরো বলেছেন,
আবদুল্লাহ ইবন রাজা’ (র)আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (র) হতে, তিনি বলেন, আমি
আবদুল্লাহ (ইবন মাসউদ) (রা)-এর সংগে মক্কা অভিমুখে (হজের সফর) বের হলাম ৷ পরে
আমরা ঘুঘৃদালিফায় গৌছলে তিনি দুটি ওয়াক্ত সালাত (মাগরিব ও ইশা) আদায় করলেন, প্রতি
সালাত স্বতন্ত্র আযান ইকামাতে এবং রাতের খাবারণ্গ্নহ্ণ করলেন ঐ দুই সালাতের মাঝে ৷
তারপর ফজরের ওয়াক্ত হওয়া মাত্র ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷ কেউ বলছিল, ফজরের
যাক্ত হয়ে গিয়েছ ৷ আবার কেউ বলছিল, (এখনও) ফজরের ওয়াক্ত হয় নি ৷ তারপর তিনি
বললেন, রাসুলুন্নাহ্ (যা) বলেছেন-
“এ দুই ওয়াক্ত সালাত তার নির্ধারিত সময় হতে পরিবর্তিত করা হয়েছে; মাগরিব যেহেতু
ইশা-এর সময় না হওয়া পর্যন্ত লে ৷কেরা মুযদা ৷৷লিফ ৷য় উপনীত হচ্ছে না; আর ফজর এই (আগাম)
সময়ে ৷” তারপর দিগন্ত পরিষ্কা ৷র হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থা ন করলেন ৷ তারপর আবদুল্লাহ
(বা) বললেন, আ ৷মীরুল মুমিনীন (উছম৷ ন রা) এখন প্রস্থ ন করলে যথাযথভাবে সুন্নত পালন
১ ছাবীর মুযদ৷ ৷লিফাৱ একটি বড় পাহাড় ৷ মুশ্ারিকদের উক্তির অর্থ-ছাবীরের গায়ে সুর্যের আলো ছড়িয়ে
পড়াে৷ অনুবাদক
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩০৫
করবেন ৷ (তখন উছমান বা ঐ মুহুতেই চলতে শুরু করলেন)আযি বলতে পারছি না যে,
আবদুল্লাহ (রা)এর কথা এবং উছমান (না)-এর প্ৰন্থান উদ্যোগ এ দুরের মাঝে ণ্কানৃটি আগে
সম্পন্ন হয়েছিল ৷ তিনি তালুবিয়া উচ্চারণ করতে থাকলেন দশ তারিখ জামরায় কংবন্ম নিক্ষেপ
পর্যন্ত ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, হাফিযুল হাদীস আবু আবদুল্লাহ (র) মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা
(রা)-এর বরাতে বলেন, তিনি বলেছেন, আরাফা-য় রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সামনে থুত্বা
দিলেন ৷ তিনি তাতে আল্লাহর হড়ামদ ও ছন্যের পরে বললেন-
“এরপর অংশীবাদী ও প্রতিমা পুজাবীরা এ স্থান হতে প্ৰস্থান করতো সুযস্তি কালে-যখন সুর্য
পাহাড় চুড়ায় থাকে-যেমন লোকদের পাগড়ী থাকে তাদের মাথায় ৷ আমাদের পন্থা ওদের পন্থড়ার
বিপরীত ৷ ’ আর তারা মাশআরুল হারাম হতে প্ৰস্থান করত পাহাড় চুড়ায় সুর্থোদয়কালে-যেমন
লোকদের পাপড়ী তাদের মাথার” আমাদের পন্থা ওদের পন্থড়ার বিপরীত ৷ ’ বায়হাকী (র) বলেছেন,
আবদুল্লাহ ইবন ইদরীস (র) যুহাম্মদ ইবন কারস ইবন মাঘৃরাসা (রা)-এর বরাতে এ হাদীস
থানা যুরসাল’ রুপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহ্মদ (র) বলেছেন, আবু খালিদ সুলারমান ইবন হায়্যান (র)ইবন আব্বাস
(বা) হতে এ মর্মে বণর্না করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুযদালিফা হতে সুর্যোদয়ের আগেই প্রস্থান
করতেন ৷
বুখারী (র) বলেন, যুহায়র ইবন হড়ার্ব (র)উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(বা) হতে এ মর্মে যে, উসামা (বা) আরাফা হতে মুয্দালিফা পর্যন্ত নবী কবীম (না)-এর সহ-
আরোহী ছিলেন ৷ তারপর মৃযদালিফা থেকে মিনা পর্যন্ত ফায্ল (রা)-কে তিনি সহ-আরােহী
করলেন ৷ উবায়দুল্লাহ (র) বলেন, তাদের দুজনই (উসামা ও ফাঘৃল) বলেছেন যে, জাম্রাতুল
আকাবায় রামী শুরু করা পর্যন্ত নবী কবীম (না) তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকলেন ৷ ইবন
জুরায়জ (র) আতা ইবন আব্বাস সনদে এবং মুসলিম (র) লায়ছ (র)-এর বরড়াতে (ইবন
আব্বস সুত্রে) ফাঘৃল ইবন আব্বাস (বা) হতে বণ্নাি করেন যে, ফায্ল (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর সহ-আরোহী ছিলেন ৷ এ মর্মে যে, আরাফার (সল্যায়) এবং যুয্দালিফার সকালে
লোকদের চলাচলের সময় নবী করীম (না) বলেছেন ৷ “তোমরা শান্তি শৃৎখলা বজায় রেখো !”
তিনি নিজেও তার উটনীকে সংবত করে রাখছিলেন এভাৰে মিনা-র অন্তর্গত যুহাসৃসির
নিম্নভুমিতে পৌছলে তিনি বললেন “তোমরা
ঢিল ছেড়াের (আকারের) কংকর সংগ্রহ করে নাও-যা দিয়ে জামৃরায় কংকর নিক্ষেপ করা
হবে ৷ ” ফায্স (বা) বলেন, জামৃরায় কংবল্ম নিক্ষেপ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (না) উচ্চারণ করতে
থাকলেন ৷
হাফিম বায়হড়াকীর অনুচ্ছেদ শিরোনাম : মুহাসৃসার নিনভুমিতে দ্রুত বাহন পরিচালনা প্রসঙ্গে :
আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিজ (র) জাৰির (বা) হতে নবী কবীম (সা) এর হজ্জ সম্বন্ধে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন অবশেষে যখন তিনি ঘুহাস্সির এ পৌছলেন তখন বাহনেব গতি
একটু বাড়িয়ে দিলেন ৷ মুসলিম (র) তার সহীহ্-তে এ হাদীস রিওয়ড়ায়াত করেছেন আবু বকর
ইবন আবু শায়বড়া (বা) থেকে ৷ বড়ায়হাকী (র) এর পরবর্তী রিওয়ায়াত সুফিয়ান ছাওরী (র)
সুত্রে জাঘির (বা) হতে, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) (মুবৃদালিফা হতে) প্ৰন্থান শুরু
করলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রশান্ত ৷ তিনি সাথীদেরও শান্ত সুশৃৎখল থাকতে বললেন এবং
হন পরিচালনা করলেন ব্র তিনি ৩াদেরওে :িল ছেড়াড়ার আকৃতির
ৎকর দিয়ে জামরাসমুহে (তিন শয়তানের পায়ে) কংকর মারতে নির্দেশ দিলেন এবং
বললেনরুগু ন্ঞ “তোমরা আমার কাছে
তোমাদের হজ্জ পালনের য়ীতি-নীতি শিখে নাও , হতে পারে আমার এ বছরের পরে তোমাদের
সাথে আমার আর সাক্ষাত হবে না ৷ ” বড়ায়হড়াকী (র)শ্এর পরবর্তী রিওয়ড়ায়ড়াত ছাওরী (র)
সুত্রের, আবদুর রহমান ইবনৃল হড়ারিছ (র) , আলী (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুঘৃদালিফা থেকে চলতে শুরু করে যুহাসৃসির পর্যন্ত পৌছলে তার উটনীকে
তাড়া দিলেন ৷ অবশেষে নিম্নভুমি অতিক্রম করার পর থাকলেন ৷ তারপর ফাঘৃল (রা)-চুক
সহ-আরােহী করে আমরা-য় এসে কৎকর মারলেন ৷ এ রিওয়ায়াত এ ভাবেই সংক্ষেপে বর্ণিত ৷
এ প্রসংগে ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আবু আহমদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আন যুবায়বী
(র) আলী (রড়া)-এর বরড়াতে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আরাফাতে
অবস্থান করে বলণেন এটিই অবস্থান ক্ষেত্র; এবং
গোটা আরাফা-ই অবস্থান ক্ষেত্র ৷ এবং সুর্য অন্ত গেলে তিনি প্রস্থান শুরু করলেন এবং উসামা
(রড়া)-া;ক সহ-আরোহী করলেন ৷ তিনি র্তার উটকে আনড়াক চালে ( ধীর মন্দপতিতে) চালাতে
লাপলেন ৷ জনতা তার ডানে বামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছিল , তিনি যেন তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত
করছিলেন না ৷ (তাদের প্রতি ৰিঘি-নিয়েধ আরোপিত হচ্ছিল না ৷) তিনি বলে চলছিলেন, ধীরে
হে লোক সকল ! ” তারপর ঘুঘৃদালিফায় পৌছে লোকদের নিয়ে নাগরিক ও ইশার সালাতদ্বয়
আদায় করলেন ৷
তারপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রাত্রি যাপন করলেন ৷ তারপর কুযাহ্’ পাহাড়ে এলে-কুযাহ্
পাহাড়ের উপরে অবস্থান করলেন এবং বললেন, “এটাই
অবস্থান ক্ষেত্র; এবং মুঘৃদালিফা পুরোটাই অবস্থান ক্ষেত্র ৷ ” তারপর চলতে শুরু করলেন এবং
ঘুহাসৃসির প্রান্তে পৌছে থামলেন ৷ তখন তার বাহনকে তাড়া দিয়ে দ্রুত গতিতে নিম্নভুমি
অতিক্রম করার পর তাকে থামিয়ে দিলেন ৷ তারপর ফাঘৃল (রা)-চুক সহ-আরােহী করে চলতে
লাপলেন এবং আমরা-য় পৌছে কৎকব নিক্ষেপ করলেন ৷ তারপর (কুররড়ানীর স্থলে) পৌছে
বললেন, মিঃ “ এ হভ্রুচ্ছ কৃরবানী ক্ষেত্র, আর মিনা-র সম্পুংটিইি
কুরবানী ক্ষেত্র ৷ বর্ণনা কড়ারী বলেন, এ সময় খাছ’আম গোত্রের এক তরুণী তীর কাছে
ফাত্ওয়৷ জিজ্ঞাসা করল, যে বলল, আমার পিতা একজন অভিনয় বৃদ্ধ, কথার থেই হারিয়ে