বাহিলা : গোত্রীয় প্রতিনিধি দল
মক্কা বিজয়ের পরে এ গোত্রের সর্দার যুতারট্রুরিফ ইবনুল কাহিন এসে ইসলাম গ্রহণ করেন
এবং নিজ সম্প্রদায়ের জন্য নিবাপত্তা সনদ হাসিল করেন ৷ নবী কবীম (না) তাদের জন্য
ফারাইব ও ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধান সম্বলিত একটি দলীল’ লিখে দিয়েছিলেন ৷
উছমান ইবন আফ্ফান (রা) ছিলেন দলীসটির লেখক ৷
বনু সুলায়ম প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
( ওয়াকিদী বলেন,) কারস ইবন নাশাবা নামবাবী বনু সুলায়ম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দরবারে এসে তীর কথাবাতা ওনলেন এবং কোন কোন বিষয় তিনি নবী কবীম
(সা)ষ্৫ক জিজ্ঞেস করলেন ৷ নবী কবীম (সা) তার জবাব দিলেন ৷ কায়স সে সব কথা তার
মানসপটে সংরক্ষিত করে বাখলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (যা) তাকে মুসলমান হওয়ার আহ্বান জানালে
তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ নিজ গোত্রে ফিরে গিয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা এভাবে
দিলেন যে, আমি রোমানদের তাবা-বিবৃতি শুনেছি, পারসিকদের শ্লোককাব্য ওনেছি, আরবের
কবিতামালাও শুনেছি, গণক-জ্যোতির্বিদদের অদৃশ্য গণনা আর হিঘৃয়াবী তর্কবিদদের
বিতর্কানৃষ্ঠান শুনেছি ৷ কিন্তু মুহাম্মদ (সা) এর বাণী ও ভাষা এদের কারো ভাষার সাথে সাদৃশ্য
রাখে না ৷ অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং নিজেদের ভাগ্য পড়ে নাও ! মক্কা
বিজয়ের সময় এলে বনু সুলায়মের সাতশ সৈনিকের দল এসে কৃদায়দ এ রড়াসৃলুল্লাহ্ (সা)-
এর সাথে মিলিত হল ৷ কারো কারো মতে, তাদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৷ আব্বাস ইবনুল
মিবদাস (বা) এর ন্যায় খ্যাতিমান ব্যক্তি ছাড়াও এ দলে ছিলেন গোত্রের শীর্ষস্থানীয় আরো
অনেকে ৷ র্তারড়া ইসলাম গ্রহণ করে আবেদন জানালেন যে, আমাদের আপনার “ড্ডাবর্তী”
বাহিনীতে স্থান দিন, আমাদের লাল বর্ণের পতাকা দিন এবং ঘুকাদ্দিমান (এগিয়ে চল)
শব্দকে আমাদের বাহিনী সংকেত’ নির্ধারিত করুন ৷ নবী কবীম (সা) র্তাদের আবেদন মঞ্জুর
করলেন ৷ র্তাবা মক্কা বিজয় ও তাইফ-হুনড়ায়ন অভিযানে তার সাথে অংশ গ্রহণ করেন ৷ এ
দলের তশ্যেতম সদস্য বাশিদ ইবন আবৃদ রাব্বিহী আস-সুলামী (বা) একটি বিশেষ মুর্তির (গৃহ
দেবতা) পুজা করতেন ৷ একদিন তিনি দেখলেন, দুটি শেয়াল তার পুজনীয় দেবতার পায়ে
পেশার করছে ৷ এ ঘটনা তীর চোখ খুলে দিলো ৷ তখন তিনি বলে উঠলেনষ্
শেয়াল জুটি পেশার করে বার মাথায় পরে; সে আবার কেমন থােদা রে ! শেয়ড়াল যাতে
পেশার করে ঠায় বিনাশ তার তার ৷ ’ এ ঘটনার পর তিনি মুর্তিটি ভেঙ্গে ফেললেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে এসে মুসলমান হয়ে পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন,
তোমড়ার নাম কি ? তিনি বললেন, পাবী ইবন আবদুল উঘৃয৷ ৷ উবৃযা
দেবীর দাসের পৃএ বিভ্রান্ত’ ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, (না) বরং তোমার নাম হবে রাশিদ
ইবন আবৃদ বাব্বিহী ৷ প্ৰতিপালকের বান্দার পুত্র রাশিদ পথের দিশাপ্রাপ্ত ৷ রাসুলুল্লাহ্ তাকে
রিহড়াত নামক স্থানটি জায়গীররৰুপে দিলেন, যেখানে একটি প্ৰবাহমান ঝর্ণাবাবা ছিল; যেটি
পরে আয়নুর রাসুল বা রাসুলের ঝর্ণা নামে অভিহিত হয় ৷ (বংনািকারী বলেন) বাশিদ ছিলেন