তখন তার বয়স ছিল একশ’ বছর ৷ তার সাথে ছিল তার ছেলে বিশৃর ৷ মুআবিয়া (বা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার পবিত্র হাতের স্পর্শে আমি বরকত হাসিল করছি ৷ আমি
তো বুড়াে হয়ে গিয়েছি ৷ আমার এ ছেলেটি বাপ-ভক্ত; আপনি তার যুখমণ্ডলে হাত বুলিয়ে
দিন! রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার মুখে হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তাকে কয়েকটি বকরী দান করে
ৰেণ্ডেলিব জন্য বরকতের দুআ করে দিলেন ৷ ফলে তারা এর পরে কখনো দৃর্ভিক্ষ ও
ফসলহানীর বিপদে আক্রান্ত হন নি ৷ মুহাম্মদ ইবন বিশৃর ইবন মুআবিয়া (র) এ বিষয়টি নিয়ে
কবিতা রচনা করেছিলেন ৷
“আমার পিতা মোঃ রাসুল (সা) তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন এবং তার জন্য
কল্যাণ ও বরঅেন্সে দৃষ্! করেছিলেন ৷ আহমদ (সা) তীকে দিয়েছিলেন কয়েকটি বকরী
সেগুলি যেন ধীরগাৰী শীর্ণহাৰীধ্, কদাকার লোমশ নয় ৷
রোজ বিকেলে বস্তিৰ্ফ্লি দুধ্ দিয়ে পাত্র ভরে দিত; সকালে আবার তেমনি ভরে দিত ৷
এ দান বরকতপুর্ণন্ দ্যো তার দাতা; আমি বতদিন বেচে থাকবাে ততদিন পর্যন্ত তার
জন্য নিবেদিত আমার সালাত ৩ ন্মো ৷
বিলানা : প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী তার একাধিক সনদে রিওয়ায়াত করেছেন, ওয়াছিলা ইবনুল আসকা আল লায়হী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে আগমন বললেন; তখন তিনি তাবুক অভিযানের প্রস্তুতি চুড়ান্ত
করছিলেন ৷ ওয়াছিলা নবী কয়ীম (না)-এর সাথে ফজরের সালাত আদায় করে স্বগােত্রে ফিরে
গেলেন এবং তাদেরকে রাসুল করীম (সা)-এর অভিযানের সংবাদ জানিয়ে তার সহযাত্রী
হওয়ার আহ্বান জানালেন ৷ তার পিতা তাকে বলল, আল্পাহ্র কসম! তোমাকে কিছুতেই বাহন
দিব না ৷ তার বোন তার কথা শুনতে পাচ্ছিল ৷ সে ইসলাম গ্রহণ করলো এবং ভাইয়ের
সফরের আসবাবপত্র যােপাড় করে দিল ৷ ওয়াছিলা (রা) কাব ইবন আজুরা (রা)-এর একটি
উটে চড়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সফর সঙ্গী হলেন ৷
দুমাহ্-এর উকায়দিরের বিরুদ্ধে অভিযানে সেনাপতি খালিদ (রা)-এর সাথে রাসুলুল্পাহ্
(সা) এ ওয়াছিলা (রা)-কেও পাঠিয়েছিলেন ৷ বাহিনী ফিরে এলে ওয়াছিলা (বা) গনীমতের
শর্তকৃত অংশ (উটের মালিক) কাব ইবন আজুরা (না)-কে দিতে চাইলেন ৷ কাব (বা) অংশ
নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেন, আমি আল্লাহর সভ্রষ্টি বিধানের উদ্দেশ্যেই তোমাকে বাহন
দিয়েছিলাম ৷
আশজা ণ্গাত্রীয় প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী উল্লেখ করেছেন, আশজাঈদের আগমন হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের বছর ৷ একশ
সদস্যের এ দলের দলপতি ছিলেন মাসউদ ইবন রুখড়ায়লা ৷ দলটি সালা পর্বতের গিরিপথে
অবস্থান নিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কাছে গেলেন এবং তাদের জন্য খুরমা ভর্তি পাত্রে
মোঃ নির্দেশ দিলেন ৷ মতান্তরে তাদেব আগমন হয়েছিল বনু কুরায়জা অভিযানের পরে এবং
মোঃ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল সাতশ’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সন্ধিবদ্ধ হয়ে তারা
স্কিঘ্রস্নি এবং পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷
বাহিলা : গোত্রীয় প্রতিনিধি দল
মক্কা বিজয়ের পরে এ গোত্রের সর্দার যুতারট্রুরিফ ইবনুল কাহিন এসে ইসলাম গ্রহণ করেন
এবং নিজ সম্প্রদায়ের জন্য নিবাপত্তা সনদ হাসিল করেন ৷ নবী কবীম (না) তাদের জন্য
ফারাইব ও ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধান সম্বলিত একটি দলীল’ লিখে দিয়েছিলেন ৷
উছমান ইবন আফ্ফান (রা) ছিলেন দলীসটির লেখক ৷
বনু সুলায়ম প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
( ওয়াকিদী বলেন,) কারস ইবন নাশাবা নামবাবী বনু সুলায়ম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দরবারে এসে তীর কথাবাতা ওনলেন এবং কোন কোন বিষয় তিনি নবী কবীম
(সা)ষ্৫ক জিজ্ঞেস করলেন ৷ নবী কবীম (সা) তার জবাব দিলেন ৷ কায়স সে সব কথা তার
মানসপটে সংরক্ষিত করে বাখলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (যা) তাকে মুসলমান হওয়ার আহ্বান জানালে
তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ নিজ গোত্রে ফিরে গিয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা এভাবে
দিলেন যে, আমি রোমানদের তাবা-বিবৃতি শুনেছি, পারসিকদের শ্লোককাব্য ওনেছি, আরবের
কবিতামালাও শুনেছি, গণক-জ্যোতির্বিদদের অদৃশ্য গণনা আর হিঘৃয়াবী তর্কবিদদের
বিতর্কানৃষ্ঠান শুনেছি ৷ কিন্তু মুহাম্মদ (সা) এর বাণী ও ভাষা এদের কারো ভাষার সাথে সাদৃশ্য
রাখে না ৷ অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং নিজেদের ভাগ্য পড়ে নাও ! মক্কা
বিজয়ের সময় এলে বনু সুলায়মের সাতশ সৈনিকের দল এসে কৃদায়দ এ রড়াসৃলুল্লাহ্ (সা)-
এর সাথে মিলিত হল ৷ কারো কারো মতে, তাদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৷ আব্বাস ইবনুল
মিবদাস (বা) এর ন্যায় খ্যাতিমান ব্যক্তি ছাড়াও এ দলে ছিলেন গোত্রের শীর্ষস্থানীয় আরো
অনেকে ৷ র্তারড়া ইসলাম গ্রহণ করে আবেদন জানালেন যে, আমাদের আপনার “ড্ডাবর্তী”
বাহিনীতে স্থান দিন, আমাদের লাল বর্ণের পতাকা দিন এবং ঘুকাদ্দিমান (এগিয়ে চল)
শব্দকে আমাদের বাহিনী সংকেত’ নির্ধারিত করুন ৷ নবী কবীম (সা) র্তাদের আবেদন মঞ্জুর
করলেন ৷ র্তাবা মক্কা বিজয় ও তাইফ-হুনড়ায়ন অভিযানে তার সাথে অংশ গ্রহণ করেন ৷ এ
দলের তশ্যেতম সদস্য বাশিদ ইবন আবৃদ রাব্বিহী আস-সুলামী (বা) একটি বিশেষ মুর্তির (গৃহ
দেবতা) পুজা করতেন ৷ একদিন তিনি দেখলেন, দুটি শেয়াল তার পুজনীয় দেবতার পায়ে
পেশার করছে ৷ এ ঘটনা তীর চোখ খুলে দিলো ৷ তখন তিনি বলে উঠলেনষ্
শেয়াল জুটি পেশার করে বার মাথায় পরে; সে আবার কেমন থােদা রে ! শেয়ড়াল যাতে
পেশার করে ঠায় বিনাশ তার তার ৷ ’ এ ঘটনার পর তিনি মুর্তিটি ভেঙ্গে ফেললেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে এসে মুসলমান হয়ে পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন,
তোমড়ার নাম কি ? তিনি বললেন, পাবী ইবন আবদুল উঘৃয৷ ৷ উবৃযা
দেবীর দাসের পৃএ বিভ্রান্ত’ ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, (না) বরং তোমার নাম হবে রাশিদ
ইবন আবৃদ বাব্বিহী ৷ প্ৰতিপালকের বান্দার পুত্র রাশিদ পথের দিশাপ্রাপ্ত ৷ রাসুলুল্লাহ্ তাকে
রিহড়াত নামক স্থানটি জায়গীররৰুপে দিলেন, যেখানে একটি প্ৰবাহমান ঝর্ণাবাবা ছিল; যেটি
পরে আয়নুর রাসুল বা রাসুলের ঝর্ণা নামে অভিহিত হয় ৷ (বংনািকারী বলেন) বাশিদ ছিলেন