ক) শীতকালে কিছু মুসল্লীকে দেখা যায়, নামাযের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় গায়ের চাদর পড়ে গেলে এমনভাবে চাদর পরেন যে, সিনা কেবলার দিক থেকে ফিরে যায়। তাদের নামাযের হুকুম কী? কতুটুকু ফিরার কারণে নামা ভেঙ্গে যাবে? প্রমাণসহ জানতে চাই।
খ) একজন মুসল্লী দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন। হঠাৎ তার পায়ে একটি মশা কামড় দেয়। সহ্য করতে না পেরে তিনি দাঁড়ানো থেকে ঝুঁকে মশাটি মেরেছেন। এতে কি তার নামায ভেঙ্গে গেছে? অনুগ্রহ করে দলিলসহ সঠিক সমাধান দিয়ে চিন্তামুক্ত করবেন।
ক) নামাযের হালতে সিনা কিবলার দিক থেকে সামান্য ফিরে গেলে নামায ফাসেদ হয় না। আর নামাযী ব্যক্তি যদি সঠিকভাবে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে চাদর ঠিক করতে গিয়ে সীনা যে পরিমাণ ঘুরে তা সাধারণত খুব সামান্য হয়ে থাকে। এর দ্বারা নামায ফাসেদ হবে না।
কিন্তু যদি চাদর ঠিক করতে গিয়ে সীনা কিবলা থেকে এত বেশি ঘুরে যায় যে, সীনা কিবলা থেকে ৪৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি উত্তর বা দক্ষিণ দিকে চলে আসে তাহলে এ অবস্থায় তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় অতিবাহিত হলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। এর চেয়ে কম সময় হলে নামায নষ্ট হবে না।
উল্লেখ্য যে, নামায শুরু করার পূর্বেই গায়ের চাদর এমনভাবে পরে নেওয়া উচিত যেন তা নামাযের মধ্যে পড়ে না যায়।-রদ্দুল মুহতার ১/৬২৬; শরহুল মুনইয়াহ ৩৫১; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলালমারাকী ১৭৭;আলফাতাওয়াল খাইরিয়্যাহ ১/১৮
খ) প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ লোকাটির নামায নষ্ট হয়নি। তবে দাঁড়ানো থেকে এভাবে ঝুঁকে পড়া ঠিক নয়। ইচ্ছা করলে অন্যভাবেও মশাটি তাড়ানো যেত।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/১৫৩; আলমুহীতুল বুরহানী ২/২১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫২; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলালমারাকী ১৯৫; ইলাউস সুনান ৫/১৫১-১৫২