বললেন, কতই নােৎরা খুত খুজে যেড়ানাে বুড়াে ও দোষ অনুসন্ধানী যুবকের অপকর্ম ৷ হামা
বলল, পুরান কথার পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন! আমি মহান ও মহীয়ান আল্লাহ্র
দরগাহে তওবা করেছি ৷ আ ৷মি নুহ (আ) এর সাথে তার ইবাদাত থানায় ছিলাম, তার উম্মতের
মাঝে তার প্ৰতি ঈমান স্থাপনক৷ ৷রীদের সাথে ৷ নিজের কওমের বিরুদ্ধে বদ দৃআ করার ব্যাপারে
আমি তাকে দোষারোপ করতে থাকলে এক সময় তিনি কেদে ফেললেন এবং আমাকেও
কাদালেন ৷ আর বললেন, আমি অবশ্যই ঐ বিষয়টিতে অনুতপ্ত এবং অজ্ঞমুর্থদেরতাস্পোলিক ৷ণ্ডুক্ত
হওয়া থেকে আ ৷মি অ ৷ল্লাহ্র কাছে পানাহ চা ৷চ্ছি ৷ হামার বংনিা, আমি বললাম, হে নুহ! হাবীল
ইবন আদমের খুলে যারা হাত পঙ্কিল করেছিল, আমিও তাদের একজন; আপনি কি আমার জন্য
তওবার কোন উপায় দেখতে পান? তিনি বললেন, ওহে হাম কল্যাণ ও পুণ্যের সৎকল্প কর এবং
আক্ষেপ ও অনুতাপ করার আগেই তা সম্পাদন করে ফেল ৷ আল্লাহ্ আমার প্ৰতি যা নাযিল
করেছেন তার মধ্যে আমি এ কথা পড়েছি যে, কোন বান্দা আলাহ্র কাছে তওবা করলে তার
কৃতকর্ম যে সীমায়ই পৌছুক না কেন আল্লাহ্ তার ওবাত অবশ ৷ই কবুল করেন ৷
তুমি উঠে উয়ু করে এসো এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুটি সিজদা (দু রাকাত সালাত ) আদায়
কর ৷ হামা বলে, আ ৷মি সে মুহুর্ভেই তার নির্দেশিত কাজটি করলাম ৷ একটু পরে তিনি আমাকে
ডেকে বললেন, মাথা তােল ! আসমান থেকে তোমার তওবা কবুল হওয়ার বিষয় নাযিল
হয়েছে ৷ আমি তখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে শুক্র জ্ঞাপনে সিজদাবনত হলাম ৷ তার পরবর্তী বচ্নিা
আমি হুদ (আ)-এর সাথেও তার কওমের ঈমানদার লোকদের সঙ্গে তার ইৰাদাতখানায়
উপস্থিত ছিলাম ৷ আমি তার কওমের জন্য তার বদদুআর ব্যাপারে তীর নিকট অনুযােগ
করতে থাকলাম ৷ এমনকি তিনি নিজে কাদালেন, আমাকেও কাদালেন ৷
অবশেষে বললেন, ঐ বিষয়ে আমি অবশ্যই অনুতপ্ত এবং অজ্ঞ-মুর্থদের দলভুক্ত হওয়া
থেকে আ ৷মি তা ৷ল্লাহ্র শরণ প্রার্থনা করছি ৷ হাম৷ বলে চলল, সালিহ (আ)-এর প্ৰতি ঈমান
স্থাপনকারী তার কওমের লোকদের আ ৷মিও তার ইবাদাত্; ন্থানায় স্লিাম ৷ আমি করে কওমের
জন্য বদ-দু আ করার ব্যাপারে তার কাছেও অনুযােগ করতে থাকলাম ৷
এমনকি তিনি কেদে যােললেন এবং আমাকেও কাদালেন ৷ আর ল্যাংন ঐ বিষয়ে অমি
অনুতাপ বো ধ ৷করছি এবং আল্লাহর কাছে পানা ৷হ্ চাচ্ছি তিনি যেন আমাকে ক্ষাংদঃ তালিকাভুক্ত
না করেন ৷ আ ৷মি ইয়৷ ৷কুব (আ) এর সা ৷থেও মাঝে মাঝে সাক্ষাত করতাম, ইউসুফ (আ) যখন
মর্যাদ ৷র ৷আসীনে আসীন ছিলেন, আ ৷মি তখন তার সাথে হ্নিা৷ম ৷ মাঠেগ্ৰাস্তব্রে অ্যাং ইলিয়াস (আ)
এর সাথে সাক্ষাত করতাম, এখনও তার সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ আমি মুসা ইবন ইক্রো (আ
এর সাথে সাক্ষাত করেছি ৷ তিনি আমাকে তাওরাত্তের কিছু অংশের ভলীেম দািক্রো ৷
তিনি বলছিলেন, ঈসা ইবন মরিয়ম (আ)এব সাথে তােমব্রে মোঃ হলে তাকে আমার
সালাম জ্যনাবে ৷ ঈসা ইবন মরিয়ম (আ)-এর সাথে স্যক্ষ্যক্রুতঃ মৌঅ্যাংও আমি লাভ করেছি
এবং তাকে মুসা (আ)এর সালাম পৌহিঃয় দিয়েছি ৷
ঈসা (আ) আমাকে বলেছিলেন, “মুহাম্মদ (না)-এর সাথে ফী অে ষ্ার সক্ষোভ্র হয় তবে
, তাকে আমার সালাম জানাবে ৷ তা শ্যুন রাসুলুল্লাহ্ (না) অ্যাৰ্ক্সে মোঃ র্কদ্যোলন ৷ ংারে
বললেন, “ঈসা (আ)-এর প্ৰতি সালাম যতদিন পর্যন্ত দুনিয়া বিদ্যমান গ্ক্যেৰন্ আর তুমি যে
আমানত যথাযথ পৌছিয়ে দিলে সে জন্য যে হলোঃ তোমার প্ৰতিও সালাম!” হাম৷ বলল, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ৰু ঘুস৷ (আ) যেমন করেছিলেন আপনিও আমার সাথে তেমন সদয় আচরণ করুন !
তিনি আমাকে তাওরাতের কিছু অং শ গ্রি ৷খিয়ে দিয়েছিলেন ৷
বর্ণনাকারী (উমর রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন তাকে সুরা আল ওয়াকিয়া, আল
ঘুরসালড়াত, আনন্নাবা (আশা ইয়াতাসাআলুন) , আত তাকৰীর, সুরা ফালাক ও সুরা মাস এবং
সুরা ইখলাস শিখিয়ে দিলেন ৷
তারপর বললেন, হে হামা তোমার প্রয়োজনপ্তালার কথা আমাকে জানাবে এবং আমাদের
সাথে সাক্ষাত করতে ভুলবে না ৷ উমর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত পর্যন্ত যে আর
দ্বিতীয়বার আমাদের কাছে আসে নি ৷ এখনও সে বেচে আছে কিৎবা মারা গেছে তা আমরা
জানি না ৷
রিওয়ায়াত শেরে বায়হাকী (র) মন্তব্য করেছেন, (এ হাদীসের মধবেঃর্তী) রাৰী মুহাম্মদ ইবন
আবু মাশারষ্এর নিকট হতে শীর্ষস্থানীয় ইমামগণ রিওয়ড়ায়াত গ্রহণ করেছেন ৷ তবে হাদীসধেত্তাপণ
র্ভাকে দৃর্বল’ সাব্যস্ত করে থাকেন ৷ এ হাদীস তুলনামুলক অন্য একটি সরল সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷
অ্যাংাহ্ই সমধিক অবগত
দশম হিজরী সাল
খালিদ ইবনুল ওলীদ (বা) এর নড়াজরান অভিযান
ইবন ইসহাক বলেন, দশম হিজরীর রৰিউছণ্ছানী কি০ না জুমড়াদাল উলা মাসে রাসুলুল্লাহ্
(না) খালিদ ইবনুল ওলীদ (রা)-কে নাজরানের বনুল হারিছ ইবন কা ব-এর বিরুদ্ধে অভিযানে
পাঠালেন ৷ তিনি তাকে এ মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, যুদ্ধ শুরু করার আগে তুমি তিন দিন
তাদেরকে ইসলামের প্ৰতি আহ্বান জানালে; তাতে তারা সাড়া দিলে তুমি তা গ্রহণ করবে;
অন্যথায় তাদের সাথে লড়াই করবে ৷ খালিদ (রা) বাহিনী সহকারে রওনা করে মন্তব্য পৌছে
গেলেন ৷ সেখানে পৌছে তিনি একদল সওয়ার পাঠিয়ে দিলেন, যায়৷ চারদিক ঘুরে ঘুরে এ
মর্মে ঘোষণা দিতে লাগল ৷ ৷ গ্লুা :১ ৷ লোক সকল! মুসলমান হয়ে যাও ,
শান্তি ও নিরড়াপদে থাকবে ৷ লোকেরা তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দিয়ে মুসলমান হতে লাগল ৷
ডারা যুদ্ধ না করে মুসলমান হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে প্রদত্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ র আদেশ
যুতাৰিক খ ৷লিদ (রা ) সেখানে অবস্থান করে তাদেরকে ইসলাম ণ্ার্স, আল্লাহ্র কিতাব ও তার
নবীর সুন্নাফ্তে তর শিক্ষা দিতে লাপলেন ৷
পরে খালিদ (রা) রাসুলুল্লাহৃ (না)-এর বরাবরে চিঠি লিখে পাঠালেনশ্ “বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম” আল্লাহ্র রাসুল নবী মুহাম্মদ (সা ) এর ররা র ক্ষুর খালিদ ইবনুল ওয়ালীদের
পক্ষ থেকে আসসালাঘু আলায়ক৷ ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্ ওয়৷ বাহমাভুল্লাইি ওয়৷ রারাকাণ্ডু ৷ হ্৷ আমি
আপনার কাছে প্রশং স৷ করছি যে আল্লাহ্র যিনি ব্যতীত আর ণ্:ফা ৷ন ইলাহ্ নেই ৷৩ তারপর ইয়া
রাসুলুল্লাহ্৷ আল্লাহ্ আপনার প্রতি রহমত বর্যণ করুন ৷ আপনি আমাকে বনুল হা ৷রিছ ইবন কড়া র
এর উদ্দেশ্যে অভিযানে পাঠিয়েছিলেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন ণ্ব্ানঃ আমি এখানে উপনীত
হয়ে প্রথমেই ৩ ৷ শে র ৩৷ ৷ এন্ম ণ না করে ণ্ডিগাদিণ য়াবত তাংদর ইসন্মি গ্রহণের দাওয়াত দেই
৫০ ৷ড়া