মাসলড়ামা, ইবন উম্মু মাকতুম (রা) প্রমুখ ৷ দুই মায়ুর ও অসমর্থ-অপরাগ-দুর্বল, অসুস্থ ও
সহড়ায়-সম্পদহীন যাদের ক্রন্দনকায়ীরুপে আল কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তিন বিচ্যুতির
শিকার; এরা হলেন পুভ্রুবত্বিখিত তিনজন এবং আবু লুবড়াবড়া (মা) ও তীর সঙ্গীরড়া এবং চার
নিন্দিত ও অভিসম্পাতপ্রড়াপ্ত এরা মুনাফিক দল ৷
তাবুক পরবর্তী ঘটনাবলী
হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজহুমায়দ ইবন ঘুনাহ্হিব (র)
বলেন, আমি আমার দাদা থুরড়ারম ইবন আওস ইবন হারিছা ইবন লড়ামে (রা)-কে বলতে
শুনেছি রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাবুক থেকে প্রত্যাপযন করলে আমি হিজরত করে তার কাছে
গেলাম ৷ আব্বাস ইবন আবদুল যুত্তালিবকে তখন বলতে শুনলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমি
আপনার স্তুতিবাক্য’ আবৃত্তি করতে চাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বলুন, গুএে
“আল্লাহ্ আপনার দম্ভসারি অটুট রাখুন ৷ ১
আব্বাস (বা) বলতে লাগলেনষ্-
“এ ধুলির ধরার আগমনের পুর্বেই তুমি ছিলে পুত-পবিত্র, সৃশীতল ছায়া কাননে, আর
সুরক্ষিত পান্থ-নিবাসে, যেথার (আচমক্লা উলঙ্গ হওয়ার লজ্জা নিবড়ারণের জন্য) পাতার সাথে
পাতা (জড়ো হচ্ছিল ৷” অর্থাৎ জান্নাত কাননে বাবা আদম (আ) ও মা হাওয়া (আ)-এর প্রথম
আবাস ক্ষেত্রে ৷
“তারপর তুমি অবতরণ করলে ধরা-তুমে, কিন্তু তখনও তুমি পুর্ণাকৃতি মানবদেহ নও ৷
ৎবড়া (মাতৃপর্ভে) মাংসপিণ্ড নও ৷ এমনকি জমাট রক্ত বিন্দুও নও ৷ ”
“বরং তখন তুমি ছিলে ৰীর্য, যা (নুহ্-এর) জাহাজে বিচরণ করছিল, যখন নাকি প্লড়াবণ
নাসৃর প্রতিমা ও তার পুজারীদের ডুবিয়ে নাকে লাগান পরিয়ে দিয়েছিল ৷”
“ এভাবে যুগের পর যুগ ধরে ৷ ঔরস থেকে পর্ভে তোমার স্থানান্তর হতে থাকল ৷ কাল
পরিক্রমার একটি জগত ও প্রজন্মের অবসানে আবির্ভাব হতে থাকল আর একটি প্রজন্মের ৷
অবশেষ বিদুষী মহীরসী ৷ণ্খনদিযন্২ থেকে তোমার জন্য আহরিত হল সৃমহান মর্যাদার
সর্বোচ্চ স্তর ৷ অর্থাৎ খিনদিফ-এর অবম্ভন পুরুষে তোমার পিতৃপরিবার সর্বাধিক শুভ্র
আভিজড়াত্যে অধিষ্ঠিত ৷
১ আরবী ভাষীর৷ এ বাক্য বলে শ্রেষ্ঠ কবি ও বাশ্মিদের দৃআ করে থাকে ৷ শ্অনুরড়াদক
২নাসৃর’ নুহ্ (আ)এর কাফির কওমের অন্যতম প্রতিমা আল কুরাআনে সুরা নুহু-এ এর উল্লেখ আছে ৷ন্অনুবাদক
“আর যখন তুমি ভুমিষ্ঠ হলে তখন পৃথিবী ঝলমল করে উঠল আর দিক দিগন্ত আলোকময়
হল তোমার নুরের আভায় ৷
“অনন্তর আমরা চলেছি সে ঔজ্জ্বল্য ও আলেকরতিকািয় উদ্ভাসিত চিরকল্যাণকর পথে ৷ ”
বায়হাকী (র) অন্য একটি বর্ণনা সুত্রে আবদুস সাকান যাকারিয়্যা ইবন ইয়াহ্য়া আত্ণ্তাঈ
(র) থেকে এ রিওয়ড়ায়াতটি গ্রহণ করেছেন ৷ সেটি তার একটি সংকলনে ৰিবৃত হয়েছো
বারহাকী (র) বলেন, এ রিওয়ায়াতের রাবী কিঞ্চিত অতিরিক্ত বিবরণ দিয়েছেন, তা হল
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ হল সমুজ্জ্বল হীরাত১ যা আমার (চোখের) সামনে তুলে
ধরা হল, আর ঐ যে, শারমা বিনৃত নুফারলা (বা বুকারলা) আঘৃদ গোত্রীয়া, একটি শ্বেতশুভ্র
খঃচচরের পিঠে কাল ওড়না মাথায় জড়িয়ে আমি (রানী) বললাম, ইয়া রড়াসুলুল্লাহ্! আমরা
যদি (বিজয়ী হয়ে) হীরাতে প্রবেশ করি, এবং তাকে পেয়ে যাই, যেমন আপনি বর্ণনা দিলেন,
তা হলে তা কি আমাকে দেয়৷ হবে? তিনি বললেন, “তা তোমার জন্য ৷ ” তারপর ধর্মতাক্রোর
হিড়িক পড়ল্যে ৷ তবে (আমাদের) তার গোত্রের কেউ মুরতাদ’ হয় নি ৷ আমরা ইসলামের
স্বার্থে আমাদের আশপাশের গোত্রগুলোর বিরুদ্ধে সমরাভিযান পরিচালনা করতাম ৷ কখনো
কড়ারস গোত্রের সাথে আমাদের যুদ্ধ হত, যাদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিল উয়ড়ারন৷ ইবন
হিসৃন ৷ আবার কখনো রনু আসামের সাথে লড়াই বেধে যেত ৷ ওদের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিল
তালহা ইবন খুওয়ায়লিদ ৷ আমাদের কর্যতংপরতায় খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ আমাদের ন্তুতি
কাব্য রচনা করতেন, তন্মে রচনার কয়েকটি পংক্তি ছিল এরুপ-
“আল্লাহ্ তার পােত্রকে তাদের অঞ্চলে দুর্ধর্য প্রতিপক্ষের সাথে ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার
জন্য আমাদের পক্ষ থেকে উত্তম জামা প্রদান করুন ৷”
ওরাই রদান্যতা ও অনিরুদ্ধ দানের পতাকাবাহী; যখন দুয়েঢাি দৃর্ভিক্ষের ঘনঘটা দেশব্যাপী
(প্রতিটি র্তাবুর বাসিন্দাদের মধ্যে) ব্যাপ্ত হয়ে পড়ে ৷ ওরাই দীনের স্বার্থে কায়সী গোত্রীয়দের
উপরে আঘাত (হনেছে; যখন কায়সীরা অন্ধতু ও গোমরাহীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল ৷
রংনািকারী বলেন, তারপর খালিদ (রা) ঘুসায়লড়ামাতুল কাঘৃযাবকে দমন করার উদ্যেশ্যে
রওয়ানা হলেন ৷ আমরা যুসারলামার ব্যাপার শেষ করে বসৃরড়ার অভিমুখে এগিয়ে চললাম ৷
আমরা কাজিমায় হুরমুযণ্এর সম্মুখীন হলাম ৷ তার বাহিনীটি ছিল আমাদের সমন্বিত বাহিনীর
রাসুল (সা)এর পুর্ব পুরুষ ইলয়াস ইবন ঘুযার এর দ্রী লায়লা এর উপাধি নাম ৷ ইনি ছিলেন
ক্টেরমী মহিলা ৷ তাই এ বংশকে অনেক সময় তার সাথে সম্পৃক্ত করা হয় ৷ অনুবড়াদক
২ হীর৷ হচ্ছে একটি আঞ্চলিক রাজ্য ৷
মোঃ লোঃ আর আজযীদের মাঝে ইসলাম ও আরবদের প্রতি বিদ্বেষ পােষণে
খালিদ (রা) অগ্নবর্তী হয়ে তাকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান জানালেন
করে স্ফোলেন ৷ এ বিজয়ের খবর আবু বকর সিদ্দীক (রা)-কে লিখে জানান
তিনি হ্বষুব এর (ব্যক্তিগত) যুস্কোপকরণ খালিদ (রা) কে প্রদানের ঘোষণা দিলেন ৷
ৰ্াষ্কৃৰ্র ষুকুটি মুল্য নির্ণীত হল এক লাখ দিরহাম ৷ পারস্যবাসীদের নিয়ম ছিল যে, কোন
ৰ্টি তাদের মাঝে উন্নত মর্যাদার ভুষিত হলে তার মুকুট এক লাখ দিরহাম মুল্যমানের তৈরি
fl হত ৷
ৰর্ণনাকারী বলেন, পরে আমরা উপকুলবর্তী পথে হীরার দিকে অভিযান চালড়ালড়াম ৷ হীরাতে
মোঃ মুখে সর্বপ্রথম আমরা যার সাক্ষাত পেলাম, সে ছিল শায়মা বিবৃত নুফায়লা যেমনটি
ৰাসুলুল্লাহ্ (সা) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শ্যুভ্রড়াজ্জ্বল খচচরের পিঠে কাল দো-পাট্টা মাথার
জতিঃয়আমি তার সাথেই লেগে থাকলাম এবং সাথীদের বললাম, এটি আল্লাহর রাসুল (সা)
আমাকে দান করে নিয়েছেন ৷ বাহিনীর অধিনায়ক খালিদ (রা) বিষয়টির ব্যাপারে আমার কাছে
সাক্ষী তলব করলে আমি তা উপস্থাপন করলাম ৷ আমার সাক্ষী ছিলেন মুহাম্মদ ইবন মাসলামা
ও মুহাম্মদ ইবন বাশীর আল আনসারী (বা) ৷ প্রমাণ পেয়ে খালিদ (রা) মহিলাটিকে আমার
হাতে তুলে দিলেন ৷
তখন তার ভাই আবদুল মাসীহ্ সন্ধির উদ্দেশ্যে আমার কাছে এসে বলল, ওকে আমার
কাছে বেচে দাও ৷ ’ আমি বললাম, বেচতে পারি, তবে অন্তত এক হাজার দিরহামের কমে-
আল্লাহ্র কসম দেব না ৷ সে আমাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দিলে আমি তাকে তার
হাতে তুলে দিলাম ৷ লোকেরা আমাকে বলল যে, তুমি এক লাখ চাইলে সে তোমাকে তাই
দিত ৷ আমি বললাম, এক হাজার এর চাইতে বড় কোন ,অংক থাকতে পারে, তা আমার
ধারণার ছিল না ৷
হিজরী নবম বর্ষের রমযান মান : রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
ছাকীফ গোত্রীর প্রতিধিনি দলের আগমন
পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, ছাকীফ অবরোধ প্রত্যাহারকালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের জন্য
বদ-দৃআ করার বরখাস্ত জানালে তিনি তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ করেছিলেন ৷ পুর্বেই এ
কথা বিবৃত হয়েছে যে, মালিক ইবন আওফ নাযারী ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে
অনুকম্পা ও পুরস্কারে ভুষিত করার সাথে সাথে তাকে তার কওমের মুসলমানদের আমীর
নিয়োগ করলেন ৷ সেই সাথে সাখ র ইবনুল আরলা আহমাসী (রা) থেকে গৃহীত আবু দাউদ
(র)-এর রিওয়ায়াতে এ কথাও বিবৃত হয়েছে যে, তিনি লাপাতার ছাকীফ অবরোধ করে
রম্মেলন, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর রাসুল (সা) এর ফায়সালার কাছে আত্মসমর্থ্যণ বাধ্য হল ৷
পরে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর অনুমোদনক্রমে তিনি তাদেরকে নিয়ে মদীনায় উপস্থিত হলেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করে রমযান
মাসে ৷ এ মাসে ছাকীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল তার খিদমতে উপস্থিত হয় ৷ তাদের
ঘটনা ছিল এরুপ যে, হাকীষ্কের অবরোধ তুলে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রত্যাবর্তন শুরু করলে