এক সনদে বুখারী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, ও না (র)আবু মাসউদ (বা) থেকে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
“ঈমান এখানে (এ কথা বলার সময়) তিনি ইয়ামানের দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷ কর্কশ
ভাবা, দৃর্ব্যবহার ও হৃদয়ের কাঠিন্য উটপালের পিছনে চিৎকারে অভ্যস্তদের মাঝে যে দিকে
শয়তানের দুটি শিং উদিত হয় ৷
অর্থাৎ রড়াবীঅ৷ ও মুযার গোত্রদ্বয় ৷ বুখারী (র) অন্যত্র এবং মুসলিম (র)-ও ইসমাঈল ইবন
আবু খড়ালিদ (র) আবু মাসউদ উকবা ইবন আমৃর (বা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তারপর উল্লেখ করেছেন সুফিয়ান ছাওয়ী (র)ইমরান ইবন হুসায়ন (বা) এর রিওয়ায়াত ৷
তিনি বলেন, বনুত তামীমের লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, “তামীমীরা!
সুসৎ বাদ গ্রহণ কর ’তার৷ বলল–
“সুসৎ বাদ যখন দিলেনই, তবে আমাদের কিছু দান-দক্ষিণাও করুন না ৷ তাদের এ
বেপরোয়৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চেহারা বিবর্ণ হল ৷৩ তখন ইয়ামানবাসী একদল লোক
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এলে তিনি তাদের বললেন, “তামীযীর৷ যখন সুসং বাদ গ্রহণে আগ্রহী
হল না, তখন তোমরা তা গ্রহণ কর !” তার৷ বলল, আমরা তা গ্রহণ করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্
তিরমিষী ও নসােঈ (র)-ও এ হাদীস উল্লিখিত সনদে ছাওয়ী (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
“এসব হাদীসই ইয়ামানী প্রতিনিধি দলের মাহাত্ম্য নির্দেশ করে ৷ তবে এগুলোতে
প্রতিনিধিরব্পে তাদের আগমনের সময় নির্দেশিকা নেই ৷” তামীঘী প্রতিনিধি দলের আগমনকালে
পরবর্তী সময়ে হলেও তাতে আশআরীদের আগমন তার স কলীেন হওব৷ অনিবার্য নয় ৷ বরং
তাদের আগমন ঘটেছিল আরো আগে ৷
কেননা, আশআরীদের অন্যতম সদস্য ক ;” ঘুস৷ স্রভ্রশআরী (না)-এর সৃহবত ও নবী
সাহচর্যকাল জাফর ইবন আবু তালিব (রা)-ও তার সঙ্গীদের সহ্বত লন্সে সমকলীেন ৷ যারা
প্রথমবার হিজরত করে আৰিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) গিয়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
খায়বার বিজয়কালে সেখানে উপনীত হয়েছিলেন ৷ আমরা যখাস্থানে এর বিশদ বিবরণ পেশ
করে এসেছি ৷ সে সাথে নবী বত্রীম
আল্লাহর কসম! আমি বুঝতে পারি না, কোনটি আমার জন্য অধিক আনন্দদায়ক
জা ফরের প্রত্যাগমন কিৎবা খায়বার বিজয় উড়িটি সেখানে উল্লিখিত হয়েছে ৷ মন্ ৷ন আল্লাহ্ই
সমধিক অবগত ৷
১ অর্থাৎ তামীমীদের প্রত্যাথ্যাত সুসৎবাদ ইয়ামানীদের প্রদান করার উভয় প্রজ্যো দল সমকালীন হওয়া
জরুরী নয় ৷ যেহেতু সুসৎবাদ গ্রহগকারী ইয়ামানীর৷ ঐ সময়ই প্রতিনিধিরুপে এস্নি এমন প্রমণে নেই ৷ বরৎ
পুরেই তাদের আগমনের প্রমাণ রয়েছে ৷ অতএব, এখানে উল্লিখিত ইয়ামানীর৷ মদীনায় অবস্থান রত ইয়ামানী
কিৎবা ঐ সময় সাধারণ সফরে আগত ইয়ামানীর৷ হতে পারে ৷ অনুবাদক
বাহ্রায়ন ও ওমান এর ঘটনা
কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সুত্রে বর্ণিত যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে বলেছিলেন, বাহরায়নের মাল এসে পড়লে তোমাকে এই এই এই পরিমাণ দিয়ে
দিতাম, এই পরিমাণ তিনি তিনবার বললেন ৷ কিন্তু বাহবায়নের মাল আসার আগেই
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ আবু বকর (রড়া) খলীফা হলে তার কাছে সে মালামাল
এল ৷ তিনি এক ঘোষককে এ যেষ্মেণড়া দিতে বললেন, “নবী করীম (সা) এর কাছে যার কোন
পড়াওনা বা ওয়াদা রয়েছে সে যেন আমার কাছে আসে ৷ জারির (বা) বলেন, আমি আবু বকর
(রা)এর কাছে গিয়ে জকে জানালাম যে, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “বাহরায়নের মাল
এসে পড়লে তোমাকে এত, এত এবং এত পরিমাণ দিয়ে দিতাম ৷ তিনবার বলেছিলেন ৷
জারির (বা) বলেন, আবু বকর (বা) আমার কথায় মনোযোগ দিলেন না ৷ তাই পরে আবার
আমি তার সাথে লড়াক্ষাত করে আমার দাবী জানালার ৷ কিন্তু তখনও তিনি আমাকে কিছু দিলেন
না ৷ তৃতীয়বার আমি তার কাছে যাওয়ার পরেও তিনি আমাকে কিছু দিলেন না ৷ তখন আমি
তাকে বললাম , বারবার আমি আপনার কাছে এলায, কিন্তু আপনি আমাকে কিছুই দিলেন না ৷
হয় আপনি আমাকে কিছু দিয়ে দিন, না হয় বখিলী করুন ৷ তিনি বললেন, তুমি বখিলী’ ও
কিপটেষী করার কথা বললে? কিপটিমির চাইতে জঘন্য বদভ্যাস আর কী হতে পারে ? তিনি
কথাটি তিনবার বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, যতবারই আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি,
আমার সিদ্ধান্ত ছিল তোমাকে দেয়ার ৷ এক্ষেত্রে বুখরীি (র) হাদীসটি অনুরুপই রিওরায়াত
করেছেন ৷ মুসলিম (র) ও আমৃর আন নাকিদ (র)সুফিয়ড়ান (র) সুত্রে উল্লিখিত সনদে
রিওরড়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আঘৃর (র)জারির ইবন
আবদুল্লাহ্ (বা) কে বলতে শুনেছি,আমি আবু বকর (রড়া)এর কাছে গোলে তিনি (কিছু মুদ্রা
দিয়ে) বললেন, এগুলো গুণে ফেল ৷ গুণে দেখলাম পাচশ রয়েছে, তিনি বললেন, ওর সাথে
আরো দ্বিগুণ নিয়ে যাও ৷’
বৃখারী (র) আলী ইবনুল মাদীনী (র)জারির (বা) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
অন্যত্র বুখারী (র) এবং মুসলিম (র)ও একাধিক সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন৷ তার
অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছেন্শ্ আবু বকর (বা) তাকে নির্দেশ দিলে তিনি আজলা ভরে
দিরহড়াম ( রৌপ্যযুদ্রা) তুললেন এবং সেগুলো ওণে দেখলেন যে তাতে গাচশ’ রয়েছে ৷ তখন
আবু বকর (বা) আরো দৃবার তার সমপরিমাণ দিয়ে দানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ অর্থাৎ
তাকে প্রদত্ত মোট মুদ্রার পরিমাণ ছিল দেড়হজাের দিরহাম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফারওয়া ইবন মিসৃসীক আলমুরড়াদীর প্রতিনিধিরুপে আগমন
ইব ন ইসহাক (র) বলেন,কিনদার সামত রজােদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফারওয়া ইবন
মিসৃসীক আল-মুরাদী রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷ ইসলামের আরিভাবের
প্রাক্কালে তার গোত্র মুরাদ’ ও পার্শ্ববর্তী হামাদড়ান গোত্রের মাঝে লড়াই বেধেছিল এবং তাতে