করলে তা তার জন্য হালাল বলে পরিগণিত হবে ৷ আর জলেস্থলে কোন পানির ক্ষেত্র বা
জলপখে তারা অবতরণ করলে তা থেকে অন্যদের বিরত রাখার অনুমোদন তাদের জন্য
থাকবে না ৷”
ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত ইউনুস ইবন বুকায়র (র)-এর রিওয়ায়াতে একটু অধিক
বিবরণ রয়েছে ৷ এ পত্র জুহায়ম ইবনুস সালত ও শুরাহবীল ইবন হাসনাে-এর সাক্ষাতে
আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর অনুমোদন সুত্রে প্রদত্ত ৷
ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে ইউনুস (র) আরো বলেছেন, জারবা ও আযরুহ
বাসীদের প্রদত্ত সন্ধি সনদে তিনি লিখলেন,
ইহা আল্লাহ্র নবী ও রাসুল (না)-এর পক্ষ থেকে আবকহ ও জারবা বড়াসীদেরকে প্রদত্ত
সনদ ৷ তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত নিরাপত্তা ও মুহাম্মদ (সা) প্রদত্ত নিরাপত্তার অধিকারে শ্ ৎকামুক্ত ৷
আর তারা প্রতি রজব মাসে একশ’ দীনার (স্বর্ণ মুদ্রা) ও একশ’ উকিয়া দিরহাম (চার হাজার
রৌপ্য মুদ্রা) (জিঘৃরা) আদায় করবে ৷ আর ইসলাম ও মুসলিম জাতির প্রতি এবং তাদের কাছে
আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলমানদের সাথে সদাচরণ ও কল্যাণ কড়ামনার ব্যাপারে আল্লাহ্ই তাদের
তত্ত্বাবধায়ক ৷ বণ্নািকায়ী বলেন, আয়লাবাসীদের জন্য নিরাপত্তার প্রর্তীকস্বরুপ নবী করীম (সা)
তার সনদপত্রের সাথে তার চাদর মুৰারকও দিয়ে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী আরো বলেন, পরবর্তী
সময়ে আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) তিনশত দীনাংরর বিনিময়ে সে ঢাদরখানা
খরিদ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নির্দেশে দুমা : আল-জানদাল এর শাসক উকায়দির-এর বিরুদ্ধে
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এর অভিযান
ইবন ইসহাক (র) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)-কে তােক
পাঠালেন এবং তাকে উকায়দির ইবন মালিক-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ
দিলেন ৷ সে হল কিনানা: গোত্রের সামন্ত রজাে উকায়দির ইবন আবদুল মালিক ৷ সে ছিল খৃস্ট
ধর্মানুসাবী ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ (রা)-কে বলে দিয়েছিলেন যে, খো৷ ম্পো :১: ন্পু ঞা
তুমি তাকে ৰুনাে গরু শিকারে মগ্ন অবস্থায় পেয়ে যাবে ৷ খালিদ (রা) অভিযানে বেরিয়ে
পড়লেন এবং রাতের প্রথম প্রহরে দুর্গের দৃষ্টি সীমায় পৌছে গেলেন ৷ রাতটি ছিল প্রীল্মকালের
জোৎস্না রাত ৷ উকায়দির তার শ্ৰীকে নিয়ে প্রাসাদের ছাদে সান্ধ্য বিনোদন করছিলেন ৷ বুনো
পরুগুল্যে দুর্গ ৷;তারণে শিং ঘষছিল ৷ উকায়দির পত্নী স্বামীকে বলল, এমন মনােহর দৃশ্য কি
তুমি কখনো দেখেছ ? সে বলল, না ৷ আল্লাহ্র কলম! রানী বলল, (শিকারের) এমন সুবর্ণ
সুযোগ কি কেউ হেলায় হারায় ? রাজা বলল, €কউ না ৷ ’ তারপর নীচে নেমে এসে ঘোড়া
তৈরী করার হুকুম দিল ৷ ঘোড়ার জ্বিন পড়ানো হলে সে বেরিয়ে পড়ল ৷ সাথে ছিল পরিবারের
একটি ক্ষুদে দল ৷ হাসসান নামে তার এক ভাই ঘোড়া নিয়ে ভাইয়ের সংগে বেরিয়ে পড়ল ৷
পরিবারের সদস্যরা শিকারের সড়কি বল্লম সাথে মিল ৷ কিছু দুর বেরিয়ে আসতেই নবী করীম
(না)-এর অশ্ববাহিনী তাদের পথ বোধ করে দাড়াল এবং উকায়দিরকে গ্রেফতার করল ও তার
৩াইধ্বক ২৩১ ৷ করল ৷ বপীর গায়ে ছিল স্বর্ণখচিত রেশ্ামের তৈরী একটি বহু মুল্য কাবা’ ৷
খালিদ (বা) তা গণীনত ও যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ হিসাবে খুলে নিলেন এবং নিজের মদীনায় ফেরার
পুর্বেই তা রাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে পাঠিয়ে দিলেন ৷
বপনড়াকারী ইবন ইসহাক (র) বলেন, আসিন ইবন উমার ইবন কাতদাে আনড়াস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে, তিনি বলেন, উকারদিরকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
কাছে নিয়ে আসার সময় কাবাটি আমি প্রত্যক্ষ করেছি ৷ মুসলমানগণ হাত দিয়ে তা স্পর্শ
করছিলেন আর তার কােমলতায় মুগ্ধ হচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
“ এতেই তোমরা হতবাক হচ্ছে৷ ! অথচ জান্নাতে সাদ ইবন মুআয (রা)-এর (হাত)
রুমালও এর চেয়ে উৎকৃষ্টতর ও অধিকতর মোলায়েম হবে ৷ ”
ইবন ইসহাক (র) বলেন, পরে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রা) উকড়ায়দিভ্রুক নিয়ে রাসুলুল্লাহ
(সা)এৱ দরবারে হাযির হলে , তিনি তার জীবন রক্ষার ঘোষণা দিলেন এবং জিবৃরা আদায়ের
শর্তে সন্ধিবদ্ধ হলে তাকে মুক্ত করে দিলেন ৷ উকায়দির তার এলাকায় ফিরে গেল ৷ বনু তায়’
এর কবি বুজায়র ইবন বাজ্বরা: ঘটনাটি তার কবিতার ধরে রাখলেন,
“মহীয়ড়ান সত্তুাষ্নীল গাভীগুলাের পরিচালনাকারী; আমি প্রত্যক্ষ করলাম যে, আল্লাহ্ প্রতিটি
অ্যাবর্তীর (বা নীল গাভীর পড়ালের সর্দার)-কে পথের দিশা দেন ৷ ”
এ তাবুক প্রধান (রাসুলুল্লাহ (সা))-এর প্ৰতি যার অনীহা থাকে, থাক; আমরা তো জিহড়াদ
করে যেতে আদিষ্ট হয়েছি (আমরা তা করেই যাব) ৷
রায়হার্কী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এ কবির জন্য দৃআ করে বলেছিলেন-
“আল্লাহ্ তোমার র্দাতগুলো অটুট রাখুন” (অর্থাৎ (তড়ামাকে দীর্যাযু করুন এবং তোমার
ঘুখমণ্ডলের সজীবতা অক্ষুগ্ন রাখুন) ৷ ফলে তার বয়স সত্তর বছর পার হয়ে গেলেও তার
একটিও র্দাত নড়েনি ৷
ইবন লাহীআহ উরওয়াহ (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাবুক
থেকে ফেরার পুর্বক্ষণে চারশ’ বিশ জন সােড় নওয়াব দিয়ে খালিদ (রা)-কে দুমা:-র
উকায়দিরের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালেন ৷ তারপর তিনি পুর্বোল্লিখিত বর্ণনার অনুরুপ বর্ণনা
দিয়েছেন ৷ তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, খালিদ (রা) কৌশল অবলম্বন করে তাকে দুর্গের
বাইরে আসতে বাধ্য করেছিলেন ৷ তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, খালিদ (রা) উকায়দি সহ
আটশ যুদ্ধবন্দী, এক হাজার উট, চারশ’ ধর্ম ও চারশ বলুন রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে
পেশ করেছিলেন ৷ তার বর্ণনায় আরো রয়েছে যে, আয়লা প্রধান ইয়াহান্না ইবন রুবা
উকায়র্দিরের পর্বিণর্ডির কথা শুনে সব্ধিবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায়ই রাসুলুল্লাহ (সা)এর
দরবারে হাযির হয়েছিলেন ৷ ফলে তাকুক রাসুলুল্লাহ (না)-এর সযীপে তাদের দুজনের
একত্রিত আগমন ঘটেছিল ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র (র)বিলাল ইবন ইয়াহয়া (র) থেকে দুমাতুল জড়ানৃদাল অভিযানে
আবু বকর সিদ্দীক (রা) যুহাজিরদের সেনাপতি ছিলেন, আর খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)
যেদুইনদের দায়িত্বে ছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত ৷
তাবুক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন
ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশ রাতের মত (অর্থাৎ বিশ দিনের কম)
সময় তাবুকে অবস্থান করার পরে মদীনায় উদ্দেশ্যে ফিরতি সফর শুরু করলেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, পথে ওয়াদি আল মুশাক্কাক নামক উপত্যকায় পাথর ফেটে নিপর্ত ক্ষীণ ধারার
প্রবহমান একটি ফোরারা ছিল ৷ যার পানি একজন দুজন কিৎবা তিনজন পথিকের পিপাসা
মেটাতে পারত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-
“যারা ঐ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে পৌছবে, তারা আমাদের পৌছা পর্যন্ত তার পানি
একটুও তুলবে না ৷ ”
বর্পনাকারী বলেন, ঘুনাফিকদের একটি ছোট দল তার পুর্বে সেখানে পৌছে তার সব পানি
তুলে নিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে পৌছে ফোয়ারার কাছে র্দাড়ালেন ৷ কিন্তু তাতে পানির
কোন চিহ্ন দেখতে না পেয়ে বললেন, এ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে কে পৌছেছে ?’
তাকে বলা হল, ইয়া রাসুলল্লোহ! অমুক অমুক ৷ তিনি বললেন, আমার আগমনের পুর্বে তার
পানি তুলতে আমি কি তাদের নিষেধ করিনি ? তখন তিনি তাদের অভিসম্পাদ দিলেন ও
তাদের জন্য বদদুআ করলেন ৷ তারপর সেখানে অবতরণ করে ক্ষীণ ধারাঢির কাছে হাত
রেখে আল্লাহ্ মালুম তিনি কি যেন তার হাতে ঢড়ালতে থাকলেন ৷ তারপর তা ধারামুখে ছিটিয়ে
দিলেন এবং ফোয়ারা মুখটি হাত দিয়ে মুছে দিলেন ৷ পরে দীর্ঘ সময় ধরে দুআ করলেন ৷
ফলে পাথর বিদীর্ণ করে পানি বেরুতে লাগল ৷ দর্শক শ্রোতাদের মনে হচ্ছিল, বড্রের গুমগুম
আওয়াঘের ন্যায় আওয়ড়ায করে পানি বেরিয়ে আসছে ৷ লোকেরা পানি পান করল এবং যার
যার প্রয়োজন মত তুলে রাখল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন
“ তোমরা অনেক দিন বেচে থাকলে কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ) তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে
যারা অনেক দিন বেচে থাকবে তারা শুনতে পারে যে, এ পানির আশপাশে এ উপত্যকায় সবুজ
শ্য“ামলের সমারােহ ঘটছে ৷”
ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম ইবনৃল হারিছ আত-তায়ষী (র)
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করতেন যে, মাঝ রাতে আমি জেগে উঠলাম, তখন