“আর যখন (হুদায়বিয়ক্ষুয়) অবিচল অপ্ৰতিরােধ্যতড়ার বায়আত নেয়া হল, তখনও এ
আনসাৰীরা ছিল ৰায়আতের প্রথম সারিতে এবং তাতে তারা সামান্য বিচ্যুত না হয়েই তার
সহমর্মীতা সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছে ৷
“মক্কা বিজয় অভিযানেও৩ রাে ছিল তার বাহিনীতে দেহরক্ষী ও সার্বক্ষণিক যোদ্ধা হয়ে;
তাতেও তারা অহেতুক উত্তেজনা বা তাড ড়াডাহুড়ড়ার শি কার হয় নি ৷ ”
“খায়বার অভিযানেও তারা তার বাহিনীর তালিকাভুক্ত সহয়ােদ্ধা; ৰীরদর্পে এগিয়ে চলছিল
শৌর্যভরা দৃর্ধর্ষ তাজা প্রাণ ৷
“ঝলমলে তরবারি হাতে, যারা আন্দেৰ্লিত হয় নিরেট নির্ডেজা ড়াল ঈমানে, কখনো আঘাত
হানে সরাসরি আবার কখনো একেবেকে লক্ষেক্তর অবস্থানডেদে ৷
“আল্লাহর রেযামন্দির অন্বেষায় যেদিন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক অভিমুখে সফর করলেন,
সেদিনও; তারা তো ছিল তার অগ্নসারির কোবাহী দল ৷
“ওয়াই যুদ্ধের ঝানু সহিষ পরিচা ড়ালক; যুদ্ধ যদি এ সেই পড়ে; ওরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আ-গা গোড়ড়া অগাভিযান থেকে শুরু করে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ৷ ”
“এ জাতি-গোষ্ঠীই নবী করীম (না)-এর আনসার-সাহাযক্যেরী বাহিনী, আর এরইি তো
আমার স্বগােত্র; গোত্র-পরিচয়ে মিলিত হতে চাইলে আমি তো এদের এখানেই ধর্ণা দেই ৷”
“আভিজা৩ তা নিয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেছে; আর কোন দিন প্রতিজ্ঞা ভন্সের দ্বারা কলুষিত
হয় সি; আর বিনষ্ট হয় নি আল্লাহর রাহে তাদের শাহাদাতের সুধা পান, যখন তারা শহীদ
হ্যয়ছে !
নবম হিজরীর হরুজ্জ আবু বকর সিদ্দীক (না)-কে আমীরুল হজ্জ
নিয়েম্পো ও সুরা তাওবা অবতরণ
মোঃ (৯ হি) মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে আগত তাঃয়ফবাসীদের প্রতিনিধি
অ্যাং বিশদ ৰিবরণের পর ইবন ইসহাক (র) বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযানের
ঠো দিম্মালা এবং শাওয়াল ও যিলকদ মাসদ্বয় মদীনায় অবস্থান করলেন ৷ তারপর নবম
হিজরীর হজে মুসলমানদের হজ পরিচালনার জন্য আবু বকর (রা)কে আমীরুল হজ নিযুক্ত
করে পাঠালেন ৷ মুশরিকরা তাদের পুর্বাবস্থানে তাদের প্রচলিত প্রথানুসারে হজ পালন করছিল ৷
তখনও পর্যন্ত বায়তুল্লাহ্ এ আগমন তাদের জন্য নিষিদ্ধ হয় নি এবং তাদের কোন কোন
গোত্রের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তিও ছিল ৷ আবু বকর (বা) তার সহযাত্রী ঘুসলমানদেরকে
সাথে নিয়ে রওনা হয়ে গেলে মদীনায় জনপদ অতিক্রমের পর পরই মহীয়ানগরীয়ান আল্লাহ্
সুরা তাওবার প্রথম দিকের এ আয়াতসমুহ নাযিল করলেন ৷
“এটা হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ, আল্লাহ্ ও রাসুলের পক্ষ থেকে সেই সকল মুশবিকদের সাথে
যাদের সাথে তোমরা পারস্পরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলে ৷ তারপর তোমরা দেশে
চারমাসকাল ঘোরাফেরা করে নাও এবং জোন রেখো যে, তোমরা আল্পাহ্কে হীনবল করতে
পারবে না এবং আল্পাহ্ কাফিরদেরকে লাঞ্ছিত কার থাকেন ৷ মহান হজের দিনে আল্লাহ্ ও তার
রাসুলের পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি এটা এক ঘোষণা যে, আল্লাহর সাথে যুশরিকদের কোন
সম্পর্ক রইল না এবং তার রাসুলের সাথেও না (৯ : ১-৩) ৷ এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে
ইবন ইসহাক (ব) এ আয়াতসমুহের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আংলাচনা করেছেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমি
এগুলির বিশদ আলোচনা কংরছি ৷ যাবতীয় হামৃদ ও অন্যুাহ আল্লাহ্রই ৷ সারকথা হল,
রাসুলুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর সিদ্দীক (না)-হে পাঠ্যন্সেন ৷ পওে তার সহযোগী হওয়ার জন্য
আলী (রা)-কে পাঠালেন ৷ তবে রাসুল (না)-এর প্রতিনিধিরুপে যুশরিকদেরৰু সাথে
সম্পর্কহীনতা ঘোষণার দাব্লিতু আলী (না)-এর উপরই অর্পিত হল ৷ কেননা, তিনি ছিলেন
রাসুল (না)-এর পৰিবব্যে অন্যতম সদস্য র্তারই চাচাত ভাই ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন,
হাকীম ইবন হার্কীম ইবন আব্বাদ ইবন হুনায়ফ (র) আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
সুরা বারা (তাওবা) নাযিল হওয়ার পুর্বেই রাসুলুল্পাহ্ (সা) আবু বকর সিদ্দীক (রা) কে
লোকদের হজ্জ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন;র্ত ৷কে বলা হল, এ সুরা ৷টিও যদি
আপনি আবু বকরের কাছে পাঠিয়ে দিতেন! তিনি বললেন, আমার পবিবাবভুক্ত কোন একজনই
এ কর্তব্য আমার পক্ষ থেকে আদায় করতে পারে; তারপর আলী ইবন আবু তালিব (রা)-কে
ডেকে বললেন,
সুরা বারাআর এই প্রাথমিক অংশ নিয়ে প্রস্থান কর এবং কুরবানীর দিন অর্থাৎ ১০ জিলহজ
মিনার সমাবেশে লোকদের মাঝে এ ঘোষণা দেবে যে, “শুনে রাখ কোন ক ৷ফির জান্নাতে
প্রবেশাধিকা ৷র পাবে না; এ বছরের পরে কো ন যুশরিক হজ পালনের সুযোগ পাবে না; কোন
৭৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
উলঙ্গ ব্যক্তি বায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করবে না ৷ আর আল্লাহ্র রাসুল (না)-এর সাথে যদি কারো
কোন চুক্তি থেকে থাকে, তাহলে তা তার মেয়াদ পুর্তি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷
যথানির্দোশ আলী ইবন আবু তালিব (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিজস্ব বাহন উষ্টী আল
আযবা’র আরেড়াহী হয়ে বেরিয়ে পড়লেন এবং পথিমধ্যেই আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সাথে
মিলিত হলেন ৷ র্তাকে দেখে আবু বকর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আঘীর না মামুর দলপতি
হয়ে না সহকর্মী হয়ে? তিনি বললেনববং মামুর আদিষ্ট ও অধীনস্থ হয়ে ৷ পরে দুজন এক
ঘোগে সফর করলেন ৷ আবু বকর (রা) লোকদের হজ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন ৷ সাধারণ
(অঘুসলিম) আরবরা এ বছরের এ সময়টিতেও জাহিলিয়্যাত যুগে প্রচলিত তাদের রীতি প্রথার
হজ পালন করছিল ৷ অবশেষে নাহ্র’ জিলহজের দশম দিবসে আলী ইবন আবু তালিব (রা)
জনসমক্ষে দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফরমান অনুসারে ঘোষণা দিলেন এবং ঘোষণার দিন
থেকে অনুর্ধ্ব চার মাসের সময় দিয়ে বললেন, এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক জাতিগােষ্ঠিকে তার
স্বদেশ ও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হচ্ছে ৷ ঐ সময়সীমার পরে কারো
সাথে কোন চুক্তি বা কারো বিষয় কোন প্রকার দায়-দায়িতু অবশিষ্ট থাকবে না; তবে যাদের
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের (স্বল্পমেয়াদী) চুক্তি রয়েছে, তা মেয়াদপুর্তি
পর্যন্ত অব্যাহত থক্যেব ৷ফলে পরবর্তী বছর থেকে কোন মুশরিক হল করতে আসে নি এবং
কোন উলঙ্গ ব্যক্তিকে বায়ভুল্পাহ্ তাওয়াফ করতেও দেখা যায় নি ৷তারপর তারা দৃক্রা আবু
বকর ও আলী (বা)! এক সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ফিরে এলেন ৷ এ সুত্রে হাদীসটির
এ রিওয়ায়াত ঘুরসাল (অসংযুক্ত) ধরনের ৷
এ প্রসঙ্গে বুখায়ী (র)-এর বর্ণনা নিম্নরুপ-
অনুচ্ছেদ : নবম হিজ্জীতে জ্যাতার সাথে আবু বকর (না)-এর হজ্জ সম্পাদন
সুলায়মান ইবন দাউদ আবুর রাবী (র)আবু ছরায়রা (বা) সুত্রে বিদায় হজের পুর্বেকার
যে হজে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আবু বকর (রা)-কে আমীর নিয়োগ করেছিলেন ৷
সে (হজ পালনকালে) তিনি (আবু বকর রা) তাকে (আবু হুরায়রা না) সে ঘোষক দলের সাথে
পাঠালেনশ্ যাদের কতব্যি ছিল এ ঘোষণা দেয়া যে, বর্ত্যা৷ন বছরের পরে কোন মুশরিক হঅ
করতে আসতে পারবে না এবং উলঙ্গ কোন লোক বায়তুল্লাহ্ তাওয়ফে করতে পারবে না ৷
অন্যত্র বুখারী (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আবু ছরায়রা (রা) সুত্রে
বলেছেন, সেই’ হ্জে আবু বকর (বা) আমাকে ঘোষকদের সাথে পাঠালেন; দশ্ইি জিলহজ
মিনা সমাবেশে এ মর্মে ঘোষণা প্রচারের জন্য তিনি তাদের নিযুক্ত করেছিলেন যে, “এ বছরের
পরে কোন ঘুশরিক হজ করতে পারবে না আর কোন উলঙ্গ লোক আল্লাহর ঘর তাওয়াফ
করতে পারবে না ৷ ” (এ সনদের অন্যতম) রাবী হুমায়দ (র) বলেননবী করীম (সা) পরে
আলী (রা)-া:ক (আবু বকর রা-এর) পিছনে পাঠিয়ে দিয়ে বরােআত তথা সম্পর্কচ্ছেদের
ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলেন, দশ তারিখের মিনা সমাবেশে আলী
(রা)ও আমাদের সাথে থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ও দায়িত্যুক্তির ঘোষণা দিলেন ৷ এ বছরের পরে
কোন যুশরিক হজ করতে পারবে না এবং কেউ উলঙ্গ হয়ে বয়েতৃল্লাহ্ তাওয়াফ করতে পারবে