সেখানে মুহাম্মাদ (না)-এর দেহাবয়বের বিবরণ : “তিনি বেটেও নন অতি দীর্ঘকায়ও নন, চুলে
দুটি গুচ্ছ বা বেণীসদৃশ গুচ্ছের অধিকারী, তার দুই র্কাধের মধ্যবর্তী স্থানে নবুওয়াতের মােহর
চিহ্ন, ইহ্তিব১ আসনে অধিক বলবেন, সাদকা গ্রহণ করতেন না শাখা ও উটে আরোহণ
করতেন, বকরী দোহন করতেন, তালিযুক্ত জামা পরতেন ৷ আর যে তা করে সে অহং কারমুক্ত
হয় ৷ তিনি হযরত ইসমাঈলের অধ৪স্তন বংশধর এবং নাম আহমদ’ ৷ ’তিনি বলেন, এরপর
আমার চাচা এসে যখন দেখলেন আমি সেটি পড়ে ফেলেছি তখন আমাকে প্রহার করে বললেন,
তুমি এটা খুলতে গেলে কেন? তখন আমি বললাম, এতে তাে (শেষ নবী) আহমাদের বিবরণ
রয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি এখনো আসেন নি ৷ ইমাম আহমদ, ইসমাঈল আনাস
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, পােষ্য পরিজনের প্রতি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাইতে
অধিক দয়ার্দ্র হৃদয় কাউকে আমি দেখিনি এবং একথা বলে তিনি হাদীসখড়ানি উল্লেখ করলেন ৷
ইমাম মুসলিম যুহায়র ইবন হারব ইসমাঈল ইবন উলায়্যা সুত্রে ঐ সনদে তা বর্ণনা
করেছেন ৷ শামাইলে’ তিরমিযী মাহমুদ ইবন গায়লান আশ’আছ ইবন সুলায়ম সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, আমি আমার ফুফুকে তার চাচার বরাতে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
একবার আমি মদীনায় পথ ধরে হীটছি, হঠাৎ আমার পিছন থেকে কে একজন বলে উঠলেন,
তোমার লুঙ্গি উঠিয়ে পর ৷ কেননা, তা অধিকতর পরিচ্ছন্ন ও স্থায়ী ৷ তখন আমি তাকিয়ে দেখি
যে তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা) ৷ তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা তো গাঢ় নীল রঙের
চাদর (তেমন ময়লা হবে না), তখন তিনি বললেন, আমার মধ্যে কি তোমার জন্য অনুকরর্ণীয়
আদর্শ নেই? তখন আমি দেখতে পেলাম তার লুঙ্গি পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত উঠানাে ৷
তারপর তিনি সুওয়াদ ইবন ইয়াস ইবন সালামার পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন (একবার) উছমান ইবন আফ্ফান (রা)ত তার পায়ের গোছার অর্ধেক পর্যন্ত উঠিয়ে
লুঙ্গি পরেছিলেন, এ সময় তিনি বললেন, আমার নবীজীর লুঙ্গিও এমনই ছিল ৷ এছাড়াও তিনি
ইউসুফ ইবন ঈসা আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) প্রায়শই অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের কারণে মাথায় এক খণ্ড কাপড় ব্যবহার করতেন,
মনে হত তার এই কাপড় যেন কোন তে ল বিক্রেতার কাপড় ৷ এই হাদীসটি গরীব পর্যায়ের
এবং অগ্রহণযােগ্য ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ বুখারী আলী ইবন আল জা’ দ আনাস (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) ক্রীড়ারত কয়েকজন বালকের পাশ দিয়ে যাওয়ার
সময় তাদেরকে সালাম করলেন ৷ মুসলিম অন্য সুত্রে শু’বা থেকে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
নবীজীর হাসি-কৌতুকরস পরিহাস
ইবন লাহীআ, উমারা ইবন গাযিয়্যা আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর
রাসুল (সা) একটি শিশুর সাথেও সরসত ম ব্যক্তি ছিলেন ৷ আর ইতিপুর্বে তার (আনাসের)
ছোট ভাই আবু উমায়রের সাথে নবীজীর কৌতৃকের কথা এবং তার এই বাক্য “হে আবু
উমায়র! কী করল নুগায়র” উল্লেখিত হয়েছে ৷ এ বাক্য দ্বারা তিনি তার খেলার সাথী বুলবলি
পাখীর মৃত্যুর কথা ৷উল্লেখ করে তার সাথে একটু কৌতুক করলেন ৷ এটা হল ছোট শিশুদের
১ নিতন্বে ঠেস দিয়ে উরুদ্বর পেটসংলগ্ন করে উভয় পা-কে হাত বা অন্য কিছু দ্বারা জড়িয়ে বসা ৷
সাথে রসিকত ৷ করার মানুষের যে সাধারণ অভ্যাস রয়েছে, তার প্রকাশ ৷ ইমাম আহমদ,
খালফ বিন ওলীদ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, (একবার) এক ব্যক্তি এসে
নবী করীম (না)-এর কাছে বাহন চাইল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা ব্লুতড়ামাব্লুক
বাহনরুপে একটা উটের বাচ্চা দিতে পারি ৷ তখন যে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! উটের
বাচ্চা দিয়ে আমি কী করব? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন সব উটই কি উটনীর বাচ্চা নয়?
আর ইমাম আবু দাউদ এবং তিরমিযী ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম
তিরমিযী হাদীসখানিব্লুক সহীহ গরীব’ বলেছেন ৷ এই প্রসঙ্গে ইমাম আবু দাউদ ইয়াহইয়া ইবন
মায়ীনসুত্রে নুমান ইবন বাশীর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার (নবীগৃহে
আগমন করে) আবু বকর (রা) নবী করীম (সা) এর সাথে সাক্ষাব্লুত র অনুমতি প্রার্থনা
করলেন ৷ এ সময় তিনি হযরত আইশার আওয়াজ নবীজীর আওয়াজব্লুক ছাড়িয়ে যেতে
শুনব্লুলন ৷ এরপর তিনি যখন ভিতরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি তাকে (আইশাকে) চপেটাঘাত
করতে উদ্যত হলেন এবং বললেন, আর যেন কখনও তোমাকে আল্লাহ্র রাসুলের আওয়াজের
চেয়ে আওয়াজ উচু না করতে দেখি ৷ তখন নবী করীম (সা) তাকে আড়াল করে রাখলেন এবং
হযরত আবু বকর (রা) ক্রুদ্ধ অবস্থায় চলে গেলেন ৷ হযরত আবুবকরের যাওয়ার পর নবীজী
বললেন, দেখেছো কিভাবে ব্লুলাকটির’ হাত থেকে তোমাকে বীচিব্লুয় দিলাম? এর কয়েকদিন
পর পুনরায় হযরত আবু বকর এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে গৃহড়াভ্যন্তরে প্রবেশ
করলেন, তখন তিনি দেখলেন তারা দুজব্লুন (স্বামীত্রী) সমঝোতা করে নিয়েছেন ৷ তখন
হযরত আবু বকর বললেন, আমাকে আপনাদের সমঝোতায় প্রবেশ করিয়ে নিন, যেমনভাবে
আপনাদের যুদ্ধে প্রবেশ করিয়েছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমরা তাই করলাম!
আমরা তইি করলাম ! ! আবু দাউদ মুআম্মাল ইবন ফযল আওফ ইবন মালিক আল
অম্পোজায়ী সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, তাবুক অভিযানকালে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
কাছে আমি ৷ এ সময় তিনি একটি চামড়ার র্তাবুব্লুত অবস্থান করছিলেন ৷ তখন আমি তাকে
সালাম করলে তিনি আমার সালাব্লুমব জওয়াব দিয়ে বললেন, (ভিতরে) প্রবেশ কর, তখন
আমি বললড়াম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার সবটুকু? তখন তিনি বললেন, তােমার সবটুকু’,
এরপর আমি প্রবেশ করলাম ৷ সাফওয়ান ইবন সালিহ সুত্রে বর্ণিত আছে, এখানে আমার
সবর্টুকু বা আমি পুরোপুরি প্রবেশ করব কি?” র্তাবুর ক্ষুদ্রতার কারণে বলেছিলেন ৷ এরপর আবু
দাউদ ইবরাহীম ইবন মাহদী আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সম্বোধন করে বললেন, হে দুই কড়ানওয়ালা ! আমি বলি, ইমাম
আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক হযরত আনাস সুত্রে যা বর্ণনা করেছেন, তাও এই শ্রেণীরই ৷
তাতে আনাস (রা) বলেন, যাহির নামক জনৈক মরুবাসী ব্লুবদৃইন মরুপল্লী থেকে নবী করীম
(সা) এর জন্য হাদিয়া’ পাঠাব্লুত তন ৷ আর তিনি যখন কোন অভিযানে বের হতে চাইতেন তখন
নবীজী তার সকল ব্যবস্থা করতেন ৷ তার সম্পর্কে (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যাহির
হল আমাদের মরুবাসী বন্ধু আর আমরা তার শহরবাসী বন্ধু ৷ > রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
ভালবাসতেন, আর তিনি ছিলেন কদাকার ৷ একবার তিনি তার পণ্য বিক্রি করছিলেন, এ সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পিছন দিক থেকে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন ৷ বিক্ষ্ম তিনি তাকে দেখতে
১ অর্থাৎ মরুভুমিতে ও আমাদের একজন, আর শহরে আমরা তার আপনজন ৷ জালালাবাদী (সম্পাদক)
পাচ্ছিলেন না ৷ তখন তিনি বললেন, ৫ক৩ তুমি ? আমাকে ছেড়ে দাও! এরপর তিনি ঘুরে তাকিয়ে
নবীজীকে চিনতে পারলেন ৷ আর তাকে চিনতে পেরে তার পিঠের যে অংশ নবীজীর বুকের
সাথে লেগেছিল তা সরালেন না ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ (না) বলতে লাগলেন, এই গোলামটিকে
ক্লে খরিদ করবে? তখন যাহির বললেন, আল্লাহর কসম , তাহলে আপনি আমাকে অচল (পণ্য)
পাবেন? তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে তুমি অচল নও, অথবা বললেন,
কিন্তু আল্লাহর কাছে তুমি মহা মুল্যবান ৷ আর এই সনদের সকল রাবী নির্জাযোগ্য, বুখারী ও
মুসলিমের শণ্ডোত্তীর্ণ ৷ আর ইসহাক ইবন মানসুর সুত্রে শুধুমাত্র ইমাম তিরমিযী তার শামাইলে
ছাড়া সিহাসিত্তা ৷র সঙ্কলকগণের আর কেউ তা বর্ণনা করেননি ৷ আর ইবন হিব্বান তার সহীহ
গ্রন্থে তা রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ এই জাতীয় আরেকটি হাদীস হল যা বুখারীও তার সহীহ গ্রন্থে
বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ নামক এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে হিমার (গাধা) বলা হত ৷ তিনি
নবী করীম (সা) কে হাসাতেন ৷ মাঝে মাঝে শরাব পানের অপরাধে তাকে ধরে আনা হত ৷
একদিন যখন তাকে আনা হল তখন একব্যক্তি তাকে ৷ধক্কার দিয়ে বলে উঠল, “তার উপর
আল্লাহর লা নত হোক’ কতবার যে তাকে ধরে আনা হলো ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন তাকে লানত
করে৷ না, কেননা সে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে ৷ এ জাতীয় আরেকটি হাদীস যা
ইমাম আহমদ, হাজ্জাজ আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী করীম
(সা) কোন এক সফরে ছিলেন ৷ সে সময় এক হুদী র্থী’ তার সহধর্মিণীদের উট ছুাকিয়ে
নিচ্ছিল ৷ তিনি (আনাস) বলেন, তার হুদির১ তালে তার শ্রীদের বাহন দ্রুত গতিতে তার
সামনে অগ্রসর হয়ে যাচ্ছিল ৷ তখন তিনিও (াকে) বললেন, একটু ধীরে হে আনজাশা তোমার
সাথে যে কাচের বোঝা? (অর্থাৎ উট একটু আস্তে হাকাও) ৷ এখানে নারীদেরকে তাদের
দুর্বলচিত্ততা ও শারীরিক অক্ষমতার কারণে ভঙ্গুর র্কাচ পাত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে ৷ আর
এটি নবী করীম (সা) এর পক্ষ থেকে নারীদের প্রতি কৌতু কস্বরুপ ৷ তার চারিত্রিক উদারতা,
রসবােধ ও সৌজন্য বোধসম্পন্ন স্বভাবের অন্যতম প্রকাশ হল যে,৩ তিনি হযরত আইশা (রা)
থেকে উম্মু যা’রআ-এর সম্পুর্ণ কাহিনী মনোযোগ দিয়ে শুনে গেছেন ৷ কোন কোন বর্ণনায় তো
এসেছে যে, নবী করীম (সা) নিজেই তা হযরত আইশাকে শুনিয়েছেন ৷ এই শ্রেণীর একটি
হাদীস যা ইমাম আহমদ আবনৃ নযর হযরত আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
এক রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহধর্মিণীগণের সাথে এক কাহিনী আলোচনা করলেন ৷ তখন
তাদের একজন বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! কাহিনী হল কল্পকাহিনী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তুমি কি জান কল্পকাহিনী কী? কল্পকাহিনী হল, বানু উযরার এক ব্যক্তি ছিল, যাকে
জাহিলিয়াতে র যুগে জিনেরা বন্দী করল ৷ ফলে সে দীঘক ল তাদের মাঝে অবস্থান করল,
এরপর তারা তাকে মানব সমাজে ফিরিয়ে দিল ৷ তখন সে জিনদের মাঝে থাকাকালীন যে
সকল আশ্চর্যজনক বিষয় দেখেছিল তা মানুষের সাথে আলোচনা করতো ৷ তখন লোকেরা
বলল, এ হল কল্পকাহিনী-রুপকথা ৷ তিরমিযী তার শামাইলে’ হাসান ইবন সাবাহ
১ আমাদের মাঝিদের ভাটিয়ালী গান বা গাভৈড়ায়ানদের তাওয়াইয়ার মত মরুভুমিতে উটচালকরা এক প্রকার
গান গেয়ে নিজের ও উটের বা তার আরোহীদের ক্লান্তি দুর করার চেষ্টাই করে থাকে ৷ এটাকে হুদী গান বলা
হয় এবং এর গায়ক হচ্ছে ’হদী র্খা বা হুদী গায়ক ৷ জালালাবাদী (সম্পাদক)
আল-বায্যড়ার সুত্রে এই সনদে তা বিওয়ড়াযাত ৩করেছেন ৷ আমি বলি, এই হাদীসখানি গরীব ও
মুনকার পর্যায়ের অর্থাৎ এতে অগ্নহণযােগতে ৷ বিদ্যমান, আর এর রাবী ঘুজালিদ ইবন সাঈদের
গ্রহণযােগ্যতার ব্যাপারেও মুহদ্দিসগণের আপত্তি’ রয়েছে ৷ সঠিক বিষয় আল্লাহ্ই অধিক
জানেন ৷ তিরমিষী তার শামইিলে নবীজীর খিরাজ’ অধ্যায়ে আব্দ ইবন হ্না৷য়দ হাসান
সুত্রে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, (একবার) জনৈকা বৃদ্ধা নবী করীম (না)-এর কাছে
এসে আরব করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য প্রার্থনা করুন, আল্লাহ যেন আমাকে
জান্নাতে প্রবেশ করলে ৷ তখন নবীজী তাকে বললেন, হে অমুকের মা ! কোন বৃদ্ধাতো জান্নাতে
প্রবেশ করবে না ৷ একথা শুনে বৃদ্ধা র্কাদতে র্কীদতে ফিরে চললেন ৷ তখন নবীজী বললেন,
তোমরা ওকে জানিয়ে দাও যে, বৃদ্ধা অবস্থায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, (বরং পুর্ণ যুবতী ও
কুমারী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে) কেননা স্বয়ং আল্লাহ্স্থ বলছেন “তাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি বিশেষ রুপে, তাদেরকে করেছি কুমারী’
(ওয়াকিআ : ৩৫-৩৬) ৷ অবশ্য এ সুত্রে হাদীসটি মুরসাল’ ৷ তিরমিষী আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ব লেছেন,৩ তারা (সড়াহাবাগণ) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! আপনিও আমাদের সাথে ঠাট্টা কৌতুক করেন? তিনি বললেন, তবে (কৌতুকেও)
আমি সতৰুই বলে থাকি ৷ তিরমিষী তার জা মি গ্রন্থে এ সনদে সদাচার অধ্যায়ে হাদীসখানা
রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন, এটা মুরসাল ও হাসান’ শ্রেণীভুক্ত ৷
নবীজীর ষুহ্দ ও পার্থিব ভোগ বিমুখতা
আল-কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
তুমি ণ্৩ ৷মার চক্ষুদ্বয় কখনও প্রসারিত করে৷ না, তার প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন
গ্রেণীকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরুপ উপভােগের উপকরণরুপে দিয়েছি তা দ্বারা তাদেরকে
পরীক্ষা করার জন্য ৷ তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত জীবনােপকরণ উৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী ৷ (২০