আমি আমার আৎটিটি হাতে নিয়ে তা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কবরে ফেলে দিলাম এবং সকলে
বের হয়ে গেলে আমি বললাম, “ আমার আৎটিটিতো কবরে পড়ে গিয়েছে ৷ ” আসলে আমি
সেটি ইচ্ছা করে ফেলে দিয়েছিলাম ৷ যাতে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্পর্শ করতে পারি এবং
তার সর্বশেষ সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি হতে পারি ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এ বিষয় আমার পিতা
ইসহাক ইবন ইয়াসার (র) আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
আমি আলী (রা)-এর সাথে উমরা পালন করলামপুর্বোল্লিখিত্ত বিবরণ ৷
মুগীরা ইবন শুবা (রা) থেকে উল্লিখিত বিবরণ তার ৰাসনা বাস্তবায়িত হওয়া দাবী করে
না ৷ কেননা, এমন সম্ভাবনাও বিদ্যমান যে, আলী (রা) জকে কবরে নাম্বার অবকাশ্ইি দেন
নি ৷ কিৎবা তিনি অন্য কাউকে আৎটিটি তুলে দিতে বসে থাকতে পারেন ৷ পুরুবাল্লিখিত বর্ণনা
দৃষ্টে তা তুলে দেয়ার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে থাকবেন কুছাম ইবন আব্বাস (বা) ৷ ওয়াকিদী (র)
তো বলেছেন, আবদুর রহমান ইবন আবুঘৃ যিনাদ (র) পিতা সুত্রে উবায়দৃল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ
ইবন উত্বা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুগীরা ইবন শুবা (রা) তীর আহ্ঢিঢি রাসুলুল্লাহ
(না)-এর কবরে ফেলে দিলেন ৷ তখন আলী (বা) বললেন, আপনি তো আৎটি ফেলেছেন এ
উদ্দেশ্যে যে, আপনি বলবেন যে, আমি নবী কবীম (না)-এর কবরে অবতরণ করেছিলেন ৷
পরে তিনি নিজেই নেমে আৎটিটি তুলে দিলেন কিৎবা কোন লোককে হুকুম করলে যে তা
তুলে দিল ৷ আর ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, বাহ্য ও আবু কামিল (র) আবু আসীব কিৎবা
আবু গুনৃম (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ বাহ্য (র)-এর বর্ণনায় তিনি (বর্ণনা কারী সাহাবী ) নবী
কবীম (না)-এর জানাযা সালাতে উপ ত ছিলেন ৷ লােবেরো বলল, আমরা কিভাবে সালাত
আদায় করব? (আবু বকর) বললেন, ছোট ছোট দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ কর ৷ তখন তারা এ
(দিককার) দরযা দিয়ে ঢুকছিলেন এবং নবী কবীম (না)-এর জন্য জানাযড়ার সালাত আদায়
করে অন্য একটি দরযা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ বর্পনাকাবী বলেন, নবী কবীম (না)-কে
তীর কবরে রেখে দেয়া হলে মুগীরা (রা) বললেন, তার পায়ের দিকে কিছু কাজ অসম্পুর্ণ রয়ে
গিয়েছে; আপনারা তার যথাযথ ব্যবস্থা করেন নি ৷ র্তা’রা বললেন, তবে তুমি নেমে পড় এবং
তা ঠিক ঠাক করে দাও ! তখন তিনি কবরে নেমে পড়লেন এবং নবী কবীম (না)-এর
কাফনের মাঝে নিজের হাত প্ৰবিষ্ট করে তার পদযুগল স্পর্শ করলেন ৷ পরে তিনি বললেন,
(এখন) মাটি ঢড়ালরুত থাক ৷ র্তারা মাটি ঢালতে থাকলেন এবং তা মুগীরা (রা)-এর পায়ের
পােছার মাঝামাঝি পর্যন্ত পৌছার পরে তিনি বের হয়ে এলেন এবং এ সুত্রেই তিনি পরে
বলতেন, আমিই তোমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ সংগধন্য ব্যক্তি ৷
নবী কবীম (না)-কে কখন দাফন করা হয়?
ইউনুস (র) বলেন, ইবন ইসহড়াক (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
বুধবারে পুর্ববর্তী মধ্য রাতে বেলট্রুচা-কােদ্যালর শব্দ শুনেই আমরা নবী কবীম (না)-এর দাফন
সম্পর্কে জ্ঞাত হই ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, ইবন আবু সাবৃরা (র) উম্মু সালড়ামা (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা সমবেত হয়ে কান্নাকাটি করছিলড়াম এবং আমাদের চোখে ঘুম ছিল
না ৷ তখনও রাসুলুল্পাহ (না) আমাদের ঘরে ছিলেন এবং তাকে খাটের উপরে রক্ষিত দেখে
আমরা সাভ্না পাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ ভোর রাতে আমরা আওয়ায দাতড়াদের আওয়ায পেলাম ৷ উম্মু
সালামা (রা) বলেন, তখন আমরা চিৎকার দিয়ে উঠলড়াম এবং মসজিদের লোকেরাও চিৎকার
দিয়ে উঠল ফলে গোটা মদীনা একটি মাত্র চিৎকার ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ৷ বিলাল (বা)
ফজরের আযান দিলেন ৷ আযানের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কথা
ঢো) উল্লেখ করার সময় তিনি কেদে ফেললেন এবং সজােরে চিৎকার দিয়ে আমাদের দুঃখ
বেদনা আরো বাড়িয়ে দিলেন ৷ লোকেরা তার কবরের কাছে যাওয়ার জন্য য়থাসাধ্য চেষ্টা
করতে লাগলে দরযা বন্ধ করে দেয়া হল ৷ হায় সে দিনকার মহা ঘুসীবত ! এর পরবর্তী সময়
আমরা যে কোন বিপদের সম্মুখীন হলে আমরা নবী করীম (না)-কে হারানাের ব্যথ্যা স্মরণ
করে আমাদের যে মুসীবতের লঘুতর বিবেচনা করতাম ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবারে ইনতিকাল করেন এবং বুধবারের পুর্ববর্তী রাতে র্তাকে দাফন করা
হয় ৷ একাধিক হাদীস সুত্রে এর অনুরুপ বিবরণ পুর্ববর্তী আলোচনায় উদ্ধৃত হয়েছে ৷ প্রাচীন
যুগের ও পরবর্তী যুগের মনীষীবর্গ বিশেষত সুলায়মান ইবন তুরখান আত্-তড়ায়মী, জাফর
ইবন মুহাম্মদ আসৃ-সাদিক, ইবন ইস্হাক, মুসা ইবন উক্বা প্রমুখ (র)-এর অনুকুলে তাদের
সুস্পষ্ঠ মত ব্যক্ত করেছেন ৷
তবে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল হামীদ (র) আল্-আওয়াঈ
(র) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, সোমবার দুপুর হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন এবং
মংণলবার সমাহিত হন ৷ ইমাম আহমদ (র) আবদুর রায্যাক (র) ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি তথ্য প্রাপ্ত হয়েছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
সোমবার প্রথম প্রহরে ইনতিকাল করেন এবং পরের দিন প্রথম প্রহরে সমাহিত হন ৷ ইয়াকুব
(র) বলেছেন, সুফিয়ান (র) আবু জাফর (র) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
সোমবারে ইনতিকাল করলেন ৷ পরে সে দিন ও সে রাত এবং মংগলবার দিনের শেষ ভাগ
পর্যন্ত সেভাবেই থাকলেন ৷ এটি একটি অখ্যাত অভিমত ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হল অনেক মনীষী
সুত্রে যা আমরা উদ্ধৃত করেছি নবী করীম (সা) সোমবারে ইনতিকাল করেন এবং বুধবারের
পুর্ববর্তী রাতে র্তাকে দাফন করা হয় ৷
অন্যান্য স্বল্প প্রসিদ্ধ ও বিরল অভিমতসমুহ : ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান (র) রিওয়ায়াত :
আবদুল হামীদ ইবন বাক্কার (র) মাক্হুল (র) সুত্রে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) জন্মগ্রহণ
করেন সোমবারে, তার কাছে ওহী পাঠানো হয় সোমবারে, তিনি হিজরত করেন সোমবারে
এবং ইনতিকালও করেন সোমবারে, সাড়ে বাষট্টি বছর বয়সে ৷ তিন দি ন য়াব৩ ওাধ্যে দাফন
করা হয়নি ৷ লোকজন দলে দলে তার কাছে প্রবেশ করে সালাত (জানায়া) আদায় করছিলেন ৷
তারা সারিবদ্ধও হচ্ছিলেন না এবং কেউ তাদের ইমামতিও করছিলেন না ৷ এ বর্ণনায় তিন
দিন দাফন না করা অবস্থায় রইলেন’ অংশটুকু অতিশয় বিরল ৷ যথার্থ তথ্যমতে তিনি সোমবার
দিনের অবগ্রিষ্টিড়াৎশসহ মংগলবড়ার পুর্ণ দিবস অবস্থিত থাকার পরে বুধবারের (পুর্ববর্তী) রাতে
সমাহিত হন ৷ পুর্ববর্তী বিবরণ দ্রষ্টব্য ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
আর এর পাল্টা বিবরণ রয়েছে, সড়ায়ফ (র) হিশামের পিতা সুত্রের রিওয়ায়াতে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন সোমবারে র্তাকে গোসল দেয়া হল সোমবারে এবং