আবু আরুর৷ (বা) কাতাদা (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন এবং তিনি আনসারী বনু নাজ্জার
গোত্রের উম্মু শুরড়ায়ক (বা) কে শ্রী রুপে গ্রহণ করলেন ৷ তিনি বলেছিলেন আনসারীদের কাউকে বিবাহ করা আমার অভিলাষ; তবে
আমি তাদের টনটনে আত্মমর্যড়াদা বোধ পসন্দ করি না ৷” এ ত্রীর সংগে তিনি বাসর করেন
নি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, হাকীম (র) সুত্রে মুহাম্মদ ইবন আলী (র)-এর পিতা
(আলী ইবন হুসায়ন) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) লায়লা বিনতুল হাতিম
আনসারী (বা) কে বিবাহ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন অতিশয় আত্মমর্যাদ৷ বোধ সম্পন্ন৷ ৷ তাই
তিনি নবী কবীম (সা)-এর সংগে নিজের দৃর্ব্যবহারের আশংকা করে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার
আবেদন করলেন ৷ নবী করীম (সা) সে আবেদন মনজুর করলেন ৷
নবী করীম (সা) যাদেরকে বিবাহের পয়গাম
দিয়েছিলেন কিন্তু বিবাহ করেননি
ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (র) সুত্রে, উম্মু হানী-ফাখতা বিনত আবু তালিব (বা) থেকে
বর্নন৷ করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে (উম্মু হানীকে) বিবাহের প্রস্তাব দেন ৷ উম্মু হানী
(বা) তার ছোট ছোট সন্তানদের কথা উল্লেখ করলে তিনি এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন এবং
শ্রোঠ নারী উটে আরোহণকারিণীগণ কুরায়শের সেরা নারীগণ হচ্ছে, যারা তাদের শিশু
সন্তানদের প্রতি শৈশবে মমতাময়ী; স্বামীর যথাসর্বস্ব সযত্নে সং রক্ষণকারিণী! আবদুর রায্যাক
(র) ’ন্ন্ মা মার (র)আবু হুরায়রা (বা) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উন্মু হানী
বিনত বৃঅ তলিব (রা) কে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তিনি বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ আমার
বয়স ষ্ণ্পুয়ছে এবং আমার রয়েছে অনেক সন্তান-সন্ততি ৷ তিরমিষী (র) বলেন, আবদুল্লাহ
ইবন হু ৷ ব ৷ উম্মু হানী বিনত আবু৩ তালিব (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) অন্যকে ৰিব হেব পয়গাম দিলে আ ৷মি তাকে আমার ওযর পেশ করি ৷ তিনি তা মঞ্জুর
করে :ন্ন্ , পরে আল্লাহ পাক না ৷যিল করলেন,
( শ্ নবী ) আমি ৫৩ তামার জন্য বৈধ করেছি ৫৩ তামার শ্ৰীগণকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান
করেছ এবং বৈধ করেছি ফ ৷য়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন, তার মধ্য হতে
যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে; এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি তােমর
চাচাত ফুফাত, মামাত ও তোমার খালাত বোনদেরকে, যারা তোমার সংগে দেশ ত্যাণ্
করেছে” (৩৩ : ৫০) ৷ উম্মু হানী (বা) বলেন, সুতরাং আমি তার জন্য বৈধ হচ্ছিল্ম ন্
কেননা, আমি হিজরত করিনি ৷ আমি ছিলাম মক্কা বিজয়কালে সাধারণ ক্ষমহ্প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত
পরে তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন, এটি হাসান গ্রের্ণীভুক্ত একটি হাদীস ৷ তবে সুদ্দী (র)
ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে আমরা এটির পরিচিতি লাভ করিনি ৷ এ বর্ণনা দাবী করে যে, যে
নারীপণ হিজরত করেনি তারা নবী কবীম (সা) এর জন্য বৈধ ছিল না ৷ কড়াযী মাওয়ারদী (র)
তার তাফসীর গ্রন্থে অনেক আলিমের এ মাযহাব উদ্ধৃত করেছেন ৷ অন্য অনেকের মতে এ
আয়াতে যীরা তোমার সংগে দেশ ত্যাগ করেছে বলে শুধু নবী কবীম (না)-এর উল্লেখিত
আত্মীয়াদের কথাই বোঝানো হয়েছে (অর্থাৎ অ-মুসলিম আত্মীয়ারা নিষিদ্ধ ছিলেন) ৷ কাতাদা
(র) বলেছেন, যারা তোমার সংগে দেশ ত্যাগ করেছে ষ্অর্থাৎ আপনার সংগে ইসলাম ধর্ম
গ্রহণ করেছেন ৷ এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী শুবু কাফির মহিলারাই তার জন্য হড়ারড়াম ছিলেন এবং সকল
মুসলিম নাবীই তীর জন্য হালাল ছিলেন ৷ সুতরাং এ ব্যাখ্যা প্রামাণ্য হলে নবী কবীম (সা) এর
জন্য আনসাবী নাবীগণকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সাব্যস্ত হয় না ৷ তবে কি না তিনি তাদের
একজনের সংগেও বাসর করেননি ৷ তবে এ প্রসঙ্গে শাবী (র) সুত্রে মাওয়ড়ারদী (র) প্রদত্ত
উম্মুল মাসার্কীন যায়নাব বিনত খুমায়মা (রা) এর আনসাবী হওয়া সম্পর্কিত উদ্ধৃতি যথার্থ
নয় ৷ কেননা সর্বনম্মদ্ভভাবে তিনি ছিলেন হিলাল গোত্রীয় ৷ যেমনটি পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে ৷
আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) হিশাম ইবনুল কালৰী (র)ইবন আব্বাস (বা) সনদে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, লায়লা বিনতুল হাভীম রাসুলুল্লাহ (সা) সকাশে উপস্থিত হল ৷ নবী
কবীম (সা) তখন সুর্যের দিকে পিঠ করে বসে ছিলেন ৷ লায়লা নবী কবীম (সা) এর র্কাধে হাত
রাখলে নবী কবীম (সা) বললেন, ১;রুন্ন্ম্বা শুা£৷ ৷;গ্রা প্লে “কে এ লোক ? কৃষ্ণ যাকে খেয়ে
ফেলল ৷” লায়লা বলল, আমি বিহংপকে খাদ্য দানকাবী ও বড়ায়ু প্রবাহের প্ৰতিদ্বন্দীর কন্যা;
আমার নাম লায়লা ৰিনতুল হাভীম; আমি এসেছি নিজেকে আপনার সকাশে সমর্পণ করতে ৷
আপনি কি আমাকে দ্রীরুপে গ্রহণ করবেন ? নবী কবীম (না) বললেন, ৷াৰু×এ ১দ্ব “তাই
করলাম ৷” তখন লায়লড়া তার স্বগােত্রে ফিরে গিয়ে বলল, আমি নবী কবীম (না)-কে বিবাহ
করে এসেছি ৷ তারা বলল, খুবই মন্দ কাজ করে এসেছ, তুমি স্বভাবে ইর্ষাকাতুরে ও
আত্মমর্ষাদাবােধ সম্পন্ন৷ নারী; রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর রয়েছেন অনেক ত্রী; তুমি তাদের প্রতি
ইর্ষামুলক আচরণ করে নবী কবীম (না)-কে উত্যক্ত করে তুলবে ৷
ফলে তিনি তোমার জন্য আল্লাহর নিকট বদ-দুআ করবেন ৷ তাই, যাও তুমি তার নিকটে
বিবাহ প্রত্যাহারের আবেদন কর ৷ সে তখন ফিরে গিয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে
প্রতার্পণ করে দিন ৷ তখন নবী কবীম (সা) তাকে অব্যাহতি দিলেন ৷ পরে মাসউদ ইবন
আওস ইবন সাওয়াদ ইবন জাফার তাকে বিবাহ করলে এ ঘরে তাদের সন্তান জন্ম নিল ৰু পরে
একদিন মদীনায় কোন এক বাগানে লায়লা গোসল করছিল ৷ ইতোমধ্যে একটি কাল বাঘ তার
উপর অতর্কিতে হানা দিয়ে তার দেহের কতকাংশ খেয়ে ফেলল এবং তাতে তার মৃত্যু হল ৷ এ
সনদেই ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ষাবাআ বিনত আমির ইবন কৃব্রত প্রথমে
আবদুল্লাহ ইবন জাআন-এর শ্রী ছিল ৷ সে তাকে তালাক দিয়ে দিলে হিশাম ইবনুল ঘুগীরা
তাকে বিবাহ করল এবং এ শ্ৰীর ঘরে সালামা নামে তার এক সন্তানের জন্ম হল ৷ যাবাআ ছিল
স্বাস্থ্যবভী-রুপবতী এক নারী এবং তার মাথাভর্তি দিঘল কেশরাজি তার সারা দেহ আবৃত করে
রাখত ৷ রন্দুলুল্লাহ (না) তার ছেলে সালামার কাছে তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে সালামা
বললেন তব কাংছ অনুমতি নিয়ে নেই৷ মায়ের কাছে অনুমোদন নিতে গেলে সে বলল
আ রে অদৃরে পুত্র! রাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যাপারে আমার অনুমতি চাচ্ছে৷ ? ছেলে ফিরে গিয়ে
নীরবত র লহুন করে রইল এবং কোন জবাব দিল না ৷ সে যেন মনে করল যে তার মা
বয়সের ব্যাপারে কটাক্ষ করেছে ৷ নবী করীয (না) ও তার ব্যম্পোারে নীরব রইলেন (এবং নতুন
করে কোন কথা উত্থাপন করলেন না) ৷ এ সনদেই ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সাফিয়্যা বিনত বাশশামাং ইবন নাযলা আল আম্বারকেও
বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷৩ ৩ারুক তিনি যুদ্ধবন্দীরুপে পেয়েছিলেন ৷ তিনি তাকে ইখতিয়ার
দিয়ে বললেন,-( “তুমিচা চাইলে আমাকেও গ্রহণ করতে পড়ার ৷
আর ইচ্ছা করলে তোমার স্বামীকেও গ্রহণ করতে পার ৷ সে বলল, বরং আমার স্বামীকে ৷
তখন নবী কৰীয (না) তাকে মুক্ত করে পাঠিয়ে দিলেন ৷ ফলে বনু তামীমের লোকেরা তাকে
অভিসম্পাত দিল ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ (র) বলেন, ওয়া ৷কিদী (র) মুসা ইবন মুহাম্মদ আত্০ তায়ঘী (র) তার
পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উম্মু শুরায়ক ছিলেন বনু আ ৷মির ইবন লুআ য় এর এক
নারী ৷ তিনি নিজেকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সমীপে সমর্পণ করেছিলেন ৷ তিনি তাকে গ্রহণ
করলেন না ৷ পরে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত আর বিবাহ করেন নি ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আরো
বলেন, ওয়াকী (র) আলী ইবনৃল হুসায়ন (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু
শুরায়ক দাওসীয়াকে বিবাহ করেছিলেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, আমাদের কাছে প্রামাণ্য তথ্য
হল তিনি ছিলেন আঘৃদ এর শ ৷ দাওস গোত্রীয় মহিলা মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেন, তার
নাম ছিল ণ যিয়া৷ নত জ ৷বির ইবন হাকীয লায়ছ ইবন সা দ (র) বলেন, হিশায ইবন
মুহাম্মদ তার প্াভ৷ সুত্রে বর্ণনা করেন জনৈক ব্যক্তি আমাকে বলেছেন যে, উম্মু শুরায়ক (বা)
নিজেকে নবী কহ্য ল) সকশে সা০৷ ণ করেছিলেন এবংও তিনি একজন পুণ্যবভী ন৷ ৷রী ছিলেন ৷
নবী করীম (লা) যাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন অথচ ত্রীরুপে গ্রহণ করেননি এদের মাঝে
রয়েছেন হাযয৷ বিনতু হারিছ ইবন আওন ইবন আবু হারিছা আল-মুররী ৷ তাকে প্রস্তাব দেয়া
হলে তার পি ক৷ বলল, তীর একটা কুৎসিত ব্যাধি রয়েছে, অথচ তা তার ছিল না ৷ বাপ
বাড়িতে ন্য়ে গায় দেহ্ল, তার মেয়ে শ্বেত কুষ্ঠে আক্রান্ত হয়েছে ৷ এ নাবীই খ্যাতিমান করি
শাবীব ইবনৃল ব্যবসা এর মা ৷ সাঈদ ইবন আবু আরুরা (র)-ও কাতাদা (র) থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন
বর্ণনাকারী (ইবন সাদ) বলেন, নবী করীয (সা) হাবীবা বিনতুল আব্বাস ইবন আবদুল
যুত্তালিবকেও বিবাহের প্রস্তাব করেছিলেন ৷ পরে দেখা গোল যে, তার পিতা (আব্বাস) নবী
করীম (সা) এর দুধভ৷ ৷ই ৷ আবু লাহাবের বাদী ছুওয়ায়বিয়৷ তাদের দৃ জনকে দুধ পান
করিয়েছিলেন ৷
এ ই হচ্ছে নবী পত্নীগণের পুর্ণাঙ্গ বিবরণ ৷ এদের মোট তিন প্ৰক৷ রে বিন্যাস করা যায় ৷
প্রথম প্রকার যাদের সং গে নবী কবীয (সা ) বাসর করেছেন এবং তাদের রেখে ইনতিকাল
করেছেন ৷ এরা হলেন আলোচনার সুচনায় উল্লেখিত নয় জন ৷ নবী করীয (না)-এর ওফাতের
গ্রে এদ্যে৷ কাউকে বিবাহ করা উম্মদুতর জন্য হারাম এবং এটি সর্বসম্মত্তভা ৷বে শ্ ৷রীআ ৷দুতর
অ্যাংঘনীয় বিধি ৷ এদের জীবনের পরিসম৷ প্তিই এদের ইদ্দদুতর পরিসীমা ৷ আল্লাহ
অ্যাংালা বলেছেন,
“দুতামাদুদর কারো পক্ষে আল্লাহর রাসুলদুক কষ্ট দেয়৷ অথবা তার মৃত্যুর পর তার পত্নীগণকে
বিবাহ করা কখনও সংগত নয়” আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা ঘোরতর অপরাধ” (৩৩ : ৫৩) ৷
দ্বিতীয় প্রকার : যাদের সংগে নবী কবীম (সা) বাসর করেছেন এবং পরে স্বীয় জীবদ্দশায়
তাদের তালাক দিয়েছেন ৷ এখন, নবী করীম (না)-এর দেয়া তালাকের ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে
এদের জন্য অন্যকে বিবাহ করা বৈধ কিনা ? এতে আলিমগণের দু’টি মতামত রয়েছে ৷ প্রথম
অভিমত হল, বৈধ নয় ৷ এ অভিমত পােষণকারীদের যুক্তি হল, পুর্বোক্ত আয়াতের ব্যাপকতা
(অর্থাৎ ঐ বিধি নবী-পত্নীরুপে আখ্যায়িত সকলের জন্যই প্রযোজ্য) ৷ দ্বিতীয় অভিমত হল, হী,
বৈধ ৷ এদের যুক্তি হচ্ছে, ইখতিয়ার প্রদান সুচক আয়াত আল্লাহ পাকের বাণী-
৷ )১া
“হে নবী তুমি তোমার স্তীদের বলে দাও, ভোমরা যদি পা ৷র্থিব জীবন ও তার শোভা
কামনা কর, তবে এসো, আ ৷মি তোমাদের ভোগ সামগীর ব্যবস্থা করে দিই এবং সৌজন্যের
সাথে দুতামাদের বিদায় করে দিই ৷ আর যদি তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসুল ও আখিরাত
কামনা কর, তবে দুতামাদুদর মধ্যে যারা সৎকর্মশীলা, আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত
করে রেখেছেন (আহযাব, ২৮-২৯) ৷
বৈধতা ৷র অভিমত পােষণক ৷রিগণ বলেন, এ আয়াতে নবী কবীম (সা) এর সং দুগ সম্পর্কচ্যুত্ত
তার ত্রীদের ব্যাপক ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ এখন, নবী করীম (সা)৩ তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে
দেয়ার পরেও যদি অন্যত্র বিবাহিত৷ হওয়া তাদের জন্য বৈধ না হয় এবং তার বিচ্ছেদ যদি
অন্যদের জন্য তা ৷দুদরদুক বৈধ করে না দেয়, তা হলে (একদিকে নবী করীম (সা) এর সংগ
দুরনার ক্ষতি এবং সেই সাথে) দুনিয়া ও আ ৷থিরাদু৩ র মাঝে ইখতিয়৷ ৷র প্রদানের কো নও অর্থ
থাকবে না ৷ যুজ্যি বিচারে এ অভিমত সবল ৷ আল্লাইে সর্বাধিক অবগত ৷
তৃতীয় প্রকার : নবী বল্লীম (সা) যাদের বিবাহ করেছেন, তবে তাদের সংগে নিভৃতবাস
করার আগেই তালাক দিয়েছেন ৷ এ ধরনের নারীদের বিবাহ করা অন্যদের জন্য বৈধ এবং এ
প্রকারের ক্ষেত্রে কোন মতঅেদর কথা আমার জানা নেই ৷ আর এ প্রকারের অতিরিক্ত
শ্যাদেরদুক নবী করীম (সা) প্রস্তাব পাঠিয়েদুছন, তবে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ করেননি, তাদের জন্য
তো অন্যত্র বিবাহিত হওয়া সংগত ও সমীচীনই থাকবে ৷ কিতাবুল খাসাইস’ (বৈশিষ্টাবলী
অধ্যাদুয়)-এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র অনুচ্ছেদ সংযোজিত হবে ৷ আল্লাহই সৰ্বাধিক অবগত ৷
নবী কবীম (না)-এর বীদীগণের বিবরণ
নবী কবীম (সা) এর বাদী ছিলেন দুজন ৷ তাদের একজন মারিয়া ৰিনত শামউন কিরতী
(মিশরী) ৷ আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা জুবারজ ইবন মীন৷ নবী কবীম (সা) এর সকাশে
র্তাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছিলেন ৷ উপহার সামঘীর মধ্যে তার সংগে আরো ছিলেন র্তার
বোন শীরীন ৷ আবু নৃআরম (র) উল্লেখ করেন, উপহার প্রদত্ত চারটি বীদীর মধ্যে তিনি ছিলেন
অন্যতমা ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ আর ছিল একটি থােজা ৷;গালাম, যার নাম ছিল মাবুর
এবং দৃলদুল’ নামের একটি খচচর ৷ নবী কবীম (সা) তার এ উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন এবং
নিজের জন্য মারিয়াংক বেছে নেন ৷ মারিয়া ছিলেন মিশরের সানা জেলার হাফন নড়ামক
জনপদের যেয়ে ৷ ঘুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (বা) তার শাসনামলে এ অঞ্চলের লোকদের
যিজিয়া রহিত করে দিয়েছিলেন এ মারিয়ার সম্মানে ৷ কারণ, তিনি রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর পুত্র
সন্তান ইবরাহীমকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, মারিয়া ছিলেন সুন্দরী ও গৌরবর্ণ ৷ তার সৌন্দর্যে রাসুলুল্লাহ (সা) মুগ্ধ
হন ৷ তিনি তাকে তলেবাসতেন এবং তিনি ছিলেন তার দৃষ্টিতে বিশেষ মর্যাদার অঘিকারিণী;
বিশেষত পুত্র ইবয়াহীন (আ) কে জন্ম দেয়ার পরে ৷ আর বাসুলুল্লাহ (না) তার বোন শীবীনকে
হিবা’ করে দিয়েছিলেন হাসসড়ান ইবন ছাবিতকে (বা) ৷ এ শীরীনের পর্তে জন্মগ্রহণ করেন তার
পুত্র আবদুর রহমান ইবন হাসসান (বা) ৷ আর থােজ৷ গ্রেল্যেম মাবুও মিশরে থাকাকালীন তার
অভ্যাস অনুসারে এখানেও অনুমতি গ্রহণ বাতিরেকে (পর্দা না করে) মারিয়া ও শীবীনের কাছে
আসা-মাওয়া করতেন ৷ এ কারণে কিছু লোক মারিয়া সম্পর্কে ঐ বিষয়টি নিয়ে উচচ-বাচ্য
করেন ৷ তার থােজা হওয়ার ব্যাপারটি তাদের জানা ছিল না ৷ অবশেষে বিষয়টি তাদের কাছে
প্রকাশ পেয়ে গেল(তার বর্ণনা পরবর্তীতে আসছে) ৷ আর খচ্চরটিতে নবী কবীম (সা)
আরোহণ করতেন ৷ বলাবাহুল্য, হনায়ন অভিযানে নবী কবীম (না) ঐ খচ্চরেই আরােহী
ছিলেন ৷ এ খচচরটি নবী কবীম (সা)এর পরেও বিদ্যমান ছিল এবং দীর্ঘ দিন বেচে ছিল ৷
এমনকি আলী (বা) এর খিলাফতকড়ালে সেটি তার বাহন ছিল ৷ আলী (রড়া)এর মৃত্যুর পরে
সেটি আবদুল্লাহ ইবন জাফার ইবন আবু তালিব (রড়া)এর কাছে ছিল ৷ এটি অতিশয় বুড়িয়ে
য়েছিল বিধায় তার খাবারের জন্য তাকে যব এর জাউ পাকিয়ে দেয়া হত ৷
আবু বকর ইবন খুযায়মা (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ ইবনঃ উবায়দুল্লাহ (র)
বৃরায়দা ইবনুল হুসায়ব (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, কিরতী শাসক রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর
জন্য দুই তরুণী বোনকে উপহার পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের সংগে ছিল একটি খন্ডের ৷ তিনি
মদীনায় এ খচচরটিতে আরোহণ করতেন ৷ দুই তরুণীর একজনকে তিনি নিজের জন্য গ্রহণ
করলেন এবং তিনিই তীর পুত্র ইরড়াহীমের পর্ভধারিনী ৷ অন্যজনকে তিনি হেব৷ করে দিলেন ৷
ওয়াকিদী (র) বলেন, ইয়াকুব ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু সাসাআ (র) আবদুল্লাহ ইবন আবদুর
রহমান ইবন আবু সাসাআ (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মারিয়া
কিবতিয়াকে অত্যন্ত পসন্দ করতেন ৷ তিনি ছিলেন সুন্দরী ও মনােহর কৌকড়ানো কশধারিণী ৷
নবী কবীম (সা) মারিয়ার বোন সহ উম্মু সুলারম রিনত যিলহাম (বা) এর বাড়িতে তার