(একবার) হযরত উমর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনাকে দ্রুত বার্ধক্য পেয়ে বসেছে ৷ তখন
তিনি বললেন, সুরা হ্রদ ও এ জাতীয় সুরাগুলি, ওয়াকি আ না বা, তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে
ফেল্যেছ
নবী করীম (না)-এর বীরত্ব প্রসঙ্গ
গ্রন্থকার বলেন, আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে অতীতকালের জনৈক পুণ্যবান পুরুষের
বরাতে উল্লেখ করেছি যে , তিনি আল্লাহ তাআলার এই বাণী দ্ভ
সুতরাং আল্লাহ্ৰ্ পথে যুদ্ধ কর, তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হবে এবং
মুমিনদেরকে উদ্বুদ্ধ কব থেকে এই সিদ্ধান্ত আহরণ করেছেন যে, একাকী অবস্থায়
মুশবিকদের মুখোমুখি হলেও রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের থেকে পলায়ন না করার জন্য আদিষ্ট
ছিলেন ৷ আর তিনি ছিলেন, সর্বাধিক সাহসী, ধৈর্যশীল এবং শক্তসমর্থ অরিচল ৷ তিনি কখনও
যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেননি, যদিও তীর সহযােদ্ধারা তাকে ছেড়ে চলে গেছেন ৷ জনৈক
সাহাবী বলেন, যুদ্ধ যখন তীব্রতয় হত এবং যােদ্ধারা প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হত তখন আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আড়ালে আত্মরক্ষা করতাম ৷ বদরের দিন তিনি যখন প্রু;ণ্ প্রু ৷ ঞাটুশ্
(চেহারাসমুহ বিকৃত হোক) বলে এক মুঠো কঙ্কর নিয়ে এক সহস্র কাফেরের দিকে ছুড়ে
মাবলেন, তখন তা তাদের সকলের উপরই পড়েছিল ৷ এভাবে হুনায়ন্সের দিলেও; যেমনটি
ইতিপুর্বে বিগত হয়েছে ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন পরবর্তী অবস্থায় তার অধিকাৎশ সহযোদ্ধারা পলায়ন
করেছিলেন, কিন্তু তিনি স্বস্থানে স্থির ও অরিচল ছিলেন, তার সাথে শুধুমাত্র বারজন ছিলেন
যাদের ম কোর সাতজন নিহত হয়েছিলেন এবং পাচজন জীবিত ছিলেন ৷ আর এ সময়েই
উরাই ইবন খালুফ নিহত হয়েছিল ৷ আল্পাহ্ তাকে অভিশপ্ত করেন এবং সতুরই জাহান্নামে
প্রেরণ করেন ৷ আর হুনায়নের দিন সকলেই পলায়ন করেছিলেন, আর তাদের সং খ্যা ছিল বার
হাজার, এ সময় তিনি (তার) একশর মত সাহৰী নিয়ে স্বস্থানে অরিচল ছিলেন, সেদিন তিনি
তীর খচ্চর হীকিয়ে শত্রুদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ আর উচ্চস্বরে নিজের নাম ঘোষণা করে
আবৃত্তি করছিলেন :
“ আমি তা ৷ল্পাহ্র নবী মিথুদ্রক কভু নই
আবদুল মুত্তা ৷লিবের সন্তান আমি হই”
এমনকি শত্রুদের কেউ তার কাছে পৌছে যেতে পারে এ আশংকায় তার খচ্চরের চলার
গতি ৩হ্রড়াস করার জন্য হযরত আব্বাস, আলী ও আবু সুফিয়ান ঐ খচ্চরের সাথে ঝুলে
পড়ছিলেন ৷ (যুদ্ধের এই কঠিন মুহুর্ত পর্যন্ত) তিনি এরুপ স্থির ও অরিচল ছিলেন, অবশেষে
আল্লাহ তার ঐ স্থানেই তাকে সাহায্য ও সমর্থন যােগালেন ৷ আর লোকেরা যখন ফিরে আসল
তখন তার সামনে কর্তিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমুহ ভুপীকৃত হয়ে পড়ে রয়েছিল ৷ আবু যুরআ আব্বাস
ইবন আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ
করেছেন, প্রচণ্ড আক্রমণের ক্ষমতা দ্বারা আমাকে লোকদের মাঝে শ্রেষ্ঠতু দান করা হয়েছে ৷
নবী করীম (না)-এর ঐ সকল গুণাগুণের বিবরণ,যেগুলেশ্ব পুর্ববর্তী
নবীগণের বরাতে প্রাচীন গ্রন্থসমুহে উদ্ধৃত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর জন্মের পুর্বে প্রকাশিত শুভ লক্ষণসমুহের বিবরণে আমরা এ বিষয়ে
বেশ খানিকটা আলোচনা করেছি ৷ আর এখানে আমরা তার শ্রেষ্ঠাংশ উল্লেখ করছি ৷ ইমাম
বুখারী ও বায়হাকী (এখানে উল্লেখিত ভাষ্য বায়হাকীর) ফুলায়হ ইবন সুলায়মান আতা
ইবন ইয়াসার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিন বলেছেন, একবার আবদৃল্লাহ্ ইবন আমরের সাথে
সাক্ষাৎ হলে আমি র্তাকে বললাম, তাওরাতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বর্ণনা সম্পর্কে
আমাকে বলুন ৷ তখন তিনি বললেন , হী; আল্লাহ্র কলম, আল ফুরকানে (অর্থাৎ কুরআনে)
তার যে সকল বিশেষণ বর্ণিত হয়েছে, তাওরাতে র্তাকে তার কতক বিশেষণে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ যেমন
“হে নবী ! আমিতাে তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরুগে এবং সুসংবাদদাতা ও সতবকািরীরুপে
(৩৩ আহযাব : ৪৫) ৷ প্
এবং উঘীদের আশ্রয়স্থুলরুপে; তুমি আমার বান্দা ও রাসুল, তোমাকে আমি আল
মুতাওয়াক্কিল’ (ভরসাকারী) নামে অভিহিত করেছি, যে কর্কশভাষী নয় এবং হাটে বাজারে
শোরগােল ও কােলাহলকারী নয়, মন্দ আচরণকে মন্দ আচরণ দ্বারা প্রতিহত করে না; বরং
ক্ষমা ও মার্জনা করে, তার দ্বারা বক্র মিল্পাতকে সোজা না করে আমি তাকে মৃত্যু দান
করবনা ৷ অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহআল্লাহ্ ট্রুছাড়া কোন উপাস্য নেই বলা পর্যন্ত ৷ তার দ্বারা
আমি অন্ধ চােখসমুহ, বধির কানসমুহ এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমুহ্ আবরণমুক্ত করব ৷ আতা
ইবন ইয়াসার বলেন, এরপর আমি হযরত কাব আহ্বারের সাক্ষাৎ পেয়ে র্তাকে এ বিবরণ
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন এই বিবরাণর সাথে তার বিবরণের একটি বর্ণেও অমিল ছিল
না ৷ তবে কাব চোখ শব্দটি (অন্ধ বিশেষণ ছাড়া) উল্লেখ করলেন ৷ বুখারী ও আবদুল্লাহ্ ইবন
সালিহ হিলাল ইবন আলী সুত্রে ঐ সনদে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ ছাড়া আবদুল্লাহ্
ইবন সালাম (রা) সুত্রে ইমাম বুখারী হাদীসখানিকে তালীকরুপে উল্লেখ করেছেন ৷ আর
বায়হাকী ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) সুত্রে পুর্বোল্লেখিত
আবদুল্লাহ্ ইবন আমরের অনুরুপ হ ড়াদীস বর্ণনা করেন যে, আতা ইবন য়াসার বলেন, আমাকে
আল্লায়হী অবহিত করেছেন যে, তিনি কাব আল আহবারকে আবদুল্লাহ ইবন সালামের ন্যায়
বলতে শুনেছেন ৷ অন্য একটি সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) থেকে হাদীসখানি বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিষী যায়দ ইবন আরখম আততায়ী আল-বসরী আবদুল্লাহ্ ইবন
সালামের দাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওরাতে লিখিত আছে, মুহাম্মাদ এর
সাথে (পাশে) ঈসা ইবন মরিয়মকে সমাহিত করা হবে ৷ এরপর আবু মাওদুদ বলেন, নবী গৃহে
একটি কবরের স্থান সংরক্ষিত রয়েছে ৷ তারপর তিরমিষী বলেন, এই হাদীসখানি হাসান’
স্তরের ৷ আয্যাহ্হাক এমনই বলেছেন ৷ ইনি যাহ্হাক ইবন উছমান আল মাদানী নামে বিখ্যাত ৷
আমাদের শায়খ আল হাফিয আলু মিয্যী তার আল আতরাফ’ গ্রন্থে ইবন আসাকিরের বরাতে
এমনটিই বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তিরমিযীর অনুরুপ বলেছেন ৷ তারপর তিনি বলেন, এই