আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়
সমতল্ করেছিলেন ৷ তবে ইবন আসাকির (র) বলেছেন, এ ক্ষেত্রে সঠিক হবে উহুদ যুদ্ধের,
আর হুস্রন ৷র;৷ ইবন আব্বাস (রা) সনদে ইবন ইসহাক (র)-এর রিওয়ায়াত পুর্বেই বিবৃত
হয়োছ ইবন অব্বাস (রক্ত) বলেন যারা কবরে অবতরণ করেছিলেন তার হলেন আলী, ফয্ল,
কুছাম ও শ্ক রান (রা) ৷ পঞ্চম ব্যক্তিরুপে তিনি (আনসারী প্রতিনিধি) আওস ইবন খড়াওলী
(রা) ণ্ৰুর নামও উল্লেখ করেছেন এবং শক্ষুক্রান (বা) কর্তৃক কবরে রক্ষিত চাদরের কথাও
উল্লেখ করেছেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেছেন, আবু তাহির মুহাম্মদ আবদী (র) , আবু
মুরাহ্হাব (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি যেন (এখনও) তাদের দেখতে পাচ্ছি নবী
করীম (সা)এর কবরে; চারজন, তাদের অন্যতম আবদুর বহামান ইবন আওফ (বা) ৷ আবু
দাউদ (র) ও মুহাম্মাদ ইবনুসৃ সাব্বড়াহ্ (র) ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (র) সুত্রে ঐ সনদে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে আহ্মদ ইবন ইউনুস (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
যুহায়র (র) , ষুরাহ্হাব কিৎবা আবু মুরাহ্হাব (বা) সুত্রে যে, তারা আবদুর রহমান ইবন আওফ
(রা)-কেও তাদের সাথে কবরে অবতরণের সময় শামিল করে নিয়েছিলেন ৷ দাফন শেষে আলী
(বা) বললেন, কোন মানুষের (কাফন-দাফরুনর) দায়িতৃ তো পালন করে থাকে তার পরিবারের
লোকেরইি ৷ এ হাদীস অতিশয় বিরল ধরনের তবে এর সনদ বেশ উত্তম ও সবল ৷ কিন্তু এই
একটি মাত্র সুত্রেই আমরা এটি পেয়েছি ৷ আবু অড়ামর ইবন আবদুল বার (র) তার
ইসৃতীআব’ গ্রন্থে বলেছেন, আবু ঘুরাহ্হাব (রা)এর নাম সুওয়ায়দ ইবন কায়স (বা) ৷ তবে
তিনি অন্য একজন আবু মুরাহ্হাবএর নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তার সম্পর্কে কোন তথ্য
আমার জানা নেই ৷ ইবনৃল আন্থীর (র) তার উসদুল গাবা গ্রন্থে বলেছেন, সুতরাং এ হাদীসের
রড়াবী উল্লিখিত দুজনের কোন একজন কিৎবা তৃতীয় কেউ হতে পারেন ৷ আল্লাহই সমধিক
অবগত
নবী করীম (সা) এর সর্বশেষ সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র) আবদুল্লাহ ইরনৃল হারিছ (র) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, উমর (রৰু) কিংবা উছমান (রা)-এর খিলাফত কালে আমি আলী (রা)-এর সংগে উমরা
পালন করলাম ; তিনি তার বোন উম্মু হানী বিনত আবু তালিব (রা)-এর বাড়িতে গিয়ে উঠেন ৷
তিনি উমরড়া সম্পন্ন করে যখন ফিরে এলেন তখন তার রে ৷ ণ্৷ ওার ওণ্যে গোসলের পানির
ব্যবস্থা করলে র্ভিদ্দি শৃগর্দুসল্ করলেন গুজ্বর গোসল শেষ হলে একদল ইরাকী লোক তার কাছে
এসে র্তাকে বলল, একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করার জন্য
এসেছি করকাে ৷ তিনি বললেন,
আমার ত্ত্বহুন্ হৰুচ্ছ হুন্নীর ইবন শুব্ ৷টুব্বা র্বৃভ্রন্মক্রুন্নর এ বিবরণ দিয়ে থাকবেন যে, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর একেবন্র ছিলেন তিনিই ! তারা বলল, ব্জী হী ৷ এ
ৰিষরই ন্বপ্ণ্ন্ৰুর কানুেছ ক্তিল্গুহ্সন্ করর উরুদ্দাশ্য আমাদের আগমন ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ
( সা ৷ এ র ন্ন্ত্ত্ব:স এরুকংৰুরে ব্লুন্ষ ঘুহুর্তে সচ্ন্নিধ্য লাভ কারী ছিলেন কুছাম ইবন আব্বাস (বা) ৷
এ দ্ত্রে ধ্স্ বো একাকী হন্দীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র (র) হাদীসটি
স্রহুরুন্ন্ ইদ্ররণ্রৰুত কংবছেন হুহ ন্ন্ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে ৷ তিনি ইবন ইসহাক (র) সুত্রে
তার কেট ৰিবক্বা৪ দািহৃছন ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুগীরা ইবন শুবা (বা) বলতেন,
আমি আমার আৎটিটি হাতে নিয়ে তা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কবরে ফেলে দিলাম এবং সকলে
বের হয়ে গেলে আমি বললাম, “ আমার আৎটিটিতো কবরে পড়ে গিয়েছে ৷ ” আসলে আমি
সেটি ইচ্ছা করে ফেলে দিয়েছিলাম ৷ যাতে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্পর্শ করতে পারি এবং
তার সর্বশেষ সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি হতে পারি ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এ বিষয় আমার পিতা
ইসহাক ইবন ইয়াসার (র) আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
আমি আলী (রা)-এর সাথে উমরা পালন করলামপুর্বোল্লিখিত্ত বিবরণ ৷
মুগীরা ইবন শুবা (রা) থেকে উল্লিখিত বিবরণ তার ৰাসনা বাস্তবায়িত হওয়া দাবী করে
না ৷ কেননা, এমন সম্ভাবনাও বিদ্যমান যে, আলী (রা) জকে কবরে নাম্বার অবকাশ্ইি দেন
নি ৷ কিৎবা তিনি অন্য কাউকে আৎটিটি তুলে দিতে বসে থাকতে পারেন ৷ পুরুবাল্লিখিত বর্ণনা
দৃষ্টে তা তুলে দেয়ার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে থাকবেন কুছাম ইবন আব্বাস (বা) ৷ ওয়াকিদী (র)
তো বলেছেন, আবদুর রহমান ইবন আবুঘৃ যিনাদ (র) পিতা সুত্রে উবায়দৃল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ
ইবন উত্বা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুগীরা ইবন শুবা (রা) তীর আহ্ঢিঢি রাসুলুল্লাহ
(না)-এর কবরে ফেলে দিলেন ৷ তখন আলী (বা) বললেন, আপনি তো আৎটি ফেলেছেন এ
উদ্দেশ্যে যে, আপনি বলবেন যে, আমি নবী কবীম (না)-এর কবরে অবতরণ করেছিলেন ৷
পরে তিনি নিজেই নেমে আৎটিটি তুলে দিলেন কিৎবা কোন লোককে হুকুম করলে যে তা
তুলে দিল ৷ আর ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, বাহ্য ও আবু কামিল (র) আবু আসীব কিৎবা
আবু গুনৃম (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ বাহ্য (র)-এর বর্ণনায় তিনি (বর্ণনা কারী সাহাবী ) নবী
কবীম (না)-এর জানাযা সালাতে উপ ত ছিলেন ৷ লােবেরো বলল, আমরা কিভাবে সালাত
আদায় করব? (আবু বকর) বললেন, ছোট ছোট দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ কর ৷ তখন তারা এ
(দিককার) দরযা দিয়ে ঢুকছিলেন এবং নবী কবীম (না)-এর জন্য জানাযড়ার সালাত আদায়
করে অন্য একটি দরযা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ বর্পনাকাবী বলেন, নবী কবীম (না)-কে
তীর কবরে রেখে দেয়া হলে মুগীরা (রা) বললেন, তার পায়ের দিকে কিছু কাজ অসম্পুর্ণ রয়ে
গিয়েছে; আপনারা তার যথাযথ ব্যবস্থা করেন নি ৷ র্তা’রা বললেন, তবে তুমি নেমে পড় এবং
তা ঠিক ঠাক করে দাও ! তখন তিনি কবরে নেমে পড়লেন এবং নবী কবীম (না)-এর
কাফনের মাঝে নিজের হাত প্ৰবিষ্ট করে তার পদযুগল স্পর্শ করলেন ৷ পরে তিনি বললেন,
(এখন) মাটি ঢড়ালরুত থাক ৷ র্তারা মাটি ঢালতে থাকলেন এবং তা মুগীরা (রা)-এর পায়ের
পােছার মাঝামাঝি পর্যন্ত পৌছার পরে তিনি বের হয়ে এলেন এবং এ সুত্রেই তিনি পরে
বলতেন, আমিই তোমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ সংগধন্য ব্যক্তি ৷
নবী কবীম (না)-কে কখন দাফন করা হয়?
ইউনুস (র) বলেন, ইবন ইসহড়াক (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
বুধবারে পুর্ববর্তী মধ্য রাতে বেলট্রুচা-কােদ্যালর শব্দ শুনেই আমরা নবী কবীম (না)-এর দাফন
সম্পর্কে জ্ঞাত হই ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, ইবন আবু সাবৃরা (র) উম্মু সালড়ামা (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা সমবেত হয়ে কান্নাকাটি করছিলড়াম এবং আমাদের চোখে ঘুম ছিল
না ৷ তখনও রাসুলুল্পাহ (না) আমাদের ঘরে ছিলেন এবং তাকে খাটের উপরে রক্ষিত দেখে
আমরা সাভ্না পাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ ভোর রাতে আমরা আওয়ায দাতড়াদের আওয়ায পেলাম ৷ উম্মু