সাআদ উপস্থিত হন ৷ আর এ সাআদ হলেন যে ব্যক্তি যিনি রাসুলুল্পাহ্ (না)-কে রাকুবার১ পথ
প্রদর্শন করেছেন ৷ তখন ইব্রাহীম বলেন, আপনার পিতা আপনাকে যে হাদীছ বলেছেন, আপনি
আমাকে সে হাদীছটি বলুন ৷ তখন ইবন সাআদ বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের নিকট আগমন করেন, আর তার সঙ্গে ছিলেন আবু বকর (রা) ৷ আর
আমাদের নিকট আবু বকর (রা)-এর একটা দুগ্ধপােষ্যা কন্যা ছিল-আর রড়াসুলুল্পাহ (সা )
মদীনায় দিকে সংক্ষিপ্ত রা স্তা তালাশ করছিলেন ৷
এখন সাআদ তাকে বলেন রাকুবা’ উপত্যকার এই বিমান প্রাম্ভরে আসলাম গোত্রের দু’জন
চোর রয়েছে ৷ এদেরকে মুহানান’ বলা হয় ৷ আপনি চাইলে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে
আনতে পারি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, না, তাদেরকে পাকড়াও করে আমার দরকার
নেই ৷ বরং আমাদেরকেই তাদের কাছে নিয়ে চলো ৷ সাআদ বলেন, এরপর আমরা বের হলাম ৷
আমরা কিছু দুর এগিয়ে গেলে তাদের একজন তার সঙ্গীকে বলে : এই যে ইয়ামানী ! রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের দু’জনকে ডেকে ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন ৷ তারা ইসলাম গ্রহণ করে ৷
এরপর তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে তারা বলে–আমরা হলাম ঘুহানান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন :
(না, তোমরা ঘুহানান নও) বরং তোমরা তো মুকরামান’ তথা সম্মানিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে মদীনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলে দেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বের হলাম ৷ আমরা যখন কুবার নিকটে উপস্থিত হই, তখন বনু
আমর ইবন আওফ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদেরকে জিজ্ঞেস
করলেন : আবু উমামা আসআদ ইবন যুরারা কোথায় : সাআদ ইবন খায়ছড়ামা বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি তো আমার আগে পৌছেছেন ৷ আমি কি এ সংবাদ দেব না ? এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অগ্রসর হলেন ৷ তিনি একটা খেজুর বাগাংনউপন্থিত হয়ে দেখেন যে, সেখানে
পর্যাপ্ত পানি ভর্তি একটি হাওয রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানে হযরত আবু বকর (রা)-এর
প্রতি লক্ষ্য করে বললেন :
হে আবু বকর ! এটাই তো সে স্থান, বা আমি স্বপ্নে দেখেছিলড়াম যে, আমি একটা
হাওযওয়ালা অঞ্চলে অবতরণ করছি ৷ যেমন বনী মৃদলাজের হাওযওয়ালা অঞ্চল ৷ বর্ণনাটি
এককভাবে ইমাম আহমদের ৷
পরিষ্মেদ
নবী (না)-এর মদীনায় প্রবেশ ও তার অবস্থান-স্থল
যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে ইতোপুর্বে বুখড়ারীর বর্ণনা উল্লিখিত হয়েছে যে নবী করীম (সা)
দুপুরে মদীনায় প্রবেশ করেছিলেন ৷ গ্রস্থকার বলেন : হয়তো এটা দৃপুরের পর হয়ে থাকবে ৷
কারণ, হিজরতের হাদীছ বুখারী-মুসলিমের বর্ণনায় ইসরাঈল সুত্রে আবু বকর (রা)-এর বর্ণনায়
আছে : আবু বকর (রা) বলেন :
১ মুল কপিতে নুন যােগে শু,ও ) (রকুনা) লিখা হয়েছে, যা ভুল ৷ আর রকুবা মক্কান্মদীনার মধ্যস্থলে
আল-আরাজ নামক স্থানের কাছে ওয়ারকান’ পর্বতের কাছে একটা ঘীটির নাম ৷
আমরা রাত্রি-বেলা (মদীনায়) উপস্থিত হই ৷ তখন আনসারদের মধ্যে বিরোধ বাধে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কার গৃহে অবতরণ করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও আবদুল মুত্তালিবের
মাতুলকুল বনু নাজ্জারে অবস্থান করবো তাদের সম্মানার্থে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এটা হয়তো
ছিল তার কুবায় উপস্থিতির দিন দুপুরে যখন তিনি মদীনার কাছাকাছি পৌছেন এবং খেজুর
গাছের ছায়ায় অবস্থান করে পরে মুসলমানদেরকে নিয়ে রওনা হন এবং কুবায় রাত্রি যাপন
করেন ৷ আর এখানে দুপুরের পরকে রাত্রি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কেননা, দুপুরের পর
থেকেই বিকালের সুচনা হয় ৷ অথবা এর অর্থ এই যে, কুবা থেকে রওনা হন দিনের বেলা এবং
বনুনাজ্জারে পৌছেন রাত ইশার সময় ৷ এ সম্পর্কে পরে আলোচনা আসছে ৷
ইমাম বুখারী যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, রালুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় রনু আমর
ইবন আওফের নিকট অবস্থান করেন দশ রাত্রির চাইতে কিছু বেশী এবং০এ সময় তিনি কুবায়
মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন ৷ এরপর তিনি সওয়ার হন এবং র্তর সঙ্গে লোকজনকে নিয়ে
রওনা হন ৷ শেষ পর্যন্ত তার মসজিদের স্থানে সওয়ারী বসে পড়ে ৷ এ স্থানটি ছিল নহ্ল এবং
সুহায়ল নামে দু’জন ইয়াভীমের খেজুর শুকাবার স্থান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের নিকট থেকে
স্থানটা ক্রয় করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করান ৷ আর এ ছিল বনী নাজ্জারের মহল্লায় ৷ তাদের
সকলের প্রতি আল্পাহ্ সন্তুষ্ট হোন ৷
আর মুহাম্মদ ইবন ইসহাক মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে নবী কবীম (না)-এর একদল
সাহাবীর বরাতে বলেন যে, তারা বলেছেন : আমরা যখন মক্কা থেকে নবী কবীম (সা) এর
বের হওয়ার খবর জানতে পারলাম তখন আমরা তার আগমনের অপেক্ষায় থাকলাম ৷ ফজরের
নামায আদায় করার পর হাররার’ বাইরে আমরা নবী কবীম (না)-এর অপেক্ষায় থাকতাম ৷
আল্লাহ্র কসম, সুর্ফতাপ আমাদের অসহ্য না হওয়া পর্যন্ত আমরা ছায়ায় বসে থাকতাম ৷ ছায়া
না গেলে আমরা ফিরে যেতাম ৷ আর এটা ছিল গ্রীম্মের মওসুম ৷ এমনকি যেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আগমন করেন, সেদিন যখন এলো সেদিনও আমরা অন্যান্য দিনের মত বসে ছিলাম ৷ যখন
কোন ছায়াই আর অবশিষ্ট থাকলো না তখন আমরা নিজ নিজ গৃহে ফিরে গেলাম ৷ আর আমরা
যখন ঘরে প্রবেশ করি, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় প্রবেশ করেন ৷ জনৈক ইয়াহুদী ব্যক্তি
তাকে সকলের আগে দেখতে পায় ৷ সে উচ্চকষ্ঠে চিৎকার দিয়ে বলে, হে বনু কায়লা
(আনসার ৷) এই যে, তোমাদের কাজ্জিত ব্যক্তি আগমন করেছেন ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দিকে ছুটে পেলাম ৷ তিনি তখন খেজুর গাছের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তীর সঙ্গে ছিলেন আবু
বকর (রা) ৷ দু’জনের বয়স প্রায় সমান ছিল ৷ আমাদের অধিকাৎশ লোক ইতােপুর্বে রড়াসুলুল্লাহ্
, (সা)-কে দেখেনি ৷ তার আশে-পাশে সােকজনের ভিড় হয়ে যায় ৷ আবু বকর আর তার মধ্যে
লোকেরা ফারাক করতে পারছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে ছায়া সরে গেলে আবু বকর (রা)
তীর চাদর দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে ছায়া দান করেন ৷ এ সময় আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
চিনতে পারি ৷ ইমাম বুখারীর বর্ণনায় ইতেড়াপুর্বে অনুরুপ বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মুসা ইবন
উকরাও তার মাপাঘী গ্রন্থে অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷
ইমাম আহমদ হাশিম সুত্রে হযরত অ ৷নাস ইবন মালিক এর রিওয়ায়াত ৩উদ্ধৃত করেন :
আমি বালকদের মধ্যে ছুটাছুটি করছিলাম ৷ তারা বলছিল মুহাম্মদ এসেছেন ৷ আমি ছুটে
গেলাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না ৷ তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগমন
করলেন এবং তার সঙ্গে আবু বকর (রা) ৷ র্তারা দু’জনে অনাবাদ এলাকায় থেমে যান ৷ এরপর
দু জনে জনৈক বেদুঈনকে প্রেরণ করলেন আনসারকে র্তাদের আগমনের সৎ বাদ দেয়ার
জন্য ৷ পাচ শ৩ ৷ধিক আনসার ছুটে এসে র্তাদের দৃ ’জনকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন ৷
আনসারগণ র্তীদের নিকটে এসে বলেনং আপনারা নিরাপদে এবং আমাদের বরণীয়রুপে চলুন!
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সঙ্গী লোকজনের সাথে এগিয়ে আসেন ৷ মদীনাবাসীর৷ নিজ
নিজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ এমনকি কৃলশীলা মহিলাগথাঃ ঘরের ছাদে আরোহণ করে
র্তাকে দেখে বলে উঠেন : প্রু১ স্পো ৷ প্রু১ ম্পোৰু ৷
তিনি কোন জন ? তিনি কোন জন ? এমন দৃশ্য আমরা (ইতােপুর্বে) কখনো দেখিনি ৷
আনাস (রা) বলেন৪ আমি তাকে দেখি, যেদিন তিনি আমাদের মধ্যে প্রবেশ করেন (অর্থৎ
হিজরতের দিন) এবং র্ত ৷র ইনতিকালের দিনও দেখেছি ৷ এ দু দেশের অনুরুপ দিন আমি আর
কখনো দেখিনি ৷ ইমাম বায়হাকী হাকিম সুত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী এবং মুসলিম শরীফে ইসরাঈল সুত্রে আবু বকর (রা) থেকে হিজরত প্রসঙ্গে বর্ণিত
হয়েছে ৷ তিনি বলেন :
আমরা মদীনায় আগমন করলে লোকেরা ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে, গৃহের উপরে
উঠে ৷ শিশুরা আর খাদিমরা বলে উঠে :
আল্লাহ আকবার রাসুলুল্লাহ্ এসেছেন,
আল্লাহু আকবার মুহাম্মদ এসেছেন ৷
আল্লাহু অ ৷কবার মুহাম্মদ এসেছেন,
অল্লা৷হু আকবার রাসুলুল্লাহ্ এসেছেন ৷
সকাল হলে তিনি রওনা করেন যেমনটি তাকে নির্দেশ দেয়৷ হয়েছিল ৷ ইমাম বায়হাকী
আবু আমর আল-আদীব সুত্রে ইবন অইিশার বরাতে বলেন :
“আমি ইবন আ ৷ইশাকে বলতে শুনেছি৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় আগমন করলে নারী এবং
শিশুরা বলে উঠে৪
তালাআল বাদ্রু আলাইনা
মিন ছানিয়াতিল ওয়াদাই,
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা
মাদাঅ৷ লিল্লাহি দা-ই ৷
উদির্ত হয়েছে আমাদের উপর নতুন চাদ
ওদ৷ পাহাড়ের র্ঘাঢি থেকে,
শ্যেকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য
যতদিন আহ্বানকারী আহ্বান করে (আল্লাহর দিকে) ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐতিহাসিকরা যেমন বর্ণনা করেন, কুবায় কুলছুম
ইবন হিদম-এর গৃহে অবস্থান করেন ৷ এ কুলছুম ইবন হিদম ববু আমর ইবনু আওফের লোক
এবং এটা হচ্ছে বনু উবায়দের শাখা গোত্র ৷ কারো কারো মতে তিনি সাআদ ইবন থায়ছামার
গৃহে অবস্থান করেন ৷ যীরা বলেন যে, তিনি কুলছুম ইবন হিদম-এর গৃহে অবস্থান করেন, তারা
(এর ব্যাখ্যা হিসাবে এ কথাও) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুলছুম ইবন হিদম-এর গৃহ থেকে
বের হয়ে লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ দানের জন্য সাআদ ইবন থাযছামড়ার গৃহে বসতেন ৷ আর
এটা এজন্যে যে, সাআদ ছিলেন অবিবাহিত ৷ তার পরিবারপরিজন ছিল না ৷ আর এ কারণে
তার গৃহকে বলা হতোর্ডাবিবাহিতদের নিবাস ৷ আর হযরত আবু বকর (রা ) অবস্থান করেন বনু
হারিছ ইবন থাযর্লোর অন্যতম সদস্য খুবায়ব ইবন ইসাফ-এর গৃহে সুনৃহ’ নামক স্থানে ৷
আবার কারো কারো মতে তিনি অবস্থান করেন বনু হারিছ ইবন ন্খাযরাজের খারিজা ইবন যায়দ
ইবন আবু সুহায়ব এর গৃহে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : হযরত আলী ইবন আবু তালিব মক্কায় তিন রাত তিন দিন অবস্থান
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে যেসব আমানত তার উপর ন্যস্ত ছিল , সে সব ফেরত
দেওয়া পর্যন্ত ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে এসে মিলিত হন এবং তার সঙ্গে কুলছুম
ইবন হিদম এর গৃহে অবস্থান করেন ৷ ক্যালৌ হযরত আলী (রা) কুবায় এক রাত বা দু’রাত
অবস্থান করেন ৷ হযরত আলী (রা) বলেন যে, কুবায় এক মহিলা ছিল, তার স্বামী ছিল না ৷
মহিলাটি ছিল মুসলমান ৷ আমি দেখতে পাই যে, রাত্রিবেলা একজন পুরুষ আগমন করে
মহিলার দরজায় আঘাত করতো ৷ পুরুষটির নিকট মহিলাটি বেরিয়ে এলে তাকে কিছু একটা
দিতো ৷ আর মহিলা তা গ্রহণ করতো ৷ পুরুষটি সম্পর্কে আমার খারাব ধারণা জন্যে ৷ আমি
মহিলাঢিকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দী ৷ এ লোকটি কে, যে প্রতি রাত্রে তোমার গৃহের দরজায়
করাঘাত করে আর তুমি লোকটির নিকট বের হয়ে আস, আর লোকটি তোমাকে কিছু একটা
জিনিস দেয় ৷ জানি না, তা কী জিনিস ৷ তুমি তো একজন মুসলিম মহিলা, তোমার স্বামী নেই ৷
মহিলাটি বললাে ! এ পুরুষটি হলেন সাহল ইবন হানীফ ৷ তিনি জানেন যে, আমি এমন এক
নারী যার কেউ নেই ৷ সল্যায় তিনি গোত্রের মুর্তিগুলোর উপর আঘাত হোন সেগুলো ভেঙ্গে
ফেলেন এবং মুর্তিভাঙ্গা কাষ্ঠগুলো আমার কাছে নিয়ে আসেন, যাতে সে কাষ্ঠগুলাে আমি
জ্বালানি রুপে ব্যবহার করতে পারি ৷ হযরত সাহল ইবন হানীফ ইরাকে হযরত আলী (রা)-এর
নিকট মৃত্যুবরণ করলে তিনি এ গোপন তথ্যটি প্রকাশ করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় বনু আমরইবন আওফ এর গৃহে সোম মঙ্গল,
বুধ ও বৃহস্পতিবার এ চারদিন অবস্থান করেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ এরপর
জুমুআর দিন আল্লাহ্ তাকে তাদের মধ্য থেকে বের করেন ৷ আর বনু আমর ইবন আওফ এর
ধারণা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের মধ্যে এর চেয়ে বেশী দিন অবস্থান করেছিলেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইসহাকেয় বরাতে আবদুল্লাহ ইবন ইদ্রীস বলেন, বনু আমর ইবন আওফ ধারণা করে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের মধ্যে আঠারো রাত্রি অবস্থান করেন ৷ প্রন্থকার বলেন : ইতেড়াপুর্বে যুহ্বী
সুত্রে উরওয়া থেকে ইমাম বুখারীর বর্ণনা উল্লেখিত হয়েছে যে, তিনি তাদের মধ্যে ১০ রাত্রির
কিছু বেশী সময় অবস্থান করেছিলেন ৷ আর মুসা ইবন উকবা মুজাম্মা’ ইবন ইয়াযীদ ইবন হারিছ
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুবায় বনু আমর ইবন আওফের মধ্যে বাইশ রাত্রি
অবস্থান করেন ৷ আর ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন : কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
মধ্যে চৌদ্দ রাত্রি অবস্থান করেন ৷
মদীনা মুনাওওয়ড়ারায় প্রথম জুমুআর নামায
ইবন ইসহাক বলেন : বনু সালিম ইবন আওফে জুমুআর সময় হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বড়াতনে ওয়াদী-ওয়াদীয়ে রানুনায়-জুমুআর নামায আদায় করেন ৷ আর এটা ছিল মদীনায়
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম জুমুআর নামায ৷ এরপর বনু সালিমের এক দল লোকের সঙ্গে
ইতবান ইবন মালিক এবং আব্বাস ইবন উবদো ইবন নাঘৃলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
হাযির হয়ে আরয করেন, ইয়া রড়াসুলাল্পাহ্ আপনি আমাদের মা;ধ্য অবস্থান করুন, আমরা
ৎখ্যায় অধিক, আমাদের প্রস্তুতি অনেক এবং আমরা প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও সক্ষম ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
“তোমরা উটনীটির পথ ছেড়ে দাও ৷ কারণ, সে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) আদেশপ্রাপ্ত ৷
ফলে তারা উটনীটির পথ ছেড়ে দেয় ৷ উটনী চলতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত বনু ৰিয়াযার মহল্লায়
পৌছলে যিয়াদ ইবন লাবীদ এবং ফারওয়া ইবন আমর একদল লোক নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদন জানান :
“ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন, আমরা জনবল এবং অস্ত্র বলে অধিক
এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায় সক্ষম ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “তোমরা তার পথ ছেড়ে
দাও, সে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আদিষ্ট ৷ ” তারা তার পথ ছেড়ে দেয় এবং সে চলতে থাকে ৷ বনু
সাইদার মহল্লা দিয়ে গমনকালে বনু সাইদার একদল লোকসহ সাআদ ইবন উবাদা এবং মুনষির
ইবন আমর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে হাযির হয়ে আবেদন জানান :
“হে আল্লাহ্র রাসুল ৷ আমাদের মধ্যে অবস্থান করুন ৷ সংখ্যায় আমরা অধিক এবং
প্রতিরোধে আমরা সক্ষম ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা তার রাস্তা ছেড়ে দাও ৷ কারণ,
সে (আল্লাহ্র পক্ষে থেকে) আদেশপ্রাপ্ত আছে ৷ উটনীটি চলতে থাকে ৷ বনু হারিছ ইবন
খাযরড়াজ এর মহল্লা বরাবর পৌছলে সাআদ ইবন রাবী , থারিজা ইবন যায়দ এবং আবদুল্পাহ্
ইবন রাওয়াহা বনু হারিছ ইবন খাযরাজএর একদল লোক নিয়ে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
উপস্থিত হয়ে আরয করেন :
“হে আল্লাহ্র রাসুল ৷ আমাদের মধ্যে আগমন করুন ৷ জনবল আর অস্ত্রবলে আমরা বেশী
এবং প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষায়ও আমরা সক্ষম ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
“তোমরা তার পথ ছেড়ে দাও, সে যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আদিষ্ট ৷ তারা পথ ছেড়ে
দিলে সে চলতে থাকে ৷ বনী আদী ইবন নাজ্জারের মহল্লা দিয়ে অতিক্রমকালে উম্মু আবদুল