ফেরেশত৷ সৃষ্টি ও তাদের ওণাবলীর আলোচনা
আল্লাহ্ তা আলা বলেন০ ং
অর্থাৎ-তা ৷রা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি পবিত্র, মহান! তারা তো র্তার
সম্মানিত বান্দ৷ ৷ তারা আগে বাড়িয়ে কথা বলে না, তারা তাে আদেশ অৰুসারেই কাজ করে
থাকে ৷
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত ৷ তারা সুপারিশ করে শুধু
তাদের জন্য যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তার ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত ৷ তাদের মধ্যে যে বলবে,
আমিই ইলাহ তিনি ব্যতীত; তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম ; এভাবেই আমি জালিমদেবকে
শান্তি দিয়ে থাকি ৷ (২১ং ২৬ ২৯)
অর্থাৎ আকাশমণ্ডলী উর্ধ্বদেশ থেকে ভেঙ্গে পড়বার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতাপণ
তাদের প্রতিপ৷ ৷লকের সপ্ৰশংস পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করে; জেনে রেখ, আল্পাহ্, তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (৪২ং ৫)
অর্থাৎ যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারদিক ঘিরে আছে, তারা তাদের
প্রতিপালকের পবিত্র৩ ৷ ও মহিমা ঘোষণা করে প্রাণ সার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান
সর্বব্যাপী; অতএব, যারা তাওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর
এর রং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর ৷
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে দ ৷খিল কর স্থায়ী৷ জ ন্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি
তা তাদেরকে দিয়েছ এবং তাদের পিতা-মাত ৷, পতি পত্নী ও সম্ভান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করেছেতাদেবুকেও ৷ তৃস্থি তাে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (৪ : : ৭ ৮)
অর্থাৎ তারা অহংকার করলেও যারা তোমার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে তারা তো দিনে ও
রাতে তার পৰিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্তি বোধ করে না ৷ (৪ ১৪ ৩৮)
অ-র্থাৎ তার সান্নিধ্যে যারা আছে তারা অহংকারবশেত তার ইবাদত করা থেকে বিমুখ হয়
না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না ৷ত তারা দিবারাত্রি তার পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে; তারা
শৈথিল্য করেন৷ ৷ (২১ং ১৯ ২০) ,
অর্থাৎ-আমাদের প্রস্তুত ত্যকের জন্যই নির্ধারিত স্থান আছে আমরা তো সারিবদ্ধভাবে
দণ্ডায়মান এবং আমরা অবশ্যই তার পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণাকারী ৷ (৩৭ ১৬৪ ১৬৬)
অর্থাৎ আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না ৷ যা আমাদের
সামনে ও পেছনে আছে এবং না এ দৃ’ এর অন্তর্বর্তী তা তারই এবং তোমার প্রতিপালক ভুলরার
নন ৷ (১৯ : ৬৪)
অর্থাৎ-অবশ্যই আছে তোমাদের জন্য তত্ত্ব ৷রধায়কগণ; সম্মানিত লিপিকা ৷রবৃন্দ; তারা জানে
তোমরা যা কর ৷ (৮২ং ১ : ১২)
ভুর্থাত্ তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন ৷ ( ৭৪ : ৩১)
অর্থ ৎ- ফেরেশতাগণ৩ তাদের নিকট প্রবেশ করবে প্রতিটি দরজা দিয়ে এবং বলবে,
তোমরা ধৈর্যধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শাস্তি; কতই না ভালো এ পরিণাম (১৩ :
২৩ ২৪)
অর্থাৎ- প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই, যিনি বাণীবাহক করেন
ফেরেশতাদেরকে যারা দু’-দু তিন-তিন অথবা চাব-চার পক্ষ বিশিষ্ট ৷ তিনি তীর সৃষ্টি যা ইচ্ছা
বৃদ্ধি করেন ৷ আল্লাহ সর্ববিষয়ে শ্ ৷৷ক্তিম ৷ন ৷ (৩৫০ ং ১)
অর্থাৎ যেদিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হবে এবং ফেরেশতাদেরকে ন মিয়ে দেওয়া
হবে, সেদিন প্রকৃত কর্তৃতৃ হবে দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্য সেদিন হবে কঠিন ৷
(২৫৪ ২৫, ২৬)
অর্থাৎ যারা আমার সাক্ষাত কামনা করে না তারা বলে, আমাদের নিকট ফেরেশতা
অবতীর্ণ করা হয় না কেন ? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন ? তারা
তাদের অম্ভরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমালৎঘন করেছে গুরুতররুপে ৷ সেদিন তারা
ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে ৷ সেদিন অপরাধীদের জন্য সুসৎবাদ থাকবে না এবং তারা
বলবে, রক্ষাকর, রক্ষাকর ৷ (২৫০ ং ২১-২২)
অর্থাৎ যে কেউ আল্লাহর, র্তার ফোরশতাগণের, তীর রাসুল১াণের এবং জিবরাঈল ও
মীক ৷ঈলের শত্রু সে জেনে রাখুক, আল্লাহ্ নিশ্চয় কাফিরদের শত্রু ৷ (২৪ ৯৮)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ১৫-
অর্থাৎ হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা
কর আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয়, কঠোর
স্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ যা আদেশ করেন তা এবং তারা যা করতে
আদিষ্ট হয়৩ তা ই করে ৷ (৬৬ং ৬)
ফেরেশত৷ প্রসঙ্গ অনেক আয়াতেই রয়েছে ৷ সেগুলোতে আল্লাহ তাআল৷ তাদেরকে
ইবাদত ও দৈহিক কাঠামো সৌন্দর্যে, অবয়বের বিশালতায় এবং বিভিন্ন আকৃতি ধারণে
হ্রা৷রন্ামতায় শক্তির অচুাকারী বলে পরিচয় প্রদ্ান করেছেন ৷ যেমন আল্লাহ্ তা আলা বলেন
অর্থাৎ এবং যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুভৈ৩ র নিকট আসল, তখন তাদের
আগমনে সে বিষগ্ন হলো এবং নিজকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করল এবং বলল, এ এক
নিদারুণ দিন ! তার সম্প্রদায় তার নিকট উড্রাত হয়ে ছুটে আসল এবং পুর্ব থেকে তারা কুকর্মে
লিপ্ত ছিল ৷ (১১ ;; ৭৭শ্৭৮)
তাফসীরের কিভাবে আমি উল্লেখ করেছি, বা একাধিক আলিম বলেছেন যে, ফেরেশতাগণ
তাদের সামনে পরীক্ষাস্বরুপ সুদর্শন যুবকের আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ৷ অবশেষে লুত
(আ)-এর সম্প্রদায়ের উপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে
পরাক্রমশালী শক্তিধররুপে পাকড়াও করেন ৷
অনুরুপভাবে জিবরাঈল (আ) নবী করীম (না)-এর নিকট বিভিন্ন আকৃতিতে আগমন
করতেন ৷ কখনো আসতেন দিহয৷ ইবন খলীফ৷ কালবী (রা) এর আকৃতিতে, কখনো বা কোন
বেদুঈনের রুপে, আবার কখনো তিনি স্বরুপে আগমন করতেন ৷৩ তার ছ শ ডানা রয়েছে ৷ প্রতি
দু’টি ভাষার মধ্যে ঠিক ততটুকু ব্যবধান যতটুকু ব্যবধান পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম প্রান্তদ্বয়ের
মধ্যে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ আকৃতিতে তাকে দু বার দেখেছেন ৷ একবার দেখেছেন আসমান
থেকে যমীনে অবতরণরত অবস্থায় ৷ আর একবার দেখেছেন জান্নাতৃল যাওয়ার নিকটবর্তী
সিদরাতৃল মুনতাহার কাছে (মিরাজেব রাতে) ৷
আল্লাহ্ ত৷ আলা বলেনশু ং
অর্থাৎ তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী প্রজ্ঞাসম্পন্ন সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল,
তখন সে উর্ধ্ব দিগন্তে , তারপর সে তার নিকটবর্তী হলো, অতি নিকটবর্তী ৷ (৫৩ : ৫-৮ )
এ আয়াতে যার কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন জিবরাঈল (আ) যেমনটি আমরা একাধিক
সাহারা সুত্রে বর্ণনা করেছি ৷ তন্মধ্যে ইবন মাসউদ (রা) , আবু হুরায়রা (রা ) , আবু যর (রা) ও
তা৷য়েশা (রা) অন্যতম ৷
অর্থাৎ ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের ব্যবধান থাকে অথবা তারও কম ৷ তখন আল্লাহ
তার বান্দার প্রতি যা ওহী করবার তা ওহী করলেন ৷ (৫৩ : ৯ ১ : )
র্তার বান্দার প্রতি’ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা মুহাম্মদ (না)-এর প্রতি ৷
তারপর আল্লাহ বলেন :
অর্থ্যৎ নিশ্চয় সে (মুহাম্মদ) তাকে (জিবরাঈল) আরেকবার দেখেছিল প্রান্তবর্তী কুল
গাছের নিকট, যার নিকট অবস্থিত বাসােদ্যান ৷ যখন বৃক্ষটি , য়দ্দারা আচ্ছাদিত হওয়ার তদ্দারা
ছিল আচ্ছাদিত , তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষচ্যুতও হয়নি ৷ (৫৩ : ১৩ ১ ৭)
সুরা বনী ইস্রাঈলে মিরাজের হাদীসসমুহে আমরা উল্লেখ করেছি যে, সিদরাতুল ঘুনতড়াহা
সপ্তম আকাশে অবস্থিত ৷ অন্য বর্ণনায় আছে, তা ষষ্ঠ আকাশে ৷ এর অর্থ হচ্ছে সিদরাভুল
মুনৃতাহার মুল হলো ষষ্ঠ আকাশে আর তার ভাল পালা হলো সপ্তম আকাশে ৷
যখন সিদরাতুল মুনৃতাহা আল্লাহ তাআলার আদেশে যা তাকে আচ্ছাদিত করার তা তাকে
আচ্ছাদিত করলো এর ব্যাখ্যার কেউ কেউ বলেন, তাকে আচ্ছাদিত করেছে একপাল সোনার
পতঙ্গ ৷ কেউ বলেন, নানা প্রকার রং যার অবর্ণনীয়রুপ তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে ৷ কারো
কারো মতে, কাকের মত ফেরেশতাগণ তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে ৷ কেউ কেউ বলেন,
মহান প্রতিপালকের নুর তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে যার অবর্নণীয় সৌন্দর্য ও ঔজ্জ্বল্য
বর্ণনাতীত ৷ এ অভিমতগুলোর মধ্যে কোন পরস্পর বিরোধিতা নেই ৷ কারণ সবগুলো বিষয়
একই ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে পারে ৷
আমরা আরো উল্লেখ করেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : তারপর আমাকে সিদরাতৃল
মুনৃতাহার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আমি দেখলাম, তার ফুলগুলাে ঠিক পর্বতের চুড়ার ন্যায় বড়
বড় ৷ অন্য বর্ণনায় আছে, হিজরের পর্বত চুড়ার ন্যায়, আমি আরো দেখতে পেলাম তার
পাতাগুলো হাভীর কানের মত ৷ ’ আরো দেখলাম, তার গোড়া থেকে দুটো অদৃশ্য নদী এবং
দুটো দৃশ্যমান নদী প্রবাহিত হচ্ছে ৷ অদৃশ্য দুবটা গেছে জান্নাতে আর দৃশ্যমান দুটো হচ্ছে নীল
ও ফোরাত ৷ “পৃথিবী ও তার মধ্যকার সাগর ও নদ-নদী সৃষ্টি” শিরোনামে পুর্বে এ বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে ৷
উক্ত হাদীসে এও আছে যে, তারপর বায়তৃল মামুরকে আমার সম্মুখে উপস্থাপিত করা হয় ৷
লক্ষ্য করলাম, প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর আর কখনো
তারা সেখানে ফিরে আসে না ৷ নবী করীম (সা) আরো জানান যে, তিনি ইব্রাহীম খলীল
(আ)কে রায়তুল মামুরে ঠেস দিয়ে বলা অবস্থায় দেখেছিলেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা এও বলে
এসেছি যে, বায়তৃল মামুর সপ্তম আকাশে ঠিক তেমনিভাবে অবস্থিত, যেমন পৃথিবীতে কাবার
অবস্থান ৷
সুফিয়ান ছ ৷ওরী, শুব৷ ও আবুল আহওয়াস ইবন ফ৷ ৷ওয়৷ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
আলী ইবন৷ অ ৷বুত তালিব (রা) কে বায়তু ল মা মুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে৩ তিনি বলেছিলেন, তা
আ কাংশ অবস্থিত যুরাহ নামক একটি মসজিদ ৷ কা বার ঠিক বরাবর উপরে তার অবস্থান ৷
পৃথিবীতে বায়তৃল্লাহ্র মর্যাদা যতটুকু আকা ৷শে তার মর্যাদা ঠিক৩ ত ৩টুকু ৷ প্রতিদিন সত্তর হাজার
ফেরেশত৷ তাতে সালাত আদায় করেন য ৷রা দ্বিতীয়বার আর কখনো সেখানে আসেন না ৷ ভিন্ন
সুত্রেও হযরত আলী (রা) থেকে এরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷
ইমামত ৷বারানী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন
৪“বায়তৃল মা মুর আকাশে অবস্থিত ৷ তাকে যুরাহ নামে অভিহিত করা হয় ৷ বায়তৃল্লাহ্র ঠিক
বরাবর উপরে তার অবন্থ ন ৷ উপর থেকে পড়ে গেলে তা ঠিক তার উপরই এসে পড়বে ৷
প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশত৷ তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর র্তারা তা আর কখনো দেখেন
না ৷ পৃথিবীতে মক্কা শরীফের মর্যাদা যতটুকু আকাশে তার মর্যাদা ঠিক ততটুকু ৷ আওফী
অনুরুপ বর্ণনা ইবন আব্বাস (রা), মুজাহিদ (র) , ইকরিম৷ (রা) , রবী ইবন আনাস (র) ও সুদ্দী
(র) প্রমুখ থেকেও করেছেন ৷
কাতাদা (ব) বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন তার
সাহাবাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমরা কি জান, বায়তুল মামুর কী ? জবাবে তারা বললেন,
আল্লাহ এবং তীর রাসুল ই ভালো জানেন ৷ তখন তিনি বললেন০ ং “(বায়তুল মামুব ) কাবার
বরাবর আকাশে অবস্থিত একটি মসজিদ যদি তা উপর থেকে নিচে পড়তে৷ তাহলে কা বার
উপরই পড়তে ৷ ৷ প্রতিদিন সত্তর হাজার ণ্ফরেশত৷ তাতে সালাত আদায় করেন ৷ আর কখনো
তারা ফিরে আসেন না ৷
যাহ্হাক ধারণা করেন যে, বায়তুল মামুবকে ইবলীস গোত্রীয় একদল ফেরেশতা আবাদ
করে থাকেন ৷ এদেরকে জিন বলা হয়ে থাকে ৷ তিনি বলতেন, তার খাদেমরা ঐ গোত্রভুক্ত ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
অন্যরা বলেন : প্রতি আকাশে একটি করে ঘর আছে ৷ সংশ্লিষ্ট আকাশের ফেরেশতাগণ
তার মধ্যে ইবাদত করে তাকে আবাদ করে রাখেন ৷ পালড়াক্রমে তারা সেখানে এসে থাকেন
যেভাবে পৃথিবীবাসী প্রতি বছর হজ্জ করে এবং সর্বদা উমরা তাওয়াফ ও সালাতের মাধ্যমে
বায়তুল্লাহকে আবাদ করে রাখে ৷
সাঈদ ইবন ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ উমাবী তার আল-মাগাযী কিতাবের শুরুতে বলেছেন :
আবু উবায়দ মুজাহিদ এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, সাত আসমান ও সাত যমীনের মধ্যে
হারম শরীফ-এর মর্যাদাকে সমুন্নত করা হয়েছে ৷ এটি চৌদ্দটি গৃহের চতৃর্থটি, প্রতি আসমানে
একটি এবং প্রতি যমীনে একটি করে সম্মানিত ঘর আছে যার একটি উপর থেকে পতিত হলে
তা নিচেরটির উপর গিয়ে পতিত হবে ৷
হাজ্জাজের মুআযট্রুযিন আবু সুলাযমান থেকে আমাশ ও আবু মুআবিয়া সুত্রে সাঈদ ইবন
ইয়াহ্য়৷ বর্ণনা করেন যে, আবু সুলায়মান বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা ) কে বলতে
শুনেছি৪
অর্থাৎ হারম শরীফ সাত আকাশে বিশেষভাবে সম্মানিত ৷ পৃথিবীতে তার অবস্থান ৷ তার
বায়তৃল মুকাদ্দাসও সাত আকাশে সম্মানিত ৷ তার অবস্থানও পৃথিবীতে ৷
যেমন কোন এক করি বলেন :
অর্থাৎ আকাশকে যিনি উধের্ব স্থাপন করেছেন; তিনি তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ
করেছেন যার স্তম্ভগুলো অত্যন্ত মজবুত ও দীর্ঘ ৷
আকাশে অবস্থিত ঘরটির নাম হলো, বায়তুল ইষ্যাত এবং তার রক্ষণাবেক্ষণকারী
ফেরেশতাদের যিনি প্রধান, তার নাম হলো ইসমাঈল ৷ সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রতিদিন বায়তুল
মামুরে প্রবেশ করেন এবং পরে কোনদিন সেখানে ফিরে আসার সুযোগ পান না ৷ তারা কেবল
সপ্তম আকাশেরই অধিবাসী ৷ অন্য আকাশের ফিরিশতাগণের তো প্রশ্নই উঠে না ৷ আর এ
জন্যই আল্লাহ তাআলা বলেন :
অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন ৷ (৭৪ : ৩১)
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবুযর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
নিশ্চয় আমি এমন অনেক কিছু বেশি , যা তোমরা দেখতে পাও না এবং এমন অনেক কিছু
শুনি, যা তোমরা শুনতে পাও না ৷ আকাশ চড় চড় শব্দ করে ৷ আর তার চড় চড় শব্দ করারই
কথা ৷ আকাশে চার আব্দুল পরিমাণ জায়পাও খালি নেই যাতে কোন ফেরেশতা সিজদায় না
পড়ে আছেন ৷ আমি যা জানি, তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে তোমরা অল্প হাসতে ও বেশি
র্কাদতে ৷ শয্যায় নারী সন্তোগ করতে না এবং ল্যেকালর ত্যাগ করে বিজন প্রাম্ভরে চলে গিয়ে
উচ্চস্বরে আল্লাহর নিকট দৃআ করতে থাকতে
একথা শুনে আবুযর (বা) বলে উঠলেন, ৷এ
অর্থাৎ আল্লাহর শপথ ৷ আমি খুশি হতাম যদি আমি বৃক্ষ রুপে জন্মগ্নহণ করে কর্তিত হয়ে
যেতাম ৷
ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজাহ্ (র) ইসরাঈলের হাদীস থেকে এ হাদীসটি বণ্টা৷ করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷ আবার আবু মর (রা) থেকে
মওকুফ সুত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়ে থাকে ৷
তাবারানী (র) বর্ণনা করেন যে, জাবির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : সাত
আকাশে কোথাও এক পা, এক বিঘত বা এক করতল পরিমাণ স্থান ফীকা নেই ৷ যাতে কোন না
কোন ফেরেশতা হয় দাড়িয়ে আছেন, কিৎরা সিজদায় পড়ে আছেন নতুবা রুকুরত আছেন ৷
তারপর যখন কিয়ড়ামতের দিন আসবে তখন তারা সকলে বলবেন, আমরা আপনার ইবাদতের
হক আদায় করতে পারিনি ৷ তবে আমরা আপনার সাথে কোন কিছু শরীক সাব্যস্ত করিনি ৷
এ হাদীসদ্বয় প্রমাণ করে যে, সাত আকাশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে কোন কোন
ফেরেশতা বিভিন্ন প্রকার ইবাদতে লিপ্ত নন ৷ কেউ সদা দণ্ডায়মান, কেউ সদা সিজদারত আবার
কেউবা অন্য কোন ইবাদতে ব্যস্ত আছেন ৷ আল্লাহ তাআলার আদেশ মতে তারা সর্বদাই তাদের
ইবাদত, ভাসবীহ, যিকির-আযকার ও অন্যান্য আমলে নিযুক্ত রয়েছেন ৷ আবার আল্লাহর নিকট
তাদের রয়েছে বিভিন্ন স্তর ৷ যেমন আল্লাহ তা আলা বলেনং :
অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকের জন্যই নির্ধারিত স্থান আছে এবং আমরা তো সারিবদ্ধভাবে
দণ্ডায়মান এবং আমরা অবশ্যই তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী ৷ (৩৭ : ১৬৪ ১৬৬)
অন্য এক হাদীসে নবী করীম (সা) বলেন : ফেরেশতাগণ তাদের প্রতিপালকের নিকট
যেভাবে সারিবদ্ধ হয়; তোমরা কি সেভাবে সারিরদ্ধ হতে পার না ? সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন,
তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট কিভাবে সারিবদ্ধ হয় ? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন৪
র্তারা প্রথম সারি পুর্ণ করে নেয় এবং সারি যথা নিয়মে সোজা করে নেয় ৷
অন্য এক হাদীসে তিনি বলেন :
অর্থাৎ তিনভাবে অন্যদের উপর আমাদেরকে শ্রেষ্ঠতু দেয়৷ হয়েছে ৷ গোটা পৃথিবীকে
আমাদের জন্য মসজিদ এবং তার মাটিকে আমাদের জন্য পাক বানানো হয়েছে ৷ আর আমাদের
, সারিসমুহকে ফেরেশতাদের সারির মর্যাদা দান করা হয়েছে ৷
অনুরুপ কিয়ামতের দিনও তারা মহান প্রতিপালকের সম্মুখে সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে ৷
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন০ ; ৷হৃঠু
অর্থাৎ-আর যখন৫ তামার প্রতিপালক উপস্থিত হবেন এবং সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণও ৷
(৮৯৪ ২২)
তারপর তারা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে সারিবদ্ধভাবে দৃণ্ডায়মান হবে ৷ যেমন আল্লাহ্
তাআলা,রলেন০ ং
অর্থাৎ সেদিন রুহ ও ফেরেশ৩ ৷গণ সারিবদ্ধভাবে দাড়াবে; দয়াময় যাকে অনুমতি
দেবেন; সে ব্যতীত অন্যরা কথা বলবে না এবং সে যথার্থ বলবে ৷ (৭৮০ ৩৮)
এখানে ৰু৷ শব্দ দ্বারা আদম-সন্তান বুঝানো হয়েছে ৷ ইবন আব্বাস (র), হাসান ও
ক তাদা (র) এ অভিমত ৩ব্যক্ত করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন ৰু এে ৷ ৷ হলো, ফেরেশতাদের
একটি শ্রেণী; আকারে র্ষারা আদম-সন্তানের সাথে সাদৃশ্যরাখেন ৷ ইবন আব্বাস (র), মুজাহিদ,
আবু সালিহ ও আ মাশ এ কথা বলেছেন ৷ কেউ বলেন, ৰুগ্লুদ্বু৷ ৷ হলেন জিবরাঈল (আ) ৷ এ
অভিমত শা বী, সাঈদ ইবন জুবায়র ও যিহাক (র) এর ৷ আবার কেউ বলেন ৰুদ্বুট্রু র্ট৷ এমন
একজন ফেরেশতার নাম, যার অবয়ব গোটা সৃষ্টি জগতের সমান ৷ আলী ইবন আবু তালহা
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেন, ৰুদ্বুদ্বু ৷ এমন একজন ফেরেশতা
যিনি দৈহিক গঠনে ফেরেশত৷ জগতে সর্বৃশ্রেষ্ঠদের অন্যতম ৷ প্
ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন যে , ইবন মাসউদ (রা) বলেন :
ৰুদ্বুদ্বু চতুর্থ আকাশে অবস্থান করেন ৷ আকাশসমুহের সবকিছু এবং পাহাড় পর্বত অপেক্ষাও
বৃহৎ ৷ তিনি ফেরেশতাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ প্রতিদিন তিনি বার হাজ৷ র তাসবীহ পাঠ করেন ৷ প্রতিটি
তাসবীহ থেকে আল্লাহ তা জানা একজন করে ফেরেশত৷ সৃষ্টি করেন ৷ কিয়ামত্ত তর দিন একাই
তিনি এক সারিতে দণ্ড ৷য়মান হবেন ৷ তবে এ বর্ণনাটি একান্তই গরীব শ্রেণীভুক্ত ৷
তাবারানী (ব) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে
বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহর এমন একজন ফেরেশত৷ আছেন,৩ তাকে যদি বলা হয় যে, তুমি
এক গ্রামে আকাশ ও পৃথিবীসমুহকে গিলে ফেল; তবে তিনি তা করতে সক্ষম ৷ তার তাসবীহ
হলো, ১০১০ এ হাদীসটিও অত্যন্ত গরীব ৷ কোন কোন রিওয়ায়তে
হাদীসটি মওকুফ রুপে বর্ণিত ৷
আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের বিবরণে আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) সুত্রে উল্লেখ
করেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ “আরশ বহনকারী আল্লাহর ফেরেশতাদের এক
ফেরেশত৷ সম্পর্কে বলার জন্য আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷৩ তার কানের লতি থােক কাধ
পর্যন্ত সাতশ’ বছরের দুরতৃ ৷” দাউদ ও ইবন আবু হাতিম (র) তা বর্ণনা করেছেন ৷ আবু
হাতিমের পাঠে আছে পাখির গতির সাতশ’ বছর ৷
জিবরাঈল (আ) এর পরিচিতি অধ্যায়ে একটি গুরুত্বপুর্ণ তথা বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ
তা আলা বলেনং : ৷১ অর্থাৎ-তাকে শিক্ষাদান করে শক্তিশালী ৷ (৫৩ : ৫)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলিমগণ বলেন, জিবরাঈল (আ) তার প্রবল শক্তি দ্বারা লুত
(আ) এর সম্প্রদায়ের বসতিগুলাে-যা ছিল সাতটি তাতে বসবাসকারী লোকজন যারা ছিল
প্রায় চার লাখ এবং তাদের পশু পক্ষী, ব্জীব-জানােয়ার, জমি-জমা, অট্টালিকাদিসহ তার একটি
ডানার কোণে তুলে নিয়ে তিনি উর্ধ্ব আকাশে পৌছে যান ৷ এমনকি ফেরেশতাগণ কুকুরের ঘেউ
যেউ ও মুরগীর আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পান ৷ তারপর তিনি তাকে উল্টিয়ে উপর দিক নিচে করে
দেন ৷ এটাই হলো এে১ট্রুশু৷ ৷ঝু এর তাৎপর্য ৷ আল্লাহর বাণীং : ;দ্বু০টু১ অর্থ অপরুপ সুন্দর
আকৃতিসম্পন্ন ৷ যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ তা জানা বলেন০ :
নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসুলের বাহিত বার্তা ৷ (৬৯০০ ৪০)
(দ্বুকুদ্বু অর্থাৎ জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্র দুত করীম সুদর্শন ৷
অর্থ প্রবল শক্তিমড়ান এেএ অর্থ আরশের
মহান অধিপতির নিকটে তার উচ্চ মর্যাদা রয়েছে ৷ ৰুার্মুপুগু অর্থ উর্ধ্ব জগতে তিনি সকলের
অনুকরণীয় ৷ ট্রুঙ্কুন্ণ্ ৷ অর্থ তিনি গুরুতৃপুর্ণ আমানতে তর অধিকারী ৷ এ জন্যই তিনি আল্লাহ ও
নবীগণের মাঝে দুত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন, যিনি তাদের উপর সত্য সংবাদ ও
তারসামপুর্ণ শরীয়ত সম্বলিত ওহী না ৷যিল করতে ন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (স ) এর নিকট আগমন
করতেন ৷ ত ৷র ৷নিকট তিনি অবতরণ করতে ন বিভিন্ন রুপে ৷ যেমন আমরা পুর্বে বর্ণনা করেছি ৷
আল্লাহ তাআল৷ জিবরাঈল (আ)-কে যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন; রাসুলুল্লাহ (স৷ ) সে
আকৃতিতে তাকে দু’বার দেখেছেন ৷ তার রয়েছে ছ’শ ডানা ৷ যেমন ইমাম বুখারী (র) তাল্ক
ইবন গান্নাম ও যায়েদ৷ শায়বানী (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ যায়েদ৷ শায়বানী (র ) বলেন, আমি
যিৱ (র) কে আল্লাহর বাণী৪
সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন : আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা) জিবরাঈল (আ) কে তার ছ’শ ডানাসহ দেখেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ বলেন : রাসুলুল্লাহ (সা) জিবরাঈল
(আ) কে ত ৷র ৷নিজ আকৃতিতে দেখেছেন ৷ তার ছ’শ ডানা ছিল ৷ প্রতিটি ডানা দিগন্ত আচ্ছাদিত
করে ফেলেছিল ৷৩ তার ডানা থেকে ঝরে পড়ছিল নানা বর্ণের মুক্তা ও ইয়াকুত ৷ এ সম্পর্কে
আল্লাহ্ই সমধিক অবহিত ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা)পুা;
মোঃ ৷ ;দ্বুট্রু এ আয়াতেব ব্যাখ্যার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ আমি জিবরাঈল
(আ) কে দেখেছি ৷ত তার ছ শ ডানা ছিল ৷৩ারত পালক থেকে নানা বর্ণের মণি-মুক্তা ছড়িয়ে
পড়ছিল ৷
আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন :
“আমি সিদরাতুল মুনতাহা’র নিকট জিবরাঈল (আ)-কে দেখেছি ৷ তখন ছিল তার ছ’শ ডানা ৷
হুসায়ন (বা) বলেন, আমি আসিমকে ডানাসমুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে তা
জানাতে অস্বীকৃতি জা ৷ন ৷ পরে ত ৷র ৷জনৈক সং গী আমাকে জা ৷নান যে ত ৷র ডানা পৃথিবীর পুর্ব
ও পশ্চিমের মধ্যবর্তী দুরত্বে র সমান ৷ উল্লেখ্য যে এ রিওয়ায়ে৩ গুলোর সনদ উত্তম ও
নির্ভরযোগ্য ৷ ইমাম আহমদ (র) এককতা ৷বেই৩ ৷বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, শাকীক (র) বলেন, আমি ইবন মাসউদ (রা) কে
বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন৪ “আমি জিবরাঈলকে তারুণ্য দীপ্ত যুবকের
আকৃত্যিত দেখেছি, যেন তার সাথে মুক্ত৷ ঝুলছে” ৷ এর সনদ সহীহ ৷
আবদুল্লাহ (যা) থেকে ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ (বা)
প্রুার্চুাঠু পুাদ্বুএ৷ এ আঘাতের ব্যাখ্যার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) জিবরাঈল (আ)-কে সুক্ষ্ম
রেশমের তৈরি দুই জোড়া পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন ৷ তিনি তখন আকাশ ও পৃথিবীর
মধ্যবর্তী গোটা স্থান জুড়ে অবস্থান করছিলেন ৷ ’ এর সনদও উত্তম ও প্রামাণ্য ৷
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে যে, মাসরুক বলেন, আমি একদিন আয়েশা
(রা) এর নিকট ছিলাম ৷ তখন আমি বললাম, আল্লাহ্ ৷ আলা কি একথা বলছেন না যে,
সে তো (মুহাম্মদ)৩ তাকে (জিবরঈলকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে ৷
(৮১ং : ২৯) প্রু, (নিশ্চয় সেত তাকে আরেকবার দেখেছিল ৷) (৫৩০ : ১৩)
উত্তরে আয়েশা (রা) বললেন এ উম্মতের আমিই প্রথম ব্যক্তি যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ সম্পর্কে
প্রশ্ন করেছিল ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন৪ উনি হলেন জিবরা ঈল’ ৷ তিনি তাকে আল্লাহ সৃষ্ট তার
আসল অবয়রে মাত্র দু’বার দেখেছেন ৷ তিনি তাকে দেখেছেন আসমান থেকে যমীনে
অবতরণরত অবস্থায় ৷ তখন তার সুবিশাল দেহ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানকে জুড়ে
রেখেছিল ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) জিবরাঈল
(আ) কে বললেনং “আচ্ছা, আপনি আমার সঙ্গে যতবাব সাক্ষাৎ করে থাকেন তার চেয়ে
অধিক সাক্ষাৎ করতে পারেন ন ”ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তারপর নিম্নোক্ত আয়াত
নাযিল হয়০
অর্থাৎ আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি ন ৷ যা আমাদের
সম্মুখে ও পশ্চাতে আছে এবং বা এ দু’-এর অন্তর্বর্তী; তা তারই ৷ (১৯ : ৬৪)
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) সর্বাপেক্ষা
বেশি দানশীল ছিলেন ৷ আর তার এ বদান্যত৷ রমযান মাসে, যখন জিবরাঈল (আ) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করতেন, তখন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে ৷ ৷ জিবরাঈল (আ) রমযানের প্রতি রাতে তার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুরআনের দা রস দিতেন’ ৷ যোটকথা, রাসুলুল্লাহ (সা ) কল্যাণ যা বলে মুক্ত
বায়ু অপেক্ষাও অধিকতর উদা ৷র ছিলেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বনাি করেন যে, ইবন শিহাব (র) বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয
(র) একদিন আসর পড়তে কিছুটা বিলম্ব করে ফেলেন ৷ তখন উরওয়৷ (যা) তাকে বললেন,
নিশ্চয়ই জিবরাঈল (আ) অবতরণ করে রাসুলুল্লাহ (সা ) এর সামনে র্দাড়িয়ে সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ এ কথা শুনে উমর (রা) বললেন, হে উরওয়া! তুমি যা বলছ, আমার তা জানা
আছে ৷ আমি বশীর ইবন আবু মাসউদকে তার পিতার বরাতে বলতে শুনেছি যে, তিনি
রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন০ জিবরাঈল (আ)অ অবতরণ করলেন ৷ তারপর তিনি
আমার ইমামতি করলেন ৷ আমি তার সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার সঙ্গে
সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার
সঙ্গে সালাত আদায় করলাম ৷ এভাবে আঙ্গুল দ্বারা গুণে গুণে তিনি পাচ নামাযের কথা উল্লেখ
করেন ৷
এবার ইসরাফীল (আ) এর পরিচিতি জানা যাক ৷ ইনি আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের
একজন ৷ ইনি সেই ফেরেশত ৷, যিনি তার প্রতিপালকের আদেশে শিক্ষায় তিনটি ফুৎকার
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ১৬
দেবেন ৷ প্রথমটি ভীতি সৃষ্টির, দ্বিতীয়টি ধ্বংসের এবং তৃভীয়টি পুনরুথানের ৷ এর বিস্তারিত
আলোচনা পরে আমাদের এ কিতাবের যথাস্থানে আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
সুর ( এফ্রাং১১ হলো একটি শিক্ষা, যাতে ফুৎকার দেয়৷ হবে ৷ তার প্রতিটিআওয়াজ আকাশ
ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দুরত্বের সমান ৷ আল্লাহ যখন তাকে পুনরুথানের জন্য ফুৎকার দেয়ার
আদেশ করবেন, তখন মানুষের রুহগুলে৷ তার মধ্যে অবস্থান নিয়ে থাকবে ১ তারপর যখন তিনি
ফুৎকার দেবেন, তখন রুহগুলে৷ রিহ্বল চিত্তে বেরিয়ে আসবে ৷ ফলে আল্লাহ তা আল৷ বলবেন,
আমার ইয্যত ও পরাক্রমের শপথ প্রতিটি রুহ্৩ তার দেহে ফিরে যাক দৃনিয়াতে যে দেহকে
প্রাণবন্ত রাখতো ৷ ফলে রুহ্গুলে৷ কবরেগ্ গিয়ে দেহের মধ্যে ঢুকে পড়ে এমনভাবে মিশে যাবে
যেমনটি বিষ সর্পদষ্ট ব্যক্তির মধ্যে মিশে যায় ৷ এতে দেহগুলো প্রাণবম্ভ হয়ে যাবে এবং
কবরসমুহ বিদীর্ণ হয়ে যাবে আর তারা দ্রুত গতিতে হাশরের ময়দানের ৷দকে বেরিয়ে পড়বে ৷
যথাস্থানে এর বিস্তারিত আলোচনা আসবে ৷ আর এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ,
অর্থাৎ আমি কিভাবে স্বাচ্ছন্দব্র বোধ করি যেখানে শিঙ্গাধাবী ফেরেশত৷ শিঙ্গা মুখে নিয়ে
মাথা ঝুকিয়ে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন ৷
একথা শুনে সাহাবাগণ বললেন, তাহলে আমরা কি দৃআ পাঠ করবো ইয়া রাসৃলাল্লাহ!
জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমরা বলবে ং
আমাদের আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ তিনি উত্তম অভিভা ৷বক ৷ আল্লাহর উপরই আমাদের ভরসা ৷
ইমাম আহমদ (র) ও তিরমিষী (র) আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণিত আতিয়্যা
আল-আওফী-এব হাদীস থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
শিঙ্গাধারী ফেরেশতার কথা আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তার ভাবে জিবরাঈল ও বামে মীকাঈল
(আ) অবস্থান করছেন ৷
তাবারানী (ব) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) একদিন বসা
অবস্থায় ছিলেন ৷ জিবরাঈল (আ) তখন তার পাশে অবস্থান করছিলেন ৷ এমন সময়ে দিগন্ত
ভেদ করে ঝুকে ঝুকে ইসরাফীল (আ) পৃথিবীর নিকটবর্তী হতে শুরু করেন ৷ হঠ৷ ৷ৎ দেখা গেল
একজন ফেরেশত৷ বিশেষ এক আকৃতিতে ৩নবী কবীম (সা) এর সামনে উপস্থিত হয়ে বললেন,
হে মুহাম্মদ বান্দ৷ নবী ও বাদশাহ নবী এ দৃ’য়ের কোন একটি বেছে নেয়ার জন্য আল্লাহ্
তাআলা আপনাকে আদেশ করছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন৪ তখন জিবরা ঈল (আ ) তার হাত
দ্বারা আমার প্রতি ইংগিতে বলেন যে, আপনি বিনয় অবলম্বন করুন ৷ এতে আমি বুঝতে
পারলাম যে,৩ তিনি আমার মঙ্গলার্থেই বলছেন ৷ ফলে আমি বললামং , আমি বান্দ৷ নবী হওয়াই
পছন্দ করি ৷ তারপর সে ফেরেশত৷ আকাশে উঠে গেলে আমি বাংলায়, হে জিবরাঈল৷ এ
ব্যাপারে আমি আপনার নিকট জিজ্ঞেস করব বলে মনন্থ করেছিলাম ৷ কিন্তু আপনার ডাবগতি
দেখে আর তা জিজ্ঞেস করতে পারলাম না ৷ এবার বলুন, ইনি কে, হে জিবরাঈলঃ জবাবে
জিবরাঈল (আ) বললেন : ইনি ইসরাফীল (আ) ৷ যেদিন আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন সেদিন
থেকেই তিনি তার সম্মুখে পদদ্বয় সোজা রেখে নত মস্তকে দাড়িয়ে আছেন ৷ কখনো তিনি চোখ
তুলেও তড়াকান না ৷ তার ও মহান প্রতিপালকেয় মধ্যে রয়েছে সত্তরটি নুরের পর্দ৷ ৷ তার কোন
একটির কাছে ঘেষলে তা তাকে পুড়িয়ে ফেলবে ৷ তার সামনে একটি ফলক আছে ৷ আকাশ
কিত্ব৷ পৃথিবীর ব্যাপারে আল্লাহ কোন আদেশ দিলে সে ফলকটি উঠে গিয়ে তা তার
ললাট দেশে আঘাত করে ৷ তখন তিনি চোখ তুলে তড়াকান ৷ সে আদেশ যদি আমার কর্ম সম্পৃক্ত
হয়; তাহলে সে ব্যাপারে আমাকে তিনি আদেশ দেন আর যদি তা মীকা ঈল এর কাজ সং ক্রান্ত
হয় তাহলে তিনি তাকে তার আদেশ দেন ৷ আর যদি তা মালাকুল মউতের কা জ হয় তবেত তিনি
তাকে তার আদেশ দেন ৷ আমি বললড়াম, হে জিবরাঈল ! আপনার দ য়ি কী? তিনি বললেন,
বায়ু ও সৈন্য সংক্রান্ত ৷ আমি বললড়াম, আর মীকাঈল কিসের দায়িত্বে নিয়ােজিতঃ বললেন,
উত্তিদাদি ও বৃষ্টির দায়িত্বে ৷ আমি বললড়াম, আর মালাকুল মউত কোন দায়িত্বে আছেন?
বললেন, রুহ্ কবয করার দায়িত্বে ৷ আমি (ত ৷ মনে করেছিলাম, উনি কিয়ামত কায়েম করার
জন্য অবতরণ করেছেন বুঝি! আর আপনি আমার যে ডাবগতি দেখেছিলেন, তা কিয়ামত
কায়েম হওয়ার ভয়েই হয়েছিল ৷ এ সুত্রে এটি গরীব হাদীস ৷ সহীহ মুসলিমে আয়েশা (না)
থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) রাতে যখন নামায পড়ার জন্য দণ্ডায়মান হতেন, তখন
তিনি বলতেন :
অর্থাৎ হে আল্লাহ হে জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল এর প্রতিপালক! হে
আকাশসমুহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, গুপ্ত ও প্রকাশ্য সবকিছুর পবিজ্ঞ তা তৃমিই তো তোমার
বান্দাদের মাঝে সে বিষয়ে মীমাৎসা করবে, যে বিষয়ে তার৷ মতবিরোধে লিপ্ত ছিল ৷ তুমি
আমাকে সত্যের বিরােধপুর্ণ বিষয়ে হিদায়ত দান কর ৷ তুমি তো যাকে ইচ্ছা কর তাকেই সঠিক
পথের সন্ধান দিতে পার ৷
শিঙ্গা সম্পর্কিত হাদীসে আছে যে, ইসরাফীল (আ)-ই হবেন প্রথম, যীকে আল্লাহ ধ্বংসের
পর শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার জন্য পুনর্জীবিত করবেন ৷
মুহাম্মদ ইবন হাসান নাক্কাশ (ব) বলেন, ইসরাফীল (আ)-ই ফেরেশতাদের মধ্যে সর্বপ্রথম
সিজদ৷ করেছিলেন ৷ এরই পুরস্কারস্বরুপ তাকে লাওহে মাহকুজের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ আবুল
কাসিম সুহায়লী (ব) তার
নামক কিভাবে এ কথাটি বর্ণনা করেছেন ৷
আল্লাহ তাআলা বলেনং :
অর্থাৎ যে কেউ আল্লাহর, তার ফেরেশতাদের, তার রাসুলগণের এবং জিবরাঈল ও
মীকাঈলের শত্রু ৷ , (২ : ৯৮)
এ আয়াতে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন হওয়ার কারণে জিবরাঈল ও মীকাঈল (আ)-কে ব্লুর্চু১াশু
-এর উপর এে কর৷ হয়েছে ৷ জিবরাঈল হলেন এক মহান ফেরেশত৷ ৷ পুর্বেই তার প্রসঙ্গে
আলোচনা হয়েছে ৷ আর মীকাঈল (আ) হলেন বৃষ্টি ও উদ্ভিদ দিব দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ তিনি
আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ও ভৈনকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাদের অন্যতম ৷
ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে রিওয়ায়েত করেন, তিনি বলেছেন যে,
নবী করীম (সা) জিবরাঈল (আ)-কে বললেন : “ব্যাপার কি, আমি মীকাঈল (আ ) কে
কখনো হাসতে দেখলাম না যে? উত্তরে জিবরাঈল (আ) বললেন, মীকাঈল (আ) জাহান্নাম
সৃষ্টির পর থেকে এ যাবত কখনো হাসেন নি ৷
এ হলো সে সব ফেরেশতার আলোচনা, পবিত্র কুরআনে র্ষাদের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ সিহাহসিত্তায় নবী করীম (না)-এর দৃআয়ও এদের উল্লেখ রয়েছে ৷ তাহলাে,
জিবরাঈল (আ) এর দায়িতু ছিল উম্মরুত র কাছে পৌছে দেয়ার জন্য নবী রাসুলগণের
নিকট হিদায়াত নিয়ে আসা ৷ মীকা ঈল (আ) বৃষ্টি ও উন্তিদা দিব দায়িত্বে নিয়োজিত যা র মাধ্যমে
এ দুনিয়াতে জীবিকা সৃষ্টি করা হয় ৷ত তার অনেক সহযোগী ফেরেশত৷ আছেন, আল্লাহর আদেশ
অৰুসারে৩ তিনি যা বলেন তারা তা পালন করেন ৷ আল্লাহ্ তা জানার মর্জি অনুযায়ী তারা বাতাস
ও যেঘমালা পরিচালিত করে থাকেন ৷ আর পুর্বে আমরা বনাি করে এসেছি যে, আকাশ থেকে
যে কোটাটিই পতিত হয়, তার সাথে একজন ফেরেশত৷ থাকেন যিনি সে ফৌটাঢি পৃথিবীর
যথাস্থানে স্থাপন করেন ৷ পক্ষাম্ভরে ইসরাফীল (আ)-কে কবর থেকে উথানের এবং কৃতজ্ঞদের
সাফল্য লাভ ও কৃতঘুদের পরিণতি লাভ করার উদ্দেশে পুনরুথান দিবসে উপস্থিত হওয়ার
জন্য শিক্ষায় ফুৎকার দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করে রাখা হয়েছে ৷ ঐ দিন কৃতজ্ঞদেব পাপ
মার্জন৷ করা হবে এবং তাদের পুণ্য কর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে ৷ আর কৃতঘুদের আমল
বিক্ষিপ্ত ধুলির ন্যায় হয়ে যাবে আর সে নিজের ধ্বংস ও মৃত্যু কামনা করবে ৷
যোটকথা, জিবরাঈল (আ) হিদায়েত অবত ৷রণে র দায়িত্ব পালন করেন মীকাঈল (আ)
জীবিকা প্রদানের দায়িতৃ পালন করেন আর ইসরাফীল (আ) পালন করেন সাহায্য দান ও
প্রতিদানের দায়িহ্ ৷ কিন্তু মালাকুল মউতের নাম কুরআন এবং সহীহ হাদীসসমুহের কো থাও
স্পষ্ট উল্লেখ নেইত ৷ তবে কোন কোন রিওয়ায়েতে তাকে আযরা ৷ঈল নামে অভিহিত করা হয়েছে ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
অৰুল্লড়াহ্ তা আলা বলেনশু ং
অর্থাৎ- বল, তোমাদের জন্য মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে ৷ অবশেষে
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যানীত হবে ৷ (৩২ : ১ ১)
এ মালাকুল মউতেরও কিছু সহযোগী ফেরেশতা আছেন, যারা মানুষের রুহ্কে দেহ থেকে
বের করে তা কণ্ঠনালী পর্যন্ত নিয়ে আসেন, তারপর মালাকুল মউত নিজ হাতে তা কবয
করেন ৷ তিনিাতা কবয করার পর সহযোগী ফেরেশতাগণ এক পলকের জন্যও তা তার হাতে
থাকতে না দিয়ে সং গে সং গে তারা তাকে নিয়ে উপযুক্ত কাফনে আবৃত করেন ৷ নিম্নের আয়াতে
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ং
অর্থাৎ যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে ইহজীবনে ও পরজীবলে আল্লাহ
সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন ৷ (১৪ ং ২৭)
তারপর তারা রুহ্টি নিয়ে উর্ধ্ব জগতের দিকে রওয়ান৷ হন ৷ রুহ্ যদি সৎকর্মপরায়ণ হয়,
তাহলে তার জন্য আকাশের দ্বারসমুহ খুলে দেওয়া হয় ৷ অন্যথায় তার সামনেই তা বন্ধ করে
দিয়ে তাকে পৃথিবীর দিকে ছুন্ড় ফেলা হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন ং
অর্থাৎ তিনিই তার বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী এবং তিনিই তোমাদের রক্ষক প্রেরণ
করেন; অবশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, তখন আমার প্রেরিতরা তার
মৃত্যু ঘটায় এবং তার কোন ত্রুটি করে না ৷ তারপর তাদের প্রকৃত প্রতিপালকের দিকে
তারা প্রত্যানীত হয় ৷ দেখ, কর্তৃত্ব তো তারই এবং হিসাব গ্রহণে তিনিই সর্বাপেক্ষা তৎপর ৷
(৬ : ৬১-৬২)
ইবন আব্বাস (রা) ও মুজাহিদ (র) প্রমুখ থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, গোটা পৃথিবী
ালাকুল মউতে র সামনে একটি পাত্রের ন্যায় ৷ তার যে কোন অংশ থেকে ইচ্ছা তিনি হাত
বাড়িয়ে গ্রহণ করতে পারেন ৷ আমরা এও উল্লেখ করেছি যে, মৃত্যুর ফেরেশতাগণ মানুষের
নিকট তার আমল অনুপাতে আগমন করে থাকেন ৷ লোক যদি ঘু’মিন হয়, তবে তার নিকট
উজ্জ্বল চেহারা, সাদা পোশাক ও হৃদয়রান ফেরেশ৩ ৷গণ আগমন করেন ৷ আর লোক যদি
কাফির হয়ত তাহলে এর বিপরীতবেশী ফেরেশতাগণ আগমন করেন ৷ এ ব্যাপারে আমরা মহান
আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি ৷
জাফর ইবন মুহাম্মদ৩ তার পিতাকে বলতে শুনেন যে, একদা রাসুলুলুাহ (সা) জনৈক
আনসারীর শিয়রে বসে মালাকুল মউতকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেনং : হে মালাকুল মউত
আমার সাহাবীর সঙ্গে সদয় ব্যবহার করুন ! কারণ সে মুমিন ৷ জবাবে মালাকুল মউত বললেন
হে মুহাম্মদ! আপনি নিশ্চিত থাকুন এবং আপনার চোখ জুড়াক, কেননা আমি প্রত্যেকটি মুমিনের
ব্যাপারেই সদয় ৷ আপনি জেনে রাখুন, পৃথিবীর কোন মাটির র্কাচ৷ ঘর বা পশম আচ্ছাদিত
তাবু, তা জলে হোক বা স্থলে হোক এমন নেই যেখানে আমি দৈনিক পাচবা র লোকদের তল্লাশি
না করে থাকি ৷ ফলে ছোট বড় সকলকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি ৷ আল্লাহর শপথ! হে
মুহাম্মদ, আল্লাহর আদেশ ব্যতীত একটি মশার রুহ্ কবয করার সাধ্যও আমার সেই ৷
জাফর ইবন মুহাম্মদ বলেন, আমার আব্বা আমাকে জানিয়েছেন যে, মৃত্যুর ফেরেশতাগণ
নামাযের সময়ও লোকদেরকে তল্লাশি করে ফিরেন ৷ তখন কারো মৃত্যুর সময় এসে পড়লে যদি
সে নামাযের পাবন্দ হয়ে থাকে তাহলে ফেরেশত৷ তার নিকটে এসে শয়৩ ৷নকে তাড়িয়ে দেন
এবং সে সঙ্কটময় মুহুর্তে তাকে এর তালকীন করেন ৷
এ হাদীসটি মুরসাল এবং কেউ কেউ এর সমালোচনা করেছেন ৷ শিঙ্গ৷ সম্পর্কিত হাদীসে
আমরা আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বাসুলুল্লাহ (না)-এর একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছি ৷ তাতে
এও আছে যে, আল্লাহ তাআলা ইসরাফীল (আ) কে ধ্বংসেরফুৎকারের আদেশ করবেন ৷ সে
তেতিনি ফুত্কার দিলে আকা শসমুহ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা সকলেই ধ্ব স হয়ে যাবে ৷ কেবল
তারাই নিরাপদ থাকবেন, যাদেরকে আল্লাহ নিরাপদ রাখতে ইচ্ছা করবেন ৷ এভাবে তারা বিনাশ
হয়ে গেলে মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহ তা আলার নিকট এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক!
আপনি যাদেরকে রক্ষা করতে ইচ্ছা করেছেন তারা ব্যতীত আকাশসমুহ ও পৃথিবীর
অধিবাসীদের সকলেই তো মারা গিয়েছে ৷ কে কে জীবিত আছে তা জানা থাকা সত্বেও আল্লাহ
তাআলা বলবেন : কে জীবিত রইলো ? তিনি বলবেন, জীবিত আছেন আপনি, যিনি চিবঞ্জীব,
ইা৷র মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আছেন আপনার আরশ বহনকারিগণ এবং জিবরাঈল ও মীকাঈল ৷
এ কথা শুনে আল্লাহ তাআলা বলবেন : জিবরাঈল এবং মীকাঈলেরও মৃত্যু হয়ে যাক ৷ তখন
আরশ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে ৷ সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! জিবরাঈল এবং
মীকাঈলও মারা যাবেন? আল্লাহ বলবেন : চুপ কর ! আমার আরশের নিচে যায়৷ আছে; তাদের
প্রত্যেকের জন্য আমি মৃত্যু অবধারিত করে রেখেছি ৷ তারপর তারা দু’জনও মারা যাবেন ৷
তারপর মালাকুল মউত মহান আল্লাহর নিকট এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক!
জিবরাঈল এবং মীকা ঈলও তো মারা গিয়েছেন ৷ একথা শুনে আল্লাহ তাআলা বলবেন অথচ
কে বেচে আছে সে সম্পর্কে তিনি সমধিক অবহি৩, তাহলে আর কে বেচে আছেঃ তিনি বলবেন
বেচে আছেন আপনি চিরঞ্জীব সত্তা, র্যার মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আছে আপনার আরশ
বহনকারিগণ ও আমি ৷ তখন আল্লাহ তা আল৷ বলবেন : আমার আরশ বহনকারীদেরও মৃত্যু
হোক ৷ ফলে তারা মারা যাবেন এবং আল্লাহর আদেশে আরশ ইসরাফীলের নিকট থেকে
শিঙ্গাটা নিয়ে নেবেন ৷৩ তারপর মালাকুল মউত এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক আপনার
আরশ বহনকারিগণ মারা গেছেন ৷ তা শুনে আল্লাহ তা জানা বলবেন ৷ যদিও কে বেচে আছে
তা তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন তাহলে আর কে বেচে আছেঃ৩ তিনি বলবেন, বেচে
আছেন আপনি চিরঞ্জীব সত্তা, যার মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আ ৷ছি আমি ৷ তখন আল্লাহ তা জানা
বলবেনং তুমিও আমার সৃষ্টিসমুহের একটি সৃষ্টি ৷ আমি তোমাকে বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি
করেছিলাম ৷ অতএব, তুমিও মরে যাও ৷ ফলে৩ তিনিও মারা যাবেন ৷৩ তারপর অবশিষ্ট থাকবেন
শুধু অদ্বিভীয় পরাক্রমশা ৷লী এক ও অমুখাপেক্ষী সত্তা ৷যিনি কা ৷উকে জন্ম দেননি এবং যাকে কেউ
জন্ম দেয়নি, য র তুল্য কেউ নেই, যিনি প্রথমে যেমন ছিলেন, পরেও তেমনি থাকবেন ৷
ইমাম তার রানী, ইবন জারীর এবং বায়হার্কী (ব) এ হাদীসটি সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন ৷
আর হাফিজ আবু মুসা আল-মাদীনী আত-তিওয়ালাত’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার
বর্ণনায় কিছু অতিরিক্ত বিরল কথাও আছে ৷ তাহলাে “আল্লাহ তা’আলা বলবেন৪ তুমি আমার
সৃষ্টিসমুহের একটি সৃষ্টি ৷ তোমাকে আমি বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছিলাম ৷ অ৩ এর, তুমি
এমনভাবে মরে যাও, যারপর আর কখনো তুমি জীবিত হবে না ৷’
কুরআনে যে সব ফেবেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে; প্রাচীন যুগের বিপুল সংখ্যক
আলিমের মতে তাদের মধ্যে হারুত এবং মারুতও রয়েছেন ৷ এদের কাহিনী সম্পর্কে বেশ কিছু
রিওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, যার বেশির ভাগই ইসরাঈলী বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ (র) এ প্রসংে গ ইবন উমর (রা ) থেকে একটি মারকু হাদীস বর্ণনা করেছেন
এবং ইবন হিব্বান তার তাকাসীম’ গ্রন্থে৩ ওাকে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তবে আমার মতে
বর্ণনাটির বিশুদ্ধতায় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা ) এর উপর
মওকুফ হওয়া ৷ই অধিকতর যুক্তিসংপত ৷ সম্ভবত এটি তিনি কা ব আহবার থেকে গ্রহণ করেছেন,
যেমন পরে এর আলোচনা আসছে ৷ উক্ত বর্ণনায় আছে যে, যুহরা তাদের সামনে সেরা সুন্দরী
রমণীরুপে আত্মপ্রকাশ করেছিল ৷
আলী ইবন আব্বাস ও ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, যুহরা একজন রমণী ছিল ৷
হারুত ও মারুত তার নিকট কুপ্রস্তাব দিলে ইসমে আজম শিক্ষা দানের শর্তারোপ করে এবং
তারা তাকে তা শিখিয়ে দেন ৷ তখন যে তা পাঠ করে আকাশে উঠে যায় এবং (শুক্র) গ্রহের
রুপ ধারণ করে ৷
হাকিম (র) তার মুসতাদরাকে বর্ণনা করেন যে , ইবন আব্বাস (রা) বলেন, যে যুগে এমন
একজন রুপসী রমণী ছিল, নারী সমাজে তার রুপ ছিল ঠিক নক্ষত্র জগতে যুহরার রুপের ন্যায় ৷
যুহরা সম্পর্কে বর্ণিত পাঠগুলাের মধ্যে এটিই সর্বোত্তম ৷
কেউ কেউ বলেন, হারুতমারুতের কাহিনীটি ইদরীস (আ) এব আমলে ঘটেছিল ৷ আবার
কেউ বলেন, এটা সুলায়মান ইবন দাউদের আমলের ঘটনা ৷ তাফসীরে আমরা এ কথাটি উল্লেখ
করেছি ৷
মােটকথা, এসব হচ্ছে ইসরাঈলী বর্ণনা ৷ কাব আহবার হলেন এর উৎস ৷ যেমন আবদুর
রায্যাক তার তাফসীর গ্রন্থে কাব আহবার সুত্রে কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর সনদের দিক
থেকে এটি বিশুদ্ধত তর ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
তাছাড়া কেউ কেউ বলেন : ৮৩
এ আয়াত দ্বার ৷জিনদের দৃ টি গোত্রকে বুঝানো হয়েছে ৷ ইবন হাঘৃম (র) এ অভিমত ব্যক্ত
করেছেন ৷ তবে এ অভিমত টি একটি বিরল ও কপট কল্পিত অভিমত ৷
আবার কেউ কেউ ;,পুগ্র৷ ৷ ;ষ্এং fl) ৷ ৷ ন্মু যের ঘোগে পড়েছেন এবং হারুতত ণ্
মারুতাক ইরানের সানীপন্থী দৃ জন লোক বলে অভিহিত করেছেন ৷ এটা ঘাহ্হাকের অভিমত
আবার কারো কারো মতে এরা দৃ জন আকাশের ফেরেশতা ৷ কিভু৷ আল্লাহর পুর্ব নির্ধারণ
অনুযায়ী তাদের এ দশা হয়েছে, যা বর্ণি৩ হয়েছে ৷ যদি তা সঠিক হয়ে ৷থাকে তবে তাদের
ঘটনা ইবলীসের ঘটনার সাথে তুল্য হবে, যদি ইবলীস ফেরেশতাদের নস্তুর্ভুক্ত হয়ে থাকে ৷
কিন্তু বিশুদ্ধতর কথা হলো, ইবলীস জিনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ এর আলোচনা পরে আসছে ৷
হাদীসে যেসব ফেরেশতার নাম এসেছে তন্মধ্যে সুরকার ও নাফীর তানাভৃম ৷ বিভিন্ন
হাদীসে কবরের সওয়াল প্রসঙ্গে তাদের আলোচনা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷ আমরা ট্ট!ত্র
ব্লুৰুএ্ ৷ ট্রু,হুপু৷ এ আয়াভের ব্যাখ্যার তা আলোচনা করেছি ৷
এরা দুজন কবরের পরীক্ষক ৷ মৃত বাক্তিকে তার করবে তার রব, দীন ও নবী সম্পর্কে প্রশ্ন
করার দায়িত্বে এরা নিয়োজিত ৷ এরা সত্কর্মশীল ও পাপ্যচারীদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন ৷ এরা
নীল রঙের ভয়ংকর বড় বড় দাত ভয়ানক আকৃতি ও ভয়ংকর গর্জন বিশিষ্ট ৷ আল্লাহ আমাদের
কবরের আমার থেকে রক্ষা করুন এবং ঈমানের অটল বাণী দ্বারা আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত রাখুন ৷
আমীন
ইমাম বুথারী (র) বর্ণনা করেন যে উরড়য়া বলেন উম্মুল মৃমিনীন আয়েশা রা একদিন
নবী করীম সা) কে বলালনৰু, আপনার উপর উহুদের দিনের চাইতে কঠিনত র হ্রকড়ানদিন
এসেছে কি? উত্তরে নবী করীম ( না ) বললেন ৪৫ তামার সম্প্রদায় থেকে আমি ;য আচরণ
পেয়েছি তন্মভ্রুধ৷ আকাবার (তায়েফের দিনের আচরণঢি ছিল কভ্রুঠারতম ৷ সেদিন আমি ইবন
আবৃদ য়ালীল ইবন আবৃপকিললে-এৱ নিকট আমার দাওয়াত পেশ করলাম ৷ কিভ্যু সে আমার
দাওরাতে কোন সাড়াই দিল না ৷ ফলে আমি বিনগ্ন মুখে ফিরে আমি এবং করনৃছ ছড়াআলিরে
পৌছ৷ পর্যন্ত আমার ভুশই ছিল না ৷ সেখানে পৌছার পর উপর দিকে মাথা তুলে দেখতে পেলাম
যে, একখণ্ড যেন আমার উপর ছারাপাত রেখোছ ৷ সেদিকে তাকিয়ে আমি তার মধ্যে
জিবরাঈল (আ) কে দেখতে পাই ৷ তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন আপনার সম্প্রদায়
আপনাকে যা বলেছে এরা যে জবাব দিয়েছে আল্লাহ তা শ্যুনছেন ৷ তিনি আপনার নিকট
পাহাড়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাকে প্রেরণ করেছেন যাতে আপনি তাকে তাদের
ব্যাপারে যা ইচ্ছা আদেশ করেন ৷ তখন পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে সালাম দিয়ে বললেন (হ
মুহাম্মদ! আপনি যদি বলেন তাহলে এ দৃ পাহাড় চা ৷পা দিয়ে ওদেরকে খতম করে দেই ৷ জবাবে
নবী করীয (না) )বললেন ং “বরং আমি আশা করি যে আল্লাহত তাদের ঔরস থেকে এমন প্রজনা
সৃষ্টি করবেন যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে এর তার সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না৷ট্রু
ইমাম মুসলিম ( র ইবন ওহারের হাদীস থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
পরিছেদ
আল্লাহ তাআলা যেসব উদ্দেশে ফেরেশতাগণকে সৃষ্টি করেছেন সেদিক থেকে
ফেরেশতাগণ কয়েক ভাগে বিভক্ত ৷ তন্মধ্যে একদল হলেন আরশ বহনকারী ৷ উপরে তাদের
সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে ৷ আরেক দল হলেন কারুবীব্যুন ফেরেশতাগণ ৷ আরবের চতুর্গার্শে
এদের অবস্থান ৷ আরশ বহনকারীদের মত এরাও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী এবং ভৈনকট্যপ্রাণ্ড
ফেরেশতা ৷ যেমন আল্লাহ্ তা অলো বলেনং
অর্ধাত্ (ঙ্গসা) মাসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়াকে হেয় জ্ঞান করে না এবং ঘনিষ্ঠ
ফেরেশতাগণও নয় ৷ (৪ : ১৭২)
জিবরফ্লি এবং মীকাঈল (আ)ন্ও তাদেরই অম্ভর্তৃক্ত ৷ আল্লাহ র্তামের সম্পর্কে উঃল্লখ
করেছেন যে, তারা অনুপন্থিতিতে মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন ৷ যেমন আল্লাহ
তাআলা বলেন :
অর্থাৎ-এবং তারা মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বসে, হে আমাদের প্ৰতিপালকস্র
তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী ৷ অতএব যারা তওেৰা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি
তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর ৷
হে আমাদ্যেন্ধ্র প্রতিপালক ! তুমি তাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি
তাদেরকে দিয়েছ এবং তাদের পিতা-মাতা, পত্তি পত্নী ও সত্তান-সত্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করেছে তাদেরকেও ৷ তুমি তাে পরাক্রমশাপী, প্ৰজ্ঞমিয় ৷ এবং ভুমি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা
কর , সেদিন তুমি যাকে শাস্তি হতে রক্ষা করবে, তাকে তো অনৃগ্নহস্থ করবে ৷ এটাই তো মহা
সাফল্য ৷ (৪০ ও ৭-৯)
আর তারা এমন পুত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী হওয়ার কারণে র্তারা তাদেরকে
ভালো-ৰাসেন, যারা এ গুণে গুণাঘিত ৷ যেমন হাদীসে মহানৰী (যা) বলেছেন ও
আলৰিদায়া ওয়ান নিহরাে (১ম পর) ১৭ ৭-