মুসলিম (র) ও কুরুরা ইবন খালিদ (র)আবু হামৃযা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ সহীহ্ (বুখারী ও মুসলিমে) আবু হাম্যা (র) থেকে আরো একাধিক সুত্রে এ
হার্দসেৰুন্ানা বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু দাউদ তায়াসলিসী (র) তীর ঘুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন, শুবা
(র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বলেছেন, আবদুল কায়স-এর প্রতিনিধি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সকাশে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, এ দল কোন গোত্রের ?’ তারা বলল, আমরা রাৰীআ-
গোত্রের ৷ তিনি বললেন, স্বাগতম হে প্রতিনিধিদল ! ইজ্জাতর সাথে অনৃতড়াপ বিহীন আগমন
হোক ! তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা বৃহৎ রাবীআ গোত্রের একটি শাখা; আমরা
অনেক দুর-দুরান্ত থেকে আপনার কাছে এসেছি ৷ মুযারী কাফেরদের ঐ পােত্রটি আপনার এবং
আমাদের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করে রয়েছে ৷ তাই পবিত্র মাস ছাড়া অন্য সময় আপনার কাছে
আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ সুতরাং আমাদের কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিন, আমাদের
পশ্চাতে রয়ে যাওয়া লোকদের আমরা যে বিষয়ের আহবান আমার এবং সে মতে আমরা
জান্নাতে প্রবেশ করব ৷ রাসুলুল্লাহ (স্যু) বললেন, আমি চারটি বিষয় তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি
আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ তোমাদের নির্দেশ করছি এক আল্লাহ্র প্রতি ঈমানের; জান
কি, অল্লোহ্র প্রতি ঈমান কাকে বলে, এক আল্পাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ ইবাদাভ্রুতর
অধিকারী নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া ; সালাত কায়েম
করা, যাকৃড়াত আদায় করা এবং রমযানের সিয়াম পালন করা ৷ এ ছাড়া তোমরা গণীমতের এক
পঞ্চমাংশ (বায়তৃল মালকে) আদায় করবে ৷ চারটি বিষয় তোমাদের নিষেধ করছি লাউয়ের
খােল, সবুজ কলসি, খোদাই করা গাছের গুড়ি এবং আলকাতরা দেওয়া কলসি (থেকে পান
করা, কেননা এগুলো থেকে মদ পান করা হতো) (কোন কোন রিওয়ায়াতে ন্গ্)ন্;া৷ শব্দের
স্থলে ;ৰুএগ্ৰা শব্দ রয়েছে ৷ শব্দদ্বয়ের অর্থ অভিন্ন আল্কাতরা মাখড়ানাে পাত্র) ৷ £তামরা নিজেরা
এ বিষগুলির সংরক্ষণ করবে এবং তোমাদের পশ্চাতবভীচিদরকে এদিকে আহ্বান করবে ৷
বুখারী ও মুসলিম (র)-ও শুবা (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) অন্য
একটি সনদে সাঈদ ইবন আবু আরুবা (র) থেকে আবু সাঈদ (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
দিয়েছেন ৷ যুসলিমের রিওয়ায়ড়াত অতিরিক্ত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আবদুল কারন-এর
দলীয় প্রধান আশাজ্জ (না)-কে বলেছিলেন,
“তোমার মধ্যে এমন দুটি স্বভাব রয়েছে যা মহান আল্লাহ পসন্দ করেন সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য ৷
অন্য এক রিওয়ায়াতে রয়েছে “আল্লাহ এবং তার রাসুল যা পসন্দ করেন ৷
আশাজ্জ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, এ দু’টি আমি সাধনা করে অর্জন করেছি ; নাকি আল্লাহ
জ্জাতভ্যবেই আমাকে তা দান করেছেন ? তিনি বললেন, আল্লাহ
লাতভ্যবে তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি বললেন, যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহ্র, যিনি
আৰু এমন দুটি জন্মগত গুণ দিয়েছেন যা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রিয় ৷
ইমাম আহ্মাদ (র) বলেন, বনু হাসিমের আযাদকৃত গোলাম আবু সাঈদ (র)আল
ষ্শ্ৰী (বা) সুত্রে বলেন, আমি এবং আলু ঘুনযির ইবন আমির আল আশাজ্জ্ব অথবা
আমির ইবনৃল ঘুনযির রাসুললুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাষির হলাম ৷ সংগীদের মাঝে একজন
আর পাগল লোক ছিল ৷ কাফেলা সফর করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদের কাছে পৌছল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখামাত্র সকলে বাহন থেকে লাফিয়ে পড়ে ছুটতে লাগলেন ৷ কাছে গিয়ে
তার? রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে চুমু থেলো ৷ দলপতি আল আশাজ্জ পরে ধীরে সুন্থে তার
বাহন বীধলেন এবং পােশাকের থলে বের করে সেটি খুললেন এবং দৃখানা সাদা কাপড় বের
করে তা পরিধান করলেন ৷
এরপর কাফেলার বাহনগুলো বাধার কাজ সম্পন্ন করে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর খিদমতে হাজির
হলেন, তিনি বললেন, হে আশাজ্জ্ব ! তোমার মাঝে এমন দুটি স্বভাব-গুণ রয়েছে যা মহান
আল্পাহ্ ও তার রাসুল পসন্দ করেন গুণ দুটি হলো সহিষ্ণুতা ও হৈর্য ৷ আশাজ্জ (রা) বললেন,
“ইয়া রাসুলাল্লাহ ! এ দুটি আমার সাধনা-অর্জিত নাকি আল্লাহ্ জম্মগত ভাবে তা আমাকে দান
করেছেন ?” তিনি বললেন, “বরং আল্পাহ্ জন্মগতভাবেই তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি
বললেন, “যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দুটি জন্যাত গুণ দান করেছেন যা
মহান আল্লাহ্ ও তার রাসুল (না)-এর পসন্দনীয় ৷ এ সময় আল ওয়াযি (বা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্পাহ ৷ আমার সাথে আমার এক মামা রয়েছেন, যিনি কিছুটা অপ্ৰকৃতস্থ তার জন্য
আল্লাহর কাছে দৃআ করে দিন ৷ তিনি বললেন, যে কোথায় ? তাকে আমার কাছে নিয়ে
এসো ৷ ” আলু ওয়াযি (বা) বলেন, আমি তখন আল আশাজের পন্থা অনুসরণ করে মামাকে
দৃথানা কাপড় পৰিয়ে নিয়ে আসলাম ৷ নবী করীম (সা) মামাকে পিছন থেকে ধ্রৈ উপরে
তুলতে লাগলেন ৷ এত উপরে তৃললেন যে, আমরা নবী করীম (না)-এর বগলের শুভ্রতা
দেখতে পেলাম ৷ এরপর মামার পিঠে থাপ্পর মেরে নবী করীম (সা) বললেন, “আল্পাহ্র
দুশমন ! বেরিয়ে যা ! মামা মুখ ফেরালে দেখলাম তিনি একজন সুস্থ ও প্রকৃতস্থ মানুষের
দৃষ্টিতে আমাদের দেখছেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র)-এর রিওয়ায়াত ? হুদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাদ (র) সুত্রেহুদ
(র) এর দাদা মাযীদা আল-আবদী (বা) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (না) তার সাহাবীদের
সাথে আংলাচনাকালে বলে উঠলেন-
ষ্এ)ৰুএৰু হ্ঙ্কো
অনতিবিলন্সে এ দিক থেকে এক কাফেলার আগমন ঘটবে, যারা পুবাঞ্চলবাসীদের মাঝে
শ্রেষ্ঠ ৷ তখন হযরত উমর (রা) উঠে যে দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ একটু পরে তিনি তেরজন
আরোহীর সাক্ষাত পেলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের বংশ কি ? তারা বলল,আবদুল
কায়স’ ৷ উমর (রা) বললেন, আমাদের এ দেশে আপনাদের আগমনের হেতু কি ? আপনারা
, কি ব্যবসা করবেন ? তারা বলল, না ৷ উমর (রা) বললেন, শুনুন ! নবী কৰীম (সা) এই মাত্র
আপনাদের কথা আলোচনা করেছেন এবং আপনাদের সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য করেছেন ৷ পরে
তারা উমর (রা)-এর সাথে নবী করীম (সা) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের বললেন, ইনিই
আপনাদের কাংখিত ও উদ্দীষ্ট ব্যক্তি ৷ এ কথা শোনা মাত্র কাফেলার লোকেরা বাহন থেকে
লাফিয়ে পড়ল ৷ কেউ তো দ্রুত হেটে, কেউ লাফাতে লাফাতে এবং কেউ কেউ দ্রুত দৌড়ে
নবী করীম (সা) এর সামনে এসে সকলে তার হাত ধরে চুঘু খেতে লাগল ৷ দলপতি আল