(অনভ্যস্ততার কারণে) তখন তীর হাত র্কাপছিল ৷ তার এ অবস্থার বিবরণ রয়েছে র্তার স্বরচিত
কবিতায়-
১া৷
“মনের অনিচ্ছায় তবুও আমি খেয়ে নিলাম ভুন৷ কলিজা; তা ধরতে গিয়ে কেপে উঠছিল
আমার আঙ্গুলগুলো ৷
রাসুলুল্লাহ্ (যা) সকাশে আযদ’ পােত্রীয়
প্রতিনিধিদলসমুহের আগমন প্রসঙ্গ
মারিফাতুস সাহারা : মোঃ আবুনুআয়ম (র) এবং আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী (র)-
এর বরাতে হাফিজ আবু মুসা আল মদীনী (র) উল্লেখ করেছেন, আবু সুলায়মান আদ দারানী
(র)সুওয়ড়াদ ইবনুল হাব্লিছ অেল আষদী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমার
সম্প্রদায়ের সাত সদস্যের সপ্তম বাতি হয়ে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে প্রতিনিধিরুপে
উপস্থিত হলড়াম ৷ আমরা তীর কাছে নিয়ে তার সাথে কথা বললাম ৷ আমাদের আকৃতি-প্রকৃতি,
আমাদের ভাব-ভঙ্গী ও ৷£পাশাক পরিচ্ছদ তাকে মোহিত করল ৷ তিনি বললেন, তোমাদের
পরিচয় কি ? আমরা বললাম, আমরা মুমিন দল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হাসি দিয়ে বললেন-
এৰুভ্র ড়ো :
“প্রতিটি উক্তির একটি গৃঢ় তত্ত্ব রয়েছে, তোমাদের উক্তি ও ঈমানের মুল বিষয় কি? আমরা
বললাম, পনেরটি বিষয়; পড়াচটি আপনার দুতগণ যে সব বিষয় আমাদের ঈমান ও বিশ্বাস
স্থাপনের কথা বলেছেন ৷ পড়াচটি বিষয় যা তারা আমাদের আমল করতে বলেছেন; আর পড়াচটি
বিষয় এমন যা জাহিলী যুগ হতে আমাদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে ৷ সেগুলি আমরা
পালন করে চলছি, তবে যদি তার কোনটি আপনার অপসন্দ হয় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার দুতগণ যে পড়াচটি বিষয় বিশ্বাস স্থাপনের কথা বলেছেন
সেগুলো কী কী ? আমরা বললাম, আল্লাহ, তার ফিরিশতা, তার কিতাবসমুহ, তার রাসুলগণ
এবং মৃত্যুর পরে পুনরুথান এ পাচটি বিষয় ঈমান রাখার কথা তারা বলেছেন ৷ তিনি বললেন,
যে পাচটি বিষয়ে তোমাদের তারা আমল করতে বলেছেন সেগুলো কী কী? আমরা বললাম,
তারা নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ কালিমার স্বীকৃতি দেই, সালাত কায়েম
করি, যাকাত আদায় করি, রমমানের সিয়ড়াম পালন করি এবং পর ও পাখেয়তে সমর্থরান হলে
বারতুল্পাহ্র হজ্জ করি ৷
তিনি বললেন, জাহিলী যুগ থেকে তোমাদের আহরিত পাচটি নৈতিক বিষয় কী
কী? আমরা বললাম , সে যুগের (জ্ঞানী) লোকেরা বলেছেন, সচ্ছলতায় (আল্লাহর)
শুক্র আমার করা; বিপদে-আপদে ধৈর্যধারণ; তাকদীরের ভাল-মন্দে তুষ্টি; ক্রো সম্মুখীন
মোঃ ক্ষেক্রামুহে সত্তা ও নিষ্ঠ্য এবং ক্রো বিপদে উল্লাস বর্জন করা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ল্যাং €ক্স অিল ৩ ৰিজাে র্তাদের সুবােধ ও সুবুদ্ধি তাদেরকে নৰুয়তের ন্তার ণ্প্টহে
ফ্লিফ্লি ধার ৷
পরে ৰক্রো, ষ্ষি হ্মৰ্ পাচটি ৰিৰ্ব্র ক্ষেমােদের বাড়িয়ে দিচ্ছি; তোমাদের জন্য
কুড়িটি মোঃ মোঃ ধ্টৰে ৷ যদি (তামরা তেমনই হও যেমন (তামরা বলছ ৷
বা ৰ্ওে যার অবকাশ পাবে না তা সঞ্চয় করো না;
মোঃ৷ বসবাসের অবকাশ পাবে না তা নির্মাণ করো না; আগামীকাল যে বিষয়বস্তু হতে তোমরা“ অপসৃত হবে তা
আহরণে প্ৰঅিষাগিতায় লিপ্ত হয়াে না;
৪ অন্মোহ্কে ভয় করে চলবে, যার কাছে তোমাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে এবং যার
সমীপে ৫তামাদের উপস্থিত করা হবে;
এবং তোমাদের যেথায় নিয়ে যাওয় হবে এবং স্থায়ী অবস্থান দেয়া হবে (অর্থাৎ
জান্নড়াত) তার ব্যাপারে সাগ্রহ মনােযােগী থাকবে ৷”
এরপর দলটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে বিদায় দিয়ে চলে গেল এবং তার বিশেষ
নির্দেশের যথাযথ সংরক্ষণ করে তদনুসারে আমল করতে খাকল ৷
কিনদাহ্ গোত্রের প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
আশআছ ইবন কারন এর নেতৃত্বে; আগত এ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল দশের
অধিক আরোহী ৷ তাদের প্রতেব্রুককে দশ উকিয়া এবং দল নেতা আশআছকে বার
উকিয়া উপচৌকনস্বরুপ দেয়া হয়েছিল যার বর্ণনা ইতেড়াপুর্বে গিয়েছে ৷
আস-সাদাফ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
দশের অধিক সংখ্যায় আগত এ প্রতিনিধি দল যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
পৌছলেন তখন তিনি মিনরের উপর ভাষণ দিচ্ছিলেন ৷ তারা সালাম না করে বসে
পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা মুসলমান তো ? তারা বললেন, জী হা !
তিনি বললেন, তবে সালাম করলে না কেন ? তারা তখন তখনই উঠে দাড়িয়ে
বললেন, আসসালামু আলায়কা আষুহোন্নড়াৰিম্যু ওয়া রাহমাতিল্লাহি ও বারাকাতুহু!
তিনি বললেন, ওয়া আলায়কুমুস সালাম ! বসে গড় ! তারা বসে পড়লেন এবং পরে
সালাতের সময়সুচী সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিলেন ৷
খুশায়নী প্রতিনিধি প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী বলেন, আবু ছালাবা আল-খুশানী (বা) আগমন করেছিলেন যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ তিনি তার সাথে খায়বায়ের
অভিযানে অংশ গ্রহণ করলেন ৷ পরে ঐ গোত্রের দশ ৎখ্যার অধিক লোক এসে
ইসলামের ছায়ড়ায় আশ্রয় নিলেন ৷
বনু সাদ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
পরবর্তী প্ৰর্জি ধ“ দলের তালিকায় রয়েছে বনু সাদ ও তার শাখাসমুহ হুযায়ম, বালী,
বড়াহ্রা, বনু আযরাহ্, সালমান, জুহায়না, বনু কাল্ব ও জারমী ৷ বুখারী শরীফে উদ্ধৃত আম্র
ইবন সালামা আল-জারমী (রা)-এর হাদীস বিষয়ে ইভােপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷