১৯২ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া
মদীনায় বিভিন্ন মজলিসে এবং যার য়ার সাথে আমার সাক্ষাত হল তাদের কাছে আলীর নামে
অনুযােগ করলাম ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন এমন অবস্থায় একদিন আমি
সেখানে পৌছলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাকে তার দু’চেখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে তার
কাছে বলে না পড়া পর্যন্ত তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন ৷ আমি তার কাছে বসে
পড়লে তিনি বললেন, “খোলা আমুর ইবন শাস! আল্লাহর
কসম! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো ৷ আমি বললাম, ইন্নড়া লিল্লাহি ওয়া ইন্নড়া ইলায়হি রড়াজিউন
(অর্থাৎ তরে তো তা আমার জন্য চরম মুসীবতের ব্যাপার ৷) ৷ আল্লাহর রড়াসুলকে মনােকষ্ট
দেয়ার ব্যাপারে আমি আল্লাহ এবং ইসলামের আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ তিনি বললেন, আলীকে যে কষ্ট দেয় সে আমাকেই কষ্ট দিল ৷ বায়হাকী অন্য একটি সুত্রে
ইবন ইসহাকের মাধ্যমে এর একটি সমার্থক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
এ প্রসঙ্গে হাফিজ বায়হাকী বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র)বার৷ (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়ামানবাসীদের ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে
থালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-কে তাদের কাছে পাঠালেন ৷ তারা তীর আহ্বানে সাড়া দিল না ৷
পরবর্তী সময়ে য়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব (রা) কে পাঠালেন এবং তাকে থালিদ
বাহিনীকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়ে দিলেন ৷ তবে যারা খড়ালিদ (রা)-এর সাথে ছিল,
তাদের কেউ আলী (রা)এর সাথে থাকতে চাইলে তার জন্য সেরুপ অনুমতি থাকবে ৷ বারা (বা)
বলেন, আলী (রা)প্এর সাথে বয়ে যাওয়া লোকদের মাঝে আমিও ছিলাম ৷ আমরা প্রতিপক্ষীয়
সম্প্রদায়ের কাছে পৌছলে তারা আমাদের কাছে বেরিয়ে এল ৷ আলী (রা) সামনে এগিয়ে গিয়ে
আমাদের সালাতে ইয়ামতি করলেন ৷ পরে আমাদের একটি সারিতে সারিবদ্ধ করার পর
আমাদের সামনে এগিয়ে গেলেন এবং আগত লোকদের রাসৃলুল্লাহ্ (সা)এর চিঠি পড়ে
া:শানান্বলন ৷ ফলে সমুদয়ষ্শ্হামাদান গোত্র ইসলাম কবুল করল ৷ আলী (বা) য়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর
বরাবয়ে তাদের ইসলাম গ্রহণের কথা জানিয়ে চিঠি লিখলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঢিঠির বিবয়বস্তু
অবগত হয়ে সিজদাবনত হলেন ৷ পরে মাথা তুলে বললেন, ;ণ্ ণ্ট্টএেন্ :ট-ঞা ভ্রু ণ্ট্টএেৰু
শ্রোঞা “হামাদানীদের প্রতি সালাম হামাদানীদের প্রতি শাস্তি ! বায়হাকী বলেন, বৃথারী এ
হাদীসখানা অন্য একটি সুত্রে সংক্ষিপ্ত আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বায়াহাকী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন মুহাম্মদ ইবনৃল ফাঘৃল আল কাত্তান (র)আবু সাঈদ
আলৰুখুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিব
(রা)কে ইয়ামানে পাঠালেন ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, র্তার সাথে পমনকাৰীদের মাঝে আমিও
ছিলাম ৷ তিনি য়াকাতের উট সংপ্রহ করলে আমরা সেগুলোকে বাহনরুপে ব্যবহার করার এবং
আমাদের উটগুল্যেকে বিশ্রাম দেয়ার আবেদন জানালার ৷ আমাদের উটগুলোতে আমরা শীর্ণতা
ও দুর্বলতা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ৷ আলী (রা) অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তিনি বললেন,
এতে তোমাদের অংশ অনাড়ান্য মুসলমানদের সমান ৷ বর্ণনাকরীি (আবু সাঈদ রা) বলেন, আলী
(বা) তার কর্তব্য সম্পাদন করার পর ইয়ামান থেকে ফিরে যেতে লাগলে এক ব্যক্তিকে আমাদের
আমীর নিয়োগ করলেন এবং নিজে দ্রুত গতিতে সফর করে (বিদায়) হব্লুজ্জ শামিল হলেন ৷ হজ্জ
সম্পাদনের পরে নবী করীম (না) তাকে বললেন,
“ তোমার সহযোগীদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের
সাথে মিলিত হও ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, আলী (রা) যাকে তীর স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করে
গিয়েছিলেন, আমরা তার কাছে সে আবেদনটি জানিয়েছিলাম যা গ্রহণে আলী (রা) আমাদের
অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ৷ ভারপ্রাপ্ত আমীর তাতে সম্মত হলেন ৷ আলী (রা) যখন যাকাতের
উটপাল দেখে বুঝতে পারলেন যে সেগুলো বাহনরপে ব্যবহৃত হয়েছে এবং সেগুলোতে
আরোহণ চিহ্ন দেখতে পেলেন তখন ভারপ্রাপ্ত আমীরকে সামনে ডাকড়ালেন এবং তাকে তিরষ্কার
করলেন ৷ আমি তখন বললাম, আল্লাহ্র কসম ! মদীনায় পৌছুতে পারলে আমি অবশ্যই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে (বিষয়টি) আলোচনা করব এবং আমাদের প্রতি আরোপিত
কঠোরতা ও বড়ােৰাড়ির বিষয় ও ৷ কে অবহি৩ কররই ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন, আমরা
মদীনায় ফিরে গোলে আমার হলফকৃত বিষয়টি সম্পন্ন করার সংকর নিয়ে আমি সকলে বেলা
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এ র উদ্দেশ্যে বের হলাম ৷ আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরকার থেকে
বেরিয়ে আসার মুখে র্তার সাথে আমার (প্রথম) সস্ফোত হল ৷ তিনি আমাকে দেখতে পেয়ে
আমার সাথে দাড়িয়ে পড়লেন এবং আমাকে স্বাগত সম্ভাষণ জানিয়ে আমার কুশলাদি জিজ্ঞেস
করলেন ৷ আমিও তার কুশলাদির জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, কখন এসে পৌছেছ? আমি
বললাম, গত রাতে ৷ আমার সাথে তিনি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে ফিরে গেলেন ৷ তিনি
ভিতরে প্রবেশ করে বললেন, সাদ ইবন মালিক ইবনুশ শাহীদ এসেছেন! নবী করীম (সা)
বললেন, তাকে আমার অনুমতি দাও ৷ তখন আমি ঢুকে পড়লাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
সালাম করলাম ৷ তিনি আমার স্যলামের জবাব দিলেন এবং আমার দিকে ঘৃখ করে বসে
আমাকে আমার নিজের ও পরিবারের বিষয় জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি খুটে খুটে আমাকে সব
কিছু জিজ্ঞেস করতে থাকলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! কঠোর আচরণ, দৃর্ব্যবহার ও
সংকীর্গতা আলী (রা)-এর কাছ থেকে পেয়েছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন শান্ত স্থির হয়ে
বসন্সেন ৷ আমি আলী (রা)-এর আচরণের অভিযোগ পুনঃপুনঃ ব্যক্ত করতে থাকলাম ৷
একবারের কথার মাঝখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার উরুতে থাপ্পড় দিলেন ৷ আমি র্তার একড়াত
কাছে বসা ছিলাম ৷ তিনি বললেন-
“ওহে সাদ ইবন মালিক ইবনুশ শাহীদ ! তোমার ভাই আলীর সম্বন্ধে তোমার এ ধরনের
কতক উক্তি বন্ধ করা কেননা, আল্লাহর কসম ! আমি উত্তমরুপে অবগত ররেছি যে, সে
অড়াল্লাহ্র পথে ’ উত্তম আচরণ করেছে ৷” আবু সাঈদ (রা) বলেন, আমি তখন বললাম , সড়াদ
ইবন মালিক ! তোমার মা পুত্র হড়ারড়া হোক ! (অর্থাৎ তুমি মরে যাও ! ) তিনি (নবী না) যা অপসন্দ
করেন, আমি নিজেকে তাতেই লিপ্ত দেখতে পেলাম! কি আমি কী হয় ৷ অবশ্য অবশ্যই
আল্লাহ্র কসম ! আর কোন দিন তার নিন্দাবাদ করব না, গোপনেও নয়, প্রকড়ারুংত্বাও নয় ৷ এটি
নড়াসাঈ (র)-এর শর্তানুরুপ উত্তম সনদ ৷ তবে বিশুদ্ধ ছয় গ্রন্থের সংকলকবর্গের কেউ এটি
রিওয়ায়াত করেন নি ৷ অপরদিকে ইউনুস (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে
বল্যেছনইয়াহ্য়া ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আবু উমর (ব) ইয়ড়াষীদ ইবন তালহড়া ইবন
-২৫ ণোণোণো(ট্রুা’ব্রড়া€র্নো০ওেতাে
ইয়াযীদ ইবন রুকানা (যা) থেকে, তিনি (ইয়াযীদ র) বলেন, আলী (রা)-এর সাথে ইয়ামানে
অবস্থানরত তার বাহিনীর মন খারাপ করার কারণ ছিল এই যে, তারা যখন অ্যাপামী হচ্ছিল
তখন আলী (বা) এক ব্যক্তিকে তাদের জন্য স্থলাভিষিক্ত আমীর নিয়োগ করে তড়াড়াহুড়া করে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন ভারপ্রাপ্ত আমীর এই কাজ
করলেন যে, তিনি (বাহিনীর) প্রতিটি লোককে নতুন জোড়াবস্ত্র দিলেন ৷ পিছনে পিছনে সফর
করে তারা যখন তার কাছে এল তখন তিনি তাদের সাক্ষাত দেয়ার জন্য (র্তাবু হতে) তাদের
সামনে বেরিয়ে এলেন ৷ তিনি তাদের পায়ে নতুন পোশাক দেখতে পেয়ে বললেন, এ কী
দেখছি?” তারা বলল, অমুক (ভারপ্রাপ্ত আমীর) আমাদের পােশাকস্বরদ্রুপ দিয়েছেন ৷ তিনি
আনীরকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সকাশে গমনের আগেই এ কাজে কোন বিষয়
তোমাকে উদ্বুদ্ধ করল? সেখানে পৌছার পর তিনি (নবী না) যা ইচ্ছা করতেন! তিনি তাদের
সব পোশাক খুলিয়ে নিলেন ৷ বাহিনী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ফিরে এলে তারা তার কাছে
আলী (রা)-এর নামে এ বিষয়ে অভিযোগ করল ৷ কারণ ঐ এলাকার লোকেরা মুলত রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে সন্ধিবদ্ধ হয়েছিল এবং তিনি আলী (রা)-কে পাঠিয়েছিলেন নির্ধারিত জিঘৃয়া
উসৃল করার কাজে ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : এ বর্ণনাটি বায়হার্কী (র)-এর বর্ণনার কাছাকাছি ৷ কারণ, (তাতে
রয়েছে যে) আলী (বা) হজ্জ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে বাহিনীর আগে চলে এসেছিলেন এবং সাথে
করে তিনি কারবালার উট১ নিয়ে এসেছিলেন ৷ তিনি নবী কবীম (না)-এর ইহ্রামের ন্যায়
ইহ্রামের নিয়ত করেছিলেন ৷ নবী করীম (সা) তাকে (হব্জ্জর শেষ সময় পর্যন্ত) ইহ্রাম
অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেন ৷ বাবা ইবন আযিব (রা)এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, তিনি (আলী
রা) বলেন, আমি কুরবানীর উট সাথে নিয়েছিলাম এবং কিরড়ান’২ হজ্জ করেছিলাম ৷
এ আলোচনার উদ্দেশ্য হল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হযরত আলী (রা) এর সম্বন্ধে একটি সাফ৷ ই
প্রদান করা ৷ তার বাহিনীকে যাকারু৩ র উট ব্যবহারের অনুমতি না দেয়া এবং তার মায়ের ও
ভারপ্রাপ্তের প্রদত্ত জোড়াবস্ত্র বাহিনীর লোকদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার কারণে আলী
(রা) এর সম্বন্ধে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও উচচবাচ্য শুরু হয়ে যায় ৷ অথচ আলী (বা) তার
কর্মকাণ্ডে নির্দোষ ছিলেন ৷ কিন্তু হজ্জ যাত্রীদের মাঝে তার বিষয় বিরুপ সমালোচনা ছড়িয়ে
পড়ে ৷ এ কারণেই৩ (৩ বে আল্লাহই সমধিক অবগত) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হজ্জ সফর সম্পন্ন
করে ও আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পাদনের পর মদীনায় প্ৰত্যড়াবর্তনকালে গাদীরে খুম (জলাশয়)
অতিক্রমকালে সেখানে লোকদের মাঝে দাড়িয়ে ভাষণ দিলেন ৷ এতে তিনি আলী (রা) এর
অবস্থানকে অভিযেম্পোমুক্ত ঘোষণা করলেন ৷ এবং তার উন্নত পদমর্যাদার কথা ব্যক্ত করে তার
মড়াহড়াদুত্ম্যর ব্যাপারে লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ৷ যাতে করে মানুষের মনে তার
ব্যাপারে যে বিরুপ ধারণাটি ছড়িয়ে পড়েছিলণ্ তা বিদুরিত হয়ে যায় ৷
১ মক্কা শরীফ তথা হ্যরামে জবাই করার উদ্দেশ্যে হৃক্তিণ যে – ; ল্যাং নিয়ে যান তাকে হৃন্দী বলা হয়
২ একই সাথে উমরা ও হজ্জ সস্পাদঃনর সংযুক্ত ইহ্হু;ন্ যে: আন ৷য়ের পর ইহ্র ম অবস্থায় থেকে
ঐ ইহ্রামে হজ্জ আদায়ের পন্থাকে মিঃ সংযুক্ত হষ্ ন্মে হয়
ৰুখাৰী (র) বলেন, কুতায়বা (র)আবু সাঈদ আল থুদরী (বা) সুত্রে বলেন, আলী ইবন
আবু তালিব (বা) ইম্নামান থেকে একটি পাকা চামড়ার করে কিছু অপরিশোধিত (খমির মাটি
মিশ্রিত) সৌং ৷ বর্ণৰাকারী বলেন, নবী কৰীম (না) সে স্বর্ণ চারজন লোকের মাঝে
ৰণ্টা করে দিলেন (১) মোঃ ইবন বদর, (২) আকরা ইবন হাবিব, (৩) বাজে আল-খায়ল
(আল ৰ্ায়র) এবং চর্ষে ব্যক্কি মোঃ ইবন উলাছা কিংবা আমির ইবনুত তুফায়ল (বা) ৷
এতে তার সহচরদের জো বসে ৷স্ফো ৷ আমরা এ লোকগুলাের তুলনায় অগ্রগণ ছিলাম ৷
এ মন্তব্য নবী করীম (না)-এর কানে পৌছলে তিনি বললেন-
ন্ট্রু প্লুছুৰুট্রু ম্রা
“তোমরা আমাকে বিশ্বস্ত মনে করছো না? অথচ আসমানে যিনি ৱয়েছেনত তার কাছেও আমি
বিশ্বস্ত , আসমানের খবর৷ দি সক৷ ৷ল-বিকালে আমার কাছে এসে থাকে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
তখন একটি লোক যার চোখ দু’টি কােটরাপত, গণ্ডদ্বয় ফেলো ও কপাল উথিত এবং দাড়ি ঘন,
মাথা কামানাে ও লুঙ্গি গুটানাে দাড়িয়ে বলল, ইয়৷ রাসৃলাল্লাহ্৷ আল্পাহ্কে ভয় করুন ! নবী
কৰীম (সা) বললেন, রে ধুর্ভাগা, আল্লাহুকে ৩য় পাওয়ার ক্ষেত্রে আমিই কি সর্বাধিক হকদার
নই? বর্ণনাকারী বলেন, তখন ৷লাকঢি চলে যেতে লাগলে খালিদ ইবনুল ওলীদ (বা) বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! “এর পদ ৷ ন উড়িয়ে দেব না কি ? ’তিনি বললেন, না; (কেননা) হতে পারে যে
সে সালাত আদায় করে থাকে ৷ খালিদ (বা) বললেন, “কত মুসল্লীই তো মুখে এমন কথা বলে
যা অন্তরে নেই! তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
এপ্যা ছো
(তা হোক) আমি মানুষের অন্তরে সিদ কেটে দেখতে আর তাদের ভিতর কেড়ে দেখতে
আদিষ্ট হই নি ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকটির দিকে তাকালেন, তখন
সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছিল ৷ তখন তিনি ইরশাদ করলেনৰুৰু
“এই যে এথেকে এমন একটি সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়ে যারা অহরহ আল্লাহর কিতাব
(কুরআন) তিলাওযাত করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না; দীন থেকে তারা
এম্নিভাবে ছিটকে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায় ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেন,
আমার ধারণা নবী করীম (সা) একথাও বলেছিলেন আমার
জীবদ্দশায় আমি তাদের পেয়ে গেলে ছাঘুদের নিধনজজ্ঞের ন্যায় তাদের নিধন করব ৷ বুখারী
(ব) তার কিতাবের বিভিন্ন স্থানে এবং মুসলিম (র)ত তার কিতাবুয যাকাতে একা ৷ধিক সুত্রে এ
হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আলী (রা) এর বিচার দক্ষতা প্রসঙ্গে ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াহ্য়া (র) আলী
(র) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ইয়ামানে পাঠালেন, আমি তখন বয়সে
তরুণ ৷ তিনি বলেন আমি বললাম, আমাকে এমন একটি সম্প্রদায়ের দায়িত্ব দিয়ে পাঠাচ্ছেন
যেখানে বিভিন্ন ধরনের ঘটনার অবতারণা হবে, অথচ বিচার কাজে আমার বিশেষ কোন
অভিজ্ঞতা নেই ৷ তিনি বললেন, “আল্লাহ্ তোমার
জিহ্বাকে সুপথ দেখাবেন এবং তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় রাখবেন ৷” আলী (বা) বলেন, ফলে
আমি কোন ব্যক্তির মাঝে ফায়সালা প্রদানে কখনো দ্বিধা-দ্বন্দের শিকার হই নি ৷ ইবন মজাে
(র) এ হাদীস উল্লিখিত সনদে আমাশ (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আসওয়াদ ইবন আমির (র) আলী (বা) সুত্রে বণ্নাি
করেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ইয়ামানে নিয়োগ দিয়ে পাঠালেন ৷ আলী (বা)
বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার চেয়ে প্রবীণদের মাঝে আমাকে
পাঠাচ্ছেন; অথচ আমি বয়সে তরুণ, বিচার কার্যে আমি পারদর্শী নই ৷ আলী (রা) বলেন, নবী
করীম (সা) তার হাত আমার বুকে রেখে বললেন, ফো “হে আল্লাহ্ ৷
আপনি তার জিহ্বায় (ভাষা) দৃঢ়তা দান করুন এবং তার হৃদয়কে সৎপধে পরিচালিত করুন ৷
(তিনি আরো ইরশাদ করলেন)
“হে আলী ! যখন দুই প্রতিপক্ষ তোমার কাছে উপস্থিত হয়ে তখন তাদের মাঝে বিচার-
মীমাংসা করবে না, যতক্ষণ না দ্বিতীয় পক্ষের কাছ থেকে ঐ বিষয়টি শুনে নাও, যা প্রথম
পক্ষের কাছে শুনেছ; কারণ, এমন করলেই তোমার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷” আলী
(বা) বলেন, এর পর থেকে কোন বিচার-ফায়সালায় আমি দ্বিধআেস্ত হই নি৷ (কিৎবা তিনি
বলেছেন,) এরপর থেকে কোন বিচার্ষ বিষয় আমার কাছে জটিল মনে হয় নি ৷ আহমদ (র),
আবু দাউদ (র) ও তিরমিষী (র) বিভিন্ন সুত্রেআলী (রা) থেকে এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা)
থেকে , এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, একটি দল (তিনজন) একই তৃহর অজ্যি নারীর সাথে সঙ্গম
করল ৷ আলী (বা) (এর কাছে এ নারীর সন্তানের বিষয় মীমাংসা চাওয়া হলে তিনি ঐ দলের)
দুওম্পোখাে ৷৬খো বললেন, “তোমরা দুজন ঐ (তৃতীয়) ব্যজ্যি জন্য সন্তানের দাবী
পরিত্যাগে সন্তুষ্ট রয়ােছো ?” তারা বলল, না’ ৷ তখন আলী (রা) (এ দুজনের একজনের সাথে
তৃতীয় ব্যক্তিকে মিলিয়ে) দুজনকে বললেন, “তোমরা দুজন ঐ ব্যক্তির অনুকুলে সন্তানের দাবী
পব্রিত্যাগে সন্তুষ্ট হতে পার ?” তারা দৃজনও বলল, না ৷ (অর্থাৎ প্রত্যেকেই অন্যের দাবী
প্রত্যাখ্যান করল ৷) তখন আলী (বা) বললেন, “তোমরা দেখছি ব্রেম বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন
অংশীদার ৷” তারপর বললেন, “আমি তোমাদের মাঝে কুরআ’ (লটারী) কঃব ৷ যার নামে লটারী
উঠরে; তার বিরুদ্ধে দিয়তের (রক্তপণ) দুই-তৃতীয়াংশের ভিক্রী প্রদান ক্যব এবং সন্তানের
সম্বন্ধ তার সাথে সাব্যম্ভ করে দেব ৷ বর্পনকােরী বলেন, পরে নবী করীম (না)-এর কাছে এ
১ “তুহ্র’ শব্দটির অর্থ পবিত্রতা ৷ ত্রীলোকের দুই মালিকের মধ্যবর্তী পবিত্র থাকার সময়কে
ফিকহের পরিভাষায় তুহ্র’ বলা হয় ৷
যীমাংসার কথা আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, “আলী যা বলছে,
তা ব্যতীত আমিও অন্য কিছু জানি না ৷
আহমদ (র) আরো বলেন, শৃরারহ ইবনুন নুমান (র) যায়দ ইবন আরকাম (রা) থেকে
এ মর্মে বষ্নাি করেন যে, আলী (রা ) এর ইয়ামানে অবস্থুন্যেকড়ালে তীর কাছে তিন ব্যক্তিকে
উপস্থিত করা হল, যাদের প্রত্যেকেই একটি শিশুকে তার নিজের সন্তান বলে দাবী করছিল,
আলী (বা) তাদের মাঝে লটাবী করলেন এবং যার নামে লটাবী উঠল তার বিরুদ্ধে দিয়তেব
দৃই-তৃতীয়াংশের রায় প্রদান করে সন্তানের অধিকার তাকে দিয়ে দিলেন ৷ মায়দ ইবন আরকাম
(রা ) বলেন, আমি নবী কবীম (সা) এর খিদমতে হাযির হয়ে আলী (রা ) এর এ বিচারের কথা
র্তাকে অবহিত করলাম ৷ নবী কবীম (না) এমনভাবে হাসলেন যে তীর মাড়ির র্দাত পর্যন্ত দেখা
গেল ৷ আবু দাউদ (র) ও নড়ানাঈ, আহমদ ও ইবন মাজা এ হাদীসখানা বিতিন্নসৃত্রে বিওয়য়োত
করেছেন ৷
মাসআলা : লটাবীর মাধ্যমে নসব ও বংশ সুত্র নির্ণয় প্রসঙ্গে ইমামগণের মাযহড়াব নসব
নির্ণয়ে কুরআ ও লটাবীর আশ্রয় নেয়ার অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আহমদ (র) এবং এ
অভিমত একাকী জরই ৷ আহমদ (র) আবু সাঈদ (র) আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, নবী কয়ীম (সা) আমাকে ইয়ামানে পাঠালেন, এক সময় আমরা এমন একটি
দলের কাছে পৌছলাম মারা সিংহ শিকারের জন্য খাদ এর ফীদ পেতেছিল ৷ (সিংহ তার মনের
মত ঝুপড়ি পেয়ে সে খাদে অবস্থান নিল ৷) লোকেরা হৈ-হল্লা করতে করতে আসছিল ৷
অতর্কিত এক ব্যক্তি খড়াদে পড়ে গেল, তার সাথে ধাক্কা লেগে গিয়ে আর এক ব্যক্তি এবং তার
সাথে আর এক ব্যক্তি এভাবে যেটি চার ব্যক্তি খাদে পড়ে গেল ৷ সিংহ তাদের সবাইকে বখম
করে দিল ৷ এক ব্যক্তি তার বল্লম দিয়ে সিংহের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে মেরে ফেলল ৷ আর
ঐ বখযী লোকগুলো সকলেই মারা গেল ৷ তখন নিহত প্রথম ব্যক্তির আপনজানরা অন্য ব্যক্তির
আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্যত হল এবং তারা আর হাতে বেড়িয়ে পড়ল ৷ এ
ঘটনার পরপরই আলী (বা) তাদের কাছে উপস্থিত হ্ণেপ ৷ তিনি ৩ ৷ শে র বললেন, তোমরা
পরস্পর হানাহানিতে উদ্যত হচ্ছে) অথচ আল্লাহর রাসুল (সা) এখনও জীবদ্দশায় রয়েছেন ৷
এসো ! আমি তোমাদের মাঝে বিচার-যীমাংসা করে দিচ্ছি, সন্তুষ্টচিত্তে তোমরা তা মেনে নিতে
পারলে উত্তম ৷ অন্যথায় আমি তোমাদের পরস্পরকে প্রতিহত করে রাখব, যতক্ষণ না তোমরা
নবী কবীম (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ৷ তিনি তোমাদের বিচার-মীমাংসা করে দেবেন ৷
এরপরেও যারা বড়াড়াবাড়ি করবে, তাদের কোন ন্যারসঙ্গত অধিকার থাকবে না ৷ গর্ত খননে
যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ৷:পাত্রসমুহ হতে রক্তপণ সংগ্রহ কর ৷ দিয়তের এক-চতৃর্থাংশ,
দিরতের এক-তৃতীয়াংশ, দিয়তের অর্বাংশ এবং একটি পুর্ণাঙ্গ দিয়ত ৷ প্রথম ব্যক্তির জন্য হবে
দিয়তের এক-চতুর্থাংশ ৷ (কেননা, সে সিংহের আঘাতে মারা গিয়েছে বটে, তবে অন্য
তিজােনর মৃত্যুর কারণও হয়েছে, দ্বিতীয় বজ্যি পরবর্তী দৃ’জনের ক্ষেত্রে মাধ্যম কড়ারণ’
তৃতীয় ব্যক্তি একজনের ক্ষেত্রে মাধ্যম কারণ’ হয়েছে; চতুর্থ ব্যক্তি তা হয় নি) ৷ দ্বিতীয় ব্যক্তি
এৰু-ভৃতীরাংশ দিয়ত, তৃতীয় ব্যক্তি অর্ধেক দিয়ত এবং চতুর্থ ব্যক্তি পুর্ণ দিতে পারে ৷
ণহ্মসমুহ এতে সম্মতি প্রদানে অস্বীকৃত হল ৷ পরে তারা নবী করীম (সা ) এর কাছে উপস্থিত
হল ৷ তিনি তখন (বিদায় হজ্জ সম্পাদনরত) মক্যেমে ইবরাহীম’-এর কাছে অবস্থান করছিলেন ৷
তারা তীর কাছে ঘটনার পুর্ণ বিবরণ দিলে তিনি বললেন, আমি তোমাদের মাঝে ফড়ায়সালা করে
দিচ্ছি ৷ তখন আগত দলের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া বহসৃলাল্লাহ্! আলী (রা) তো আমাদের বিচার
করে দিয়েছিলেন ৷ এ কথা বলে সে বিচার ঘটনার পুর্ণ বিবরণ দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জর
অনুমোদন দিয়ে তা বহাল রাখবেন ৷ ইমাম আহমদ (র) এ হাদীস ওয়ার্কী (র)আলী (রা)
সনদেও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ যার বর্ণনা পুর্বানুরুপ ৷
দশম হিজরীতে অনুষ্ঠিত হফ্তেন্তুল বিদা
এ হজ্জটি একাধিক নামে পরিচিত ৷ যেমন, হাজ্জাভুল বালাপ (প্রচার অভিযানের হজ্জ)
হাজ্জড়াতুল ইসলাম (ইসলামের হজ্জ) এবং হাজ্জাতুল বিদা (বিদায় হজ্জ) ইত্যাদি ৷
যেহেতু নবী করীম (সা) এ হত্তজ্জ মুসলিম জনতাকে বিদায় বার্তা জ্ঞাপন করেছেন এবং
এরপরে আর হজ্জ করেন নি ৷ তাই এটিকে ৰিদায় হজ্জ’ নামে অভিহিত করা হয় ৷ আর
ইসলামের হজ্জ নামকরণের যুক্তি হল নবী করীম (সা ) মদীনা হতে (ইসলামী বিমানের
অন্তর্ভুক্ত হজ্জরুপে) আর কোন হজ্জ করেন নি; অবশ্য হিজরতের আগে নৰুয়াতপ্রাপ্তির আগে
পরে একাধিকবার হজ্জ করেছিলেন ৷ কথিত রয়েছে যে, হজ্জ ফরজ হওয়ার বিধান এ বছরই
অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ মতড়ান্তরে নবম হিজরী ও ষষ্ঠ হিজরীর কথাও বলা হয়েছে এবং একটি বিরল
ও একক বর্ণনায় হিজরত পুর্বকালে হজ্জ করব হওয়ার কথাও বর্ণিত হয়েছে ৷ হাজ্জাতুল বালাগ
বা প্রচার অভিযানের হজ্জ নামকরণের কারণ হল নবী করীম (না) এ সময় হজ্জ সম্পর্কে
আল্লাহ পাকের দেয়া বিধিবিধান বাণী ও কর্মের’ মাধ্যমে জনতাকে পৌছিয়ে দিয়েছিলেন এবং
ইসলামের নীতি আদর্শ ও মৌলিক বিধি সবগুলোই বর্ণনা করে দিয়েছিলেন ৷ নবী করীম (সা)
জনতার সামনে হজ্জ বিধান ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়াদির যথাযথ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রদান করে
ইসলামী শরীআত পৌছে দেয়ার দায়িতু সম্পাদন করেছিলেন ৷ তার অড়ারড়াফাতে অবস্থানঃ
কালেই মহান-মহীয়ান আল্লাহ্ এ আয়াত নাযিল করলেন-
“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ
সম্পন্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম” (৫ : ৩) ৷
আনুষঙ্গিক সব কিছুর বিশদ বিবরণ দেয়ার প্রয়াস আমরা পড়ার ৷ নবী কৰীম (না)-এর
বিদায় হৰ্জ্জর যথাযথ ও পুর্ণাঙ্গ রুপরেখা তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য ৷ কারণ, বিষয়টিতে
বপনাকারীদের যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে ৷ র্তারা যার যার জানা মতে বিবরণ দিয়েছেন, বিধায়
এত অধিক পার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ বিশেষত সাহাবী (রা)-এর পরবর্তী স্তরে এ মতপার্থকেব্রুর
আরো বিন্তুতি ঘটেছে ৷ আমরা আল্লাহ পাকের মদদ ও তাওফীকে ইমামগণের গ্রন্থসমুহে
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংগৃহীউ রিওয়ায়াতসমুহ উদ্ধৃত করব এবং সেগুলেড়ার মাঝে এমনভাবে সমন্বয়
সাধনের প্রয়াস পান বা এ বিষয় গভীর দৃষ্টি ও একনিষ্ঠ মনোযোগ প্রদানকারী এবং হাদীসের
শব্দ ও অর্থ এতদুভয়ের সুষম সমন্বয় প্ররাসী নিঃদ্যাত্সম্ভহীদ্দের গোইদা যিটিংয় তাদের প্ৰশান্তি
আনয়ন করবে ৷ আল্লাহ্ ক্রো এবং ত্তিন্থি আঃ!
গ্রাম ষুদ্যে৷ ৩ পরবর্তী যুগের শীর্ষস্থানীয় ইমামগণের অনেবেইি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এ
স্টে! ন্সা ৰিা:গ্ৰ্ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন ৷ এমনকি আবু মুহাম্মদ ইবন হড়াষ্াম আল-
র্টদুষ্কৃদী (র) বিদায় হজ্জ শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন ৷ এতে তিনি
লোঃ পারদৰীতাি ও বত’নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন ৷ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি ৰিচ্যুতির
ট্যাং হয়েছেন আমরা য়থাস্থালে যে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করব ৷ আল্লাহ্ই আমাদের সহায় !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ ও উমরার সং থ্যা প্রসঙ্গ
নবী কবীম (সা) মদীনা হতে একবার মাত্র হজ্জ করেছেন এবং তার আগে তিনবার উমরা
পালন করেছেন ৷ বুখাবী ও মুসলিম (র), হুদরা (র)আনাস (রা) সুত্রে এ মদ্বেইি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আনাস (র ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মোট চারটি উমরা আদায় করেছেন; এর
প্রতিটি ছিল যিলকদ মাংস, তবে তার হৰুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরাটি এর ব্যতিক্রম (সেটি
ছিল জ্জিহজ্জ মাসে) ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র (র)আবু হুরায়রা (রা) হতে হাদীসটি অনুরুপ ৷রিওয়ায়ভে
ৰ্হৃরছেন ৷ তার মা দ ইবন মানসুর (র) দারাওয়ারদী (র) আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তিনটি উমরা করেছিলেন; একটি উমরা
শাওয়াল মাসে এবং দুটি উমরা জিলকদ মাসে ৷ ইবন বুকায়র (র)হিশাম ইবন উরওয়া
(রা) সুত্রে হাদীসটি অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আমৃর ইবন শুআয়ব (র)৩ তীর পিতা তার দাদা
সনদে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ৷৩) ৷তিনরার উমরা আদায় করেছেন; প্রতিবারই ছিল জিলকদ মাসে ৷ অন্য
একটি রিওয়ায়াতে আহমদ (র) বলেন, আবুন নাবৃর (র) (দাউদ আল আক্তার (র)
সনদে)ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) চারবার উমরা
যাত্রা করেছেন ৷ হুদায়বিয়ার উমর৷ , (পরবর্তী বছরে) উমরাতুল কাযা , তৃর্তীয়বার (হুনায়ন
অভিযান শেরে) জিইবৃরানা হতে এবং চতুর্থরার যেটি ছিল তীর হরুজ্জর সাথে ৷ আবু দাউদ,
তিরমিষী ও নাসাঈ (র)-ও এ হাদীসখানা দাউদ আল আত্তার (র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন
এবং তিরমিযী এটিকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন ৷
(উমর তল জিইররানা অনুচ্ছেদে সং শ্রিষ্ট বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে
নবী করীম (সা ) ৷কিরান হজ্জ আদায় করেছিলেন শীর্ষক আরো আলোচনা করা হবে ৷)
উল্লিখিত উমরাসমুহের প্রথমটি হুদায়ৰিয়ার উমরা যাতে নবী করীম ( সা) (মক্কাবাসীন্সের
দ্বারা) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ তার পরে উমরাতৃল কাযা যা উমরা৩ টুল কিসাস ও উমরাতুল
কাযিয়্যা নামেও (সবগুলো বদলী উমরা অর্থে) অভিহিত হয়েছে ৷
তারপর উমরাতুল জিইররানা তাইফ অভিযানরু হতে ৩প্ৰত্যাবতনকড়ালে যখন হুনায়ন অভিযানে
লব্ধ গনীমত বণ্টন করেছিলেন, তখন জিইবৃরানা নামক স্থান হতে ইহ্রাম বেধে যে উমরা
আদায় করেছিলেন ৷ আমরা যথান্থানে এ সবগুলোর আলোচনা করে এসেছি ৷ চতুর্থ উমর৷ হল
নবী করীম (সা ) এর হব্লুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরা ৷ এ উমরার ব্যাপারে বর্ণনাকাবীদের
ৰিজ্যি অভিমতের প্রতি আমরা আলোকপাত করব ৷ এ বিষয় মুল মত পার্থক্য মোট :ি -টি
ষ্ : শ্যেম্পো ধরনের হজ্জ উমরা আদায় করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হস্কজ্জর আগে উমরা
গ্ষ্ল্টো এবং তা থেকে হালাল’ হয়ে গিয়েছিলেন কিংবা (খ) হড়াদী’১ সাথে নিয়ে
মোঃ মিঃ হাললে হতে পারেন নি ৷ দুই : তিনি হরুজ্জর সাথে সম্মিলিতভাবে উমরা
মোঃ ন্ন্ব্বান২ ধরনের হজ্জ সম্পাদন করেছিলেন ৷ এ দাবীর প্রমাণবহ হাদীস
ন্নে ফ্যাস্থানে উল্লেখ করব ৷ তিন : কিৎবা তিনি উমরা থেকে সম্পুর্ণ পৃথকরুপে হজ্জ আদায়
ন্সর ইব্বাদং ধরনের হজ্জ পালন করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হজ্জ সম্পাদনের পরে উমরা আদায়
ৰদ্বছিলেন ৷ নবী করীম (না)-এর ইফরাদ হজ্জ পালনের অভিমত পোষণকারিগণ এক্ষেত্রে
ইফরাদের অনুরুপ ব্যাখ্যাই দিয়েছেন ৷ যেমনটি ইমাম শাফিঈ (র)-এর অভিমত বলে প্রসিদ্ধি
রয়েছে ৷ নবী করীম (সা) ইহরাম শুরু করার সময় ইফরড়াদ কিৎবা কিরান কিৎবা তামাডু এর
নিয়ত করেছিলেন এ বিষয়ের আলোচনা ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টির নিষ্পত্তির প্রয়াস পাব ৷
বুখারী (র) বলেন, আমৃর ইবন খালিদ (র)যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) উনিশঢি পাযওয়া (যুদ্ধ) করেছেন এবং হিজরত করে
যাওয়ার পরে তিনি একবার মাত্র হজ্জ পালন করেছেন; (মধ্যবর্তী রড়াবী) আবু ইসহাক (র)
বলেন, আর (এর আগে) মক্কায় তিনি আর একটি হজ্জ আদায় করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) এ
হড়াদীসটি আহরণ করেছেন যুহায়র (র) থেকে ৷ তবে আবু ইসহাক (র)-এর এ বক্তব্য যে, নবী
করীম (সা) মক্কায় আর একটি হজ্জ আদায় করেছেন ৷ যাতে বাহ্যত তিনি বুঝাতে চেয়েছেন
যে, মক্কা শরীফে তিনি একবারের অধিক হজ্জ করেন নি ৷ এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কেননা,
রিসালাতপ্রাপ্তির পরে নবী করীম (সা) হস্কজ্জর মওসৃমে নিয়মিত উপস্থিত থেকে লোকদের
আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতেন এবং তাদের বলতেন-
“এমন কোন পুরুষ রয়েছে যে আমাকে আশ্রয় দেবে, যাতে আমি আমার প্ৰতিপালকের
বাণী পৌছিয়ে দিতে পারি; কেননা, কুরায়শীরা আমার মহান ও মহীয়ান প্ৰতিপালকের বাণী
পৌছিয়ে দেয়ায় আমাকে বাধা দিয়েছে ৷ অবশেষে আল্লাহ তার জন্য আনসায়ীদের দলটিকে
নিবেদিত করে দিলেন, যারা আকাবার রাতে’ অর্থাৎ জিলহরুজ্জর দশ তারিখের সল্যায়
জামরড়াতুল আকাবার’ কাছে পর পর তিন বছর তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং এর শেষ বছরে
তারা তার হাতে আকাবার দ্বিতীয় বায়আত সম্পাদন করেন ৷ এটি ছিল তার সাথে তাদের
১ তামাত্ত্ব (প্লুৰু^১ ) বহিরাগত হাজীদের জন্য প্রথমে শুধু উমরার ইহরামে উমরা সম্পাদনের পর (ইহরাম খুলে
হালাল হয়ে) পুনরায় হ্যজ্জর নিকটবর্তী সময়ে শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বেধে তা সম্পাদন করাকে তামাভু হজ্জ বলে
এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুতামাত্তি’ বলে ৷ তামাডু শব্দটির অর্থ ফায়দ৷ হাসিল করা, উপকার লাভ করা ৷
২ মক্কা শরীফে জবাই করার উদ্দেশ্যে হাজী সাহেবান যে পশু (উট) সাথে নিয়ে যান, তাকে হাদী’ বলা হয় ৷
৩ কিরান একসাথে হজ্জ ও উমরার সম্মিলিত ইহরাম বেধে প্রথমে উমরা আদায় করে (হড়ালাল না
হয়ে) যথাসময় ঐ ইহরাম দিয়ে হজ্জ আদায় করা হলে তাকে কিরান; (সম্মিলিত) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ
আদায়কারীকে কারিন বলা হয় ; অনুৰাদক
৪ হ₹জ্জর সময় শুধুমাত্র হন্থজ্জর ইহরাম বেধে (উমরা সংযুক্ত না করে) তা আমার করলে তাকে ইফরাদ
(একক বা স্বতন্ত্র) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুফরিদ বলা হয় ৷ অনুবাদক