হয়েছিল ৷ ষ্সেটি ছিল জুমুআর দিন আরাফার বিকেল বেলা ৷ বুখারী (র) এটি রিওয়ায়াত
করেছেন হাসান ইবনুস-সাবাহ্ (র)হতে এবং বুখারী অন্য এক রিওয়ড়ায়াতে এবং মুসলিম,
তিরমিযী ও নাসাঈ (র) কায়স ইবন মুসলিম (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে ঐ সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷
আরাফাত হতে নবী বত্মীম (না)-এর আল-মাশআরুল হারাম-মৃযদালিফাঅভিষুখে গমন
জাবির (বা) তার দীর্ঘ হাদীসে বলেছেন, তিনি নবী করীম করতে থাকলেন ৷ অবশেষে
সুর্যড়াস্তের পর দিপন্তে তা হলু (সা) (আরাফা প্রান্তরে) অবস্থান দের আভা মিলিয়ে যেতে থাকলে
যখন সুর্য-বৃত্ত অদৃশ্য হয়ে গেল তখন উসামা (রা)-কে নিজের পিছনে সহ-আরোহী করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে শুরু করলেন ৷ তিনি কাসওয়া উদ্রীর লাগাম এমন সজােরে টেনে রাখলেন
যে, তার মাথা তার উরু ছুতে লাগল ৷
তিনি তখন তার জ্ঞান হাত , দিয়ে ইৎগিত করে করে বলছিলেন লোক সকল ! ধীর ন্থিরে ৷
শান্তভাবে (এগিয়ে চল) ! সামনে কোন টিলা পাহাড় পড়লে তাতে চড়া পর্যন্ত উটনীর লাগাম
ঢিলা করে দিতেন ৷ এভাবে মুযদালিফায় পৌছে সেখানে এক আমান ও দুই ইকড়ামতে মাগরিব
ও ইশড়ার সালাতদ্বয় আদায় করলেন এবং এ দুইয়ের মাঝে কোন তাসবীহ (নকল) আদায়
করলেন না ৷ (মুসলিম)
বুখারী (র) আরাফা হতে প্রস্থানকালে চলার গতি ৷
অনুচ্ছেদ শিরোনামে বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন, উসামা (রা)-কে
রাবী উরওয়ার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হল-বিদায় হরুজ্জ আরাফা হতে ঘুয়দালিফা যাওয়ার
পথে নবী করীম (সা) কিভাবে পথ চলেছিলেন? তিনি বললেন, সাধারণত তিনি আনাক চালে
চলতেন, তার সামনে ফাকা দেখলে নাস’ চালে চলতেন ৷ রাবী হিশ ৷ম (র) বলেন, নাস হল
আনাক এর চেয়ে দ্রুততর গতি ৷
ইমাম আহম্মদ (র) এবং তিরমিযী (র) ব্যতীত ছয় গ্রন্থকার সকলেই হিশাম ইবন
উরওয়া উসামা ইবন যায়দ (রা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) হতে তিনি বলেন, আমি অ ৷রাফার শেষ বেলায়
রাসুলুল্লট্রুহ (সা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ উসামা (বা) বলেন, সুর্য অস্ত গেলে রাসুলুল্লাহ (সা)
(ষুযদালিফা পানে) চলতে লাপলেন, তিনি যখন পিছনে জনতার ভিড়ের হৈহল্লা শুনতে পেলেন
তখন বললেন-, লোক সকল!
শান্ত স্থির থাকবে ! দ্রত উট ঘোড়া ছুটানােতে কোন পুন্য নেই ৷ উসামা (রা) বলেন, এভাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের ভিড় দেখলে অনোক গতিতে চলতেন এবং পথ ফীকা দেখলে উটকে
গতিশীল করতেন ৷ অবশেষে যুযদালিফায় উপনীত হলে তিনি মাগরিব ও ইশড়ার সালাতদ্বয়
একত্রিত করলেন ৷ তারপর ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রের ইব্রাহীম (র)
উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) আরো
বলেন, আবু কামিল (র) ইবন উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
১ আনাক ( তাে) ও নাসস ( খো’) উঃটর গতি চলার বিশেষ ৷ প্রথমটি ঘাড় উচু করে দােলার তালে
চলা ৷ দ্বিতীয়টি দ্রুত চলার জন্য উটকে উত্তেজিত করা ৷-অনুবাদক
রাসুলুল্লাহ (না) আরাফা হতে মুযদালিফায় চললেন ৷ আমি ছিলাম তার সহ-আরোহী ৷ তিনি
নিজের বাহনের লাগাম এমন শক্ত করে টেনে রাখতে লাগন্সেন-যে তার কর্ণমুল হাওদার সম্মুখ
ভাগ ছুয়ে য ড়াচ্ছিল প্রায় ৷ তিনি বলে চলেছিলেন-
লোক সকল ৷ শৃৎখলা সুস্থিরতা ও ভাব-গন্তীরতা রক্ষা করে চলবে; উট দ্রুত ছুটানােতে
কো ন বিশেষ পুণ্য নেই ৷ নাম সােঈ (র)এ হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে
যুসলিমের বর্ণনা ৷য় অধিক রয়েছে ৷ উসামা (রা) বলেছেন, এভাবে তিনি ধীর স্থিরতা ৷র সংগে
চলতে চলতে ঘুযদ৷ ৷লিফায় উপনীত হলেন ৷
পথিমধ্যে অবতরণ এবং একত্রিত প্রসংগ :
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আহমদ ইবনুল হাজ্জাজ (র) ,উসামা ইবন যায়দ (বা) হতে,
এ মর্মে বনাি করেন যে, আরাফার দিন তিনি নবী করীম (সা) এর সহ-আরোহী হলেন ৷
অবশেষে গিরিপথে প্রবেশ করলে নবী করীম (না) (বাহন হতে নেমে পড়ে) পেশার করলেন
,তারপর উযু করে পুনরায় আরোহণ করলেন কিন্তু (মাগরিবের) সালাত আদায় করলেন না ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, আবদুস-সামাদ (র) উসামা ইবন যায়দ (রা) সুত্রে বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) আরাফাত হতে চলে আসার সময় আমি তার সহ-আরোহী ছিলাম ৷ ঘুযদালিফায়
পৌছা পর্যন্ত তার বাহন তার পা উপর্বুপরি না তুলেই চলল, ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান
(র) উসাম৷ ইবন যায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (না) তাকে আরাফা হতে সহ-আরোহী
করলেন ৷ পাহাড়ী মােড়ে গুহার কাছে পৌছলে তিনি অবতরণ করে পেশার করলেন ৷ এ বর্ণনায়
রাবী পানি ঢাললেন ( ; গ্রা এ)ফো) বলেন নি ৷ আমি তাকে পানি ঢেলে দিলে তিনি সংক্ষিপ্ত উযু
করলেন ৷ আমি বললাম, সালাত ? তিনি বললেন এশ্০গ্রা ঢক্রোা“সালাত তোমার সম্মুখে ৷”
রাবী বলেন, তারপর যুযদালিফায় পৌছে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর লোকেরা
হাওদা খোলার কাজ সেরে আসলে ইশার সালাত আদায় করলেন ৷ইমাম আহম্মদ (র) এরুপ
সনদেই অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর নাসা ৷ঈ (র) ও ভিন্ন সুত্রে পুর্বানুরুপ সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখ৷ ৷রী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ উসাম৷ ইবন যায়দ (রা) হতে
এ মমে বর্ণনা করেন যে, রাবী কুরায়ব (র) তা ৷কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (না) তা ড়ারাফা হতে
চলতে লাগলেন ৷ পথে গিরিপথে অবতরণ করে তিনি পেশ ৷ব করলেন, তারপর সংক্ষিপ্ত উযু
করলেন, আমি তখন তাকে বললাম ৷ সালাত? তিনি বললেন, “সালাত তোমার সামনে রয়েছে ৷
পরে তিনি মুযদালিফায় এসে পুর্ণাঙ্গ উযু করলেন ৷ তারপর সালাতের ইকামত দেয়া হলে
মাগরিরের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর লোকেরা নিজ নিজ অবতরণ ক্ষেত্রে নিজ নিজ উট
বসিয়ে এল ৷
তারপর সালাতের ইকামত বলা হলে তিনি ইশার সালাত আদায় করলেন এবং এ দৃয়ের
মাঝে (অন্য) কোন সালাত আদায় করলেন না ৷ বুখারী (র), মুসলিম (র) ও নাসাঈ (র) ভিন্ন
ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কুরায়ব (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা)
আমাকে ফাযল (রা)-এর বরাতে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) জামরায় পৌছা পর্যন্ত