তবে ইমাম আহ্মদ (র)-এর রিওয়ায়াত : আবু মুআবিয়া (র), উম্মু সালামা (বা) হতে এ
মর্মে যে, রড়াসুলুল্লাহ (না) তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নাহর’ (দশম) দিবসে ফজর সালাতের
সময় মক্কায় নবী করীম (সা)-এর সাথে মিলিত হতে ৷ সনদের বিচারে এ হাদীস সরল এবং
বুখারী-মুসলিম সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শর্তানুরুপ ৷ কিন্তু অন্য কোন ইমাম এ হাদীসটির এরুপ পাঠ
উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে সম্ভবত নাহ্র দিবস ()১শ্রা ণ্ঙুন্ন্) শব্দটি কোন রড়াবীর বিচ্যুতি কিংবা
(লিপিকারের অসতর্কতার ফল ৷ শব্দটি হবে নাহ্র দিবস ( )ণ্ড্রং ণ্ঙু-)) প্ৰস্থড়ান দিবস) ৷ বুখারী
(র) হতে উদ্ধৃত আমাদের রিওয়ায়াত এ ব্যাখ্যা সমর্থন করে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
এ অলেড়াচনায় আমাদের লক্ষ্য হল নবী করীম (সা) ফজরের সালাত আদায় করার পর
বায়ভুল্লাহ্-এ সাতবার তাওয়ড়াফ করেন এবং বাবা ঘরের হাজারে আসওয়ড়াদ সংলগ্ন কোণ ও
কাবা ঘরের দরজার মধ্যবর্তী মুলতাযাম’-এ দাড়িয়ে মহানমহীয়ান আল্লাহ্র কাছে দুআ
করতে থাকেন এবং কাবা-র দেয়ালের সাথে নিজের শরীর লাগিয়ে রাখেন ৷ ” ছাওরী (র)
বলেন, ঘুছান্নড়া ইবনুসৃ সাব্বাহ্ (র) আম্র ইবন শৃআয়র (তার পিতা), তার দাদা হতে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি দেখেছি মুল্তাযাম-এ তার মুখ ও বুক লাগিয়ে
রাখতে
মন্তব্য : মুছান্না দুর্বল রাবী ৷
মক্কা হতে প্রত্যাবর্তন প্রসৎগ
তারপর নবী করীম (সা) মক্কার নিন্নাঞ্চল হতে প্ৰস্থান শুরু করলেন ৷ যেমন আইশা (বা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কায় আগমন করেছিলেন, মক্কার উর্চু অঞ্চল দিয়ে এবং নির্গরন
করেছিলেন নিচু এলাকা দিয়ে ৷ বুখারী, মুসলিম (র) এ হাদীসঢি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন উমর
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) (মক্কায়) প্রবেশ করেছিলেন বাত্হার দিককার উচু পাহাড়ী সােড়
দিয়ে এবং প্রস্থান করেছিলেন নিম্ন অঞ্চলের পাহাড়ী মোড় দিয়ে (বুখারী মুসলিম) ৷ অন্য একটি
ভায্যে রয়েছে কাদা’ (চড়াই) এর দিক থেকে প্রবেশ করেছিলেন এবং কুদা (উৎরাই) এর দিক
থেকে প্রস্থান করেছিলেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ফুযায়ল (র) জাবির (বা) হতে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কা হতে নির্গমন করেছিলেন সুর্যাস্তের সময় এবং সারিফ পর্যন্ত না পৌছে
তিনি (মাগরিব) সালাত আদায় করেন নি ৷ সড়ারিক’ হল মক্কা হতে নয় মাইল দুরে ৷ এ
হাদীসটি অতি বিরল ধরনের; এ ছাড়া এর সনদের অন্যতম রাবী আজলাহ্ বিতর্কিত ব্যক্তি ৷
সম্ভবত এটি বিদায় হজ্জ ব্যতীত অন্য কোন সময়ের ঘটনা ৷ কেননা, নবী করীম (সা) বিদায়
হরুজ্জ বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেছিলেন ফজর সালাতের পরে (পুর্বের বংনাি দ্রষ্টব্য) তা হলে,
সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রস্থান ৰিলম্বিত করার কারণ কি? সুতরাং এ বর্ণনা অতি দুর্বল ৷ তবে ইবন হাঘৃম
(র) এর দাবী যদি যথার্থ বলে স্বীকৃত হয় যে, নবী করীম ’ (সা) বায়তুল্লাহ্ এ তীর বিদায়ী
তাওয়াফের পরে মক্কা হতে যুহাসৃসাবে ফিরে এসেছিলেন ৷ তবে এ ব্যাপারে তিনি আইশা
(রড়া)-এর উক্তি ব্যতীত আর কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেন নি ৷ আইশা (বা) যখন তানৃঈশ
হতে তার উমরা সম্পাদন করে ফিরে আসছিলেন তখন তার চড়াই অতিক্রম কালে এবং নবী
করীম (না)-এর মক্কার দিকে উতরাই পথে অবতরণ কালে, কিৎবা আইশা (রা)-এর অবতরণ
কালে এবং নবী করীম (না)-এর চড়াই অতিক্রম কালে তার সাথে আইশা (রা)-এর সাক্ষাত
হয়েছিল ৷ এখন ইবন হাঘৃম (র) এর দাবী হল এটা সন্দেহাতীত যে, আইশা (রা) মক্কা হতে
চড়াই পথে উঠে আসছিলেন এবং নবী করীম (না) অবতরণ করছিলেন ৷
কেননা, আইশা (রা) উমরার জন্য চলে গেলে নবী করীম (না) তার ফিরে আসা পর্যন্ত তার
জন্য প্রভীক্ষ৷ করতে থাকলেন ৷ তারপর নবী কৰীম (না) বিদায়ী তাওয়াফ সম্পাদনের উদ্যোগ
নিলে মক্কা হতে তার (আইশা ৷র) মুহাসৃসাব ফিরে আসা র সময় তার সাথে নবী করীম (সা) এর
সাক্ষাত হয়েছিল ৷ ণ্
বুখারী (র) এর অনুচ্ছেদ শিরােনাম৪ মক্কা হতে প্রত্যাব্র্তন্ কালে
ৰু তুওয়ায়’ অবতরণক৷ রীদের প্রসংগ্
মুহাম্মদ ইবন ঈসা (র) বলেছেন, হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) ইবন উমর (রা) সর্ম্পকে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, তিনি (মক্কায়) আগমন কালে য়ু-তুওয়ায় রাত কাটাতেন এবং সকাল হলে
(মক্কায়) প্রবেশ করতেন এবং প্রত্যাগমন কালেও যু-তুওয়ায় অবতরণ করে সেখানে সকাল
পর্যন্ত অবস্থান করতেন এবং উল্লেখ করতেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) অনুরুপ করতেন ৷ বুখারী
(র) হাদীসটি এভাবেই সনদ বিহীন (তালীক) রুপে নিশ্চয়তা সুচক ভায্যে উল্লেখ করেছেন ৷
আবার বুখাবী ও মুসলিম (র) হাম্মাদ ইবন ষায়দ (র)-এর বরাতে মুসনাদ (সনদ যুক্ত) রুপেও
উল্লেখ করেছেন ৷ তবে তাতে প্রত্যাবর্তন কালে য়ু-তুওয়ায় রাত যাপনের কথা উল্লিখিত হয়
নি ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
একটি দুর্লভ তথ্য ও রাসুলুল্পাহ্ (না) নিজের সাথে করে
যমৃযমের বিন্দু পানি নিয়ে গিয়েছিলেন
হাফিজ আবু ঈসা তিরমিঘী (র) বলেন, আবু কুরায়ব (র) অ ৷ইশা (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা
করেন যে, তিনি নিজের সং গে যমৃযমের পানি বহন করে নিয়ে যেতেন ৷ এ তথ্যও জানাতেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ (না) নিজেও তা বহন করে নিতেন” ৷ এরপর তিরমিঘী (র) মন্তব্য করেছেন,
এটি একটি হাসান গারীব একক সুত্রীয় উত্তম হাদীস; এ সুত্র ভিন্ন অন্য কোন সুত্রে আমরা
এর পরিচিতি লাভ করি নি ৷
বুখারী (র) আ ৷রো বলেন, মুহাম্মদ ইবন যুক৷ ৷তিল (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) হতে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন কোন গাঘৃওয়৷ (সমরাভিযান), হজ্জ কিং বা উমরা
থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন প্রথমে তিনবার তাক্বীর (আল্লা হু আকবার) ধ্বনি উচ্চারণ
করতেন, এরপর বলতেন-
“এক আল্লাহ ব্যতীত আর কো ন ইলাহ্ নেই, র্তার কো ন শ্ ৷রীক যেই, রাজতু ত ৷রই, হায্দ
তারই ৷ তিনি, সব কিছুতে ক্ষমতাবান ৷ (আমরা) প্রভ্যা বক্তাকা ৷রী, প্রত্যাধাবন (তাওবা) কারী,