“আমি নিদ্রড়ামগ্ন ছিলাম, ইতোমধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার কাকন রু তা
আমাকে চিম্ভারুিষ্ট করল, ত খন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল “ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গেল ৷ ন্
আমি (সপুে দেখা) কাকন দৃটিরব্যাধ্যা করলাম দুই ষিথ্যাৰাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনাসী, অন্য জন মুসায়লামা ৷
তারপর বৃখারী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-
“আমার নিদ্রামগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভআেরসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমরে
হাতে সোনার দু ’টি কাকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ও রী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দৃটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল : আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি ররৈছি ৷ সান্আ এর লোকটি ও ইয়ামামড়া-
এর ল্যেকটি ৷”
বুখারী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আ ল জা ৷বৃমী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ বিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মুসারলামাভুল কায্যাব মদীনায় এসে বিনৃতুল হারিছ-এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ বিনৃতুল
হারিছ ইবন কুরায়য্ ছিল তার পত্নী মহিলাটি ছিল আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবন কুরায়য-এর
মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তীর সাথে ছিলেন ছাবিত ইবন কায়স ইবন শন্মোস
(রা)-যিনি খাতিবু রাসুলিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর রাসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি যুসায়লামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে ’ কথা বললেন, মুসায়লামা তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুয়ত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
জন্যে করে দিতে পারেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ড ড়ালটিও
দাবী করলে তা ও অমি তোমাকে দেব না ! আর আমি নিশ্চিত ই তে আমাকে সেই লােকটি বলে
মনে করছি যাকে আ ড়ামি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷ আর এ ছবি ইবন কারন; সেই
আমার পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রড়া)-কে জিজ্ঞাসা
করলাম, ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমার কাছে বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, আমি নিদ্রামগ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেয়া হয়েছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়
আমি দিদ্রামগ্ন ছিলাম, ইতেড়ামধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার র্কাকন ৷ তা’
দ্যো স্তিাব্লিষ্টি করল, তখন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল“ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গোল ৷
আমি (সভ্রুপ্ন দেখা ) কাকন দুটির ব্যাখ্যা করলাম দুই যিথ্যাবাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনড়াসী, অন্য জন ম্বসারলামা ৷
তারপর বুখাবী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
ৰ্সুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন
আমার নিদ্রম্নেগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভাণ্ডারসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমার
হাভে ণ্সানার দুটি র্কীকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ভারী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দুটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল ৷ আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি রভৈয়ছি ৷ সানৃআষ্ এর লোকটি ও ইয়ামামা-
এর ল্যেকটি ৷”
বুখাবী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আল জাবৃঘী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদৃল্লাহ্ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ রিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মৃসায়লামাতুল কাঘৃযাব মদীনায় এসে ৰিনতুল হারিছ এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ ৰিনতুল
হারিছু ইবন কুরড়ারঘৃ ছিল তার পত্নী মহিলড়াটি ছিল আবদুল্লাহ্ ইবনুল হারিছ ইবন কুরড়ায়যণ্এর
যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তার সাথে ছিলেন ছড়াৰিত ইবন কায়স ইবন শাম্মাস
(না)-যিনি খাতিবু রড়াসুলিল্লাহ্’ অর্থাৎ আল্লাহর রড়াসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
ম্বনুলুল্লাহ্ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি ঘুসায়লড়ামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে কথা বললেন, মুসারলামা র্তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুরত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
দান! করে দিতে পারেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ডালটিও
দাৰী করলে তা ও আমি তোমাকে দেব না ৷ আর আমি নিশ্চিতই তোমাকে সেই ল্যেকটি বলে
ম্নেব্বছি যাকে আমি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷” আর এ ছড়াৰিত ইবন কারন; সেই
ন্বৰ্র পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রত্ত্বসুলুল্লাহ্ (সা) চলে গেলেন ৷ ” আবদুল্লাহ্
(ৰ্) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রা ) কে জিজ্ঞাসা
স্নান, ইবন আব্বাস (বা) বললেন, আমার কাছে বণ্নাি দেয়া হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মোঃ, আমি ন্থিদামপ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেশ্ হংয়ছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়
হল ৷ তখন আমাকে হুকুম দেয়া হলে আমি যে দুটিকে কু দিলাম ৷ ফলে যে দুটি উড়ে গেল ৷
আমি যে দু’টির ব্যাখ্যা করলাম দুই মিথ্যাবাদী যারা আমার পরে ভণ্ডনবীরুপে আত্মপ্রকাশ
করবে, রাৰী উবায়দুল্লাহ বলেন, এদের একজন হল আল আনাসী যাকে ফিরুয (বা)
ইয়ামানে হত্যা করেছিলেন এবং অন্যতম হল মুসায়লামাতুল কাঘৃযাব ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু হনীিফা গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দরবারে আগমন করল ৷ তাদের মাঝে ছিল মুসায়লামা ইবন ছুমাম৷ ইবন কান্থীর ইবন হাবীব
ইবনৃল হারিছ ইবনশ্ আবদুল হারিহু ইবন হাম্মায় ইবন যুহ্ল ইবনৃয় যাওল ইবন হানীফা ৷ তার
উপনাম ছিল আবুছুমামা, মতাম্ভরে আবু হারুন ৷ রাহমান নামেও তাকে ডাকা হত এবং সে কারণে
তাকে রাহমাতুল ইয়ামামা ও বলা হত ৷ নিহত হওয়ার সময় তার বয়স হয়েছিল একশত পঞ্চাশ
বছর ৷ কিছু (ও ড ৷জী তার জ ৷ন৷ ছিল ৷ বোতলে ডিম ভরে ফেলার ক ৷রস৷ ৷জি সে দেখাতে পারত
এবং সেই ছিল এর উদ্ভাবক ৷ পাথীর পা ৷৷লক কেটে তা পুনরায় জোড় লাগিয়ে দিত ৷ সে দাবী
করত যে, পাহাড় থেকে একটি হরিণী তার ক ৷দ্ভুছ আসে এবং সে তার দুধ দােহন করে ৷
আমি বলি, তার হত্যাকাণ্ড আলোচনাকালে তার বিষয় আরো কতক অভিনব ব্যাপার উল্লেখ
করব তার উপরে আল্লাহর লানত হোক ৷”
ইবনু ইসহাক (র) বলেন, সগোর অবতরণ ক্ষেত্র ছিল অন্যতম আনসারী না ৷জ্জায়ী
মহিলা বিনতুল হ বিছএব বাড়িতে ত৷ মদিন৷ বাসী জনৈক অ৷ ৷লিম আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে,
বনু হানীফার লোকেরা মুসায়লামাকে বস্ত্রাবৃত করে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে নিয়ে এসেছিল,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন সাহাবীগ ণের মধ্যে উপনিবেশরত ছিলেন এবং তার হাতে ছিল পাতাযুক্ত
একটি খেজুর ড ৷,ল বস্ত্রাবৃত অবস্থায়৩ তাকে নিয়ে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ক ৷ ছে উপনীত হলে
সে তার সাথে কথা বলল এবং কিছু দাবী করল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন,“৩ তুমি আমার
কাছে এ খেজুর ড৷ ৷লটি দাবী করলে তা ও আমি তোমাকে দে ব না ৷”
ইবন ইসহাক (র) আরও বলেন, ইয়ামামাৰাসী বর্বৃ হানীফা ৷র এক বৃদ্ধ ব্যক্তি আমাকে
উল্লেখিত বর্ণন৷ ৷র সাথে ব্যতিক্রম পুর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন ৷৩ তার দাবী মতে বনু হানীফা ৷র লোকেরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হওয়ার সময় ঘুসায়লামা কে তাদের তাবুতে রেখে
এসেছিল ৷৩ তারা ইসলাম গ্রহণ করার পরে তাবুতে তার অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তারা বলল,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা আমাদের এক সৎগীকে বাহন দেখা শুনার কজে৩ তাবুতে রেখে এসেছি ৷
বর্ণনাক৷ রী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আংকও ৮ালের তাগ্যান৷ সদস্যদের সমপরিমাণ
উপচৌকন প্রদানের হুকুমের দিয়ে বললেন, মযদাি ও অবস্থানে সে
তোমাদের মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তিটি নয় ৷ ”-এ কথা বলার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উদ্দেশ্য হলো
যেহেতু সে তার সাথীদের আসরা রপত্রের দেখাশুনার দায়িতু পালন করছিল ৷ বর্পনাকারী বলেন,
এরপর তারা রাসুলাল্লাহ (সা)-এর দরবার থেকে প্ৰস্থান করল এবং যুসায়লড়ামাকে রাসুলাল্লাহ্
(সা) এর দেয়া উপচৌকন তার কাছে নিয়ে গেল ৷ প্রতিনিধি দল ইয়ামা মায় ফিরে গেলে আল্লাহর
দুশমন ধর্মত্যাগ করে মিথ্যা নবুয়ঙে র দাৰীদার হয়ে বসল ৷ সে বলতে লাগল (নবুয়তের) তো আ ৷মি তার অৎশীদার, তা ৷র সহগামী দলের লোকদের সাক্ষী বানিয়ে সে বলল,
তোমরা তার কাছে আমার কথা উল্লেখ করলে তিনি কি এ কথা বলেননি যে, সে (তামাদেয়
মাঝের নিকৃষ্ট ব্যক্তি নয় তার এ কথা বলার একমাত্র কারণ এটাই যে, তিনি জানেন যে, ঐ
বিষয়টিতে আমিও তার শয়ীক ৷ এরপর সে তাদের জন্য গদ্য কাব্য ও ছন্দেশ্ববদ্ধ উক্তি রচনা
করতে লাগল ৷ কুরআনের সমকক্ষতার দাবীতে তার রচিত গদ্য কাব্যের নমুনা-
আল্লাহ্ গর্জাভীকে নিয়ামাত দিয়েছেন; তার অভ্যন্তর থেকে স্পন্দনশীল প্রাণ উদপত করেছেন-
অন্তঃতক (গর্ত ফুল) ও অদ্রের মাঝ দিয়ে; আর তাদের জন্য মদ ও ব্যভিচার বৈধ করেছেন এবং
তাদের সালাত রহিত করে দিয়েছেন (নাউযু বিল্লাহ) ৷ এতদৃসত্তেও সে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নবী
হওয়ার সাক্ষ্য দিত ৷ বনু হানীফা তার এ দাৰীতে তার সাথে একাত্মতা ঘোমণা৷ করল ৷-ইবনৃ
ইসহাক (র) বলেন, এ দুই বর্ণনার মাঝে কোনটি ঘটেছিল তা আল্লাহই ভাল জানেন ৷
সুহায়লি (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, আবৃ-রাহ্হাল ইবন উনৃফুওয়া (যার নাম ছিল নাহার
ইবন উনফুওয়া) ইসলাম গ্রহণ করে কুরআন শিক্ষা করেছিল এবং কিছু কালের জন্য রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাহচর্য লাভ করেছিল ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম
করেছিলেন ৷ তখন সে আবুহৱায়রা ও ফুরাত ইবন হায়্যান (রা)-এর সাথে বসা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদের বললেন, “তোমাদের কোন একজনের (সাড়ির)
দাত জাহান্নামে উহুদ পাহারুডঃ মত (ৰিরাটাকার) হবে ৷ ” (অর্থাৎ তোমাদের কোন একজন
জাহান্নামী হবে ৷) রাসুল (সা)-এর এ বক্তব্যের ফলে তারা দুজন সব সময় নিজেদের (ঈমানের)
ব্যাপারে শংকিত থাকতেন ৷
অবশেষে আর-রাহ্হাল ধর্ম ত্যাগ করে ঘুসায়লামার দলভুক্ত হল এবং তার পক্ষে এ রুপ
মিথ্যা সাক্ষ্য দিন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে (নবুয়তের) বিষয়টিতে তাকে শরীক করে
নিয়েছেন ৷ সে কুরআন শরীফ থেকে তার যুখস্ত করা আয়াতসমুহ ঘুসায়লামাকে শিথিয়ে দিল ৷
যুসায়লামা সেগুলি তার নিজের দাবী করে প্রচার করতে লাগল ৷ পরিণতিতে বনু হানীফার জন্য
চরম বিভ্রান্তির কারণ হল ৷ য়ামামা যুদ্ধে যায়দ ইবনুল খাত্তাব আর-রাহ্হালকে হত্যা করলেন
(পরবর্তী বর্ণনা দ্রষ্টব্য) ৷সৃহায়লি (র) বলেন, যুসায়লামার মুআঘৃযিনের নাম ছিল হুজায়র ৷ তার
সময় উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল মৃহকাম ইবনুত ভুফায়ল ৷ এ দিকে সাজাহ১-এর সাথে
এদের জাতাত হয়ে গেল ৷ সাজাহ-এর উপনাম ছিল উম্মু সাদির ৷ যুসায়লামা তাকে বিয়ে করে ৷
এ ছাড়া এ দৃজনের অবৈধ সম্পর্কের অশ্লীল কাহিনীও রয়েছে ৷ সাজাহ-এর মুঅড়াঘৃযিনের নাম
ছিল যুহায়র ইবন আমৃর মতাস্তরে জানবাে ইবন তারিক ৷ কারো কারো মতে শাৰাত ইবন রিবৃঈ
এ দায়িত্ব পালন করতো ৷ পরে শাৰাত মুসলমান হয়ে যায় এবং উমর ইবনৃল খাত্তাব (রা)-এর
শাসনামলে সাজাহও ইসলাম গ্রহণ করে খাটি যুসলিমের জীবন যাপন করে ৷
১ সাজাহ (মৃ ৫৫ হি৬৭৫ খৃ) নবী (সা)ন্এর ওফাতের পরে ইসলমের বি রুদ্ধে বনু তামীম
গোত্রের উস্কানীদাত্রী নবুয়তেরদাবীদার ৷ মুসায়্লামার সাথে আতাত কারিনী ও পরে তার পত্নী ৷ কথিত আছে
যে, ঘুসায়লামা নিহ্ত হওয়ার পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে বসরড়ায় হিজরত করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাকের বরাতে বর্ণনা করেন, যুসায়লাম৷ রাসুলুল্লাহ
(স ) এর দরবারে এ মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল “আল্লাহর রাসুল মুসায়লামার পক্ষ থেকে
আল্লাহর রাসুল মুহম্মেদ (সা) এর প্রতি ৩৷ সালামুন আলায়কা; তারপর আমি ঐ বিবরটিতে
আপনার অংশীদার হয়েছি ৷ এ বন আমাদের জন্য অর্ধেক আর কুরায়শীদের জন্য অর্ধেক ৷ তবে
কুরায়শীরা এমন জাতি যারা বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন করে ইনসাফ করে না ৷ দুজন দুত এ
চিঠি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে নিয়ে আসে ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (না) লিখলেন, বিসমিল্লাহিব
রাহমানির রড়াহীম! আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে যিথ্যারাদী ভণ্ড ঘুসায়লামার
“হিদায়াত ও সন্ব তার অনুসারীদের প্রতি সা ৷লাম ৷ তারপর পৃথিবী আল্লাহর ম ৷,লিকান৷ তিনি
তার বান্দাদেব মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে এর উত্তরাধিকার দান করেন; শুভ পরিণাম মুত্তাকী ও
আল্লাহ্ভীরুদের জন্যই” ৷
ইবন ইসহাক বলেন চিঠি আদান প্রদানের এ ঘটনা দশম হিজরীর শের ভাগের ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র (র) ইবন ইসহাক (র) থেকে সা দ ইবন তারিক (নুআয়ম ইবন
মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুসায়লামাতুল কায্মাব এর দুতদ্বয় তার চিঠি
নিয়ে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) এর কাছে আসার সময় তাদের দু’জনকে লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ (স৷ ) কে
আমি বলতে শুনেছি “তোমরা দু’ জনও কিতাব কথার বিশ্বাসী ষ্ তারা বলল, জী হা তিনি
বললেন
দুতর৷ অবাধ্য না হলে তা ৷মি অবশ ৷৷ই তোমাদের পর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷
আবু দ ৷উদ তায়ালিসী (র) বলেন, আল মাসউদী (র)আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা)
থেকে ৰ্নন৷ করেন ৷ তিনি বলেছেন, ইবনুন নাওয়াহ৷ ও ইবন উছাল যুসায়লামাতুল কাবৃবাব-
এর দুতরুপে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাদের বললেন, “ তোমরা কি এ
সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসুল? তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দেই যে, মুসায়লাম৷ আল্লাহর
রাসুল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি আল্লাহ এবং তার রাসুলগণের প্রতি ঈমান এনেছি ৷
একান্তই যদি আমি £কান দুতকে হত্যা করতাম, তাহলে তোমাদের দুজনকে অবশ্যই হত্যা
করতাম ৷” রাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা ) বলেন, “তখন থেকে দুত হত্যা না করার বিধান
চালু হয়ে গেল ৷” আবদুল্লাহ (বা ) আরও বলেন, পরব৩ ইতবন উছালের মৃত্যু হয় ৷ আর
ইবনৃন নাওয়াহ৷ আমার মনে সব সময় কাটার মত বিবতে থাকে ৷ অবশেষে আল্লাহ তাকে
কাবুতে এনে দিলেন ৷ হাফিজ রায়হাকী (র) বলেন, উছাম৷ ইবন উছাল (রা) ইসলাম গ্রহণ
করলেন এবং তার ইসলাম গ্রহণের কথা বর্ণিত আছে ৷ আর ইবনুন নাওয়াহা সম্পর্কে আবু
মাকারিয়া৷ ইবন আবু ইসহাক আল মুযানী (র)কায়স ইব ন আবু হাযিম (র) থেকে আমাদের
এ তথ্য দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর কাছে এসে
বলল, আমি বনু হানীফ৷ গোত্রের কোন একটি মসজিদের পম্পে দিয়ে পথ চলছিলাম ৷ তখন
তারা এমন কিরঅড়াত পড়ছিল যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়ড়া সাল্লাঘের প্রতি আল্লাহ পাক
নাযিল করেন
অর্থ গম পিষিয়ে আটা প্রস্তুতকারিণীদের শপথ! আটা য়াখিয়ের খামীর প্ৰন্তুতকারিণীদের
শপথ ! খামীর দিয়ে কটি প্রন্তুতকারিনীদের শপথ! রুটির টুকর৷ দিয়ে ছরীিদ১ প্ৰস্ত্রতকড়ারিনীদের
শপথ! গ্রামে গ্রামে উদরপুজ্যিারিপীদের শপথ ! বর্ণনাকড়ারী বলেন, আবদুল্লাহ (বা) তাদের
কাছে বাহিনী পাঠালে তাদের ধরে নিয়ে আসা হল ৷ এদের সৎ থ্যা ছিল সতুর এবং এদের
বর্ণনড়াকারী বলেন, ইবন মাসউদ (রা) এর হুকুমে
অভিযুক্ত ইবন নাওয়ড়াহড়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল ৷ তারপর ইবন মাসউদ (রা) বললেন, এদের
মাধ্যমে কোন মতলব হাসিলের অবকাশ আমরা শয়তানকে দেব না; বরং আমরা এদের
সিরিয়ার বিতাড়িত করছি; আশা করি আল্লাহ আমাদের পক্ষে তাদের জন্য যথেষ্ট হবেন ৷
ওয়াকিদী (র) বলেন, বনু হড়ানীফা প্রতিনিধি দলের সদস্য ৎথ্যা ছিল দরুশ্ ৷র অধিক ৷
তাদের নেতৃতু দিচ্ছিল সালমা ইবন হানজাল৷ ৷ দলীয় সদস্যদের মাঝে ছিল আর রাহ্হাল ইবন
উনফুওয়৷ , তালুক ইবন আলী, আলী ইবন সিনান ও ঘুসায়লামা ইবন হাবীব আল কাবযাব ৷
মাসলামা বিনতুল হারিছএর বাড়িতে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হল এবং তাদের জন্য
য়থারীতি অ ড়াপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হল ৷ পুবদ্রিহ্র ও রাতে তাদের খাবার পৰিবে ন করা হত ৷
কখনো গোশত রুটি , কখনো দুধ রুটি ৷ আবার কখনো তবু রুটি, কখনো ঘি ও কটি এবং
থুরমা খেজুর দিয়ে তাদের আখ্যায়িত করা হচ্ছিল ৷ মসজিদে নবৰীতে উপস্থিত হলে তারা
ইসলাম গ্রহণ করল ৷ কিন্তু তখন তারা ঘুসায়লামাকে তাদের অবস্থান ক্ষেত্রে তাদের বাহনের
প্ৰহরায় রেখে এসেছিল ৷ তারা ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলে (রড়াসুলুল্লাহ্ সা) তাদের প্ৰতোককে
পাচ উকিয়া (দৃইশ দিরহায়) করে রৌপ্য মুদ্রা উপচৌকন দিলেন এবং তারা বাহন পাহারায়
রেখে আসা মুসায়লামার কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকেও অন্যদের সয়পরিমাণ প্রদানের
নির্দেশ দিয়ে বললেন, “শোনা সে তোমাদের তুলনায় নিকৃষ্ট নয় ৷”
সদস্যরা তার কাছে ফিরে গিয়ে তার সম্পর্কে রাসুল (সা) এর ব ওণ্ব ৷ তাঞে অবগত কর লে সে
বলল, “তিনি এ কথা এ কারণে বলেছেন, যেহেতু তিনি জানেন যে, ( নবুয ) বিষয়টি
তারপরে আমার জন্য সাব্যম্ভ রয়েছে ৷” পরবর্তীতে যে এ বক্তব্যে অৰিচলতা দেখিয়ে অবশেষে
নবুয়তের দাবী করে বসল ৷
ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে একটি পা ৷ত্র দিয়েছিলেন, যাতে
তার ওযুর অবশিষ্ট পানি ছিল ৷ তিনি তাদের উপড়াসনালয় (তলে ফেলে সে স্থানে ঐ পানি ছিটিয়ে
দিয়ে জায়গাটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করার নির্দেশ দিলেন ৷ তারা এ নির্দেশ পালন করল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জীবনের শেষ সময়ের আলোচনায় আল-আসওয়াদ আলআনসীর নিহত
১ ছাবীদ গোশরুত র ঝোলে কটির টুকরা তিজিয়ে রেখে তৈরি তৎকালীন আরববড়াসীদের আকর্ষণীয়
খাবার ৷
২ বর্তমানের ইরাক ইত্যাদিসহ তৎকালের বৃহত্তর সিরিয়া ৷
হওয়ার বিবরণ আসবে ৷ মুসায়লামাতুল কায্যাবের নিধন ও বনু হানীফার পরবর্তী অবস্থার
বিবরণ আসবে আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর খিলাকতকালের আলোচনায় ইনশাআল্লাহ্ ৷
নাজরানের প্রতিনিধি দল
বুখারী (র) বলেন, আব্বাস ইবনৃল হুসায়ন (র)হুয়ায়ফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি
বলেছেন, নাজরানের দুই নেতা আন-আকিব ও আস-সারািদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মুবাহালা’১ করার উদ্দেশ্যে তীর কাছে এল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সাথীদ্বয়ের একজন অন্যজনকে
বলল, কাজটি করো না ৷ কেননা, বম্ভেবেই যদি সে নবী হয়ে থাকে, আর তারপরেও আমরা
তার সাথে ঘুবাহালায় অবতীর্ণ হই তা হলে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী বংশধর সফলতা
লাভে বঞ্চিত থাকবে ৷ তাই তারা বলল, আমরা আপনার দাবী পুরণে সম্মত আছি; আপনি
আমাদের সাথে একজন বিশ্বস্ত’ মানুষ পাঠিয়ে দিন; বিশ্বস্ত নয় এমন ক ৷উকে নয়, একমাত্র
একজন বিশ্বম্ভ ব্যক্তিকেই পাঠাবেন ৷ নবী কৰীম (সা) বললেন, আমিধ্রু আমাদের সাথে অরশইি
একজন বিশ্বম্ভ পরম বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে পাঠাব ৷ মোঃব্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাহাবীপণ
সকলেই চরম ঔৎসুক্যের দৃষ্টিতে৷ ত ৷কিয়ে থাকলেন ৷
নবী, করীম (সা) বললেন, ওঠো হে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ! তিনি উঠে দীড়ালে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, , এ হল এ উম্মত (মুহম্মেদী)-এর আমীন’
(বিশ্বস্ত ব্যক্তি) ৷ বুখারী (র) অন্যত্র এবং মুসলিম (র) উল্লিখিত সুত্রে শুবা (র) থেকেও
হাদীসখানি রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ হাফিয আবু বকর বায়হাকী (র) , বলেন, আবু আবদুল্লাহ
আল-হাফিয ও আবু সাঈদ মুহম্মেব ইবন মুসা ইবনৃল ফায্ল (র)সালামা ইবন ইয়াসু তার
দাদা থেকে (মধ্যবর্তী রাবী ইউনুস (র) বলেছেন যে, সালামার দাদা খৃস্টধর্য থেকে ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ৷) সুরা তাসীন সুলায়মান২ নাযিল হওয়ার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নাজরানবাসীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ৷ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহের
নামে ৷ আল্লাহর নবী ও রাসুল মুহাম্মদ (সা) এর পক্ষ থেকে নাজরানের প্রধান পাদ্রীর কাছে,
ইসলাম গ্রহণ কর, নিরাপত্তা পাবে; আ ৷যি তোমাদের কাছে
১ ঘুবাহাল৷ সত্য ও হকপন্থী হওয়ার দাবীতে চ্যালেঞ্জ প্ৰদানক৷ ৷বী দৃই পক্ষের প্রত্যেক পক্ষ তার সন্তানসন্ততি
(ও ত্রী পরিজন) নিয়ে খোলা মাঠে উপস্থিত হয়ে বিষয়ের ও আকৃতির সাথে কান্নাক৷ টি করার পরে পরস্পরের জন্য
বদদৃআ করে এবং মিথ্যা ও বাতিলপন্থীদের উপরে আল্লাহর লানত ও অভিনম্পাত নাযিল হওয়ার দৃআ করে ৷
হক ও বাতিলের মাঝে ফায়সালা করার জন্য গৃহীত এ ব্যবস্থাকে ঘুবাহালা বলা হয় ৷ অনুবাদক
২ সুরা আনৃ-নামৃল, যাতে সারা রানীকে লেখা হযরত সুলায়মান (আ ) এর চিঠি সম্পর্কিত আয়াত ;
রয়েছে ৷
“ইবরাহীম, ইসহাক₹ও ইয়াকুব (আ) এর ইলাহ্ এর হামদ বর্ণনা করছি ৷ তারপর আমি
তােমাদ্যে৷ দাওয়াত দিচ্ছি বান্দার পুজা বর্জন করে আল্লাহর ইবাদতে র দিকে আসতে; আমি
তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি বান্দার সা র্বভৌমতৃ বর্জন করে আল্লাহর সার্বভৌমভ্রু হ্র দিকে
আসতে ৷ তাতে যদি তোমরা অস্বীকৃত হও তাহলে জিযয়া’ প্রদানে সম্মত হও; তাতেও
অস্বীকৃত হলে৩ ৫৩ামাদের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করছি ৷ ওয়াসৃসালামা”
চিঠি পাদ্রীর কাছে পৌছলে তা পাঠ করে সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং তার দেহে প্রবলতাবে
র্কাপন ধরে ৷ চিঠির বিষয় আলোচনা করার জন্য সে নাজরানের বিশিষ্ট বাসিন্দা শুরাহ্বীল ইবন
ওদাআকে ডেকে পাঠাল ৷ শুরাহ্বীল ছিল হামাদানের লোক ৷ কোন গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে
এ ব্যক্তির আগে অন্য কাউকে ডাকা হত না ৷ এমনকি অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ
আল আতহাম, আস-সাব্যিদ ও আল-আকিবকেও না ৷ শুরাহ্বীল উপস্থিত হলে পাদ্রী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্রটি তার কাছে দিলেন ৷ যে তা পাঠ করলে পাদ্রী তাকে বললেন, আবু
মারয়াম ! এখন তোমার মতামত কি০ শুরাহ্বীল বলল, আল্লাহ পাক ইসমাঈল (আ) এর
বংশধরদের মাঝে;নবী পাঠাবার যে ওয়াদ৷ ইব্রাহীম (আ)-কে দিয়েছেন তা আপনি অবগত
আছেন ৷ আপনার কি বিশ্বাস হয় যে, এ লোকই সেই প্রতিশ্রুত নবী ! তা যাই হোক, নবুয়তের
ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই ৷ পার্থিব কো ন ব্যাপার হলে আমি সে ব্যাপারে আপনাকে
কোন সুপরামর্শ দিতে পা রতা৷ম এবং সে জন্য যথাসাধ্য যতুবান হত তাম ৷ পাদ্রী তাকে বলল,
আচ্ছা একটু পাশে বসে অপেক্ষা কর ৷ শুরাহ্বীল পাশে সরে গিয়ে বসে পড়ল ৷ প্রধান পাদ্রী
তখন নাজরানের আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন শুরাহ্বীলকে ডেকে পাঠাল ৷ সে
ছিল হিময়ার গোত্রের শাখা যু অড়াসবাহ্ গোত্রের লোক ৷ তাকে দিয়ে পত্রটি পাঠ করিয়ে তার
মতাতমত জিজ্ঞেস করা হল ৷ সেও শুরাহ্বীলের অনুরুপই জবাব দিল ৷ পাদ্রী তাকে পাশে সরে
বসে থাকতে বলল ৷ সে তাই করল ৷ পাদ্রী আবার নাজরানের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি জব্বার
ইবন ফায়যকে তােক পাঠাল ৷ সে ছিল বনুল-হ হামাস-এর শাখা গো ৷ত্র বনুল হারিছ ইবন কাব
এর লোক ৷ পাদ্রী যথারীতি তাকেও চিঠি পড়তে বলল এবং তার মতামত জিজ্ঞেস করল ৷ তার
জবাবও ছিল শুরাহ্বীল ও আবদুল্লাহ্র জবাবের অনুরুপ ৷ পাদ্রী তাকেও সরে বসতে বললে সে
উঠে গিয়ে এক পাশে বসল ৷ পাদ্রী যখন দেখল যে, সমস্যাটির সমাধানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
অভিন্ন মত পোষণ করছেন তখন সে নাকুস১ পেটাবার নির্দেশ দিল এবং তার নির্দোশ
পীজসিমুহে দৃশ্যমানভ৷ বে আগুন জ ৷লানাে হল এবং মোটা কম্বল ওড়ানাে হল ৷ নাকুস পেটাবার
আওয়ায পেয়ে এবং কম্বল ওড়ানাে দেখে গোটা উপ৩ ক্যের চড়াই উৎর৷ ই থেকে লোকজন
এসে সমবেত হতে লাগল ৷ উপত্যকা টি দৈর্ঘ্য ছিল দ্রু৩পামী সওয়ারের একদিনের পথ ৷
এখানে ছিল তিহাত্তরঢি জনপদ এবং এক লাখ বিশ হাজার যোদ্ধা ৷ পাদ্রী সমবেত লোকদের
সামনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চিঠি পড়ে শেড়ানাল এবং এ বিষয় ৩াপুের ম৩াম৩ জ্বানওে ৷
তাদের বুদ্ধিমান শ্রেণী এ ঐকমত্যে উপনীত হল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ব্যাপারে যথাযথ
ৎবাদ ও তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা ওরাহ্বীল ইবন ওদাআ আল-হামাদানী, আবদুল্লাহ ইবন
১ নাকুস ( পৌগ্রা) পীর্জ্যসমুহে রক্ষিত ইবাদতের সময় নির্দেশক কাষ্ঠখণ্ড বা লৌহদণ্ড; ঘণ্টা ৷