হে ফাতিমা ! তুমি যদি অস্থির হয়ে গিয়ে থাক তবে তা যার্জনা যােপ্য; আর যদি অস্থিরতা
প্রকাশ না করে পায় তার তা-ই যথার্থ পন্থা ৷
এম্ন এএন্এ
তোমার পিতার কবর সব কবরের সেরা; সে কবরে রয়েহ্নে৷ মানবক্যু শিরােমনি রাসুল (সা) ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উত্তরাধিকার
প্ৰসত্তা : যীরাছরুপে নবী করীম (না)-এর কোন দীনার, দিরহাম, গোলাম, ৰীদী, বকরী,
উট এবং মীরাছন্বযাগ্য অন্য কিছু রেখে না যাওয়া; বরং তিনি তার পরিত্যক্ত তু-সম্পত্তি মহান-
মহীয়ান আল্পাহ্র জন্য সাদাকা রুপে করে যান ৷ কেননা, পৃথিবী ও তার আনুযার্থপক সব কিছুই
ছিল তার দৃষ্টিতে তুচ্ছাতিভুচ্ছ; যেমনটি তা আল্লাহর নিকটে তুচ্ছ ৷ এসব সত্তাহ সঞ্চয়ের ত্তনাে
চেষ্টা সাধনা করা কিৎবা মীরাছরুপে রেখে যাওয়ার বাসনা পোষণ করা ছিন তার মর্যাদার সাথে
অসং গতি পুর্ণ ৷
বুযাবী (র) বলেন, কুতায়বা (র) আমৃর ইবনুল হারিছ (যা) থেকে বনাি করেন যে, তিনি
বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) রেখে যাননি কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও গোলাম না কোনও
বীদী, তার একমাত্র তার বাহন আলু-বারযা’ (শ্বেত) খাস্তে ও তার অস্ত্র এবং তার ভুমি যা
মুসাযিবদের জন্য সাদাকা করে গিয়েছিলেন ৷ বুখায়ী (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে আবুল আহ্ওয়াস, সুফিয়ান আছু ছাওরী ও
যুহড়ায়র ইবন যুআৰিয়া (র) সুত্রের বিজ্যি সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন, ইসরাঈল (র)-এর বরাতে এবং নাসাঈ (র) ইউনুস ইবন আবু ইসহাক
(র) সুত্রেউম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়ারিয়া বিনৃতুন হারিছ (না)-এর ভাই আমৃর ইবন হারিছ
হতে আহমদ (র)-ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবু মুআবিয়া (র)অইিশা (রা)
থেকে, তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও বকরী, কোনও
উট রেখে যান নি এবং (কারো জন্য সম্পদ প্রদানের) কোনও অসিয়াতও করে যাননি ৷ এ
হাদীস মুসলিম (র) একাকী অনুরুপ এবং আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজা (র) বিজ্যি সুত্রে
সুলায়মান ইবন মিহরান-আল আমড়াশ (র) সুত্রে, আল্লাহর হড়াবীব ও প্রিয়তমের প্রিয়তমা,
সপ্তাকাশের উর্ধ হতে পবিত্রতার সনদ প্রাপ্তা সিদ্দীক তনয়া অইিশা সিদ্দীকা সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন (আল্লাহ তার প্রতি রাযী থাকুন এবং তাকে তৃষ্ট রাখুন) ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, ইসহাক ইবন ইউসুফ (র)আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার-দিরহাম, কোনও ৰীদী, গোলাম এবং কোনও ছাপল-উট
(যীরছেরুপে) রেখে যান নি৷ আবদুর রহমান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না) কোনও দীনার-দিরহাম এবং কোন ছাগল-উট রেখে যাননি ৷ সুফিয়ান (র)
বলেন, আমার প্রবল ধারণা, তবে আমার দ্বিধা পােলাম-বীদী (কথাটি ছিল কিনা এ) ব্যাপারে ৷
তিরমিযী (র)-ও হাদীসটি শামাইল গ্রন্থে বৃনদার (র) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) রেখে যান নি কোনও দীনার-দিরহাম, কোনও গোলড়াম-র্বীদী এবং কোনও উট-
বকরী ৷ ইমাম আহমদ (র) এ সনদে এরুপ সন্দেহযুক্ত রুপেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী
(র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবু যাকারিয়্যা ইবন আবু ইস্হাক আলু মুযাক্কা (র) যারপুব
(র) থেকে ৷ তিনি বলেন, আইশা (রা) বললেন, তোমরা আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রেখে
যাওয়া ঘীরাছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছ ৷ রাসৃলুল্লাহ (না) রেখে যান নি একটি দীনারও, একটি
দিরহামও না, একটি গোলামও না এবং একটি র্বীদীও না ৷ মধ্যবর্তী অন্যতম রাবী মিস্আর
(র) বলেন, আমার ধারণা ৷ তিনি (শায়খ আসিম) বলেছেন ৷ এবং কোন বকরীও নয় এবং
কোন উটও নয় ৷ রাবী আওন (র) বলেন, মিসুআর (র) আদী ইবন ছাৰিত (সুত্রে, তিনি)
আলী ইব নুল হুসায়ন (র) সুত্রে আমাদের অবহিত করেছেন, আলী (রা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না)
কোন দীনড়ার রেখে যাননি, কোন দিরহামও না, কোন গোলড়ামও না, কোন র্বাদীও না ৷
সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে উদ্ধৃত হয়েছে, আমাশ (র)-এর বরাতে আইশা (বা) সুত্রে এ মর্মে যে,
রাসুলুল্লাহ জনৈক ইয়াহ দীর নিকট হতে বাকীতে খাদ্য খরিদ করে তার কাছে লোহার তৈরী
একটি বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন ৷ বৃখাবী (র)-এর অন্য একটি ভাষ্য, কাবীসা (র) (আমাশ)
আইশা (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না) ইনতিকাল করলেন,
তখন তীর বর্ম বন্ধক ছিল জনৈক ইয়াহুদীর কাছে ত্রিশ এর বদলে ৷ বায়হাকী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন, ইয়াযীদ ইবন হারুন (র)-এর বরাতে ৷ আসওয়াদ (র) সুত্রে, তিনি
আইশা (বা) থেকে ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) ইনতিকাল করলেন, তখন তার বর্ম বন্ধক
ছিল ত্রিশ সা১ যবের বিনিময়ে ৷ পরে বায়হাকী (র) বলেছেন, বুখারী (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন মুহাম্মদ ইবন কাদীর (র)-সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ বায়হাকী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা,
আলী ইবন আহমদ ইব ন আবাদান (র) , আনাস (বা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে
বরের রুচি ও পুরান দৃবাযুক্ত চর্বি-র দাওয়াত করা হল ৷ আনাস (বা) বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা)-
কে আমি বলতে ওনেছি
মার হাতে মুহাম্মদের জীবন তার কসম ! আজ (সকালে) মুহাম্মদ পরিবারের কাছে এক সা
গম বা এক সা থুরমাও ছিল না ৷ (আবাস বলেন) অথচ তখন তীর নয়জন সহধর্মিনী
ছিলেন ৷ ওদিকে তিনি নিজের একটি বর্ম মদীনায় জনৈক ইয়াহুদীর কাছে বহ্মক রেখে তার
নিকট হতে খড়াদ্যদ্রব্য নিয়েছিলেন এবং তার ইনতিকাল পর্যন্ত এমন কিছু সং হ করতে পারেন
নি, যা দিয়ে বর্যটি ছাড়িয়ে আনতে পারেন ৷ ইবন মাজা (র) এ হাদীসের অংশবিশেষ
রিওয়ায়াত করেছেন শায়বান ইবন আবদুর রহমান আন-নাহ্বী (র)-এর বরাতে ঐ সনদে ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুস সামাদ (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন এ মর্মে যে, নবী করীম (না) উহুদ পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন,
“মার হাতে আমার জীবন তার কসম ! এ বিষয়টি আমাকে আনন্দিত করে না যে, উহুদ
(পাহাড়) মুহাম্মদ পরিবারের জন্য স্বর্ণ হয়ে যাবে যা আমি আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করতে
থাকব আর আমি মৃত্যু বরণ করার দিনে মৃত্যুবরণ করবো এমন অবস্থায় যে তার দুটি মাত্র
দীনার আমার কাছে থেকে যাবে; তবে যদি তা ঋণ পরিশোধের জন্য হয়ে থাকে ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, পরে তিনি ইনতিকাল করলেন এবং কোন দীনড়ার, কোন দিরহাম, কোন
গোলাম এবং কোন র্বীদী তিনি রেখে পেলেন না ৷ তীর বর্মটি বন্ধক রেখে থেলেন এক
ইয়াহুদীর কাছে ত্রিশ সড়া যবের জন্যে ৷ ইবন মাজা (র) এ হাদীসের শেযাংশ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুআৰিয়া আল জুমাহী (র) সুত্রে এবং এর প্রথম অং শর শাহিদ
(সহযোগী সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে সহীহ্ বুখারীতে আবু যাবৃরা (রা)-এর হাদীসে ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ, আবু সাঈদ ও আফ্ফান (র) ইবন আব্বাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রা) নবী করীম (না)-এর কাছে প্রবেশ করলেন, তিনি
তখন একটি চক্ষুটাইয়ের উপরে বিশ্রাম করছিলেন বা তার পার্শ্বদেশে দাগ কােটছিল ৷ উমর
(রা) বললেন, হে আল্লাহ্র নবী ৷ যদি এর চেয়ে কিছুটা উন্নত মানের বিছানড়া বানিয়ে নিতেন ৷
নবী করীম (সা) বললেন,
দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্বন্ধ৷ আমার অবস্থা ও দুনিয়ার অবস্থা তো সে আরোহী
(মুসাফিরের) ন্যায়, যে একটি পরমের দিলে সফর করল, পরে দুপুরে কিছু সময়ের জন্য একটি
গাছের ছায়ায় ৰিশ্রাম নিল ৷ পরে আবার বিকেল বেলা সফর শুরু করল ৷ আহ্মদ (র) একাকী
এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ এর সনদ বেশ উত্তম এবং রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিপক্ষে ক্ষোভ
উন্মা প্রকাশ করিয়া তীর সহধসিনীদ্বয় এবং নবী করীম (না)-এর ঈলা১ করার ঘটনা প্রসংগে
উমর (বা) হতে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীস, এ হাদীসের সমর্থক ও শাহিদ ৷ (এ
হাদীস এবং এর সমর্থক) হাদীসসমুহের বিশদ বিবরণ দেয়া হবে নবী করীম (না)-এর সংসার
বিমুখ হওয়া পার্থিব মোহ ত্যাগ এবং ভোগ বিশৃগ্রলা প্রসংগে ৷ এছাড়া হাদীসটি আমাদের যে
দাবীকেও প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) দুনিয়া ও তার আনুবংগিক বিষয়াদিকে বিশেষ
গুরুতৃ দিতেন না ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, সুফিয়ান (র) আবদুল আযীয ইবন রুফায়’ (র) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি এবং শাদ্দাফ ইব ন মাকিল (র) ইবন আব্বাস (রা)এর
নিকটে গেলাম ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, “রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুই মলাংটর মধ্যবর্তী বিষয়
(আল-কুরআন) ব্যতীত অন্য কিছুই রেখে যান নি ৷ ” আবদুল অঙ্কুষীয (র) বলেন, আমরা
১ ঈলা :কসম করা; শ্রী সংগ বর্জ্যনর কসম করা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) একবার একমাস যাবত
স্তীদের সাথে সম্পর্ক না রাখার শপথ করেছিলেন ৷ অনুবাদক
মুহাম্মদ ইবন আলী (রা)-এর নিকটে গেলে তিনিও অনুরুপই বললেন ৷ বুখাবী (র)-ও হড়াদীসটি
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) সুত্রে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, আবু নুআয়ম
(র) সুত্রে, তালহা (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-৫ক
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম (সা) কি , কোন ওসিয়াত করে গিয়েছেন? তিনি বললেন,
না ব্র আমি বললাম তা হলে লোকদের জন্য ওসিয়াত করে যাওয়া জরুরী করে দিলেন কি
রুপে? কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ) তাদের সে বিষয় আদিষ্ট করা হল কি রুপে ? তিনি বললেন, (হী)
আল্লাহ পাকের কিতড়াবের ওসিয়াত করে গিয়েছেন ৷ বুখারী (র) অন্য একটি সনদে এবং
মুসলিম ও আবু দাউদ (র) ব্যতীত সৃনান গ্রন্থসমুহের অন্যান্য সংকলকবৃন্দ হাদীসটি মালিক
ইবন যিগওয়াল (র)-এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মত
বা করেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্; তবে ণবীব-বিরল সুত্রীয়-ঘালিক ইবন মিগওয়াল (র)
ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এটা পাওয়া যায় না ;
বিশেষ দ্ৰষ্টব্য : নবী করীম (না)-এর ব্যক্তিগত এবং তার জীবন কালে তার জন্য খাস
বিভিন্ন বিষয়-সম্পত্তি তথা বাড়ি-ঘর, নবী সহধর্মিনীণণের হুজরা, গোলাম, র্বাদী, উট, ঘোড়া,
বকবী ও মধ্যে, খচ্চর, সমরাস্ত্র, কাপড় চোপড়, আসবাসপত্র, যেহেরাল্কিত আংটি এবং অন্যান্য
উপকরণ সম্পর্কিত অনেক হাদীস রয়েছে ৷
অচিরেই সে সব হাদীসের সবিত্তার ও সপ্ৰমাণ আলোচনা করা হবে হ্ নবী করীম (সা) এ
সব বস্তু-সম্পদের অধিকাংশ তাৎক্ষণিক ভাবে সাদাকড়া করে দিয়েছিলেন ৷ অনেক গোলাম
র্বাদীকে আযাদ করে দিয়েছিলেন ৷ প্রয়োজনীয় কিছু আলবাব উপকরণ রেখেও দিয়েছিলেন ৷
সেই সাথে ছিল বনু নাযীর, খায়বার ও ফাদাক অঞ্চলে আল্লাহ্র তরফ থেকে তীর জন্য বিশেষ
অধিকাররুপে ঘোষিত ভুমিসমুহ যা মুলত মুসলিম জনতার জাতীয় কল্যাণে নিবেদিত ছিল ৷
ইনশাআল্পাহ আমরা এ সবের বিশদ ও প্রামাণ্য বিবরণ উপস্থাপন করব ৷ তবে এতটুকু
কথা নিশ্চিতরুপে বলা যায় যে, এ সবের কিছুই তিনি মীরাছরুপে রেখে যান নি ৷ একটু পরেই
আমরা এর আলোচনায় অবতীর্ণ হব ৎ আল্লাহই সহায় ৷
নবী করীম (না) এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ
নবী করীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন
“আমার মীরাছ বন্টিত হবে না দীনড়ারও না, দিরহামও না ৷ আমার শ্রীদের থােরপােষ এবং
আমার আমিল (কর্মচারী)-দের ব্যয় নির্বাহের পরে যা অবশিষ্ট রেখে যাব তা হবে সাদাকা ৷
বুখাবী-মুসলিম ও আবু দাউদ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন, মালিক ইবন আনাস (র),
আবু হুরায়রা (না)-এর বরাতে একাধিক সনদে, এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“আমার মীরাছ দীনাররুপে বন্টিত হবে না ৷ বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা আবদুল্লাহ ইবন
মাস্লামা (র) আইশা (না) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে নবী
সহধর্মিনীগণ তাদের মীরাছের দাবী উথাপনের উদ্দেশ্যে উছমান (রা)-কে আবু বকর (বা)
সমীগে পাঠাতে মনস্থ করলেন ৷ তখন আইশা (রা) বললেন, কেন, রাসুলুল্পাহ (না) কি এ কথা
বলে নি যে, আমরা (নবীগণ) ওয়ারিছ বানিয়ে যাই না, আমরা যা
রেখে যাই তা সড়াদাকা ? মুসলিম (র)-ও হাদীসটি ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) সুত্রে এবং
আবু দাউদ (র) কানাবী (র) সুত্রে এবং নাসাঈ (র) কুতায়বা সুত্রে (সকলেই) মালিক (র)
সুত্রে, অনুরুপই রিওয়ায়াত ক্যরছেন ৷
পর্যালোচনা : তা হলে ঘীরাছ প্রাপিকা স্তীদের অন্যতমা (আইশা) যদি মীরাছের কথা ধরে
নেয়া হয় স্বীকারােক্তি দিচ্ছেন যে, নবী কবীম (সা) তীর পরিত্যক্ত সম্পদকে মীরাছ নয়,
সড়াদাকা সাবম্ভে করে গিয়েছেন ৷ আর স্পষ্টতই বলা যায় যে, অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন্যাণও তার
এ রিওয়ায়াতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং নবী করীম (না)-এর বাণী র্তারা স্মরণ
করতে পেরেছেন ৷ কেননা, তার বর্ণনা ভৎগি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি র্তাদের জ্ঞাত ও
স্বীকৃত ছিল ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
বুখাবী (র) আরো বলেছেন, ইসমড়াঈল ইবন আবড়ান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে
নবী করীম (সা) বলেছেন, “আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা
সড়াদাকা ৷ ” বুখারী (র)এর একটি “অনুচ্ছেদ শ্যিরানাম : রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাণী আমরা
মীরাছ রেখে যইি না; আমরা যা রেখে যাই তা সড়াদাকা ৷ ” আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আইশা
(বা) থেকে বংনাি করেন যে, ফাতিমা ও আব্বাস (বা) বড়াসুলুল্লাহ (না)-এর উত্তরাধিকারীরুগে
তাদের প্রাপ্য মীরাছের আবেদন নিয়ে আবু বকর (না)-এর নিকটে গেলেন ৷ র্তারা ফাদাকে
নবী কৰীম (সা) এর ভুমি এবং খায়বারে তার প্রাপ্য অংশের দাবী করছিলেন ৷ আবু বকর (বা)
তাদের দু’জনকে বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছিশ্